নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের পরিবর্তনে মানুষ মৌলিক রেখা থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়েছে। কেউ কেউ গমন করতে করতে এতো দূরে চলে গেছে যে্ন ওখানেই তার পরিশুদ্ধ জনম। আমার কামনা সকলে মৌলিক রেখায় প্রত্যাবর্তন করুক।

শাহজালাল হাওলাদার

শাহজালাল হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্তির নিষেধাজ্ঞা কবিতা

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

মূর্তির বিষয়ে জানেনা যারা
কুরআনের বাণী আর হাদিসের বাণী,
বাণীগুলো যবে সব পড়বে তারা
জাগবে মনের মাঝে নব জাগরণী।
ইরশাদ হয়েছে আল কুরআনে
আল্লাহর বদলে তোমরা সবে
উপাসনা করতেছো মূর্তিগুলোর
নির্মাণ করতেছো মিথ্যে ভবে।(সুরা-আনকাবুতঃ ১৭)
সাস্তি কি শুধুই পাবে পূজারি
সেও পাবে যে আঁকে যে করে বেচাকেনা,
আরও পাবে মূর্তি নির্মাণকারী
সংরক্ষণকারীও বাদ যাবে না।
শোন ভাই বলে যাই হাদিসের বাণী
মূর্তি হারাম তার বৈধতা নাই
পুজা হোক পুঁজি হোক, হোকনা প্রতীক
যুক্তি ও তর্ক ভুল পুরোটাই।
১) বলেছেন নবীজি সল্লিয়ালা
প্রেরিত হয়েছি আমি ধরণীর মাঝে
আত্মার বন্ধন রাখতে বজায়
মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলার কাজে।(মুসলিম)
২) নবীজি বলেন যে যাবে মদিনায়
যেখানেই প্রাণীর মূর্তি পাবে
সৌধ – সমাধি যদি দেখা যায়
সবগুলো একসাথে গুঁড়িয়ে দেবে।(মুসনাদে আহমাদ)

৩) শোন শোন নবীজির বাণী হাদিসের
ভাস্কর চিত্রকর লোক ঐ সব
তারা হবে ভুক্ত ঐ সকলের
কিয়ামতে হবে যাদের কঠিন আজাব।(বুখারি)
৪) আজাবে ফেলা হবে কিয়ামত দিনে
বলা হবে শুনে নে সব ভাস্কর
সৃষ্টি যা করেছিলি দুনিয়ার জমিনে
করে দেখা তাতে আজ প্রাণ সঞ্চার।(বুখারি)

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

হাফিজ রাহমান বলেছেন: কবিতা যাই হোক, বিষয়বস্তু বেশ চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ সাহসী কবিতা লেখার জন্য।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: জেল জুলুমের ভয়ে ভয়ে সত্য বলা বন্ধ হলে
অন্ধ হয়ে যাবে জাতি ঈমান যাবে রসাতলে।
ধন্যবাদ ভাই হাফিজ রহমান।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মূর্তি চিনেছ কি?
রুপ স্বরুপ!
তোমার ভোগ, লোভ মোহ
তার সত্য প্রতিরুপ!

জীবন চল যে বোধ
করু তার স্বরুপ অন্বেষন
মাটির ভাস্কর্যের দায়হীন
দায়ী তোমার মন!

যে মুরতে মসজিদে আজ
নেই ইসলামী সাজ
চিনেছ কি সেই মুরত
ইয়াজিদী বোধ তার তাজ!

আত্মায় তুমি খুঁজে দেখ
নিজের আয়নায় দিয়ে ডুব
তোমার ধর্ম কি
ভোগ, পূজি নাকি লোভ???

বোধের মূর্তির বিনাশ কর
মাটির ঢেলা নয়
চেতনায় অন্ধ হলেই কি
প্রলয় বন্ধ হয়???


৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১০

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: বোধের মূর্তির বিনাশ কর
মাটির ঢেলা নয়
চেতনায় অন্ধ হলেই কি
প্রলয় বন্ধ হয়??
এটাতো কবির চেতনাবোধ। আমরা তো মহান সৃষ্টি কর্তা এবং মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সঃ এর চেয়ে কবিকে প্রধান্য দিতে পারিনা।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মাদ শাওন বলেছেন: সব মুর্তি একদিন বাংলার মাটি হতে অপসারন করবই ইনশাল্লাহ

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১১

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ইনশা - আল্লাহ।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দিনে দিনে আমাদের সমাজে মূর্তির ব্যাবহার বেড়েই চলেছে। আমাদের মুসলিমদের এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: সরাসরি মূর্তি না বানিয়ে মৃণাল হকের মত ব্যবসায়িদের প্ররোচনায় চেতনার নামে মূর্তি প্রসার করা হচ্ছে। এরা যদি মুসলমান হন আর মূর্তি সম্বন্ধিও খারাপ দিক জেনেও মূর্তি লালনের চেষ্টা করেন তবে তাদের মুসলমানিত্ত প্রশ্নবিদ্ধ।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বোধের মূর্তির বিনাশ কর
মাটির ঢেলা নয়
চেতনায় অন্ধ হলেই কি
প্রলয় বন্ধ হয়??
এটাতো কবির চেতনাবোধ। আমরা তো মহান সৃষ্টি কর্তা এবং মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সঃ এর চেয়ে কবিকে প্রধান্য দিতে পারিনা।

হা হা হা
আচ্ছা বলেনেতা মুহাম্মদ সা: কি করেছিলেন?
মাটির মূর্তি ভেঙ্গছিলেন না আরববাসীর জ্ঞান চেতনা বদলেছিলেন? বিশ্বাস বদলেছিলেন?

