![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি
ফেসবুক ও সামু ব্লগে আমার কিছু নাস্তিকতায় আত্মদীক্ষিত বন্ধুদের ইদানিংকার ধর্ম ও ঈশ্বরবিরোধী পোস্ট তথা ঈশ্বরের অস্তিত্ত্বহীনতা প্রমাণের ব্যাপক তোরজোড় লক্ষ করলাম। আল্লাহ বা ঈশ্বর বলতে যে কিছু নাই সেটা প্রমাণ করার জন্যে তাদের তামোদ গঠনমূলক আলোচনা বা সমালোচনা বিষয়টি নিয়ে আমাকে কিছুটা ভাবতে বাধ্য করলো বইকি। না, ঈশ্বরকে নিয়ে না। উনার অস্তিত্ত্ব নিয়ে আমি তেমন একটা ভাবি না। ভাবলাম আমার নাস্তিক বন্ধুদের কার্যক্রম নিয়ে। ভাবনার প্রসবগুলো এরকম:
প্রথমত, আমার যেসকল বন্ধুরা ‘ঈশ্বর বলতে কেউ নেই’ এটা প্রমাণ করাতে চাচ্ছেন তারা কেন এটা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন ? যা নেই তাতো নেই-ই। কোন কিছুর অস্তিত্ত্ব প্রমাণ করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ অনুপস্থিতি প্রমাণ করা যেতে পারে। কিন্তু অস্তিত্ত্বহীনতা প্রমাণের কি আছে ? অস্তিত্ত্বহীনতা প্রমাণ করা মানে হচ্ছে তাদের আগে অস্তিত্ত্ব প্রদান করা। এই দিক দিয়ে আমার বন্ধুরা সম্ভবত ভুল পথে হাটছেন। তারা নিজের অজান্তেই ঈশ্বরের অস্তিত্ত্ব জানান দিচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত, ধরে নেয়া যাক ঈশ্বর নেই। সেক্ষেত্রে নাস্তিক বন্ধুরা ধর্ম তথা ধর্ম বিরোধীতার পেছনে যে সময় খরচ করেন একজন আস্তিক বলতে গেলে মাঝারি জাতের একজন ধার্মিকও ধর্মের পেছনে এতো সময় খরচ করেনা। এতোটা চিন্তা, এতোটা সময় আর এতটা পড়াশোনা আপনি দিচ্ছেন যার অস্তিত্ত্ব নেই তার পেছনে অথচ যে অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করে, তার ধর্ম পালন করতে এতোটা সময় নষ্ট হচ্ছে না। অর্থাৎ ধর্ম প্রেক্ষাপটে একজন নাস্তিক মহাকালের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ‘সময়’ বেশি নষ্ট করছেন একজন আস্তিকের চাইতে। সময়টা নাহয় অস্তিত্ত্বসম্পন্ন কোন কাজেই ব্যয় করুন। আর যদি দুর্ভাগ্যবশত ঈশ্বর আদতেই থেকে থাকেন, তবেতো আমার প্রিয় বন্ধুদের আমও গেল ছালাও গেল।
তৃতীয়ত, সারা বিশ্বে যেসকল ধর্ম আছে তার বেশিরভাগই এক ঈশ্বরবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং সেই ঈশ্বর অদৃশ্য। কিন্তু আমার বন্ধুদের যত আক্রমন সব ইসলাম, কোরআন ও আল্লাহর উপর। আপনারা কেন অন্য কোন ধর্ম বা তার ধর্মগ্রন্থের ভুল ধরছেন না ? ধর্ম যার যেটাই হোকনা কেন, আস্তিকরা সকলেইতো আস্তিক, আপনার পরিপ্রেক্ষিতে আস্তিকতাইতো মূল ধর্ম তাইনা? নাকি আপনার ইসলামের সাথে কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে? যদি থেকেই থাকে তবে সেটাই বলুন। ঘুরিয়ে বলারতো কিছু নেই।
