![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সপ্নটা অনেক বড় , কিন্তু দিনকে দিন সপ্ন গুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে ।
“ও বন্ধু তোদের মিস করবো ভিষন,তোদের ছাড়া আর কিছু আর জমে না এখন”
সত্যিই এই গানটা এক সময় এভাবেই গাইতে হবে । ‘পার্থ বড়ুয়া’ এই গানের কথা গুলো হয়তো কোন একদিন অনুভব করেছিলো বলেই গানটি তৈরি করেছিলো । সে জন্য তিনি একটা বাহবা পেতেই পারেন আমার কাছ থেকে ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সবাই মিলে একসাথে কাটানোর শেষ সময়টি পার করতে হবে আর ২/১ দিনের মদ্ধে ।গত চারটি বছর এক সাথেই কাটালাম তোদের সাথে ।তোদের হাসি,তোদের কান্না,তদের সুখ,তোদের বেদনা- সব কিছুরই সাক্ষী হয়ে আছি আজ ।এই চার বছর তোদের সাথে কখনও হেসেছি,আবার কখনও বা কেদেছি । কিন্তু সব শেষ কবে কেদেছি, তা মনে করতে পারছি না । তবে এই চারটি বছরের মধ্যে এক মুহুর্ত ও হাসি ছাড়া কাটাতে দিস নি তোরা । কোন একটা সমস্যায় পরলে তার সমাধানের জন্য, তোরা হুমরি খেয়ে পরেছিস এবং সমাধান করেই তার পরই ছেড়েছিস ।সেটা সকল ক্ষেত্রেই । আর পড়া লেখার ব্যাপারে আমি সব সময়ই একটু উদাসীন ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ।এই ক্ষেত্রে তোরা আমাকে কতটুকু সাহায্য করেছিস, তা বলে আমি শেষ করতে পারবো না ।
*)এই চার বছরের সবচেয়ে বেশি মিস করবো যে বিষয় টা কে,সেটা হলো- তোদের আড্ডা ।কি নেই সেই আড্ডায়,এমন কোন বিষয় ছিলো না যা নিয়ে আলোচনা হতো না আমাদের এই আড্ডায় । আর কোন দিন এভাবে ঘটা করে তোদের সাথে আড্ডায় বসা হবে কিনা জানা নেই । প্রথম দিকে ধানমন্ডির তিন নাম্বার মাথায় লেকের পাসে বসে আড্ডা দেয়া,আর শেষ দিকে এসে পান্থপথের চিপায় বসে আড্ডা দেয়া ।সবই স্মৃতি হয়ে যাবে ২/১ দিন পর থেকে ।আড্ডায় বসলে সময় যে কোথায় দিয়ে চলে যেত,তার কোন হদিস ই পাওয়া যেত না ।
*) আড্ডার মূল বিষয় টা ছিলো যে যাকে মজা করে পচাইতে পারা । আড্ডায় মজা করার জন্য এক একজনের ,এক এক রকম নামের উপাধীও ছিলো আমাদের মাঝে । যেটা বিভিন্ন সময়ে ,বিভিন্ন কারনে দেয়া হয়েছিলো ।
নিচে কয়েক জনের নামের উপাধী দেয়া হলোঃ-
#রাফি-এনাকোন্ডা,
#মুন-পাপ্পা,
#সিফাত-মাঞ্জা মামা,শীট
#রিয়ান-সোতমান,
#রনি-জে রনী,
#রনি-কর্পোরেট রনি,কন্ডম রনী
#মারুফ-ক্যাপ্টেট মারুফ,
#আঃ কাইউম-আংকেল,
# আর আমাকে সবাই ডাকতো –হ্যাকার,সাইকো,বুল শীট বলে ।
এটাতো গেলো শুধু নামের উপাধী.........