তো আপনার বিশ্বাসের দিকে তাকানতো! কি কি বিশ্বাস করেন? আপনি কি আপনাকে চিনেছেন?
আপনার বিশ্বাস কি পরিপূর্ন?

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: এ আর ১৫ এর কমেন্টস এর জবাব পড়ুন।
আমি কথার চেয়ে কাজে বেশি বিশ্বাসী। বড়বড় বুলি আওড়ানো নামক হাতিয়ার এক প্রকার ভণ্ডামি। আল্লাহর হুকুম আহকাম পালন করাই জীবনের যথার্থতা। আপন ভুবনে অন্যের দৃষ্টিতে তাকালে এটা অনেকটা স্পষ্ট হবে।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভাল লাগা পোস্টে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: অমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ। উত্তম দোয়া করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২

করুণাধারা বলেছেন:

ভাল বিষয়ে লিখেছেন। মূর্তি বানানো, মৃতের ছবিতে ফুল দেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৮

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: মূর্তি বানানো, মৃতের ছবিতে ফুল দেয়া ইসলাম সমর্থন করে না। আল্লাহ আমাদের হেদায়েত করুন ।
ধন্যবাদ ভাই, আরও কিছু বিষয় যোগ করার জন্য। আসলে অনেকেই কিছু কিছু অন্যায় করে না জেনে।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: মুসলিম বিশ্বে ভাস্কর্য মুসলিম বিশ্বে ভাস্কর্য

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: দেশে এখন মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে উত্তেজনা চলছে। বিষয়টির সঙ্গে হেফাজতিরা ইসলামকে জড়িয়ে ফেলেছে। তাই চলুন আমরা সূত্র ধরে দেখি এ ব্যাপারে কোরান, হাদিস, সিরাত (ইবনে হিশাম ইবনে ইবনে ইসহাক), তারিখ আল তারারি ও অন্যান্য দলিল কী বলে।

প্রথমেই তিনটে শব্দ বুঝে নেওয়া যাক: প্রতিমা, ভাস্কর্য ও মূর্তি। প্রতিমা হল মানুষ যার আরাধনা উপাসনা করে, ইহকালে-পরকালে মঙ্গল চায়, ভুলের ক্ষমা চায় ইত্যাদি। ভাস্কর্য্য হল মানুষসহ কোনো প্রাণী বা কোনো কিছুর মূর্তি যাকে মানুষ রাখে সম্মান দেখতে বা সৌন্দর্য্য বর্ধন করতে, যার মানুষ আরাধনা বা উপাসনা করে না। এবারে অন্যান্য দলিলের দিকে তাকানো যাক, সেখানে আমরা দেখব হযরত মুহাম্মদের (সা.) বাড়িতে মূর্তি ছিল তাঁর সম্মতিক্রমেই। সব দলিলের শেষে আমরা কোরানে যাব এবং দেখতে পাব আল্লাহর নির্দেশেই এক পয়গম্বরের প্রাসাদে ভাস্কর্য ছিল।

কোরানে যাওয়ার আগে প্রথমেই হাদিস ও অন্যান্য দলিল। কাবাতে রাসূল (সা.) লাত, মানাত, উজ্জা, হোবল, ওয়াদ ইত্যাদির প্রতিমা ভেঙেছিলেন, এগুলোর আরাধনা করা হত বলে। ভাস্কর্য ও মূর্তির বিপক্ষে কিছু হাদিস আছে, কিন্তু সাধারণত বিপক্ষের দলিলে আমরা ব্যক্তির নাম ও ঘটনার বিবরণ পাই না, যা পক্ষের হাদিসগুলোতে পাই। পার্থক্যটা গুরুত্বপূর্ণ।

(ক) সহি বুখারি ৮ম খণ্ড হাদিস ১৫১:
আয়েশা বলিয়াছেন, আমি রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুলগুলি লইয়া খেলিতাম এবং আমার বান্ধবীরাও আমার সহিত খেলিত। যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমার খেলাঘরে প্রবেশ করিতেন, তাহারা লুকাইয়া যাইত, কিন্তু রাসুল (সা.) তাহাদিগকে ডাকিয়া আমার সহিত খেলিতে বলিতেন।

(খ) সহি আবু দাউদ বুক ৪১ হাদিস নং ৪৯১৪:
বিশ্বাসীদের মাতা আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন, যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাবুক অথবা খাইবার যুদ্ধ হইতে ফিরিলেন তখন বাতাসে তাঁহার কক্ষের সামনের পর্দা সরিয়ে গেলে তাঁহার কিছু পুতুল দেখা গেল। তিনি [(রাসুল (সা.)] বলিলেন, “এইগুলি কী?” তিনি বলিলেন, “আমার পুতুল।” ওইগুলির মধ্যে তিনি দেখিলেন একটি ঘোড়া যাহার ডানা কাপড় দিয়া বানানো হইয়াছে এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, “ইহা কি যাহা উহার উপর রহিয়াছে?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “দুইটি ডানা।” তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ডানাওয়ালা ঘোড়া?” তিনি উত্তরে বলিলেন, “আপনি কি শোনেননি যে সুলেমানের ডানাওয়ালা ঘোড়া ছিল?” তিনি বলিয়েছেন, ইহাতে আল্লাহর রাসুল (সা.) এমন অট্টহাসি হাসিলেন যে আমি উনার মাড়ির দাঁত দেখিতে পাইলাম।”