শেষকথা, প্রবাদ আছে, যার মাথা নেই তার ব্যাথাও নেই। কিন্তু এখানে দেখতে পাচ্ছি যার মাথা নেই তার ব্যাথা বেশি। কারন অন্য সব ব্যাথার সাথে মাথা না থাকার ব্যাথাটাও কার্যকর। আমি আমার কোন বন্ধুকেই নাস্তিকতার চর্চা করা থেকে বিরত থাকতে বলছিনা। বরং বলছি নাস্তিকতা যেন আবার ধর্মপরায়ন হয়ে না যায়।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
শাহীদুল বলেছেন: আপনার ক্ষোভটা পরিস্কার করার জন্যে ধন্যবাদ।আমি আমার লেখার একযায়গায় এরকম বলেছিলাম, ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ থাকলে সেটাই বলুন। আপনার হয়তো ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই তবে ব্যক্তি কেন্দ্রীক আছে। সেটা কিরকম বলি, ধর্ম, ধার্মীক ও পথভ্রষ্ট ধার্মিক তিনটি তিন বিষয়। ধর্ম হয়তো একটি নিয়ম অথবা বিশ্বাস। ধার্মীক যিনি ধর্ম পালন করেন বা মানেন এবং পথভ্রষ্ট ধার্মিক তিনি যিনি এটার ভুল ব্যাখ্যা করে ব্যবহার করেন। ধর্মকে ব্যবহার করে যারা সন্ত্রাস করে আমিও তাদের বিপক্ষে। কিন্তু বিশ্বে কোন একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্ম মানব কল্যানের বিরোধীতা করেছে এটা বলতে পারবেন? যদি থেকে থাকে তাহলে আমিও জানতে চাই সেটা কোথায়। ধর্মে বিশ্বাস করে এমন সৎ মানুষ একটিও নেই সেটা বলতে পারবেন? অথবা নাস্তিকতা চর্চা করে তাই কখনো কোন সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত নয় এমনটি কি আপনি বলতে পারবেন? যদি সন্ত্রাসী সব জায়গায়ই থেকে থাকে তবে ধর্মের বিরোধী করলে অধর্মেরও বিরোধীতা আপনাকে করতে হবে আপনার দায়বদ্ধতা থেকে কারন আপনিই বলেছেন আপনি মানবকল্যানে বিশ্বাসি। আপনি হয়তো বলবেন নাস্তিকতাকে কেউ ব্যবহার করছেনা। আমিও তাই বলেছি, যা নেই তাতো নেইই। মূল বিষয় হচ্ছে সন্ত্রাস ও ধর্ম ইন্ডিপেন্ডেন্ট। পথভ্রষ্ট ধার্মিকের বিরোধীতা করেন, তাতে আমারও সমর্থন আছে। কিন্তু ধর্ম কোথায় মানুষের অকল্যানের কথা বলেছে সেটা বলে তারপর ধর্মের বা ঈশ্বরের বিরোধীতা করতে হবে। সাম্প্রতিক একটা ঘটনার রেফারেন্স দেই, ঐশী বাবা মাকে তার বন্ধুদের সহায়তায় খুন করেছে। তাই বলে কি আপনি বন্ধুত্ব করাকে নিষিদ্ধ করবেন অথবা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবেন? আবার এমনটিই কি করবেন, বাবা মার নিরাপত্তার জন্যে সন্তানকে বাবা মা থেকে দূরে রাখার আইন পাশ করবেন? অবশ্যই না। যেটা করবেন, এশীর মূলত কি কারনে এই পরিনতি সেটা খুজে বের করে তারপর তার ব্যবস্থা নিবেন এবং অবশ্যই ঐশীকে শাস্তি দিবেন। সন্ত্রাস দূর করলে সন্ত্রাস দূর করতে হবে। অপধর্ম শিক্ষা থেকে সেটা এসে থাকলে সেটা নিবারন করতে হবে। এখানে ঈশ্বরকে টানবেন কেন?
