![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।
বিশাল একটি বটবৃক্ষের জন্ম হয় সরিষা দানার চেয়েও ক্ষুদ্র একটা বীচি থেকে। ভাবা যায়, প্রকাণ্ড বটবৃক্ষটা ছোট একটা বীচির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল!
বটবৃক্ষের ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার প্রক্রিয়াটা মোটামুটি জটিল। সে জটিলতা বুঝার জন্য আমরা বিরাট একটা বটবৃক্ষের জন্ম প্রক্রিয়াটা কল্পনা করলাম এভাবে;
একটা ক্ষুদার্ত পাখি একটা বট গাছে এসে বসেছে। সঙ্গে তাঁর অন্যান্য বন্ধু-বান্ধব। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার কারণে তাঁরা সকলেই ক্লান্ত, বিপর্যস্ত। গাছের ডালে বসে কেউ-কেউ বিশ্রাম নিচ্ছে। কেউ গাছের পাতার ফাক-ফোকর থেকে পোকা খুঁজে খাচ্ছে। আমাদের গল্পের সেই বিশেষ পাখিটাও পোকা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এভাবে কয়েকঘন্টা কাটানোর পর সকলের মাঝে আবার প্রাণ-চাঞ্চল্য ফিরে এল। সবাই যখন ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তখন হঠাৎ আমাদের সেই বিশেষ পাখিটির মনে হল। এই গাছেতো অনেক ফল ধরেছে। একটা খেয়ে দেখিনা কেন কেমন লাগে! পাখিটা যখন তাঁর ইচ্ছাটা অন্যদের কাছে প্রকাশ করল, সবাই হায়-হায় করে উঠল। বলে কি সে! আমরা হলাম পোকা খাওয়া পাখি। ফল খাওয়া আমাদের জন্য নিষেধ। ফল খেলে আমাদের হজমের সমস্যা হবে। সবার নিষেধ অমান্য করে পাখিটি পাঁকা টস-টসে একটা ফল ছিড়ে মুখে দিল। আহা, কি তার স্বাদ! এত স্বাদের একটা ফল তাদের খাওয়া নিষিদ্ধ কেন সে বুঝতে পারলনা।
ফল খেতে কেন নিষেধ সেটা সঙ্গে-সঙ্গে না বুঝলেও পরেরদিন সে ঠিকই বুঝেছে। যখন তাঁর ডাইরিয়া শুরু হল। নিষিদ্ধ বস্তু খেয়ে ডাইরিয়া হওয়ার নজির পাখি সমাজে এই প্রথম। কি লজ্জার কথা! এ মুখ সে দেখাবে কি করে। সবাই যখন বৈদ্যুতিক তারের উপর বসে বসে আরাম করে মানুষদের মাথায় হাগু করে, তখন তাকে হাগু করার জন্য জংগলে চলে যেতে হয়।
পাখিটার হাগুর সাথে হজম না হওয়া ফলের বীচি বেড় হয়ে আসে। বীচিগুলো মাটিতে কিছুদিন পড়ে থাকে। তারপর বৃষ্টি আসলে সেগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বাতাসে ভেসে আসা ধুলিকণা বীচিগুলোকে ঢেকে দেয়। সূর্যের আলো এসে পড়ে গায়ে। ক্ষুদ্র বীজের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা বট-বৃক্ষটির শুরু হয় অস্থিরতা। বীজের খোলস ভেঙে বাহিরে বেড়িয়ে আসার আকুলতায় সে ছটফট করতে থাকে।
মাটির আদ্রতায় বীজের খোলসে ফাটল দেখা দেয়। পৃথিবী দেখার আনন্দে দুটি পাতা নিয়ে মাথা উচু করে দাড়ায় শিশু বটবৃক্ষ!