(গ) সহি মুসলিম – বুক ০০৮, নং ৩৩১১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁহাকে সাত বৎসর বয়সে বিবাহ করিয়াছিলেন (যদিও অন্য রেওয়াতে আমরা পাই ছয় বছর: হাসান মাহমুদ) এবং তাঁহাকে নয় বৎসর বয়সে কনে হিসেবে তাঁহার বাসায় লইয়া যাওয়া হয়, এবং তাঁহার পুতুলগুলি তাঁহার সাথে ছিল এবং যখন তিনি দেহত্যাগ করিলেন তখন তাঁহার বয়স ছিল আঠারো।

(ঘ) সহি মুসলিম – বুক ০৩১ নং ৫৯৮১:
আয়েশা (রা.) বলিয়াছেন যে তিনি আল্লাহর রাসুলের (সা.) উপস্থিতিতে পুতুল লইয়া খেলিতেন এবং যখন তাঁহার সঙ্গিনীরা তাঁহার কাছে আসিত তখন তাহারা চলিয়া যাইত। কারণ তাহারা আল্লাহর রাসুলের (সা.) জন্য লজ্জা পাইত। যদিও আল্লাহর রাসুল (সা.) তাহাদিগকে তাঁহার কাছে পাঠাইয়া দিতেন।

সহি বুখারির ব্যাখ্যা শুনুন। হাদিসটার ফুটনোটে ‘ফতহুল বারি’র লেখক ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর উদ্ধৃতি: “পুতুল ও একই রকম ইমেজ অবৈধ কিন্তু ইহা বৈধ করা হইয়াছিল তখন আয়েশার (রা.) জন্য। কারণ তিনি ছিলেন ছোট বালিকা, তখনও তিনি বয়স্কা হননি।” (ফতহুল বারি, পৃষ্ঠা ১৪৩, ১৩ খণ্ড)

নবী (সা.) পুতুল বৈধ করেছিলেন এটাই আসল কথা। কী কারণে করেছিলেন সেটা ইমামের জানা সম্ভব নয়। কারণ তিনি রাসুলের (সা.) ৮০০ বছর পরের হাজার মাইল দূরে মিসরের লোক, রাসুলের (সা.) সঙ্গে তাঁর দেখাও হয়নি, কথাও হয়নি। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত মত মাত্র।

এবারে আরও কিছু সংশ্লিষ্ট দলিল।

তখন কাবার দেয়ালে ৩৬০টি মূর্তি (বুখারি ৩য় খণ্ড – ৬৫৮) ও অনেক ছবির সঙ্গে ছিল হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবিও। উদ্ধৃতি দিচ্ছি, “রাসুল (সা.) হযরত ঈসা (আ.) ও মাতা মেরির ছবি বাদে বাকি সব ছবি মুছিয়া ফেলিতে নির্দেশ দিলেন।” (সিরাত (ইবনে হিশাম/ইবনে ইশাক-এর পৃষ্ঠা ৫৫২)

এবারে সাহাবি ও খলিফারা।

দুনিয়ার প্রায় এক চতুর্থাংশ জয় করেছিলেন মুসলিমরা। সবই অমুসলিমের দেশ এবং সেখানেও নিশ্চয়ই অনেক প্রতিমা-ভাস্কর্য ছিল, সেগুলোর তো সবই ভেঙে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও আমরা তেমন দলিল পাই না। ৭১০ সালে হিন্দু রাজা দাহিরের দেশ সিন্ধু জয় করার পর কয়টা মূর্তি ভেঙেছিলেন মুহম্মদ বিন কাশেম? ভাস্কর্য-মূর্তি তো দূরের কথা কোনো প্রতিমাও ভেঙেছেন বলে জানা যায় না।

রাসুলের (সা.) অজস্র ছবি স্বচক্ষে দেখতে চাইলে ইরানে চলে যান। দেখবেন দেয়ালে ঝুলানো সুদৃশ্য কার্পেটে আছে মা আমিনার কোলে শিশু নবী (সা.), সাহাবি পরিবেষ্টিত নবীজি (সা.), আসমানে বোরাখে উপবিষ্ট নবীজি (সা.) ইত্যাদি।

গুগল করলেই পেয়ে যাবেন– সবই কাল্পনিক ছবি অবশ্য– হাজার বছর ধরে আছে ওগুলো। ইরান এখন তো শিয়া দেশ, কিন্তু ৭৫০ সালে আব্বাসিরা দখল করার আগে পর্যন্ত ওটা সুন্নি উমাইয়াদের রাজত্ব ছিল।