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
যথার্থ সব প্রশ্ন করেছেন আপনি। এসব প্রশ্ন আগেও সামুতে নানান পোষ্টে ছেড়াখোড়াভাবে নাস্তিকদের প্রতি করা হয়েছিলো। এ ধরণের আরো প্রশ্ন রয়েছে।
গত ৩ হাজার বছর ধরে তাদের সংখ্যা বাড়েনি। বরং "সংখ্যা" বৃদ্ধির অনুপাতে অনেক কমেছে বলা যায়। এ জন্য তার বোধহয় খুব নিঃসঙ্গ বোধ করে। তাই তাদের সংখ্যা বাড়াবার জন্যই এই জোর প্রচেষ্টা। বাংলাদেশে যার নেতৃত্ব দিচ্ছে মুক্তমনা ব্লগ সাইট।
অথবা একটা গোপন পরিকল্পনার আওতায় তাদের অর্থ দেয়া হচ্ছে। নাস্তিকতা প্রচারের জন্য। এ ক্ষেত্রে তারা অন্য ধর্মকে বাদ দিয়ে একমাত্র ইসলামকে বেছে নিয়েছে এজন্য যে পৃথিবীতে একমাত্র ইসলামই প্রবল ধর্ম। আর অন্যান্য ধর্ম শুধু বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমিত। এসব ধর্ম হালকা ধাক্কাতেই মাটিতে মিশে যাবে। কিন্তু ইসলাম নয়।
নাস্তিকরা নিজেদের কোন কোড অব লাইফ সৃষ্টি করতে পারে নাই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের জীবন পদ্ধতি, আচার আচরণ কী হবে তার কোন নির্দিষ্ট বিধান নেই। যার যেমন ইচ্ছে তেমন করে চলছে। বিবাহ, মৃত্যু, সামাজিক রীতিনীতি এরকম অনেক প্রথা/নিয়ম কানুন তারা ধর্মের আচার আচরণ অনুসরন করে থাকে। "নুন খাই যার, গুণ গাই তার" - এর বিপরীত। তারা "নুন খাই যার, দোষ গাই তার"। নির্লজ্জ সব।
তারা সবসময় বিজ্ঞানকে পূজা করে। কিন্তু বিজ্ঞান যতই অগ্রসর হচ্ছে ধর্মের অনুসারি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ নাস্তিক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু আস্তিক সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছেই। এই বৃদ্ধির হার ইউরোপে বেশী। তারা হয়তো পরিসংখ্যান চাইতে পারে। এই মূহুর্তে হাতে নেই। মাঝে মধ্যে পত্রিকায় দেখা যায়।
সামুকে নাস্তিকায়ন করার জোর প্রচেষ্টা ছিলো। দাবড়ানি খেয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। বিভিন্ন নিকের আড়ালে সটকে পড়েছে।
আমার মতে "নাস্তিকতা" হচ্ছে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা"র প্রবক্তাদের এক মিশন যার জন্য একটা ফান্ড আছে। তা' থেকে অর্থ বরার্দ হয়। এ জন্য তারা প্রথমে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ প্রচার করে। ধর্ম যারযার রাষ্ট্র সবার। ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ধরণের প্রচারণার সাথে সাথে মৃদু লয়ে তারা নাস্তিকতা প্রচার করে থাকে। কিন্তু নাস্তিকতার ছোট ভাই "ধর্মনিরপেক্ষতার" প্রচারের ক্ষেত্রে তাদের প্রচেষ্টা বেশী। কারণ এতে সুবিধে বেশী। পরিপূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেই নাস্তিকতা প্রচার প্রসার করতে আর কোন অসুবিধে নেই। ধর্মনিরপেক্ষতা একটি হাতিয়ার যার মাধ্যমে আস্তে আস্তে ধর্মকে নিষ্ক্রিয় করার কৌশল মাত্র।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ধর্ম হবে পরিপূর্ণ ধর্মহীন স্যাটানিক রিলিজিয়ন" যার ইশ্বর হবেন বা হতে চাইবেন "দাজ্জাল"। দাজ্জাল একজন ব্যক্তি, একটি সিস্টেম।
পৃথিবীতে যত যুদ্ধবিগ্রহ, জ্বালাও-পোড়াও, ক্ষমতার রদবদল ইত্যাদি হচ্ছে তা' ঐ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েমের জন্যই হচ্ছে। এর পিছনে আছে "বিশ্ব এলিট", যারা ইহুদী (জায়নিষ্ট ইহুদি) সম্প্রদায়ভূক্ত। এ জন্য তারা জাতিসংঘকে ব্যবহার করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেও ঐ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে।
