নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঈদি'র রায়, জনগনের বিভ্রান্তি এবং নোংরা রাজনীতি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে পরিস্থিতিটা যতটা গুরুগম্ভির হওয়া উচিৎ ছিল। সেটা হয়নি। সরকার বিষয়টাকে যথেষ্ট হালকা বানিয়ে ফেলেছে। বিচারের পক্ষে বিপক্ষে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। একাধিকবার ট্রাইবুনালের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সরকারের উচ্চ মহল থেকেও বিচারের রায় সম্পর্কে অগ্রীম ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছে একাধিকবার। সব কিছু মিলেই এখানে (যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রশ্নে) একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতী সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে সরকার/আওয়ামিলীগ। জনগনের মধ্যেও সেই বিভ্রান্তিটা ছড়িয়ে পড়েছে। দু-পক্ষের কেহই জনগনের সেই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করছেনা।

অতি উৎসাহী একদল বিচার পক্রিয়ার প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা এবং নির্ভর না করেই অযৌক্তিক ভাবে দাবী করে যাচ্ছে "অমুকের ফাসি চাই। ফাসি দিতেই হবে!"

অন্য দল বলছে "মুক্তি চাই। মুক্তি দিতে হবে!"

ফাঁসি আর মুক্তি এই দুইটি শব্দের মাঝে যে 'বিচার' নামের একটা পক্রিয়া আছে তা হয়তো তারা কেহই জানেনা।



আওয়ামিলীগ সরকার কখনোই জনগনের আবেগের, চাওয়া পাওয়ার মূল্য দেয়নি। ভবিষ্যতে দেবে এমন আশাও করা যায়না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে যে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকের নীল নকশা আওয়ামিলীগ করেছে তা উপমহাদেশের নোংরা রাজনীতির সর্বোচ্চ উদাহরন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পক্রিয়াতে হাজারো বিতর্কের সৃষ্টিকারী আওয়ামিলীগ সরকার অনেক আগেই ব্যার্থ হয়ে গেছে। আর যাই হোক আওয়ামিলীগ সরকারের পক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধ এর সঠিক বিচার করা সম্ভব না।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কথিত "দেইল্লা রাজাকার"ই দেলোয়ার হোসেন সাঈদি। অন্য পক্ষ বলছে দেইল্লা রাজাকার অন্যজন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেইল্লা রাজাকার এর স্থানে দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে জড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ দুই পক্ষই স্বিকার করছে দেইল্লা রাজাকার নামে ৭১ এ বিতর্কিত কেউ একজন ছিল অথবা আছে। যদি তাই হয় তাহলে সাঈদি পক্ষ কেন দেইল্লা রাজাকার কে প্রকাশ করছেনা? সরকারই বা কেন এ ব্যাপারে নিরব?



আজ দেলোয়ার হোসেন সাঈদির রায় হবে। সবার মধ্যেই অস্থিরতা এবং ভয় কাজ করছে। কি জানি কি হয়? হয়তো ফাঁসি হবে। যদি ফাঁসির আদেশই হয় তাহলে জনগনের এক অংশ তা কখনোই মেনে নেবেনা! বিতর্কিত আদালতের রায় কখনোই সচ্ছ হতে পারেনা।

শাহজাহান আহমেদ

০২-২৭-১৩

মিশিগান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: সেটাই। এই উদ্ভট পরিস্থিতির দায় সরকার এড়াতে পারবে না।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

মামুণ বলেছেন: ল্যাঞ্জা ইজ আ ভেরি ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড । জনগনের যেই অংশ দেইল্লা রাজাকার এর রায় মানবে না তারা এই দেশের জনগন না ফাকিস্থানের

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

সোনার বাংলা বলেছেন:
ল্যাঞ্জা ইজ আ ভেরি ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড । ছাগু এবং আবাল দুইটোরই ল্যাঞ্জা রয়েছে! জনগণের যেই অংশ দেইল্লা রাজাকার এর রায় মানবে না তারা এই দেশের জনগন না ফাকিস্থানের তবে ইজ আ ভেরি ডিফিকাল্ট থিংক টু cancel তাদের সিটিজেনশিপ!

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

আদনান মাননান বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.