![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গদেশের জীবনযাত্রার মান ইওরোপীয় স্ট্যান্ডারডে পৌছতে চললেও পুলিশ পুলিশই রইয়া গেল মানুষ হইলো না
হাউস অব পার্লামেন্ট, লন্ডন থেকে : একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর জামায়াত-শিবিরের আক্রমণের বিষয়টি উঠছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করতে এসে প্রবীণ ব্রিটিশ রাজনীতিক অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের ভাইস চেয়ার লর্ড এভিবারি বিক্ষোভকারীদের এই বিষয়টি অবহিত করেন।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পরযন্ত ওই বিক্ষোভে প্রভাবশালী ব্রিটিশ রাজনীতিক, লেবার দলীয় এমপি জেরিমি করভিন এবং সাবেক মন্ত্রী ও লেবার দলীয় এমপি জিম ফিটজ পেট্রিকও সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভে এসে সংহতি প্রকাশ করেন।
এ সময় লর্ড এভিবারী বাংলানিউজকে জানান, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান কি, ব্রিটিশ ফরেন অফিসের কাছেও পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে তা জানতে চাওয়া হবে বলে জানান প্রবীন এই ব্রিটিশ রাজনীতিক।
সাবেক মন্ত্রী ও লেবার দলীয় এমপি জিম ফিটজ পেট্রিক ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু কমিউনিটির উপর জামাত শিবিরের হামলা ও উপাসনালয় ধ্বংসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের বলেন, “আপনাদের এই দুঃসময়ে ব্রিটেনের জনগন আপনাদের পাশে আছে।যেকোনো বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে।তার মানে এই নয় যে, কোনো গোষ্ঠী নিজেদের ক্ষোভ-দ্বিমত প্রকাশ করতে গিয়ে ধ্বংসাত্মক কারযকলাপে লিপ্ত হবেন।”
বাঙালি অধ্যুষিত পপলার ও ক্যানিংটাউনের লেবার দলীয় এই এমপি অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, “সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এমন মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সভ্যতার জন্যে হুমকি, এদের প্রতিরোধ করা সভ্যতার দাবি।”
জিম ফিটজ পেট্রিক বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অবশ্যই তুলবো, ফরেন অফিসের কাছে জানতে চাইব এ বিষয়ে কি ভাবছে ব্রিটিশ সরকার।”
প্রভাবশালী ব্রিটিশ রাজনীতিক জেরিমি করভিন এমপি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ আপনাদের প্রতি সংহতি জানাতে এখানে এসেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোনো একটি গোষ্ঠীকে টার্গেট করে হামলা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, “আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে গিয়ে কোন একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সভ্য সমাজের অংশ নয়।”
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইবোনাল গঠনে বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করে জেরিমি করভিন এমপি বলেন, “সাধারণ আদালতে ফৌজদারি আইনের ফাঁক-ফোকড়ে এইসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা বাংলাদেশে বেড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি রাখে বলে আমি মনে করি।”
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করে জেরিমি বলেন, “এইসব অপরাধ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সব সহযোগিতা দানে ব্রিটেনের জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।”
ব্রিটিশ এমপিদের সংহতি প্রকাশের আগে সকাল ১১ টা থেকেই বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন পার্লামেন্টের সামনে। এসম তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান ও দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল।
মুহুর্মুহু স্লোগানে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়সহ জান-মালের উপর জামাত শিবিরের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তারা অবিলম্বে জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা প্রশান্ত বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, “বাংলাদেশে কোনো কিছু হলেই টার্গেট করা হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।”
তিনি সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচারে বিশেষ ট্রাইবোনাল গঠনের আহবান জানিয়ে বলেন, “একটি স্থায়ী ট্রাইবোনাল গঠনের মাধ্যমেই এইসব আক্রমণের বিচার করতে হবে। কারণ সাধারণ ফৌজদারি আইনে এইসব ঘটনায় ভয়ে কেউ সাক্ষি দিতে আসে না। ফলে অপরাধীরা খুব সহজেই পার পেয়ে যায়। আর অপরাধ করে পার পেয়ে যায় বলেই এরা বার বার একই অপরাধ করে।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ ছাড়াও ফরেন অফিস ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের নেতারা। বৈঠকগুলোতে সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের চিত্র তুলে ধরা হয়।
ব্রিটিশ ফরেন অফিসের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নেতাদের আশ্বস্ত করে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
Click This Link
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
নদীর তীরে বলেছেন: সব কাফিরের ধর্ম এক । এদের কাজ ই হল কিভাবে মুসলমান দের ক্ষতি করা যায় । হেয় করা যায় । গুজরাট, মিয়ানমার, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন,থাইল্যান্ড , এমন কি বেনিয়া ব্রিটিশ এর দেশেও মুসলমান নির্যাতিত । তখন এদের আলোচনা যায় কই ?
বার্মায় হাজার হাজার মানুষ মারছে । কই এদের আওয়াজ ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
২০১৩ বলেছেন: বালের ছাও রা সব কেশ ছিড়ে ফেলে আটি কর,
গুজরাট, মিয়ানমার, কাশ্মীর, ফিলিস্তিনে কি ছিড় তোমরা।
এই খানে আইতেছ ুদাইতে, শালা ইংরাজ