শেষ পর্যন্ত নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েমে তারা পরিপূর্ণ সফল না-হলেও প্রায় অনেকটাই সফল হবে। শেষমেষ মহাযুদ্ধ হবে। এবং এ যুদ্ধ হবে দাজ্জাল ও হযরত ইসা আ. এর সাথে। এ সময় ইমাম মাহাদী আ.-ও থাকবে। ঐ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রেসিডেন্ট হবেন দাজ্জাল। অমিত, অলৌকিক শক্তির অধিকারী এক ইহুদী যুবক হবে এই দাজ্জাল। পৃথিবীর খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাপনা ও আবহাওয়া নিয়ন্থ্রণ ব্যবস্থাপনা তার হাতে চলে যাবে। এগুলো সে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে মানুষকে আনুগত্যে আনার জন্য।
যাই হোক। সংক্ষেপে কিছু বলার চেষ্টা করলাম।
নাস্তিকদের সম্পর্কে বাস্তব চিত্রগুলো তুলে ধরেছেন। এ ক্ষেত্র ভালোভাবেই করেছেন সাদামাটা কথার মাধ্যমে।
এ জন্য +++।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
শাহীদুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০১
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ ইমরান হক সজীব :
পারমানবিক শক্তিকে মিথ্যা বলা যায় না, কারণ এটা সত্যি।
মানুষ এটাকে ভাল এবং মন্দ দুই ধরণের কাজেই ব্যাবহার করতে পারে।
ইসলাম ধর্মও তেমনি সত্য।
ধর্মকে কেও খারাপ কাজে ব্যাবহার করলে এটা ব্যাবহারকারীর দোষ, ধর্মের দোষ না।
৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১
নীল জানালা বলেছেন: ভালোইতো.....আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের অকাট্য প্রমান দিতে পারেনা। না পাইরা শেষমেষ নাস্তিকগো গালিগালাজ দেয়া শুরু করে। আবার নাস্তিকরা সৃষ্টিকর্তার অনস্তিত্বের প্রমান দিতে পারেনা। রাইগামাইগা ওরা "সৃষ্টিকর্তারে" গালি দেয়। তারেই গালি দেয় যে নাকি "নাই"!!! দুই গ্রুপরেই বাইন্দা পিটানি দরকার। তোরা তোদের বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়া থাকনা পৈরা! কি কারনে জ্বালাইতে আহোস?? হালা বলদের গুস্ঠি......
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
ইমরান হক সজীব বলেছেন: যদি সন্ত্রাসী সব জায়গায়ই থেকে থাকে তবে ধর্মের বিরোধী করলে অধর্মেরও বিরোধীতা আপনাকে করতে হবে
খুব দুর্বল যুক্তি । আমাদের দেশের এরশাদ শিকদার একজন মারাত্মক খুনি ব্যাক্তি। তার খারাপের পরিমান এতই ভয়াবহ যে তার ভালো দিক আলোচনা করা বাহুল্য মাত্র । এখানে মূল যে বিষয়টা প্রাধান্য পাওয়া দরকার তা হচ্ছে আমরা আলোচনা করতে পারি, আমরা আমদের সপক্ষের ভালো দিক গুলো আর আপনাদের খারাপ দিক গুলো তুলে ধরলাম, আপনারা আপনাদের স্বপক্ষের ভালো দিক গুলো আর আমাদের খারাপ দিক গুলো তুলে ধরলেন । মানবতার স্বার্থে এভাবে গঠন মূলক আলোচনা চলতে পারে ।
কিন্তু আপনিতো আলোচনার সম্ভাবনাই নাকচ করে দিচ্ছেন, আপনার পুরো পোষ্টটা নির্দেশ করছে এর পিছনে সমই দেয়াটা সময় নষ্ট বা বোকামি ছাড়া কিছু না ।
ঐশী বাবা মাকে তার বন্ধুদের সহায়তায় খুন করেছে। তাই বলে কি আপনি বন্ধুত্ব করাকে নিষিদ্ধ করবেন অথবা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবেন?