অসংখ বীজ থেকে অসংখ শিশু বটবৃক্ষ। প্রকৃতির প্রতিকুলতা, গরু ছাগলের অত্যাচার, রোগ-ব্যাধি জয় করে একটা গাছ টিকে যায়। ক্রমে-ক্রমে সেই শিশু গাছটাই মহিরুহ হয়ে উঠে।
একটা বিশাল বট-বৃক্ষের আত্মজীবনি অনেকটাই এরকম।
ভালবাসা ব্যাপারটাও ঠিক তাই! মানুষের মনের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় থাকা ভালবাসা নামক অনুভুতিটাও নানান সময়ে নানান দিকে মোড় নেয়। সামাজিক প্রতিকুলতা, পারস্পারিক বুঝাপড়ার অভাব এবং অযত্ন-অবহেলায় কিছু-কিছু পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। যে পথগুলো খোলা থাকে সেগুলোও কণ্টকাকীর্ণ! কাঁটা সড়িয়ে কিছু কিছু পথে কখনোই যাওয়া যায়না। এক পথে বাঁধা পড়লে মানুষ অন্য একটা পথ বেছে নেয়। কেউ-কেউ কাঁটা সড়ানোর প্রাণপন চেষ্টা করে। কেউ সফলও হয়। কেউ বিকল্প পথে নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়ে পৌছে।
সেই যাত্রার পরিণতিটাকেই আমরা সত্যিকার ভালবাসা বলে থাকি! মনে করি এটাই সঠিক পথ। আমরা পিছনের কাহিনী খুঁজিনা। অতীতে যে আমাদের সামনে আরো কয়েকটা পথ উন্মোক্ত হয়েছিল সে কথা আমরা ভুলে যাই।
কেন ভুলে যাই? কারণ এখানে দুঃচরিত্রবান উপাধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্যাপারটা আরো একটু খোলা চোখে দেখি। মনে করুন আপনি "ক" নামের এক রুপবতী/রুপবান কে দেখে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলেন। আপনার মনে হবে তাঁকে ছাড়া আপনি বাচবেননা। সেই আপনার জীবনের সত্যিকার ভালবাসা। যখন তাকে আপনার ভালবাসার কথা জানাতে গেলেন সে আপনাকে চুড়ান্ত অপমান করল। প্রথম দেখাতেই অপমানের ব্যাথায় মূহুর্তেই তাঁর প্রতি ভালবাসা ঘৃনায় রুপান্তরিত হল।
তারপর, "খ" নামের একটা তরুণী/তরুণের সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে। পরিচয়ের পরই তাঁর সাথে আপনার বন্ধুত্ব হয়ে গেল। দু-জন দুজনের কাছে সব কিছু শেয়ার করছেন। আপনি ভাবছেন সে হয়তো আপনাকে ভালবাসে। আপনিও তাঁর প্রেমে পড়ে গেলেন।
একদিন জানতে পারলেন সে আপনাকে নয় অন্য একজনকে ভালবাসে। আপনি নিরবে সড়ে আসলেন।
"গ" নামের একজন আপনাকে পছন্দ করে। আপনি অনেক বিবেচনা করে দেখলেন "গ"কে আপনারও ভাল লাগে। তাঁর সাথে সম্পর্ক করা যায়! আপনি "গ" এর ডাকে সাড়া দিলেন। দুজন-দুজনকে প্রচণ্ড ভালবাসতে শুরু করলেন। গর্ব করে বন্ধুমহলে বলে বেড়ালেন "এটাই আমার সত্যিকারের ভালবাসা!"
আসলেই কি তাই? যদি "ক" অথবা "খ" আপনার আহ্ববানে সাড়া দিত, তাহলে "গ" এর সাথে আপনার হয়ত পরিচয়ই হতনা। তখন "ক" অথবা "খ" ই হত আপনার সত্যিকার ভালবাসা!