এবারে সাম্প্রতিক কাল। ছবি তো ছবি, নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু, ১০০০ পাউণ্ড ওজনের মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও ছিল দীর্ঘ ৫৩ বছর। ১৯০২ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ২৫ নং স্ট্রিট ম্যাডিসন এভিনিউতে অবস্থিত ম্যাডিসন পার্কের মুখোমুখি নিউইয়র্ক আপিল বিভাগের কোর্ট দালানের ছাদে। ইতিহাসের আরও নয়জন আইনদাতাদের সঙ্গে নবীজির (সা.) আট ফুট উঁচু মার্বেল পাথরের ভাস্কর্যও রাখা ছিল সসম্মানে।

গুগলে ‘এ স্ট্যাচু অব মুহাম্মদ’ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। মুসলিম সমাজ ও দেশগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওটা সরানো হয়েছে। এখন ইতিহাসের বাকি নয়জন আইনদাতার ভাস্কর্য রাখা আছে। কোর্টের ভেতরের দেয়ালে ওই দশজনের সঙ্গে তাঁর ভাস্কর্য এখনও আছে কি না জানি না। ওটার ছবি এখনও আছে কি না জানি না।

কোরান-রাসুল (সা.)-সাহাবি-খলিফা-সাম্প্রতিক কাল তো অনেক হল, মধ্যপ্রাচ্যের কী খবর? হাঙ্গামা করার আগে বাংলাদেশের ইমামদের ভেবে দেখা দরকার কেন মধ্যপ্রাচ্যের ইমামেরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে নন। সৌদি আরবেও বহু ভাস্কর্য আছে। গুগল করুন ‘স্ট্যাচু ইন মুসলিম ওয়ার্ল্ড’ কিংবা ‘স্ট্যাচু ইন সৌদি আরব’– রাস্তার মোড়ে মোড়ে উটের, কবজি থেকে হাতের আঙুলের, মুসলিম বীরদের এবং আরও কত ভাস্কর্য। সেখানকার মওলানারা জানেন কোরান ও রাসুল (সা.) সুস্পষ্টভাবে প্রতিমাকে নিষিদ্ধ করে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে বৈধ করেছেন। তাই তাঁরা মুসলিম বিশ্বে অজস্র মূর্তি ও ভাস্কর্যকে অস্বীকৃতি জানাননি।

এবারে কোরান। কোরানে সুস্পষ্ট বলা আছে: (ক.) মূর্তিপূজা শয়তানের কাজ (মায়েদা ৯০) এবং (খ.) “এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ?” (আম্বিয়া ৫২)।

অর্থাৎ কোরানের নিষেধ মূর্তিপূজা, উপাসনা-আরাধনা-ইবাদত সম্পর্কে। কারণ, মূর্তি স্রষ্টার অংশীদার অর্থাৎ শরিক হয়ে দাঁড়ায়। এটাই মানুষকে মুশরিক বানায়। তাহলে যে মূর্তিকে আরাধনা ইবাদত করা হয় না, যে মূর্তি সৌন্দর্য্য বাড়ায়, সুসজ্জিত করে সে ব্যাপারে কোরান কী বলে? এখানে আমরা অবাক হয়ে দেখব কোরান সুস্পষ্ট ভাষায় ভাস্কর্যের অনুমতি দেয়। উদ্ধৃতি:

“তারা সোলায়মানের (আ.) ইচ্ছানুযায়ী দূর্গ, মূর্তি, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত।” (সুরা সাবা, আয়াত ১৩)

নবীজি (সা.) মূর্তি-ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরানের ওই আয়াতের বিরুদ্ধে যেত, সেটা সম্ভব নয়। আরাধনা করলে সেটা হয় প্রতিমা আর না করলে হয় ভাস্কর্য (মূর্তি)। ইসলাম প্রতিমার বিরুদ্ধে, ভাস্কর্য ও মূর্তির বিরুদ্ধে নয়।

আদি থেকে মানুষ স্রষ্টা খুঁজেছে, সূর্য-চন্দ্র থেকে শুরু করে পশু-পাখিকে, এমনকি নিজেরাই মূর্তি বানিয়ে আরাধনা করেছে। যে হযরত মুসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা বাছুরের মূর্তির আরাধনা করেছে। যে ঈসা (আ.) মানুষকে সেই একমেবাদ্বিতীয়ম স্রষ্টার দিকে ডেকেছেন তাঁর বিশ্বাসীরা তাঁর তো বটেই, তাঁর মায়েরও (মাতা মেরি) মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। যে গৌতম বুদ্ধ স্রষ্টার ধারণা ত্যাগ করে কর্মফলের কথা বলেছেন, তাঁর অনুসারীরা তাঁর মূর্তি বানিয়ে আরাধনা শুরু করেছে। এখানেই ইসলামের আপত্তি: ইসলাম আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক বা অংশীদার করার ঘোর বিপক্ষে।

তাই হয়তো অতীত বর্তমানের কিছু ইমাম সরাসরি মূর্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, প্রতিমা ও ভাস্কর্যের পার্থক্য উপেক্ষা করছেন। ইমামেরা প্রতিমার বিরুদ্ধে বলুন অসুবিধা নেই, কিন্তু ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেটা কোরান-রাসুলের (সা.) বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হয় কি না, তাঁরা ভেবে দেখতে পারেন। কারো দরকার হলে উপরোক্ত সূত্রগুলোর কপি দেওয়া যেতে পারে।