না, বন্ধুত্ব করতে বা ইংলিশ মিডিয়াম বন্ধ করতে বলবো না । এখানেও আমি একি কথা বলবো, আলোচনার মাধ্যমে বের করতে হবে কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় । যুক্তি পালটা যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে ।
কিন্তু আপনি আলোচনা, পর্যালোচনাকে সময় নষ্ট হিসবে উল্লেখ করেছেন ।
অবশ্য যুক্তি উপস্থাপনের পরিবেশ কতটুকু আছে বলুন । আমাদের দেশে ধার্মিকদের মত নিধার্মিকরা যদি মাইকিং করে সভা সেমিনার করে ধর্মের খারাপ দিক গুলো তুলে ধরে তো কি ভয়াবহ অবশ্তা হবে ভেবে দেখুন । অথচ ধার্মিকরা সারা বছর মাইকিং করে বেড়াই, সভা সেমিনার করে বেড়াই । আর আমরা সামান্য একটু অন লাইনে লেখা লিখি করলেও আপনার মত মডারেট ধার্মিক রা তেড়ে আসে । আর ধার্মিকরা তো কল্লা কাটার সুযোগ খুজতে থাকে ।
পথভ্রষ্ট ধার্মিক তিনি যিনি এটার ভুল ব্যাখ্যা করে ব্যবহার করেন।
কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক এটাতে আপনি অনেক ধরনের ব্যাখ্যা পাবেন । আমি আমার নিষ্ঠার সাথে পালনকৃত সাবেক ধর্মের মান্য গ্রন্থটাকে বেশ ভালো অধ্যায়ন করেছি । তাতে বুঝেছি যে আমার দেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা এবং তার ছাত্র সংগঠনরা গ্রন্থ অনুযায়ী সম্পূর্ণ সঠিক পথে আছে । কিন্তু কথা হচ্ছে এই গ্রন্থটা কতটুকু সঠিক । আমি এই গ্রন্থটাকে এখন মানব ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং মানবতার সবচেয়ে ক্ষতিকর গ্রন্থ হিসেবে বুঝি।
বিশ্বে কোন একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্ম মানব কল্যানের বিরোধীতা করেছে এটা বলতে পারবেন?
অবশ্যই পারবো ক্যান পারবো না! এবং এটাও বলতে পারি যে আমার পরিবারের লোকজন যে ধর্মে বিশ্বাসী মানব কল্যানের সবচেয়ে বড় শত্রু এই ধর্ম । মানবতার চরম অপমান এই ধর্ম ।
যদি থেকে থাকে তাহলে আমিও জানতে চাই সেটা কোথায়।
এইবার তো আমার পরিবারের ধর্ম বিশ্বাসটা নিয়ে একেবারে জেনারালাইজ করে আলোচনা করা দরকার । গ্রন্থের মন্তব্য উল্লেখ করা দরকার এবং তা কত তম প্যারার কত তম মন্তব্য তা উল্লেখ করা দরকার । এত সাহস যে আমার নাই ভাই ।
বছর তিনেক আগে যখন সদ্য ধর্ম ত্যাগ করেছি, একদিন কয়েক বন্ধুর সাথে আলোচনা হচ্ছিলো । বন্ধুদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ধার্মিক হিসেবে পরিচিত ছিলাম । আমি আগে সব সময় তাদের ধার্মিক হবার উপদেশ দিয়ে বেরিয়েছি । সেদিন প্রথম তারা জানলো যে আমি ধর্ম ত্যাগ করেছি । আলোচনার এক পর্যায়ে এক বন্ধু বলে উঠলো একে বাজারে নিয়ে গিয়ে বেঁধে জনসম্মুখে পেটান দরকার ।
বুঝুন অবস্থা! যারা আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং জানতো যে আমি ধার্মিক ব্যাক্তি ছিলাম তারাই যদি এমন আচরন করে তাহলে অপরিচিতদের কাছে সাহস পাই কি করে ভাই।
আর শুধু মাত্র অন লাইনে লেখার কারনেই তো সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক খুন করে চলেছে ধার্মিকরা ।
আমি ভিতু মানুষ, সাহসী হবার চেস্টাই আছি । আপাতত আর আলোচনা আগাতে পারলাম না ।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ নীল জানালা :
"দুই গ্রুপরেই বাইন্দা পিটানি দরকার।তোরা তোদের বিশ্বাস অবিশ্বাস নিয়া থাকনা পৈরা! কি কারনে জ্বালাইতে আহোস?? হালা বলদের গুস্ঠি...... "
আপনি বিশ্বাস-আবিশ্বাস কোনটাই করেননা তাহলে আছেন কোন গ্রুপে।
আপনিও তো দেখি গালি দেন "হালা বলদের গুস্ঠি...... " বলে।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ পোস্ট ভাই ! একেবারে জায়গামত হাত দিয়েছেন !
