নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মানুষ

তুমি মুক্ত মানুষ, তুমি ওখানে বসে আছ কি করতে- চলে এসো আমার দিকে।

মুহিত হোসেন সাহেল

মন স্বাধীন; সে কল্পনার পক্ষীরাজ চড়ে এক মুহূর্তেই চন্দ্রসূর্য পেরিয়ে সৃষ্টির ওপার পানে ধাওয়া দিতে পারে। কিন্তু সে স্বপ্ন প্রয়াণে তো আমার রক্ত মাংসের শরীরকে বাধ দিয়ে চলতে হয়- আমাকে এক নিমিষে নিয়ে যায় দূর হতে দূরে, যেখানকার শেষ নীল পাহাড় বলে, ‘আরো আছে, আরো দুরের দূর আছে’; সে যেন ডাক দিয়ে বলে, তুমি মুক্ত মানুষ, তুমি ওখানে বসে আছ কি করতে- চলে এসো আমার দিকে।

মুহিত হোসেন সাহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসী ভাল্লুক।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০১

এক অবিশ্বাসী আজীব নিতাই এক বনের পাশ দিয়ে আপন মনে হেলেদুলে গান গেয়ে যাচ্ছিল;

যে দিন থেকে ইন্টারনেট এলো,

গেলো গেলো গেলো,

ঈশ্বরের দাপট, এবার বুঝি গেলো,

গেলো গেলো গেলো, এবার বুঝি গেলো।

আমি একজন ধ্বজভঙ্গ, আমার হলো স্বপ্ন ভঙ্গ,

তাই আমার এতো খেদ, মানি না মুই গীতা বেদ।



এমন সময় হঠাৎ জংগলের ভেতরে গুরু গম্ভীর গর্জন করে কারো নড়াচড়ার শব্দ শোনা গেল। নাস্থিকটা কৌতহল নিয়ে জংগলের দিকে একটু উঁকি দিয়ে বুঝার চেষ্টা করল- কাহিনী কি।

উঁকি দিয়েই নাস্তিকটার অন্তরাত্মা গেল একদম শুঁকিয়ে। এযে সাক্ষাৎ যম। ওমা এযে বিশাল বড় এক কালো ভাল্লুক।

নাস্তিকটা চীৎকার করে- যারপরনাই পরিমরি করে দিল ভোঁ দৌড়।

এদিকে নাস্তিকটার চীৎকার শুনে ভাল্লুকটা তাকে দেখে ফেলল এবং ভাল্লুকটাও নাস্তিককে ধরার জন্য পিছু পিছু দিল ছোট।



নাস্তিক প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছেই। এমন দৌড় দৌড়াচ্ছে যে অলিম্পিক হলে নিশ্চিত ওসাইন ভোল্ট কে ১০০০০ ভোল্টের ঝটকা দিত।

যা হোক, নাস্তিক দৌড়াচ্ছে, পেছন পেছন ভাল্লুকও দৌড়াচ্ছে।

নাস্তিক দৌড়াচ্ছে............ ভাল্লুকও দৌড়াচ্ছে.........ব্যবধান ৫০ মিটার।

নাস্তিক দৌড়াচ্ছে............ ভাল্লুকও দৌড়াচ্ছে.........ব্যবধান ৩০ মিটার।

নাস্তিক দৌড়াচ্ছে............ ভাল্লুকও দৌড়াচ্ছে.........ব্যবধান ১০ মিটার।

নাস্তিকটার পা মাটির উচু টিবির সাথে ধাক্কা খেলো। নাস্তিকটা মাটিতে উপর হয়ে পড়ে গেলো।

নাস্তিক পড়ে আছে............ ভাল্লুক দৌড়াচ্ছে.........ব্যবধান ০০ মিটার।



নাস্তিক মাথা ঘুরিয়ে দেখে ভাল্লুক তার গাঢ়ের উপর নিঃশ্বাস নিচ্ছে। ভাল্লুকের বিশাল হৃদপিণ্ড দপাস দপাস করে লাফাচ্ছে। নাস্তিকেরটা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

ভাল্লুকটা যখনি তার বিশাল থাবা-বাবাটা উঠাল, নাস্তিকটার গাঁঢ় মটকানোর জন্য; ওমনি নাস্তিকটা চীৎকার করে উঠল GOD DAMN.

সাথে সাথে সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেলো। বৃক্ষরাজি স্তব্ধ, বাতাস স্তব্ধ, পাখি স্তব্ধ, নদীর স্রোত স্তব্ধ, ভাল্লুক স্ট্যাচু।

সবকিছু একদম স্তব্ধ। পিন পতন নীরবতা।

এমন সময় শুন্য থেকে একটি আওয়াজ শোনা গেল। হে নাস্তিক, তুই সারাজীবন আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছিস, আমার নিয়মনীতি নিয়ে রসালো গল্প ফেঁদেছিস, আমাকে অবজ্ঞা করেছিস। আজ আবার আমাকে এই ভাল্লুককে থামাতে বলছিস। তোর মতো অবিশ্বাসীর জন্য আমি তা কেন করব। কারণ দর্শা।

নাস্তিকটা এবার ভীতু স্বরে বলল হে ঈশ্বর আমি না হয় অবিশ্বাসী কিন্তু তুমিতো এই ভাল্লুকটাকে তোমার অনুগত অন্যান্য সকল ভাল বিশ্বাসীর মতো বানাতে পার।

এবার গম্ভীর আওয়াজ আসল “আমি তোর চাওয়া পূর্ণ করে ভাল্লুকটিকে বিশ্বাসী বানিয়ে দিলাম।

সাথে সাথে ভাল্লুকটি মাটিতে বসে দুহাত উপরে তুলে মাথা নিচু করে প্রার্থনা শুরু করল

“হে ঈশ্বর। তুমি আমাকে আজ যে রিজিক দিয়েছ তার জন্য আমি হাজারবার তোমার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি”।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০২

নিলিমা আকতার বলেছেন: গেলো গেলো গেলো, এবার বুঝি গেলো।আমি একজন ধ্বজভঙ্গ, আমার হলো স্বপ্ন ভঙ্গ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.