For Link Click here please

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কুরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে।

এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ-
===========================
প্রথম আয়াত

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰

‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০

এই আয়াতে পরিস্কারভাবে সবধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে. উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্ত্ত। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।

দ্বিতীয় আয়াত

অন্য আয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳

‘এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে।’ -সূরা নূহ : ২৩

এখানে কাফের সম্প্রদায়ের দুটো বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে : ১. মিথ্যা উপাস্যদের পরিত্যাগ না করা। ২. মূর্তি ও ভাস্কর্য পরিহার না করা। তাহলে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার মতো ভাস্কর্যপ্রীতিও কুরআন মজীদে কাফেরদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত। অতএব এটা যে ইসলামে গর্হিত ও পরিত্যাজ্য তা তো বলাই বাহুল্য।

উপরের আয়াতে উল্লেখিত মূর্তিগুলো সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এগুলো হচ্ছে নূহ আ.-এর সম্প্রদায়ের কিছু পুণ্যবান লোকের নাম। তারা যখন মৃত্যুবরণ করেছে তখন শয়তান তাদের সম্প্রদায়কে এই কুমন্ত্রনা দিয়েছে যে, তাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে মূর্তি স্থাপন করা হোক এবং তাদের নামে সেগুলোকে নামকরণ করা হোক। লোকেরা এমনই করল। ওই প্রজন্ম যদিও এই সব মূর্তির পূজা করেনি কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকৃত বিষয় অস্পষ্ট হয়ে গেল এবং পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পূজায় লিপ্ত হল। -সহীহ বুখারী হাদীস : ৪৯২০

তৃতীয় আয়াত

কুরআন মজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে-

رَبِّ اِنَّهُنَّ اَضْلَلْنَ كَثِیْرًا مِّنَ النَّاسِ ۚ

‘ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’ -সূরা ইবরাহীম : ৩৬

অন্য আয়াতে এসেছে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳ وَ قَدْ اَضَلُّوْا كَثِیْرًا ۚ۬

‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ -সূরা নূহ : ২৩-২৪

কুরআন মজীদে একটি বস্ত্তকে ভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হবে এরপর ইসলামী শরীয়তে তা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য থাকবে-এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কী হতে পারে।

চতুর্থ আয়াত

কুরআনের ভাষায় মূর্তি ও ভাস্কর্য হল বহুবিধ মিথ্যার উৎস। ইরশাদ হয়েছে-

اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ

তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’। -সূরা আনকাবুত : ১৭

মূর্তি ও ভাস্কর্য যেহেতু অসংখ্য মিথ্যার উদ্ভব ও বিকাশের উৎস তাই উপরের আয়াতে একে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে, মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।

হাদীস শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মূর্তি ও ভাস্কর্য সম্পর্কে পরিষ্কার বিধান
===================================
১.হাদিস

হযরত আমর ইবনে আবাসা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে প্রেরণ করেছেন আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখার, মূর্তিসমূহ ভেঙ্গে ফেলার, এবং এক আল্লাহর ইবাদত করার ও তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো কিছুকে শরীক না করার বিধান দিয়ে। -সহীহ মুসলিম হা. ৮৩২

২.হাদিস

আবুল হাইয়াজ আসাদী বলেন, আলী ইবনে আবী তালেব রা. আমাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে কাজের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রেরণ করেছিলেন? তা এই যে, তুমি সকল প্রাণীর মূর্তি বিলুপ্ত করবে এবং সকল সমাধি-সৌধ ভূমিসাৎ করে দিবে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে,… এবং সকল চিত্র মুছে ফেলবে।’ -সহীহ মুসলিম হা. ৯৬৯

৩.হাদিস

আলী ইবনে আবী তালেব রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর মূর্তি পাবে তা ভেঙ্গে ফেলবে, যেখানেই কোনো সমাধি-সৌধ পাবে তা ভূমিসাৎ করে দিবে এবং যেখানেই কোনো চিত্র পাবে তা মুছে দিবে?’ আলী রা. এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্ত্তত হলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কেউ পুনরায় উপরোক্ত কোনো কিছু তৈরী করতে প্রবৃত্ত হবে সে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি নাযিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকারকারী।’ -মুসনাদে আহমাদ হা. ৬৫৭

এই হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে যে, যে কোনো প্রাণী মূর্তিই ইসলামে পরিত্যাজ্য এবং তা বিলুপ্ত করাই হল ইসলামের বিধান। আর এগুলো নির্মাণ করা ইসলামকে অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য।

৪.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

إِنَّ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُوْنَ.

প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।’ -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫০

৫.হাদিস

আবু হুরায়রা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন-

إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ : أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.

ওই লোকের চেয়ে বড় জালেম আর কে যে আমার সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করার ইচ্ছা করে। তাদের যদি সামর্থ্য থাকে তবে তারা সৃজন করুক একটি কণা এবং একটি শষ্য কিংবা একটি যব! -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫৩

এই হাদীসটি বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, যখন ভাস্কর-চিত্রকর, এমনকি গল্পকার ও ঔপন্যাসিকদেরকে পর্যন্ত ‘স্রষ্টা’ বলতে এবং তাদের কর্মকান্ডকে ‘সৃষ্টি’ বলতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করা হয় না। কোনো কোনো আলোচকের আলোচনা থেকে এতটা ঔদ্ধত্যও প্রকাশিত হয় যে, যেন তারা সত্যি সত্যিই স্রষ্টার আসনে আসীন হয়ে গিয়েছেন!

সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হাজার আসকানী রাহ. লেখেন- এই ভাস্কর ও চিত্রকর সর্বাবস্থাতেই হারাম কাজের মধ্যে লিপ্ত। আর যে এমন কিছু নির্মাণ করে যার পূজা করা হয় তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আর যে স্রষ্টার সামঞ্জস্য গ্রহণের মানসিকতা পোষণ করে সে কাফের ।’

-ফতহুল বারী ১০/৩৯৭

৬.হাদিস

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ خَلْقًا كَخَلْقِيْ؟ فَلْيَخْلُقُوْا ذَرَّةً وَلْيَخْلُقُوْا حَبَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوْا شَعِيْرَةً.

এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) কিয়ামত-দিবসে আযাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা ‘সৃষ্টি’ করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার কর!’

-সহীহ বুখারী হা. ৭৫৫৭, ৭৫৫৮;

৭.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করে কিয়ামত-দিবসে তাকে আদেশ করা হবে সে যেন তাতে প্রাণসঞ্চার করে অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।’ -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩

৮.হাদিস

আউন ইবনে আবু জুহাইফা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারী, উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী এবং প্রতিকৃতি প্রস্ত্ততকারীদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) উপর লানত করেছেন। -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬২

এই হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে,ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।

৯.হাদিস

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় মক্কায় থাকা অবস্থায় এই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহ ও তার রাসূল মদ ও মূর্তি এবং শুকর ও মৃত প্রাণী বিক্রি করা হারাম করেছেন।’ -সহীহ বুখারী হা. ২২৩৬

১০.হাদিস

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুস্থতার সময় তাঁর জনৈকা স্ত্রী একটি গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। গির্জাটির নাম ছিল মারিয়া। উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা ইতোপূর্বে হাবাশায় গিয়েছিলেন। তারা গির্জাটির কারুকাজ ও তাতে বিদ্যমান প্রতিকৃতিসমূহের কথা আলোচনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয্যা থেকে মাথা তুলে বললেন, ওই জাতির কোনো পুণ্যবান লোক যখন মারা যেত তখন তারা তার কবরের উপর ইবাদতখানা নির্মাণ করত এবং তাতে প্রতিকৃতি স্থাপন করত। এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।’-সহীহ বুখারী হা. ১৩৪১ সহীহ মুসলিম হা. ৫২৮ নাসায়ী হা. ৭০৪

১১.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ‘(ফতহে মক্কার সময়) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বায়তুল্লাহয় বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখলেন তখন তা মুছে ফেলার আদেশ দিলেন। প্রতিকৃতিগুলো মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করেননি।’ -সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫২

দৃষ্টান্তস্বরূপ এগারোটি হাদীস পেশ করা হল। আলোচিত প্রসঙ্গে ইসলামী বিধান বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কুরআন মজীদে যে এ আর ১৫ কে বলছি - কোনো ধরনের মূর্তির সংশ্রব ও সংশ্লিষ্টতা পরিহারের যে আদেশ মুমিনদেরকে করা হয়েছে সে সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণাও উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে জানা গেল।

কুরআন ও সুন্নাহর এই সুস্পষ্ট বিধানের কারণে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ইত্যাদি সকল বিষয়ের অবৈধতার উপর গোটা মুসলিম উম্মাহর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সুত্রঃ-
দেখুন : উমদাতুল কারী ১০/৩০৯; ফাতহুল বারী ১০/৪০১; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম : ৪/১৫৯ # কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কুরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে।

এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ-
===========================
প্রথম আয়াত

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰

‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০

এই আয়াতে পরিস্কারভাবে সবধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে. উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্ত্ত। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।

দ্বিতীয় আয়াত

অন্য আয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳

‘এবং তারা বলেছিল, তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে এবং কখনো পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ, সুওয়া, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে।’ -সূরা নূহ : ২৩

এখানে কাফের সম্প্রদায়ের দুটো বৈশিষ্ট্য উল্লেখিত হয়েছে : ১. মিথ্যা উপাস্যদের পরিত্যাগ না করা। ২. মূর্তি ও ভাস্কর্য পরিহার না করা। তাহলে মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার মতো ভাস্কর্যপ্রীতিও কুরআন মজীদে কাফেরদের বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত। অতএব এটা যে ইসলামে গর্হিত ও পরিত্যাজ্য তা তো বলাই বাহুল্য।

উপরের আয়াতে উল্লেখিত মূর্তিগুলো সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এগুলো হচ্ছে নূহ আ.-এর সম্প্রদায়ের কিছু পুণ্যবান লোকের নাম। তারা যখন মৃত্যুবরণ করেছে তখন শয়তান তাদের সম্প্রদায়কে এই কুমন্ত্রনা দিয়েছে যে, তাদের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে মূর্তি স্থাপন করা হোক এবং তাদের নামে সেগুলোকে নামকরণ করা হোক। লোকেরা এমনই করল। ওই প্রজন্ম যদিও এই সব মূর্তির পূজা করেনি কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকৃত বিষয় অস্পষ্ট হয়ে গেল এবং পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পূজায় লিপ্ত হল। -সহীহ বুখারী হাদীস : ৪৯২০