পূর্বে তাদের প্রতি আপনার মনে যে ভালবাসা জন্মেছিল সেটা কি? হ্যা, সেটাও ভালবাসা। সত্যিকার ভালবাসা। সে ভালবাসাটা কন্টকময় পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারেনি।
অর্থাৎ, মানুষের জীবনে মাত্র একবার প্রেম আসে তা আমি মনে করিনা। প্রাকৃতিক নিয়মেই মানুষ বার বার প্রেমে পড়ে!
আরে সর্বনাশ! আমি দেখি আসল কথা না বলে ভালবাসার সংজ্ঞা দেওয়া শুরু করেছি। ভালবাসার সংজ্ঞা দেওয়ার মত দুঃসাহস এবং মেধা আমার নাই। আমি শুধু আমার উপরোল্লেখিত শিরোনামটির বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
"সালেকা, মালেকা, ফুলবানু ও অন্যান্য প্রেমিকারা। অথবা আমি যাদের প্রেমিক ছিলাম!"
শিরোনামটি দেখে অনুমান করা যায় একজন মানুষের জীবনে একাধিকবার প্রেম এসেছিল!
একাধিক প্রেম আসতেই পারে। ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়। জান্তে, অজান্তে।
আমার জীবনেও একাধিকবার প্রেম এসেছে। সেগুলো ছিল নানান নাটকিয়তায় ভরপুর। সচরাচর ঘটা প্রেমের গল্পগুলো থেকে কিছুটা আলাদা। একটু ব্যাতিক্রম। আমিই গল্পগুলোকে ব্যাতিক্রম করে সাজাতাম। সে কাজে সাহায্য করত আমার বন্ধুরা। একসময় আমার চারপাশ ঘিরে ছিল শত-শত বন্ধুবান্ধব।
সময়ের ব্যাবধানে এখন তাঁদের কারো সাথেই যোগাযোগ নেই। ভুলতে বসেছি তাদের নাম ঠিকানাও। বাস্তবতার কষাঘাতে স্মৃতির এ্যালবাম থেকে কত মধুর ঘটনা মুছে গেছে। অথবা যাচ্ছে! সেই ঘটনাগুলোকে সংরক্ষনের প্রচেষ্টায় একটা গল্প সংকলন লিখতে শুরু করেছি। আশা করছি আগামি বই মেলার আগে শেষ করে ফেলতে পারব।
যার নাম হবে "সালেকা, মালেকা, ফুলবানু ও অন্যান্য প্রেমিকারা। অথবা আমি যাদের প্রেমিক ছিলাম!"
সংকলনে মোট এগারোটি গল্প থাকবে। এগারোটি মেয়ের গল্প! মানে আমার জীবনের এগারোটা প্রেম কাহিনী!
এর মধ্যে আমি তিন জনের প্রেমে পড়েছিলাম। আর আমার প্রেমে পড়েছিল বাকী আট জন!
ঘটনা যথা সম্ভব সত্য লেখার চেষ্টা করব। সুখ-পাঠ্যের জন্য গল্পে হয়ত সামান্য রং-চং মাখা হবে। কিন্তু তার পরিমান হবে অতি ক্ষুদ্র। এক লিটার পানিতে এক ফোটা লাল রং!
আমার জবানবন্দিঃ "আমি যাদের চেয়েছিলাম তাদের পাইনি। যারা আমাকে চেয়েছিল তাঁরাও আমাকে পায়নি। ভালবাসার হিসাব-নিকাস সমান-সমান!"
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন:
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: পৃথিবী দেখার আনন্দে দুটি পাতা নিয়ে মাথা উচু করে দাড়ায় শিশু বটবৃক্ষ!
এই লাইনটা খুবই ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা রইলো। গল্পবইয়ের সাফল্য কামনা করছি।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
শাহজাহান আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৩
নানাভাই বলেছেন: আমার জবানবন্দিঃ "আমি যাদের চেয়েছিলাম তাদের পাইনি। যারা আমাকে চেয়েছিল তাঁরাও আমাকে পায়নি। ভালবাসার হিসাব-নিকাস সমান-সমান!"