![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বাঙালী (বাংলাদেশী) মূলত দুই প্রকার। এক। মুক্তি যুদ্ধের চেতনাধারী, দুই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী না! মাঝে মাঝে দু-একজন তৃতীয় পক্ষের লোকজন পাওয়া যায়। যারা বাস্তবিক। মুক্তিযুদ্ধ যাদের কাছে গর্বের ধন। অবিনিময়যোগ্য দামী অলংকার। যে অলংকার ঘরের শোকেসে সাজিয়ে রেখে ঘরের শোভা বৃদ্ধি করা যায়। পাড়া-প্রতিবেশীকে ডেকে এনে দেখিয়ে গর্ব করা যায়। আর কিছু না। প্রয়োজনে সে অলংকার বিক্রয় করে চাল,ডাল কিনতে পারেনা। সে অলংকারের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পেটের ক্ষুদা নিবারন করতে পারেনা।
যারা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক,বাহক মনে করে তাঁরা শুধুমাত্র নিজেকে ছাড়া অন্য সকলকে অস্পৃশ্য মনে করে। তাদের অহংকারের মাত্রা ছাড়িয়ে অহমিকার পর্যায়ে চলে যায়। তাঁরা মনে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামক বস্তুটি দিয়ে যে কোন অপরাধের কালিমা সহজে মুছে ফেলতে পারবে।
যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-চেতনা বলে গর্বে বুক ফুলিয়ে বাতাসে ভাসছে তাদের অধিকাংশ জানেইনা চেতনা মানে কী!
আমি দুটো পক্ষের কথা বলেছিলাম। এখন দেখা যাক দুই নম্বরে কারা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী না তাঁরা হল আমার লেখার দুই নম্বর পক্ষ। অর্থাৎ যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অচেতন। যাদের মাঝে সেই চেতনাটা কাজ করেনা। বর্তমানেও বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেকের বেশী মানুষ গ্রামে বসবাস করে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই নিজের এলাকা ছাড়া অন্য কিছু দেখার সুযোগ হয়নি। বিশেষ করে গ্রামের অশিক্ষিত মহিলারা। যারা নিজের ক্ষুদ্র একটি গণ্ডির বাহিরে কিছুই দেখেনি। তথ্য-প্রযুক্তি, সাহিত্য,ইতিহাসতো অনেক পরের ব্যাপার। খুঁজলে এমনও মানুষ পাওয়া যাবে যারা এখনো জানেইনা যে বাংলাদেশে একটি যুদ্ধ হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধ। যেটা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
সেইসব অচেতন মানুষদের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌছে দেবার তাগিদ আমাদের শাষকরা কখনোই করেনি।
একদিক থেকে ভালই হয়েছে। তাদের কাছে যেহেতু চেতনা নাই। সেই চেতনা বেচে খাওয়ার ভয়ও নাই।
(আজকে এখানেই শেষ।)
পরিশিষ্ট: ছাত্রলীগ-যুবলীগের গোলাগুলিতে একজন শিশু সহ দুই জন নিহত। এটা হল দুইদিন আগে ঘটে যাওয়া চট্টগ্রামের ঘটনা। যুগ-যুগ ধরে এরকম অসংখ ঘটনা সমস্ত বাংলাদেশে ঘটছে তথাকথিত চেতনাধারীদের দ্বারা! মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে হত্যা,গুম,ধর্ষন এবং অসংখ সন্ত্রাস করেও পার পেয়ে যাচ্ছে কিছু বিশেষ মানুষ। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যারা সেগুলোর প্রতিবাদ করে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসেবে প্রচার করা হয়।
মন্তব্য: আমার মনে হয় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যাতনা কোনটাকেই পশ্রয় দেওয়া উচিৎ হবেনা। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শত জনমের সাধনার ধন। কেউ নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দাবি করে বাড়তি সুবিধা নিবে তা হতে পারেনা। (যদিও কারো ভিতরেই সেই চেতনাটা দেখা যায়না।) মুক্তিযুদ্ধ থাকুকনা তাঁর জায়গায়। এটা নিয়ে এত টানা-টানির দরকার কী।
(শাহজাহান আহমেদ)
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
বাংলার হাসান বলেছেন: তথাকথিত চেতনাধারীদের দ্বারা! মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে হত্যা,গুম,ধর্ষন এবং অসংখ সন্ত্রাস করেও পার পেয়ে যাচ্ছে কিছু বিশেষ মানুষ।