নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি

যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি

শাহীদুল

যা শিখেছি, সেখান থেকেই কিছু বলার ও করার চেষ্টা করি

শাহীদুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্ত..........

১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

মধ্যবিত্ত শ্রেনী কখনো পৃথিবীর নিয়ম বা সাধারন ভবিষ্যতের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারেনা। তারা হচ্ছে মালগাড়ীর মত। নির্ধারন করে দেয়া পথে নির্দিষ্ট বিরক্তিকর গতিতে আজীবন চলতে থাকবে। যেদিন চলা শেষ হয়ে যাবে সেদিন থেমে যাবে। তার সারাজীবনের চলার পথের আশেপাশে যারা ছিল তারা কেউ তাকে মনে রাখবেনা। এমনকি এতদিন সে যার মাল টেনেছে সেও মনে রাখবে না। সর্বোচ্চ কিছু লৌকিক সহানুভূতি, বেচারা অনেকদিন সার্ভিস দিল।

একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, যারা নিয়ম ভেঙেছে, নিয়ম গড়েছে বা পরিবর্তন এনেছে তাদের মধ্যে হাতেগোনা দুই একজনকে বাদ দিলে তারা সবাইই মধ্যবিত্ত ব্যতিত ভিন্ন কোন বিত্তের অন্তর্ভূক্ত।

মধ্যবিত্ত হয় দুই রকমের। এক. আর্থিকভাবে মধ্যবিত্ত, দুই. মানসিকভাবে মধ্যবিত্ত। শুধুমাত্র আর্থিকভাবে মধ্যবিত্ত যারা তারা কেউ কেউ নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। যদি সে তা নাও পারে তবে অন্তত নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ন্যায় আচরন করে। মধ্যবিত্তিক প্রেক্ষাপট থেকে অন্তত কারো আগে পাছে লাগার ঝোক কম থাকে। তবে যারা মানসিকভাবে মধ্যবিত্ত তারা হচ্ছে মধ্যবিত্তের মধ্যে সবচাইতে ভয়ংকর অংশ। এরা কোন অবস্থাতেই পরির্তনে বিশ্বাস করেনা। এদের যদি বলা হয় ২+২= ৪ তাহলে সেটাকেই তারা ধ্রুব ভাববে। কারো বাপের সাধ্য নাই তাদের বুঝায় (১+৩) এও ৪ হয়। আর (০+৪)-এর কথাতো বলাই বাহুল্য। এই অংশটা নিজেকে যেমন পাল্টাবে না তেমনি অন্যকেউ পাল্টাতে দেবে না। কেউ যদি নতুন কিছু করতে যায় তবে জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে হলেও সেটাকে ফেরাতে চেষ্টা করবে। অথচ এই শক্তি খরচ করে সহযোগিতা করলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু না, ঐযে বললাম ২+২=৪।

মধ্যবিত্তের পরিবর্তনে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে সাহসের অভাব এবং সামাজিকতার ভয়। ধরলাম, একজন মধ্যবিত্ত একটি তিনতলা বিল্ডিয়ের ২য় তলায় আছেন। তিনি এই বিল্ডিং এ সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে বড়জোর ৩য় তলায় বা তার ছাদে যেতে পারবেন। কিন্তু এই বিল্ডিয়ের ঠিক পাশেই একটা দশ তলা বিল্ডিং আছে। সেই বিল্ডিয়ে চেষ্টা করলে তিনি হয়তো ১০ তলাতেই যেতে পারবেন। ১০ তলা নিশ্চই ৩ তলার চাইতে উচু( সাধারন হিসেবে)। কিন্তু তিনি তার করবেন না। কারন ঐ ১০তলা বিল্ডিং-এ যেতে হলে তাকে আগে ৩ তলা বিল্ডিং এর নিচতলায় যেতে হবে, তারপর পাশের বিল্ডিং-এর নিচতলায় যেতে হবে, এরপর ২য় তলা, তারপর উপরের দিকে।
এখানে এই মধ্যবিত্তের যদি ১০ তলায় যাবার ইচ্ছা থেকেও থাকে তবুও তিনি সে চেষ্টা করবেন না। কারন, ঐযে তাকে একবার নিচতলায় নামতে হবে। সেখান থেকে তিনি আদোও কখনো ২য় তলায়ই উঠেতে পারবেন কিনা সে আত্মবিশ্বাস তার নেই। দ্বিতীয় যে সমস্যা, কিছুটা সময় নিচতলায় থাকতে হলে সমাজ তাকে কথা শোনাতে ছাড়বেনা। অথচ, সে যদি রাস্তায় পড়ে থাকে তবে এই সমাজ তার হাত ধরবে না। তাহলে সমাজের পরোয়া করা কি জন্যে?

যেকোন প্রকার অগ্রসর যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মধ্যবিত্ত মানসিকতার পরিবর্তন আনা। যতদিন এই গন্ডির মধ্যে মানুষ বন্দি থাকবে ততদিন কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়। মধ্যবিত্তের একটা বৈশিষ্ট্য খুব ভাল। তারা খুব ভাল সপ্নে দেখতে পারে। যদিও অধিকাংশ সপ্নই ১০ তলা বিল্ডিং এর উপর দিয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্নটা একটু ছোট করে সাহসটা একটু বড় করলেই হয়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।

এ অচলায়তন ভাংবার নয়! বড় বেশি রকম একগুয়ে, বোকা, ভীরু, আবার সনাতন বিধানের নামে খড়গ হস্ত!


+++

১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০০

শাহীদুল বলেছেন: আর বলবেন না ভাই। এক গুহাভ্যান্তরী সীমাবদ্ধ জীবন থেকে বেচে উঠার আর্তচিৎকারে উৎসারিত কথামালা।

২| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:১৮

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: তবে সমাজের মর‍্যাল ভ্যালুজ আইন এর প্রতি সন্মান লেখাপড়া এসব কিন্তু মধ্যবিত্ত ই ধরে রেখেছে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও। আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এদের মধ্যে কম। আপনার লেখাটা ভালো লাগল।

১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪১

শাহীদুল বলেছেন: আপনার বক্তব্যকেও আমি সমর্থন করি। মধ্যবিত্তরাই সমাজের মূল স্ট্রাকচার। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.