পাঞ্চ লাইনটা দারুণ হয়েছে, "বরং বলছি নাস্তিকতা যেন আবার ধর্মপরায়ন হয়ে না যায়।"
তবে বাস্তবিক কথা হল, এদের এসব কাজ থামবে না, কারণ আমার ধারণা এ করেই এটা দুটো করে খায়, রুটি রুজির প্রশ্ন ভাই...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
ইমরান হক সজীব বলেছেন: অদ্ভুত আপনার চিন্তা আর যুক্তি! একদল মানুষ শাঁকচুন্নি, মামদোভূত ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে । সেই বিশ্বাস সমাজের উপর, রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করে । আন্দলনের স্বার্থে নির্দই রূপে মানুষ খুন করতেও তাদের বাধে না । এমনকি নিজের দেহ ছিন্নভিন্ন করে আত্মঘাতি হতেও তাদের বাধে না । এই মানুষগুলোকে জ্ঞ্যানের পথ দেখাতে পারলে হইত তারা বুঝতো, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা ত্যাগ করে তারা হইত বিপরীত চিন্তা চেতনার মানুষকেও ভালবাসতে পারতো, কুসংস্কার ত্যাগ করে সুশিক্ষিত মানুষ হতে পারতো । আর আপনি বলছেন তারা ভূতে বিশ্বাস করে তাতে অন্যদের কি! তারা ভূতে বিশ্বাস করতে থাকুক, মানুষকে খুন করতে থাকুক, আত্মঘাতি হামলা করতে থাকুক, সমাজ রাস্ট্রের উপর বর্বর,নির্দয়,নিষ্ঠুর, অমানবিক সব প্রথা চালু করতে থাকুক তাতে অন্যদের কি যাই আসে!
আমি আমার পরিবার, আত্মীয়, পরিচিতদের বলে থাকি তোমাদের মান্য গ্রন্থ তো ঈশ্বরকে একেবারে শিশুতোষ জ্ঞ্যান বুদ্ধির একজন হিসেবে উপস্থাপন করে । ঈশ্বর কি এতই নির্বোধ, ঈশ্বর বলে যদি কেও থেকে থাকেন তবে আমি তোমাদের সবার আগে বর্ণীত সেই স্বর্গে পৌছাবো । ঈশ্বর থাকলে এত বেকুব আর নির্বোধ হবেন না যে আমার মত আপাদ মস্তক একজন ভালো মানুষকে, যার চিন্তা চেতনাই সর্বদা কি করে মানুষের কল্যান হয়, মানবতার উপকার হয় তা বিরাজ করে তাকে বাদ দিয়ে তোমার মত নির্বোধ, কুসংস্কারে বিশ্বাসী কে স্বর্গে নিবে ।
আমার যত সগ্রাম আমি বারো বছরের অধিক সময় ধরে যে বিশ্বাস যে প্রথা নিষ্ঠার সাথে লালন পালন করতাম, আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন যে বিশ্বাসে বিশ্বাসী, আমার দেশের অধিকাংশ মানুষ যে বিশ্বাসে বিশ্বাসী সেই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ।
আফ্রিকার গহীন জঙ্গলে অবস্থিত কোন কুসংস্কার এখানে টেনে এনে তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার এবং তা প্রতিরোধ করার উপাই বের করা যেমন হাস্যকর দেখাই তেমনি অন্য কোন কুসংস্কার নিয়ে আমাদের ভাবার আপাতত কোন প্রয়োজন নেই ।