নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতৃপ্ত স্বদেশ! (কিছু সত্য ঘটনা। কিছু বাস্তবতা।)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

(১) আমি একজন কসাইকে চিনতাম। ধরা যাক তার নাম সেলিম। গরু ছাগল জবাই করা এবং তা থেকে হাড় মাংস আলাদা করাই ছিল তার কাজ। প্রচলিত ভাষায় যাকে আমরা বলি "গরু বানানো।" সেই গরু বানানোর কাজটাই ছিল সেলিমের খুব প্রিয়। মাত্র এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কোন সাহায্যকারী ছাড়াই একটা মিডিয়াম সাইজ গরুকে বানিয়ে ফেলতে পারতো সে। তার পারিশ্রমিক নির্ভর করত মাংসের ওজনের উপর। প্রতি মণ মাংসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান দাম নির্ধারন করা থাকত। যত বেশী মাংস ততো পারিশ্রমিক। সেলিমের বাবা এবং বড় ভাইও কসাই। তাদের পরিবার কসাই পরিবার। সেলিম আমাদের চেয়ে সামান্য বড় হলেও মাঝে মাঝে আমাদের সাথে আড্ডা দিত। যখন কাজ না থাকত তখন তাকে খুব অস্থির লাগত। কথা প্রসঙ্গে তাকে অনেক সময় প্রশ্ন করতাম- দুনিয়ায় এত কাজ থাকতে কেন সে মাংস কাটাকাটির কাজ করছে। সে হাসতে হাসতে বলত "মাংস কাটা কাটির কাজ হল দুনিয়ার সবচেয়ে আনন্দময় কাজ। একটা জিবন্ত প্রানিকে জবাই করে টুকরো টুকরো করার মধ্যে যে কত আরাম তা তুমরা বুঝবানা।"

মাংস কাটার মধ্যে কি ধরনের আরাম তা আসলেই আমি বুঝতে পারিনি। কৌতোহল নিয়ে সেলিমের মুখের দিকে তাকাতাম। তার মুখের হাসিটাকে অন্যরকম মনে হত। মনে হত কোথাও যেন কোন গণ্ডোগোল আছে। মানুষের হাসিতো এমন হওয়ার কথা না। হাসির মাঝে একটা ছন্দ থাকে। সুর থাকে। তার হাসির মাঝে তেমন কিছু দেখতে পেতাম না।

আমার তাকিয়ে থাকা দেখে সেলিম বলতো। ' যখন কোন পশু জবাই করি তখন মাথায় এক ধরনের নেশা চেপে যায় বুঝলি। রক্তের নেশা। ধ্বংসের নেশা। পশুর হাড় থেকে মাংসগুলি আলাদা করে ছিন্ন বিছিন্ন করার আগ পর্যন্ত সেই নেশার সুখ আমি অনুভব করি!'

সেলিম হাসতে হাসতে আমার কাধে হাত রাখত। আমি চমকে উঠতাম।

'আমরা গরুর পিঠে হাত রেখে বলে দিতে পারি কয় কেজি মাংস হবে।' বলেই সেলিম আমার পিঠে হাত বুলাত। আমার সমস্ত শরির কেপে উঠত তখন। প্রচণ্ড ভয় পেতাম আমি। মনে হত আমার শরিরের সমস্ত রক্ত শুকিয়ে গেছে।



একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে শুনি মানুষ খুনের অপরাধে সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন ঠিকাদারের বস্তাবন্দী টুকরো টুকরো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর খুনি হিসাবে সেলিম ছিল সন্দেহের তালিকায়। প্রায় একবছর পর একজন এম পি সাহেবের তদবিরে সেলিম জামিনে বের হয়ে আসে।



(২) গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের কিশোরী মেয়ে। ধরি তার নাম আয়সা। আয়সার বাবা গরিব কৃষক। পরিবারের সকলের ভাত কাপড় দেওয়ার মত সামর্থ তার বাবার নাই। মেয়ে বড় হলে বিয়ে দিতে হবে। বিয়ে দিতেও টাকা পয়সা খরচ হয়। আয়সার বাপের তেমন কোন জমানো টাকা পয়সা নাই যে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়ে বিয়ে দিবে। অনেক চিন্তা ভাবনার পর আয়সার বাবা একটা সিদ্ধান্ত নিল। মেয়েকে শহরে বড়লোকদের বাসায় দিয়ে দিবে। মাসে মাসে ওরা কিছু টাকা দেবে। মেয়ে বিয়ের উপযোক্ত হলে মেয়ের বিয়ের খরচ দিবে। হাপ ছেড়ে বাচল আয়সার বাবা। মেয়েকে শহরে পাঠিয়ে দিল বাসা বাড়ির কাজ করার জন্য। সেও তার বাবার অবস্থা জানে। তাই ইচ্ছা না থাকা সত্বেও শহরের দিকে পা বাড়াল সদ্য কিশোরী আয়সা।

শহরে এসে আয়সা প্রথমবারের মত বুঝতে পারল মানুষের আসল রুপ। বাড়ির কর্তার নজর পড়ল আয়সার উপর। (চলবে)



(সরি! এখন লিখতে ইচ্ছা করছে না। হয়তো অন্য কোন সময় প্রবন্ধটা শেষ করব।)







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হেডস্যার বলেছেন: /:)

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

শার্লক বলেছেন: আচ্ছা।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

দেশে ভালোবাসা নাই বলেছেন: |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.