তৃতীয় আয়াত

কুরআন মজীদে মূর্তি ও ভাস্কর্যকে পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এক আয়াতে এসেছে-

رَبِّ اِنَّهُنَّ اَضْلَلْنَ كَثِیْرًا مِّنَ النَّاسِ ۚ

‘ইয়া রব, এরা (মূর্তি ও ভাস্কর্য) অসংখ্য মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে!’ -সূরা ইবরাহীম : ৩৬

অন্য আয়াতে এসেছে-

وَ قَالُوْا لَا تَذَرُنَّ اٰلِهَتَكُمْ وَ لَا تَذَرُنَّ وَدًّا وَّ لَا سُوَاعًا ۙ۬ وَّ لَا یَغُوْثَ وَ یَعُوْقَ وَ نَسْرًاۚ۝۲۳ وَ قَدْ اَضَلُّوْا كَثِیْرًا ۚ۬

‘আর তারা বলেছিল, তোমরা পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদের এবং পরিত্যাগ করো না ওয়াদ্দ সুওয়াকে, ইয়াগূছ, ইয়াঊক ও নাসরকে। অথচ এগুলো অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে।’ -সূরা নূহ : ২৩-২৪

কুরআন মজীদে একটি বস্ত্তকে ভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে চিহ্ণিত করা হবে এরপর ইসলামী শরীয়তে তা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য থাকবে-এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর কী হতে পারে।

চতুর্থ আয়াত

কুরআনের ভাষায় মূর্তি ও ভাস্কর্য হল বহুবিধ মিথ্যার উৎস। ইরশাদ হয়েছে-

اِنَّمَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ اَوْثَانًا وَّ تَخْلُقُوْنَ اِفْكًا ؕ

তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে উপাসনা কর (অসার) মূর্তির এবং তোমরা নির্মাণ কর ‘মিথ্যা’। -সূরা আনকাবুত : ১৭

মূর্তি ও ভাস্কর্য যেহেতু অসংখ্য মিথ্যার উদ্ভব ও বিকাশের উৎস তাই উপরের আয়াতে একে ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে যে, মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।

হাদীস শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মূর্তি ও ভাস্কর্য সম্পর্কে পরিষ্কার বিধান
===================================
১.হাদিস

হযরত আমর ইবনে আবাসা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে প্রেরণ করেছেন আত্মীয়তার সর্ম্পক বজায় রাখার, মূর্তিসমূহ ভেঙ্গে ফেলার, এবং এক আল্লাহর ইবাদত করার ও তাঁর সঙ্গে অন্য কোনো কিছুকে শরীক না করার বিধান দিয়ে। -সহীহ মুসলিম হা. ৮৩২

২.হাদিস

আবুল হাইয়াজ আসাদী বলেন, আলী ইবনে আবী তালেব রা. আমাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করব না, যে কাজের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রেরণ করেছিলেন? তা এই যে, তুমি সকল প্রাণীর মূর্তি বিলুপ্ত করবে এবং সকল সমাধি-সৌধ ভূমিসাৎ করে দিবে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে,… এবং সকল চিত্র মুছে ফেলবে।’ -সহীহ মুসলিম হা. ৯৬৯

৩.হাদিস

আলী ইবনে আবী তালেব রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে মদীনায় যাবে এবং যেখানেই কোনো প্রাণীর মূর্তি পাবে তা ভেঙ্গে ফেলবে, যেখানেই কোনো সমাধি-সৌধ পাবে তা ভূমিসাৎ করে দিবে এবং যেখানেই কোনো চিত্র পাবে তা মুছে দিবে?’ আলী রা. এই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্ত্তত হলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে কেউ পুনরায় উপরোক্ত কোনো কিছু তৈরী করতে প্রবৃত্ত হবে সে মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি নাযিলকৃত দ্বীনকে অস্বীকারকারী।’ -মুসনাদে আহমাদ হা. ৬৫৭

এই হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে যে, যে কোনো প্রাণী মূর্তিই ইসলামে পরিত্যাজ্য এবং তা বিলুপ্ত করাই হল ইসলামের বিধান। আর এগুলো নির্মাণ করা ইসলামকে অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্য।

৪.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

إِنَّ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْمُصَوِّرُوْنَ.

প্রতিকৃতি তৈরিকারী (ভাস্কর, চিত্রকর) শ্রেণী হল ওইসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদেরকে কিয়ামত-দিবসে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।’ -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫০

৫.হাদিস

আবু হুরায়রা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন-

إِنَّ أَصْحَابَ هَذِهِ الصُّوَرِ يُعَذَّبُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُقَالُ لَهُمْ : أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.

