![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহো মাটি শেখ মানুষ
প্রকৌশলী মোঃ শাহজালাল
বৃক্ষ জাতি মাটির বুক চিড়ে নিঃসংকোচে ছড়িয়ে দেয় তার শিকড়গুলো যেখানে অনুকম্পার লেশটুকু মাত্র নেই। তবু মাটি বিনা প্রতিবাদে নিঃশব্দে সয়ে যায় এসব যাতনা। শুধু তাই নয় কখনো মাটি তার দেহের রস বিতরনে নিমিষের তরেও কার্পণ্য করে না। অথচ মাটির উপরই নির্ভর করছে বৃক্ষ জাতির অস্তিত্ব। এক মিনিটের জন্যও মাটি যদি দুই ভাগে বিভক্ত হয় তবে বৃক্ষের অস্তিত্ব তখনি ভুমিতে লুটিয়ে পড়ে। বিধাতা কি যে এক সহনীয় ক্ষমতা দান করেছে তাকে। নেই কোন প্রতিবাদ, নেই কোন প্রতিশোধের আগুন, হয়ত আছে শুধু নিরব জ্বালা। এও কি দোষের? দাবানল জ্বলবে আর বস্তু দাহ্য হবে না সেকি!
সেতো ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রম,
যে সহে তাঁর পিঠেই বহে। এত পদভার, এত বাহন, সু উচ্চ ভবন সবার পেষণে পিষ্ট হয়ে কাটছে তব জনম জনম। তাই মাটি তুমি খাঁটি। তুমি শ্রদ্ধার, তুমি গৌরবের, তুমি সুরের, তুমি ভালবাসার। আরও দাও তুমি আরও খুলে দাও তোমার দানের দরিয়া। প্রতিদানের সোনালি ফসলে বিমহিত হোক কৃষকের নির্যাতনের ফলা। তুমি সুন্দর, তুমি দাতা, তুমি সরলা, তুমি উপমা হয়ে থাকবে অন্তরে অন্তরে, দি মণ্ডলে কালান্তরে। তোমার কারণে নিন্দুকের বীণে বেজে উঠুক কৃতজ্ঞতার মোহিনী সুর। বিধ্বংসীর আঙিনায় শোভা পাক নির্মল প্রভাতে লাল সূর্য
মাটি তুমি বিধ্বংসী মন্ত্রকে অগ্রাহ্য কর। তোমার বুকে জমে থাকা আগুন ভু অভ্যান্তরে নিষ্ক্রিয় করে দাও তবুও আগ্নেও গিরির সৃষ্টি কর না। তোমার বুকে লুকিয়ে থাকা রত্নের ভাণ্ডার পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করে তোলে। তোমার রত্নেই আবার সজ্জিত হয় ঐ পৃষ্ঠদেশে অবস্থানকারী সব মাখলুক। আপতদৃষ্টি যাই দেখুক এর অবদান কৃতজ্ঞ মাত্রেই প্রকাশ করে। অকৃতজ্ঞের লম্বা সারিতে অবদানের সুর ধ্বনিত না হয়ে ক্ষেত্র বিশেষে কৃতঘ্নতা গুঞ্জরিত হতে পারে। তবুও তোমার রত্নে ভাটি পড়বে না, বিমলিন হবে না উজ্জ্বল হাসি এই তো সাধারণ বিশ্বাস।
সকল গর্ব হবে যে খর্ব লুটাবে মাটির কোলে
প্রবাহ ধায় দৈন্য দশায় ঘড়ির কাঁটা দোলে।
মাটির দ্বারাই সৃষ্ট মানুষ মাটিই তাকে ডাকে
উদাসি জন হয়না মগন আত্ম গর্বে হাঁকে।
©somewhere in net ltd.