আড্ডায় বসলে চা টা,সিংগারা নিয়ে তো নিয়োমিত যুদ্ধ চলতো ।এক কাপ চা ৭-৮ জন ও খেয়েছি । বিল দেয়ার বেলায় যে কত রকম নাটক হতো ,তা এখনই মনে আসলে হাসি আসে ।কিন্তু এই গঠনা গুলোতো সারা জীবনই আমার চোখে ভাসবে । আরও কত কর্জকালাপ তোরা করেছিস ,তা এখানে লিখলে তোরা আমাকে আস্থা রাখবি না ।
*) আড্ডা ছাড়াও তোদের আরও অনেক কিছু মিস করবো । কিন্তু সব কিছু বলে শেষ করা সম্ভব না ,তাই কয়েক টি বিষয় তুলে ধরি......
#- মিস করবো “রিয়ানের” অট্ট হাসিটাকে –সবাই মিলে যখন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছি ,কোন হাসির কথা যখন উঠলো তখনই শুরু হতো “সোত মানের” সেই অট্ট হাসি টা ।যা কিনা আমার কানে বাজবে সারটি জীবন ।
#-মিস করবো “সিফাতের” সেই কমন ডায়লগ “নিউ মার্কেট” এ কাজ আছে - যা কিনা আর শোনা হবে না “মাঞ্জা মামার” কাছ থেকে ।এবং ‘’মাঞ্জা মামা” আর আমার একসাথে ক্লাসে যাওয়া টা হবে না ,খুনসুটি ও করাটা হবে না ।
#-মিস করবো “রাফীর” সেই কমন ঝাড়ি-আরে বাবা ,একটা জিনিস বললাম বুঝুস না কেন । হয়তো এমন ঝারি আর খাওয়া হবে না “এনাকোন্ডার” কাছ থেকে ।
#- মিস করবো “মুনের” ভাব নিয়ে বসে থাকাটা কে- যেটা কিনা প্রায় করতো আমাদের “পাপ্পা” ।
#-মিস করবো “রনির” মাঝে মাঝে উচ্চারিত হওয়া –ওয় এমন কেন ,আর মোখ বাকা করে সেই হাসিটা দেখা হবে না “জে রনির” কাছ থেকে ।
#-মিস করবো “রিয়াজের” হঠাত স্টেট ফরওয়ার্ড কথা বলাটা –রিয়াজের কথা আই,আই,ইউ,সি এর ছাত্র রা একটু বেশিই মনে রাখবে । তাকে “নোট বাবা” বলে ডাকা উচিত ।
#-মিস করবো “কর্পোরেট রনির" গল্প শুনানো টাকে ।
#-মিস করবো “ক্যাপ্টেন মারুফের” সঠিক দায়িত্ব পালন টাকে ।
#-মিস করবো “আহাদ” কে-কারন তার প্রতেকটি কাজেই খাম খেয়ালি ভাব ছিলো
#-মিস করবো আমার কলেজ ফ্রেন্ড “সুজুন” আর “আলী’ কে ।
সবার নাম উল্লেক্ষ করে আমি শেষ করতে পারবো না ।৩২ ব্যাচের সবাইকে কোন না কোন কারনেই মনে পরবেই ।
*)আমাদের এই চার বছরের এক সাথে চলাফেরায় একটা গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে –যেটা “Unity” নামে পরিচিত ।যেটার সদস্য আমারা ৫ জন(আমি-আসাদ শাহীন, সিফাত রহমান,রিয়ান তৌফিক,মাহফুজ রাফী এবং মুশফিকুল ইসলাম মুন )।
*)প্রতেক সেমেস্টারে কোথাও ঘুরতে যাওয়া টা ছিলো আমাদের একটা নেশার মত । যেটা ‘’Tour of Unity’’ নামে পরিচিত । ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের নানান রকম স্মৃতি মনে পরবে । ঘুরতে যাওয়ার আগে একটা না একটা ক্যাচাল লেগেই থাকতো,বাট আমরা সকল সমস্যা কে দূরে ফেলে তার পরই ঘুরতে গিয়েছি । তবে আমরা একসাথে যতগুলো ট্যুর দিয়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে স্মৃতিময় ট্যুর হয়েছে সেন্টমার্টিন এ ঘোরা । কারন ,আমাদের শ্রদ্ধেয় নোমান সিদ্দিকি স্যারের সাথে বাস থেকে নামার পর হঠাত দেখা ।তার পর একসাথে পুরু সেন্টমার্টিন ঘুরে দেখা ।
