![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি
সম্পর্কের বিষয়ে অনেককেই বলতে শুনি, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হেন কর-তেন কর, সেন্সেটিভ বিষয়গুলো গোপন করতে ছোটখাট মিথ্যা বল, মেট’কে খুশি রাখতে নিজের এই অভ্যাস পরিবর্তন কর, এরকম অভিনয় কর, চলাফেরা এরকম কর, মেট’এর যে বিষয়গুলো ভাল লাগে সেগুলো তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও বারবার কর, তোমার বিরুদ্ধে মেটের কোন অভিযোগ সত্য না হলেও সম্পর্কের স্বার্থে তা স্বীকার কর ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু সম্পর্ক কি আসলেই এত সূত্র মেনে হয়, নাকি আদোও সূত্র মেনে টিকিয়ে রাখা যায়। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যার যার মত করে অনন্য। তার সম্পর্কও হয় তেমনি আরেকজন অনন্য মানুষের সাথে, গ্রিক মিথ অনুযায়ী যাদের বলা হয় ‘সোলমেট’।
অর্থাৎ প্রতিটি সোলমেটের মধ্যকার সম্পর্কও ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সাধারন সূত্র থাকাটা যৌক্তিক হওয়ার কথা না। তবে হ্যা, খুব সাধারন কিছু বিষয় আছে যেগুলো আসলে সম্পর্ক রক্ষার্থে প্রয়োজন সেগুলো মানুষের মৌলিক গুণাবলী। এগুলো সম্পর্ক প্রসঙ্গের বাইরেও প্রয়োজন। যেমন ভদ্রতা।
সম্পর্কের স্বার্থে যদি নিজের কোন বৈশিষ্ট বা অভ্যাসের পরিবর্তন করতেই হয়, তবে তার অর্থ নিজের স্বকীয়তাকে নষ্ট করা তথা অনন্যতাকে ধ্বংস করা। এটা একরকম নিজের সাথে নিজের অভিনয় করার মত। আমি যেমন না তেমন দেখানো বা হতে চাওয়াটা একরকম মিথ্যাই।
মানুষ সম্পর্ক তৈরি করে নিজের স্বাভাবিক জীবনকে সুন্দর করার জন্যে। কিন্তু সেই সম্পর্কই যদি তার জীবনের স্বাভাবিক বহতাকে নষ্ট করে তবে সম্পর্কের স্বার্থকতা কোথায়? সম্পর্ক পূর্ণ হবে তখনই যখন দুটি আত্মা নিজেদের বৈশিষ্ট বজায় রেখে পাশাপাশি থাকবে। যখন একজন মানুষ তার চারপাশে নিজের মত একটা পরিবেশ পাবে তখনই আসবে মানসিক তৃ্প্তি।
মনে রাখা ভাল, টবের মাটি যদি অসুস্থ হয় বা পরিবেশ যদি ফুলের নিজস্ব না হয় তবে ফুল যত দামীই হোক না কেন, তার শোভা হবে ক্ষণস্থায়ী।
সম্পর্কের প্রকৃতি যদি মানুষের জীবনের যাপনের স্বাভাবিক নিয়মের সাথে না মিলে তবে সে সম্পর্ক কখনোই ধরে রাখা যাবে না। অন্যদিকে যে সম্পর্ক দুজনের মাঝে ভারসাম্য হয়ে মিলে যাবে সে সম্পর্ক ভাঙবে না। কখনোবা যদিও তাতে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ই তবে তা হবে সাময়িক। প্রকৃতি নিজেই তা পূনঃনির্মাণের করবে।
তাই সম্পর্ক হোক স্বকীয়তাকে বজায় রেখে। সেক্ষেত্রে কোন্ সম্পর্ক কার জন্যে উপযুক্ত তা সম্পর্ক নিজেই খুঁজে বের করবে।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি তা হচ্ছে পারস্পরিক সম্মান। একজন আরেকজনের প্রতি যথাযথ সম্মানবোধ না থাকলে সে সম্পর্ক বালির বাধ। যে সম্পর্ক কোন একপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা অপরপক্ষের একক সেক্রিফাইসের উপর প্রতিষ্ঠিত সেটি সম্পর্ক না, শুধুই যোগাযোগ। এছাড়া পরস্পরকে বুঝতে চাওয়া বা বুঝতে পারাটাও উন্নত সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এগুলো না থাকলে সম্পর্কে শুরুতে বসন্তের ফুল ফুটলেও শীতকালে ঠিকই ফাটল দেখা দিবে।
সম্পর্কের আরেকটি মূল ভিত্তি হচ্ছে সততা। সততা না থাকলে তাকে সম্পর্ক না বলে ব্যবসা বলাই ভাল। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা অক্ষত রাখতে যদি মিথ্যা (ছোট-বড়) বলতেই হয় তবে সে সম্পর্কে না জড়ানোই ভাল। সম্পর্কে জড়ানোর অর্থ কাছাকাছি চলে এসে ভালভাবে জানা। সেখানে মিথ্যা ঢুকানো মানে ফাঁক রেখে দেয়া যা কোন না কোন সময় সম্পর্ক দূর্বলীকরনের পক্ষেই কাজ করবে।
সর্বোপরি স্বকীয়তা, সততা, পারস্পরিক সম্মানবোধ, বোঝাপড়া ও ছাড়ের মানসিকতার সম্পর্কের ভিত্তির উপর চালতা ফুলের মত যে নতুন অনুভূতি জন্মলাভ করে তার নামই ‘ভালবাসা’। এ ভালবাসা ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী নয়, চিরস্থায়ী।
যারা ভালবাসাকে জানেন, সম্মন করেন এবং ভালবাসার মত করে ভালবাসতে পারেন তাদেরকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২
শাহীদুল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার তো মনে হয় ডুমুরের ফুল ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৫
শাহীদুল বলেছেন: অনেক ক্ষ্রেত সেটাই সত্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
আমান৮২ বলেছেন: ভাল লাগল