নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের সংগ্রামকে কি অযৌক্তিক বলা যাবে?

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

‎"অতি সন্নাসীতে গাঁজন নষ্ট। অতি পিরীতে সম্পর্ক নষ্ট।" অতি সন্নাসীতে গাঁজন, আর অতি পিরীতে সম্পর্ক নষ্ট না হলেও অতি উৎসাহে যে শাহবাগ আন্দোলনের প্রাপ্তি বিনষ্ট হচ্ছে তা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে। কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা এবং চোখ ঝলসানো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জামাই আদরে যে কথিত আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল- সাধারণ জনগনের চোখে এখন সেই আন্দোলনের পিছনের নেপথ্য উদ্দেশ্যগুলো ধরা পড়ে যাচ্ছে। জনগন বুঝতে শুরু করেছে- নিজের অজান্তে তাদেরকে দিয়ে জটিল, কুটিল এবং পূর্বপরিকল্পিত এক দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথবা হচ্ছে।



"যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী" ইস্যু নিয়ে যে আন্দোলনের শুরু সেই আন্দোলন থেকেই উসকে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের জগন্যতম হত্যাকাণ্ডের উৎসাহ। শাহবাগ থেকে যে স্লোগান উঠেছিল "একটা একটা শিবির ধর। ধইরা ধইরা জবাই কর!" এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে মানুষ জবাই করাটা যে খুব স্বাভাবিক একটা কর্ম সেটাই খুব সুক্ষ্ণ ভাবে প্রচার করা হয়েছে।

প্রচারে সফলতাও কিন্তু এসেছে সাথে সাথেই। তার পর পরই আমরা দেখেছি যে যেভাবে পারছে মানুষ ধরছে। মারছে। খুন করে ফেলছে! কোন তদন্ত ছাড়াই কেউ কেউ দৈব্যশক্তি বলে ঘোষনা দিয়ে দিচ্ছে কে খুনি! অথচ কিছুতেই এটা হওয়ার কথা ছিল না। দেশে আইন আছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। অথচ আশ্চর্য হলেও এটা সত্যি, সেই প্রকাশ্য গনহত্যার প্ররোচনাকারী শাহবাগীদের আইনের আওতায় না এনে সরকার তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে! তার মানে কী?



এক দফা দাবীতে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে নতুন নতুন আবদার যোগ হতে লাগল। হাস্যকর এবং অযৌক্তিক কর্মসূচি যোগ হতে লাগল। আরো কিছুদিন যাওয়ার পর জনগন দেখল সেখান থেকে নির্দেশ আসাও শুরু হল।

যে দেশে নির্বাচিত সরকার আছে। পার্লামেন্ট আছে। সে দেশে কেন অদৃশ্য মহল থেকে নির্দেশনা আসবে? দেশে সরকার ব্যাবস্থা সচল থাকতেও কেন ঘোষনা দেওয়া হল সরকার থেকে শাহবাগ শক্তিশালী। প্রকাশ্য ঘোষনার পরও সরকার কেন ব্যাবস্থা গ্রহন করলনা? কেন সরকার শাহবাগের সব নির্দেশ মেনে চলছে? কোন অদৃশ্য শক্তি আজ দেশের সার্বভৌম নিয়ে খেলছে?



"যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী" ইস্যু নিয়ে শুরু হওয়া শাহবাগের আন্দোলনের প্রতি আমার মতো কিছু সংখক নব্য রাজাকারের (কারো কারো মতে) সমর্থন না থাকলেও (চরম বিভ্রান্তি এবং ধোয়াশার কারনে।) অনেক সাধারণ মানুষও কিন্তু ছুটে গিয়েছিল সেই আন্দোলনে যোগ দিতে। তাদের মধ্যে কারো কারো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। কেউ কেউ এখনো ঝুলে আছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এই আশায়! সেই ঝুলে থাকা মানুষদের আশাটাকে পুজি করে কোন একটা অদৃশ্য মহল দেশটাকে সর্বনাশ করার নীলনকশা এঁকে যাচ্ছে নিপুন ভাবে। ভয়ংকর অস্থিরতার দিকে ক্রমে ক্রমে এগিয়ে চলছে দেশ।



এক পক্ষের হাতে নিজে অস্ত্র তুলে দিয়ে সরকার কি অন্য পক্ষকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য করছে না?

শাহবাগের আন্দোলনে সরকার নিঃছিদ্র নিরাপত্তা দিলেও বিএনপি'র সমাবেশে বিনা উসকানিতে বেপরোয়া ভাবে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে সরকার কি বুঝাতে চাচ্ছে? যে যুদ্ধ শুরু করেছে আওয়ামিলীগ সরকার। তা কার বিরুদ্ধে? জনগনের? যে সরকারের কাছেই জনগনের নিরাপত্তা হানী হয়, দেশের সার্বভৌম হুমকির মুখে পড়ে। সে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের সংগ্রামকে কি অযৌক্তিক বলা যাবে?



- Shahjahan Ahmed

(শাহজাহান আহমেদ)

০৩-০৭-১৩

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আওয়ামি সরকার থেকে দেশের সাধারন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে,স্তিমিত হয়ে পড়া সাহাবাগের আন্দোলন তার প্রমান। সাধারণ জনগনের চোখে এখন সেই আন্দোলনের পিছনের নেপথ্য উদ্দেশ্যগুলো ধরা পড়ে যাচ্ছে। জনগন বুঝতে শুরু করেছে- নিজের অজান্তে তাদেরকে দিয়ে জটিল, কুটিল এবং পূর্বপরিকল্পিত এক দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: কথা সত্য। কথা সত্য। কথা সত্য।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেউ কেউ দৈব্যশক্তি বলে ঘোষনা দিয়ে দিচ্ছে কে খুনি! অথচ কিছুতেই এটা হওয়ার কথা ছিল না। দেশে আইন আছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। অথচ আশ্চর্য হলেও এটা সত্যি, সেই প্রকাশ্য গনহত্যার প্ররোচনাকারী শাহবাগীদের আইনের আওতায় না এনে সরকার তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে! তার মানে কী?
:ডিজিটাল বাকশাল কায়েম করছে; মিথ্যা এবং মিডিয়া ক্যুর মাধ্যমে!


শাহবাগের আন্দোলনে সরকার নিঃছিদ্র নিরাপত্তা দিলেও বিএনপি'র সমাবেশে বিনা উসকানিতে বেপরোয়া ভাবে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে সরকার কি বুঝাতে চাচ্ছে? যে যুদ্ধ শুরু করেছে আওয়ামিলীগ সরকার। তা কার বিরুদ্ধে? জনগনের?

নয়তো আর কি??????

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

এম আর সুমন বলেছেন: হয়েছে কি ভাই, শাহবাগ আন্দোলন কিন্তু অনেক যৌক্তিক ছিল। কিন্তু ঐযে বলে না, সঙ্গ দোষে লোহাও ভাসে। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন। বিশ্বজিতের রক্তে রঞ্জিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা সেখানে সবাইকে রাজাকার বা নব্য রাজাকার বলার দায়িত্বে আছেন। সেখান থেকে যাকে তাকে হুমকী দেয় হয়।
আওয়ামী লীগের এসব চরিত্র তো আমরা আগেই জানতাম। এখন আক্ষেপ শুধু একটাই, ভবিষ্যতে সত্যিকার অর্থে যুবকরা যে একটা আন্দোলন করবে সেই পথ আর মনে হয় রইল না। তখন মানুষে ছি ছি করবে।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: ফাউ্ল পোস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.