নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাহজাহান হোসেন আহমেদ, কবিতা, অকবিতা।

শাহজাহান আহমেদ

• ধুমপানের বদ অভ্যাসটা সামান্য আছে। ( ঈদে চাঁন্দে আর কি) •মানুষের সাথে মিশতে ভাল লাগে। তবে সবার সাথে না। যাদের মাথায় সামান্য পরিমান হলেও গিলু নামের বস্তুটি আছে তাদের সাথে। • গান শুনতে ভাল লাগে। প্রিয় শিল্পিঃ প্রিতম আহমেদ। কুমার বিশ্বজিৎ। চন্দনা মজুমদার। আইয়ুব বাচ্চু। প্রয়াত সন্জিব চৌধুরী। • বই পড়তে ভালবাসি। যে কোন বই। গল্প উপন্যাস কবিতা সব কিছু। রাতের বেলায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভুতের গল্প পড়ে ভয় পেতে ভাল লাগে। •রাত জাগতে ভাল লাগে। দু চোখে প্রচণ্ড ঘুম এবং সীমাহিন ক্লান্তি নিয়েও মাঝে মাঝে সারা রাত জেগে থাকি।

শাহজাহান আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের কৃষিকে বাঁচাতে হবে। আমাদের প্রয়োজনেই।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:২৪

দেশে বাম্পার আলুর ফলনে হতাশ কৃষক। খুব সম্ভবত,

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক বীজ/সার কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি নীল নকশার অংশ এটা। তাঁরা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কিনে ফেলেছে। কারণ, একটা ফসল ফলিয়ে কৃষক যদি তাঁর ন্যায্য দাম না পায় তাহলে পরবর্তি বছর কৃষকেরা আর সেই ফসল করবেনা। এই সুযোগটা নিবে কিছু অসাধু আমদানিকারক।

আমাদের দেশে কৃষিতে কোন সমন্বয়ই নাই। বাংলাদেশে কৃষি মন্ত্রনালয় নামে আলাদা একটা মন্ত্রনালয় আছে। নানান এনজিও সহ অনেক প্রতিষ্ঠান কৃষকের নাম ভাঙিয়ে চলছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।

সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিৎ ছিল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারা দেশের কৃষকদের মাঝে একটা সমন্বয় সৃষ্টি করা। এই অঞ্চলে এতটুকু জমিতে হবে আলুর চাষ, এতটুকু জমিতে হবে সবজি চাষ। আরেক অঞ্চলে হবে ধান চাষ। আরেক অঞ্চলে গম চাষ।

এর ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন চক্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতনা। খাদ্যের দাম থাকত হাতের নাগালে। কৃষকও তাঁর ন্যায্য দাম পেত। দেশও খাদ্যশষ্যের জন্য অন্যকোন দেশের মুখাপেক্ষি হতে হতনা।



এর জন্যে সরকারকেই কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। কৃষিতে সমন্বয় ফিরিয়ে আনতে হবে। বীজ, সার, কীটনাশক এই তিনটা জিনিষের নিয়ন্ত্রন সরকারের হাতে রাখতে হবে। (কারণ বহুজাতিক বীজ কোম্পানিগুলো ব্যবসা করতে এসেছে। জনসেবা নয়। তাঁরা চাইবে যেকোন উপায়ে কৃষকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে। নিম্ন-মানের বীজ দিয়ে হলেও। যেমন, বাংলাদেশে যেই আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে শুনা যাচ্ছে সে আলু বিশ্বের অন্যান্য দেশে গবাদি-পশুর খাদ্যের জন্য উৎপাদন করে! মানুষের খাদ্যের জন্য চাষ করা হয় পুষ্টিমানের দিক বিবেচনায় অন্যজাতের আলু। অথচ, বীজ কোম্পানিগুলো সেই নিম্ন মানের গবাদি-পশুর খাদ্য আলুর বীজই কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছিল চড়া দামে।)



আরও একটা জিনিষ করতে হবে তা হল, অঞ্চল ভেদে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার,বীজ সরবরাহ করবে সরকার। কোন কারণে যদি কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সরকার সেই কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেবে। অথবা অল্প প্রিমিয়ামে ইনসোরেন্স এর ব্যবস্থাও করে দিতে পারে।

কৃষকদের বাঁচাতে হবে । কৃষিকে বাঁচাতে হবে। না হলে আমাদের দেশের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বাঁচার প্ল্যানটা বলুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.