![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
আমার এক জুনিয়র বন্ধু একসময় আমাদের বন্ধু মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছিল। অদ্ভুদ এক নেশা ছড়িয়ে দিয়েছিল সকলের মাঝে। সন্ধ্যা হলেই সকলে তাকে খোঁজার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ত। কারন, নেশার সেই মহামূল্যবান বস্তুটি তাঁর কাছে পাওয়া যেত। চাইলেই দিত। বিনিময়ে টাকা-পয়সা কিছু চাইতনা। সেই মহামূল্যবান নেশার বস্তুটি হল ঘুমের ট্যাবলেট।
তার চাচা কিংবা বাবা ডাক্তার হওয়ার সুবাদে ঔষধ কোম্পানীর ফ্রি স্যাম্পল তাদের বাসায় থাকত। সেই ফ্রি ঔষধ সে বন্ধুদের কাছে বিনামূল্যে সরবরাহ করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। সে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরন করেই ক্ষান্ত হয়নি, কিভাবে ঔষধ ব্যাবহার করতে হবে সেই পরামর্শও দিত কোন ভিজিট ছাড়াই। যেমন প্রথম দিনের ঔষধের কোর্স হল এভাবে- "এক গ্লাস পানি দিয়ে একটা ট্যাবলেট খেতে হবে। আধা ঘন্টার মধ্যে শরিরে হালকা ঝিমনি শুরু হবে। ঝিমনি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আরেকটা ট্যাবলেট খেতে হবে। দ্বিতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার বিশ মিনিটের মধ্যে মাথা ভারি হয়ে উঠবে। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে চোখ লাল হয়ে যাবে। তারপর খেতে হবে আরো একটা। প্রথম বার তিনটার বেশি খাওয়া যাবেনা।" ঔষধ খাওয়ার পর আস্তে আস্তে দশ মিনিট হাঁটতে হবে। শরিরে তখন প্রচণ্ড দুলনি শুরু হবে। হাঁটাতে ছন্দ-পতন হবে। অদ্ভুদ আনন্দময় একটা অনুভূতি হবে দেহে, মনে, ব্রেনে। তখন গিয়ে শুয়ে পড়তে হবে। সাথে সাথেই শান্তির ঘুম।(ভাগ্য প্রতিকুলে থাকলে এই ঘুম আর নাও ভাঙতে পারে!) কয়েকদিন পর পর ঔষধের পরিমান বাড়াতে হবে। প্রথমে তিনটা,তারপর পাঁচটা, সাতটা! আমার সেই বন্ধুটা দশটা পর্যন্ত ট্যাবলেট খেতে পারত।
যে জিনিষে মৃত্যু লেখা থাকে সেই জিনিষ হাতে নিয়ে খেলা করে তা থেকে আমোদ সংগ্রহ করা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারেনা! আমোদের জন্য আরো অনেক কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৃথিবীতে। জীবনের দামে আনন্দ ক্রয়ের জন্য প্রকৃতি মানুষকে এই ভবের হাটে পাঠায়নি!"সকল প্রকার নেশাকে না বলুন!"(শাহজাহান আহমেদ)
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০১
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: লাভ কিছু না! সাময়িক সুখ!
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
আরজু পনি বলেছেন:
আপনার সেই বন্ধুর বর্তমানে কী অবস্থা জানালে ভালো হতো ।
আর আপনার এই লেখা থেকে একটা মেসেজ পাওয়া গেল...
প্রথমত, বাড়িতে ডাক্তার থাকলে ফ্রি ওষুধ সংরক্ষণের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে ।
দ্বিতীয়ত, পরিবারের মানুষগুলোর সম্পর্ক আরো দৃঢ় হ্ওয়া জরুরী যাতে, কেউ নিজের জীবনকে এভাবে বিপথে, বিপদে ফেলতে না পারে ।
স্কুলে পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর ওষুধের খোঁজ করেছিলাম !
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: একবার এ্যাকসিডেণ্ট আমার বন্ধুটির পেট ফুটো হয়ে গেছিল। সেই থেকে নেশা বন্ধ!
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
যেনী বলেছেন: খুব ভালো লাগলো!
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
হারানো ওয়াছিম বলেছেন: আমাদের দেশে যে কত প্রকার নেশা আছে তা বুঝা মুসকিল। যত ছোট নেশাই হোক না কেন তা থেকে দুরে থাকাটাই শ্রেয়।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
বটের ফল বলেছেন: সচেতন থাকাটা জরুরী।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯
খেয়া ঘাট বলেছেন: এইভাবে ঘুমিয়ে লাভ কি হয়, বুঝতে পারিনা।