![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বিশ্বাস মানুষের অস্তিত্বের ভিত্তি। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষ যুগ-যুগ ধরে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছে। এমন কি কেউ-কেউ তাদের অযৌক্তিক বিশ্বাসকেও পরম মমতায় আঁকড়ে ধরে আত্মহুতি দিয়েছে নিজেকে। হিটলার তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরন।
এমন হাজারো উদাহরন খুঁজলে হয়তো পাওয়া যাবে।
কিন্তু, এটা কোন সমাধান না। প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করা যায়না। শুধুমাত্র নিজের বিশ্বাসের যৌক্তিক ব্যখ্যা অন্যের সামনে উপস্থাপন করেই তা সম্ভব। (যদি অন্যজন সেটা গ্রহন করে।) অধিকাংশ মানুষই এই জিনিষটা পারেনা। অথবা ব্যখ্যাটা কি তা জানেনা। যারা নিজের বিশ্বাসের পক্ষে কোন যুক্তি দিতে পারেনা তারাই অন্ধ বিশ্বাসি!
আশ্চর্য হলেও সত্য, পৃথিবীতে ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাসির সংখাই বেশী! আমি মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি এজন্য আমি মুসলমান। আরেকজন হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহন করেছে এইজন্য সে হিন্দু। অন্যজন জন্মেছে ক্রিস্টান পরিবারে এই কারণে সেটা তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাস!
কেন? এটা হবে কেন?
আমি যেই ধর্মীয় পরিচয় বহন করছি। কেউ যদি আমার
সেই ধর্মীয় বিশ্বাস কি জানতে চায়, তাহলে আমি অকপটে বলব "মুসলিম" একজন হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী অথবা একজন ক্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বাসীর কাছে জানতে চাওয়া হলেও তাঁরা নিজেদের ধর্ম বিশ্বাস বলবে। একজন নাস্তিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে সেও তাঁর বিশ্বাস প্রকাশ করবে। এখন সবার কাছে যদি জানতে চাওয়া হয় এই বিশ্বাসের ভিত্তি কী?
সবাই বলবে তাদের যার-যার ধর্ম শ্রেষ্ট। এজন্য তাঁরা সে ধর্মে বিশ্বাসী! নাস্তিক বলবে সৃষ্টিকর্তা নাই তাই ধর্মও নাই।
এবার যদি প্রশ্ন করা হয় ' তোমরা কেন তোমাদের ধর্মকে শ্রেষ্ট মনে কর? আর তুমি কেন মনে কর সৃষ্টিকর্তা নাই?'
এই প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত উত্তর অধিকাংশই দিতে পারবেনা। যদিও উত্তর দেওয়া হয়, একজনের উত্তর অন্যজন গ্রহন করবেনা। তার মানে প্রত্যেকের ভাবনা-চিন্তা, বিশ্বাস সতন্ত্র। এখন যদি তাদের একজন অন্যজনের দিকে তেড়ে যায় এই বলে যে: তুমি কেন আমার যুক্তি মানছ না?
তাহলে অন্যজনও সমক্ষ্রিপ্ততায় তেড়ে যাওয়ার অধিকার রাখে। সেও বলতে পারে 'তুমিওতো আমার যুক্তি মাননি।' আর একই তর্কে দুজন কখনো জয়ি হয়না।
তুমি আমার যুক্তি মাননা। আমিও তোমার যুক্তি মানিনা। ঠিক আছে। যার যার যুক্তি/বিশ্বাস থাকনা তাঁর-তাঁর কাছে। তোমার বিশ্বাসের কারণেতো আমার কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। তুমি যদি ভুল বিশ্বাসের উপর জীবন কাটাও তাহলে ক্ষতি হলে তোমার হবে। আমারতো না!
এটা নিয়ে কেন আমার সাথে লাগতে আস। আমিইবা কেন তোমার সাথে সংগ্রাম করছি! কেন আমরা পরস্পরের বিশ্বাসে আঘাত করে সহিংসতা উস্কে দিচ্ছি!
হাতে গুনা কয়েকজন অতি উৎসাহীর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বের ভয়াবহ পরিনাম কেন ভোগ করবে হাজার-হাজার নিরিহ মানুষ?
©somewhere in net ltd.