আর ঘুরতে গিয়ে কি রু মজা করেছি তা সারা জীবনই মনে থাকবে ।
*)বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের জবনে ক্যাম্পাস এবং স্যারদে থেকে পড়া লেখা ছাড়া আমরা কোন সুজুগ সুবিধাই পাই নি ।অথচ বিগত ব্যাচের সকল ছাত্র-ছাত্রীরাই কমবেশি সুজুগ সুবিধা পেয়েছে । তাই এইই বিষয় টা নিয়ে খুব আক্ষেপই ছিল ।কিন্তু ০২/০১/২০১৫ এইদিনটি হয়তোবা সারা জীবনই মনে রাখা লাগবে । আমাদের ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের হেড ‘’Zahangir Alam’’ স্যার আমাদের যে চমক দেখালেন তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না । ৩১/১২/২০১৪ তারিখ স্যার এর জন্মদিন ছিলো,সেই উপলক্ষে স্যার কে সারপ্রাইজ দিবো বলে আমরা সবাই ঠিক করলাম । কিন্তু বাদ সাধলো জামাতী ইসলামের হরতালে,আমাদে যেই প্লান ছিলো সবই পন্ড হয়ে যায় ।তাই আমরা সুজুগ টা নেই ০২/০১/২০১৫ তারিখে । সবাই হ্যাপি বার্থডে বলে কেক কাটালাম,নোমান স্যার আর হেড স্যার উপস্থিত ছিলো সেখানে । স্যারকে কিছুটা হলেও সারপ্রাইজ হলো ।যে মানুষটির মুখ থেকে কখনও বাংলা শুনি নি , তিনি সবার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাংলায় কথা বললেন ।এবং যা বল্লেন,তা শোনার জন্য মনে হয় কেউ প্রস্তুত ছিলোনা । আমরা স্যার কে কি সারপ্রাইজ দিবো,স্যারই আমাদের উল্টো সারপ্রাইজ করে দিলেন ।সবাইকে বললেন স্টার কাবাবে কাওয়াবেন এবং রবীন্দ্র সরবরে সবার সাথে আড্ডা দিবেন ।
*)বন্ধুদের সাথে কাটানো “র্যা গ ডে” টা মনে দাক কেটে থাকবে সারাজীবনই । এক্ষে কয়েক জন মানুষ কে ধন্যবাদ না দিলে নিজের কাছেই ছোট লাগবে ।কারন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ১০/০১/২০১৫ র্যা গ ডে টা সুন্দর ভাবে পালন করতে পারা ।
-অনিক
-এনাম ভাই
-গনি
-মারুফ
-মুন এবং
-তানিম কে ।
কারন তোরা এটার হাল না ধরলে মনে হয় “র্যা গ ডে” টাই পালন করতে পারতাম না ।
*)মিস করমো আমার প্রতেকটি শ্রদ্ধেয় ভাজন শিক্ষকদের ।বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার বছরের জীবনে অনেক শিক্ষকেরই সান্নিধ্য পেয়েছি । তবে কিছু কিছু শিক্ষক আমার মনে সারা জীবনই দাগ কেটে থাকবে –তাদের নাম নাম উল্লেক্ষ না করে পারছি না (রায়হান স্যার,মহসিন স্যার,শরীফ স্যার,নোমান স্যার,আজিজ স্যার,জাহাংগীর স্যার,মন্ডল স্যার,শিপন স্যার এবং আকা স্যার) । তাদের দ্বারা আমি বিভিন্না সময় বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হয়েছি।তাই আমার এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের কথা কোন দিনই ভুলতে পারবো না---
শেষ বেলায় একটা কথাই বলতে চাই তোদের-
“তোরা ছিলী ,তোরা আছিস এবং তোরা থাকবি ‘’---আসাদ শাহিন---
©somewhere in net ltd.