নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"কলমি শাকের আত্মজীবনী। ও একজন প্রাক্তন কবির পর্যালোচনা।"

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

'শাহজাহান আহমেদ, আপনার কলমি শাকের কবিতাটা শেষ করবেন না?'

আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম। কলমি শাকের কবিতা!

লোকটা বেশ দীর্ঘ চিঠি লিখেছে ইনবক্সে। তাঁর বক্তব্য যথেষ্ট গবেষণাধমর্ী। তাঁর বক্তব্যের সারকথা হল: তিনি একজন সদ্য রিটায়ার্ড করা প্রাক্তন কবি। জীবনে বহু কবিতা লিখে ফেলেছেন! এখন কবিতা না লিখে পড়েন। আর সমালোচনা করেন। (অবশ্য তা ফেসবুকে!)



তিনি আমার কলমি শাকের কবিতাটা পড়ে বিরাট আরাম পেয়েছেন। সুখপাঠ্য কবিতা। এই কবিতা সম্পর্কে মতামত দিতে গিয়ে বলেছেন: 'আসলে শাক-সবজি নিয়েও যে সুন্দর কবিতা লেখা যায় জানা ছিলনা। তবে কবিতার নামটা বদলে "কলমি শাকের আত্মজীবনী" রাখলে ভাল হয়!'



আমার কবিতা সম্পর্কে ওনার মূল্যবান বিশ্লেষণ শুনে আমি সেই কবিতাটা তিনবারের মত পড়লাম। তারপর কিছুক্ষণ ঝিম ধরে বসে-বসে ভাবলাম। ব্যাপার কি। তিনি একজন কবি তারপরেও কবিতাটা বুঝতে তাঁর সমস্যা হচ্ছে কেন?

(কবিতার লিংক ।)



যে জলে সংসার গড়ে, শিকড় ছেড়ে;

আপ্রাণ সাধনা তোমার, আঁকড়ে ধরার

সে জলের বাহু। অস্পর্শ বুকের অস্থির কম্পনে

যার সুখে দোলাও মাথা। কাঁপাও পাতা।

কলমি লতা, সে তোমার সুখ নয়। প্রেমও না।

স্রোতের সাথে বিনিময় হয়না।



যে জলে চাঁদের ছায়া, সেখানেই বসত তোমার।

সে জলই ধারণ করে আকাশের বিশালতা।

কলমি লতা, এটাই নিষ্ঠুর সত্য;

সে জলে অনাহূত তুমি। আহ্লাদের নৃত্য তোমার ;

ম্লান হয়ে গেছে আজ। বিষণ্ণ তুমি একা হয়ে গেছ।

অথচ, পাশে আছে প্রিয় জল। তোমার অদৃশ্য ছল-ছল

চোখের পানে তাকাবার তাঁর নাই অবসর!



সে জল বহুগামী। বহু ঘাটে নোঙ্গর ফেলে;

কৌশলে তীর ভাঙে। মায়ার আঁচলে জড়িয়ে

টেনে নিয়ে চলে কচুরিপানার দল। কি নিপুন ছল;

কাদা। পলি। সাথে চলে তাঁর।

কলমি লতা, সে পলিতেই গড় পুনঃসংসার!



ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত তোমার ঘুম ভাঙে।

সব জড়তা, অস্থিরতা শেষে;

সীমাহিন উল্লাসে। চোখ মেলে দেখ নিজেকে।

এক সন্ন্যাসী হাওয়া-কাফেলার দল এসে

স্পর্শ করে তোমার মাথায়। হাত বুলায়

নুয়ে পড়া বিবর্ণ পাতায়। আকাশে সূর্য হাসে।

তোমার ঘরে আসে, রৌদ্র-দূত।

হাওয়া,রৌদ্র একসাথে বলে কথা;

কণ্ঠে ধারণ করে, এক পৃথিবী নিরবতা।

ফিসফিসিয়ে বলে;

কেমন আছো, কলমি লতা!



(অসমাপ্ত!)

শাহজাহান আহমেদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.