![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
শুরু হচ্ছে মৃত্যু উৎসব! গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সাজ-সাজ রব। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রতিটি মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সেই মহেন্দ্রক্ষণের। খুব অস্থির হয়ে আছে তাঁরা। ধনী,গরিব, রাজা, প্রজা, উজির, মন্ত্রী সবাই আজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিবে। সমস্ত রাজ্যের মানুষ তৈরি। একটা বাশীর সুরের অপেক্ষা করছে। যখন বাশী বাজবে তখন এক-যোগে সবাই রাজধানীর দিকে লং-মার্চ শুরু করবে।
মহারাজার নির্দেশে রাজধানীতে একটা বিশাল গর্ত খোড়া হচ্ছে। মৃত্যু-কূপ। রাজকীয় সাজে সাজানো হচ্ছে সেই কূপ। সবার মুখেই রাজার প্রশংসা। এমন প্রজা-বান্ধব রাজা পূর্বে কেউ দেখেনি। মৃত্যুর অধিকার নিশ্চিৎ করে তিনি জাতির কাছে একটা ইতিহাস হয়ে থাকবেন।
সন্ধ্যা হয়ে এল। রাজ্যের সকল মৃত্যু-পিপাসু মানুষ কান পেতে আছে কখন বাশী বাজবে। সবার মুখে প্রশান্তির ছাপ। ঠোটের কোনায় হাসি। ছোটবেলায় মায়ের সাথে নানার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় মনে মনে যে অপ্রকাশিত আনন্দ হত, সবার মনে এখন সেই আনন্দ।
বাশী বাজল। কি তার মিষ্টি সুর! রাজ্যের জনগণ জীবনে কখনো এমন মোহনীয় বাশী শুনেনি। বহুদিন আগে হ্যমিলনের বাশীওয়ালার বাশীতে যে সুর উঠেছিল সেই সুর। সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মত ছুটে চলল বাশীর সুর লক্ষ্য করে মৃত্যু-কূপের দিকে।
একে একে গ্রাম, নগর, বন্দর সব খালি হয়ে গেল। মাটির নিচ থেকে। বাথরুমের কমোড বেয়ে-বেয়ে সকল পোকারা উঠে এল। নানান জাতের, নানান বর্ণের পোকা। মানুষের ফেলে যাওয়া সভ্যতায় তারা সংসার শুরু করল।
মানুষের মৃত্যুর অধিকার নিশ্চিৎ করে বিখ্যাত হওয়া সেই রাজা গত হয়েছে অনেকদিন হল। এখন তাঁর পরবর্তি প্রজন্ম সিংহাসনে। রাজ্যে সুখ-শান্তি বজায় আছে। অতীতের মৃত্যু উৎসবকে স্মরণ করে বছরে একদিন রাজ্যে আনন্দ উৎসব চলে। সকল পোকারা সেদিন কাজ-কর্ম বন্ধ রেখে রাজদরবারে যায়। নতুন রাজা সিংহাসনে বসে পোকাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয়। পোকার দল গভীর মনযোগে রাজার ভাষণ শুনে। আবেগে তাদের চোখ ছল-ছল হয়ে উঠে। মনে মনে রাজার জন্য তাঁরা গর্ব অনুভব করে। "কি মহান আমাদের রাজা। প্রজাদের জন্য তাঁর কত চিন্তা!
(শাহজাহান আহমেদ)
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
েভােরর স্বপ্ন বলেছেন: আমরা সবাই মৃত্যু উৎসবে যোগ দিব.... আসছে সামনে
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫১
খেয়া ঘাট বলেছেন: অনেক অর্থবহ কিছু একটা মনে হয় বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছিনা।