![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বড়ছি দিয়ে মাছ ধরার একটা দোয়া আছে। ছোটবেলায় আমার এক দাদি (আব্বার ফুফু) শিখিয়েছিল। দোয়া পড়ে বড়ছির আদারে থুক দিয়ে পানিতে ফেলতে হয়।
একদিন দাদির দোয়ার জোর পরিক্ষা করার জন্য বড়ছি নিয়ে মাছ ধরতে বসলাম। দোয়া পড়ে ফু দিয়ে পানিতে বড়শি ফেলতে ফেলতেই বড়শিতে টান পড়ল আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে বড়শিতে টান দিলাম। দাদির শিখিয়ে দেওয়া দোয়ার জোরেই হোক আর অন্যকোন কারনেই হোক সেদিন আমাদের পুকুর থেকে অনেক মাছ ধরেছিলাম। দাদির শিখিয়ে দেওয়া মন্ত্র ডাইরিতে লিখে রেখেছিলাম।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, আমার সেই ডাইরিটা একদিন এক হুজুর শ্রেনীর বড়ভাই এর হাতে পড়ে যায়। ভাইজান গম্ভির হয়ে বলল "এটা কী?"
"বড় ভাই, মাছ ধরার মন্ত্র।"
"মাছ ধরতে মন্ত্রের দরকার আছে নাকি! পুকুরে জাল ফেলে দিলেইতো মাছ ধরা পড়ে।"
"এটা হল বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মন্ত্র।"
হুজুর বড়ভাই মারাত্মক বিরক্ত হল। থম-থমে গলায় বলল "মন্ত্রটা পড়তো।"
আমি ডাইরি দেখে দেখে মন্ত্র পড়লাম। এবার বড়ভাই বলল " কলেমা পড়।"
আমি কলেমা শাহাদাৎ পড়লাম। কৌতোহলি দৃষ্টিতে বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম "হঠাৎ কলেমা পড়ার দরকার কেন হল?"
"কারন, মাছ মারার মন্ত্র পড়ার কারনে তোর ঈমান নষ্ট হয়ে গেছিল। তাই কলেমা পড়িয়ে ইমানে আনলাম।"
"ওহ!"
মাছ মারার মন্ত্র পড়ার কারনে ঈমান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল কারন, সেই মন্ত্রে হিন্দুদের দেব-দেবীর নাম ছিল!
সেদিন সাথে সাথে ডাইরির পাতাটা বড়ভাই আমাকে দিয়ে ছিড়িয়ে নিল। কুঁচি-কুঁচি করে আমার সামনে ছিড়ে ফেলল।
আজ বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছি। আজ খুব মনে পড়ছে মাছ মারার মন্ত্রটার কথা।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: মন্ত্র ছাড়াই কয়েকবার মাছ ধরে দেখুন। ঝড় ছাড়াই বক মারা সম্ভব কিনা সেই বিশ্বাস আগে মনে তৈরী করতে হবে।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন:
আলবা চাউল
হিঙ্গরি পাতা
বরশী বাদে
দু'ই মাথা
বেলকার বরশিতে
যে মাছটা ধরে
যেন ঝরে ঝরি পড়ে
ফু ফু ফু
-----------
"হুল হুল জুল জুল
ওমকি বুশরাকুর"
ফু ফু ফু
----------------
পিডা লাগে মিডা
পিডা আমরা খাই,
এই পিডা যদি ভাল হয়
পবন ঠাকুরের দোহাই।
ফু ফু ফু...
---------------
আগিরা পানি, পাগিরা পানি,
আমি একটা ঝাড়া জানি।
আমি জানি না,
আমার দাদায় জানে।
তাও শালারা আমায় টানে।
ফু! ফু!! ফু!!!
----------------
আদন ঝাড়া পাদন ঝাড়া
ঝাইড়া দিলাম জম্মের ঝাড়া
আজবাজে যাবিনে ভাজাপুড়া খাবিনে
আমি যে কবিরাজ তা কারো কবিনে
ফূ ফূ..
-----------------------
প্যাট গুড় গুড় পাডুর পুডুর
সুন্ধি পাদের ঘা
ভোম পাদের গুষ্টি কিলাই
ঠুস পাদের ছা
ফূফূ..
-------------
কামারের গুলগাল
কুমারের চাক
এই আগুন দিয়া
পুরাইয়া দিলাম
কালা হইয়া থাক
ফু---ফু--- ফু--
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: মন্ত্র ছাড়াই কয়েকবার মাছ ধরে দেখুন। ঝড় ছাড়াই বক মারা সম্ভব কিনা সেই বিশ্বাস আগে মনে তৈরী করতে হবে।