![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি
মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। ভালবাসে অনাগত কোন সুখের ভবিষ্যৎকে ভেবে আনন্দ পেতে। ভালবাসে স্বপ্নের ডানায় ভর করে কিছু মুহূর্তকে নিজের মত করে সাজাতে। এর মধ্যে কিছু স্বপ্ন থাকে বাস্তব আবার কিছু অবাস্তব। কিছু স্বপ্ন সম্ভব আবার কিছু অসম্ভব। তবে স্বপ্ন যেমনই হোক, এই স্বপ্নই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আশা জাগায় স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করার, আরো নতুন স্বপ্ন দেখার।
স্বপ্ন দুই রকমের হয়। একরকম যা মানুষ ঘুমিয়ে দেখে আর একটি যা মানুষ জেগে দেখে। ঘুমন্ত স্বপ্ন যেমন মানুষের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনের বাইরে ঠিক তার বিপরীতে জাগ্রত স্বপ্ন মানুষের সম্পূর্ণ অধীন। নিজের বানানো স্বপ্নে মানুষ যা খুশি করতে পারে যা ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নে হয়তো পারে না। তাই যে স্বপ্ন মানুষ নিজে নিজে দেখে তাকেই বলে নিজের স্বপ্ন।
স্বপ্নের গল্প পুরোটাই কাল্পনিক। ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নিয়ে মানুষ কখনো স্বপ্ন দেখেনা। মানুষ স্বপ্ন দেখে সেই বিষয়গুলোতে যা ঘটতে পারতো বা হয়তো ঘটবে অথবা কোনদিনই ঘটবেনা। সেদিক থেকে স্বপ্নকে বলা যায় একটি মিথ্যা গল্প। কিন্তু স্বপ্নের গায়ে মিথ্যার অপবাদ দেয়াটাকি ন্যায্য। স্বপ্নতো কারো কোন ক্ষতি করছেনা। বরং স্বপ্নদেখা মানুষটিকে দিচ্ছে সাহস, কিছু আনন্দ আর বেচে থাকার প্রেরনা। তবে কেন নয় স্বপ্ন দেখা?
ভবিষ্যৎ ভাবনা বা অ্যাম্বিশন নিয়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে। এই স্বপ্ন মানুষকে পথ দেখায় তার করনীয়র দিকে। স্বপ্নের রাস্তা ধরে হাটতে হাটতেই মানুষ একদিন ছুয়ে ফেলে তার স্বপ্ন। আর যে স্বপ্ন দেখতে জানে না, সে স্বপ্নের রাস্তাও চেনে না। ফলত পরিনতি সহজেই অনুমেয়।
মানুষ সম্পূর্ণ অসম্ভব এবং অবাস্তব জেনেও কিছু স্বপ্ন দেখে। এই কল্পনাপ্রসূত স্বপ্নগুলো মানুষ দেখে নিজের প্রয়োজনেই। নিজেকে ভাল রাখতেই। শুধুমাত্র এতটুকু বিশ্বাস করতে “ভাল আছি”। কিছু অপ্রাপ্য আনন্দকে নিজের করে পেতে।
যেমন ধরা যাক, একজন মানুষের পা নেই। সেই মানুষটি খুব ভাল করেই জানে তার পা সে আর কখনোই ফিরে পাবেনা। তারপরেও সে মানুষটা আপনমনে নিজের দৌড়ঝাপের কথা ভেবে আনন্দ পায়। আবার যদি ধরি, একজন অন্ধ, যার চোখের আলো নিভে গেছে চিরদিনের জন্যে। এ মানুষটির অন্ধত্ব তাকে রঙিন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনা। যদিও সে জানে তা অবাস্তব।
আবার মানুষের পাখা না থাকলেও মানুষ স্বপ্ন দেখে আকাশে উড়ার। অথবা পানির অতলে কোন জলজ প্রাণির মত সাঁতার কাটার। এর সবই অবাস্তব যা মানুষ জানে। তবুও সে স্বপ্ন দেখে অবাস্তবের।
এসকল আকাশকুসুম ভাবনায় মানুষের উদ্দেশ্য একটাই। আর তা হল ভাল থাকা। খুব ভারাক্রান্ত অবস্থার মধ্যে থেকেও নিজের মুখে একফালি হাসি তুলে রাখা। ভাবনার দোহাই দিয়ে মনকে বোকা বানিয়ে আরো একটু জীবন পাওয়া।
সবশেষে বলা যায়, মানুষের জীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকে তার স্বপ্ন। স্বপ্নই ঠিক করে কি হবে মানুষের ভবিষ্যৎ। স্বপ্ন থেকে জন্ম নেয় আশা, সাহস, প্রেরনা। স্বপ্ন স্বপ্নের জায়গায় থেকেই দিতে পারে হাসি, খুশি করতে পারে মনকে। আর স্বপ্নের রাজ্যে প্রতিটি মানুষের একক আধিপত্ত বিরাজ করে। প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে তার ইচ্ছেমত। সেখানে কোন সীমাবদ্ধতা নেই, নেই কোন বাধা। সেখানে কেউ কাউকে আটকায় না। তাই স্বপ্ন হয় সবসময়ই নিজের মত। স্বাধীন।
©somewhere in net ltd.