![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বাংলাদেশের মানুষের রাগ-ক্ষোভ, আবেগ-ভালবাসা সব কিছুই চড়ুই পাখির মত। কোন কিছুই তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে পারেনা। সম্ভবত ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কোন সমস্যার কারনে এ উপ-মহাদেশের মানুষদের মধ্যে এই স্বভাবটা গড়ে উঠেছে। এখানে এত সমস্যা, এত ইস্যু প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় কোনটা রেখে কোনটা ধরবে তাঁরা বুঝে উঠতে পারেনা। নতুন ইস্যুর নিচে পুরনো ইস্যুগুলো চাপা পড়ে যায়।
বন্যা, খড়া, জলোচ্ছাস সহ অসংখ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখানে লেগেই থাকে। এইসব দুর্যোগ মোকাবেলা করে ভবিষ্যত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান করতেই বেশীরভাগ মানুষের সময় চলে যায়। দেশ,রাজনীতি নিয়ে ভাববার তেমন কোন সময় থাকেনা। আর যারা বিত্তশালী তাঁরা কিভাবে আরো সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে সে চিন্তায় ব্যাস্ত থাকে। ফলে কিছু সংখক অসৎ মানুষের নেতৃত্বে দেশের রাজনীতিতে একটা ধারা সৃষ্টি হয়ে গেছে। কোন না কোন ভাবে সাধারণ জনগনও সেই ধারার সাথে মিশে গেছে। নির্বাচন এলে ভোটকেন্দ্রে যায়। কাউকে না কাউকে ভোট দেয়। পার্থীদের কেউ বেশী অসৎ, কেউ কম অসৎ। কিন্তু, কিছু করার নেই গনতন্ত্র রক্ষা করার জন্য ভোটতো দিতে হবে। হটাৎ করেতো ভাল মানুষ পয়দা করা যায়না। সাধারন মানুষের মনে এই ধারনাটা ঢুকে গেছে যে, "রাজনীতিতে এমন হয়ই" এরচে ভাল কিছু তাঁরা আশাও করেনা। কখনো-কখনো প্রচলিত রাজনৈতিক নোংরামি খুবই মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। সহ্যের সীমা অতিক্রম হয়ে গেলে জনগন ফুসে উঠে। কয়েকদিন আন্দোলন চলে। সেই আন্দোলনের কোন ফল হয়না। কখনোই দেশের কর্তাব্যাক্তিরা জনগনের দাবী পুরন হতে দেয়না। পেটের টানে আন্দোলন ছেড়ে জনতা আবার ঘরে ফিরে যায়।
তবে আশার কথা হচ্ছে, এই অবস্থার পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জনগন এখন সচেতন হচ্ছে। তরুন প্রজন্ম দেশ নিয়ে ভাবছে। ঘরে বসে তাঁরা এখন বিশ্ব বিচরন করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে নিজ দেশের পার্থক্য খুঁজছে। নীতির প্রশ্নে যেখানে গড়মিল সেখানে প্রতিবাদী হয়ে উঠছে।
যাই হোক নোটটা সম্ভবত বড় হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকের পাঠকরা লম্বা নোট পড়তে পছন্দ করেনা। এবার মূল কথায় আসি। সাধারন জনগন দেশের রাজনীতির সাথে জড়িত হতে না পারার কারনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল তাদের খাদ্য এবং মৌলিক চাহিদাগুলির নিশ্চয়তার অভাব। সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার চাইতে জমির ধান গাছে পানি দেওয়াটাকে তাঁরা গুরুত্ব দেয় বেশী। ধান না হলে না খেয়ে মরতে হবে।
মরতে আমাদের হবেই। সরকারগুলোর সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে আমরা দিন-দিন মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকারের ব্যার্থতার কারনে প্রতিবেশি দেশ থেকে নদীর পানির প্রাপ্য হিস্যা বঞ্চিত হচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে মরুভুমি হওয়ার পথে। সিমান্তে শত-শত মানুষ মরছে। দেশের উপর অন্য একটি দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেশের সার্বভৌমকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে! রামপালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান হলে আমাদের পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরবে।
দেশের সচেতন জনগন এবং তরুন প্রজন্মের কাছে দেশের স্বার্থে আরো একটি প্রতিবাদ আশা করছি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বন্দ করতে হবে। ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নদীর পানির প্রাপ্য হিস্যা আদায় করতে হবে...।
(শাহজাহান আহমেদ)
©somewhere in net ltd.