ওই লোকের চেয়ে বড় জালেম আর কে যে আমার সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করার ইচ্ছা করে। তাদের যদি সামর্থ্য থাকে তবে তারা সৃজন করুক একটি কণা এবং একটি শষ্য কিংবা একটি যব! -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৫৩

এই হাদীসটি বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, যখন ভাস্কর-চিত্রকর, এমনকি গল্পকার ও ঔপন্যাসিকদেরকে পর্যন্ত ‘স্রষ্টা’ বলতে এবং তাদের কর্মকান্ডকে ‘সৃষ্টি’ বলতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করা হয় না। কোনো কোনো আলোচকের আলোচনা থেকে এতটা ঔদ্ধত্যও প্রকাশিত হয় যে, যেন তারা সত্যি সত্যিই স্রষ্টার আসনে আসীন হয়ে গিয়েছেন!

সহীহ বুখারীর বিখ্যাত ভাষ্যকার হাফেয ইবনে হাজার আসকানী রাহ. লেখেন- এই ভাস্কর ও চিত্রকর সর্বাবস্থাতেই হারাম কাজের মধ্যে লিপ্ত। আর যে এমন কিছু নির্মাণ করে যার পূজা করা হয় তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আর যে স্রষ্টার সামঞ্জস্য গ্রহণের মানসিকতা পোষণ করে সে কাফের ।’

-ফতহুল বারী ১০/৩৯৭

৬.হাদিস

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذَهَبَ يَخْلُقُ خَلْقًا كَخَلْقِيْ؟ فَلْيَخْلُقُوْا ذَرَّةً وَلْيَخْلُقُوْا حَبَّةً أَوْ لِيَخْلُقُوْا شَعِيْرَةً.

এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) কিয়ামত-দিবসে আযাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা ‘সৃষ্টি’ করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার কর!’

-সহীহ বুখারী হা. ৭৫৫৭, ৭৫৫৮;

৭.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে কেউ দুনিয়াতে কোনো প্রতিকৃতি তৈরি করে কিয়ামত-দিবসে তাকে আদেশ করা হবে সে যেন তাতে প্রাণসঞ্চার করে অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।’ -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬৩

৮.হাদিস

আউন ইবনে আবু জুহাইফা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদ ভক্ষণকারী ও সুদ প্রদানকারী, উল্কি অঙ্কণকারী ও উল্কি গ্রহণকারী এবং প্রতিকৃতি প্রস্ত্ততকারীদের (ভাস্কর, চিত্রকরদের) উপর লানত করেছেন। -সহীহ বুখারী হা. ৫৯৬২

এই হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে,ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।

৯.হাদিস

হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের সময় মক্কায় থাকা অবস্থায় এই ঘোষণা দিয়েছেন যে, আল্লাহ ও তার রাসূল মদ ও মূর্তি এবং শুকর ও মৃত প্রাণী বিক্রি করা হারাম করেছেন।’ -সহীহ বুখারী হা. ২২৩৬

১০.হাদিস

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসুস্থতার সময় তাঁর জনৈকা স্ত্রী একটি গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। গির্জাটির নাম ছিল মারিয়া। উম্মে সালামা ও উম্মে হাবীবা ইতোপূর্বে হাবাশায় গিয়েছিলেন। তারা গির্জাটির কারুকাজ ও তাতে বিদ্যমান প্রতিকৃতিসমূহের কথা আলোচনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয্যা থেকে মাথা তুলে বললেন, ওই জাতির কোনো পুণ্যবান লোক যখন মারা যেত তখন তারা তার কবরের উপর ইবাদতখানা নির্মাণ করত এবং তাতে প্রতিকৃতি স্থাপন করত। এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।’-সহীহ বুখারী হা. ১৩৪১ সহীহ মুসলিম হা. ৫২৮ নাসায়ী হা. ৭০৪

১১.হাদিস

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ‘(ফতহে মক্কার সময়) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বায়তুল্লাহয় বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখলেন তখন তা মুছে ফেলার আদেশ দিলেন। প্রতিকৃতিগুলো মুছে ফেলার আগ পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করেননি।’ -সহীহ বুখারী হা. ৩৩৫২

দৃষ্টান্তস্বরূপ এগারোটি হাদীস পেশ করা হল। আলোচিত প্রসঙ্গে ইসলামী বিধান বোঝার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কুরআন মজীদে যে কোনো ধরনের মূর্তির সংশ্রব ও সংশ্লিষ্টতা পরিহারের যে আদেশ মুমিনদেরকে করা হয়েছে সে সম্পর্কে একটা বিস্তারিত ধারণাও উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে জানা গেল।

কুরআন ও সুন্নাহর এই সুস্পষ্ট বিধানের কারণে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ইত্যাদি সকল বিষয়ের অবৈধতার উপর গোটা মুসলিম উম্মাহর ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সুত্রঃ-
দেখুন : উমদাতুল কারী ১০/৩০৯; ফাতহুল বারী ১০/৪০১; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম : ৪/১৫৯ #

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: অনেক ভালো লাগল

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ফটো তুলা পাপ। ফেসবুকে প্রোফাইলে কালিমা লাগান

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এই যে এখানেও মূর্তিওয়ালা কুরআন অনলি বড় আল্লামার অাবির্ভাব ঘটে গেছে।

তোমরা সবাই মিছিল কর। স্বাগত জানাও।

এই এ আর ১৫ কিন্তু বর্তমান জমানার সবচে' বড় মূর্তি বিশারদ! খবরদার, কেউ এই মূর্তিওয়ালা মহামান্যে অমান্যের প্রচেষ্টা করবেন না যেন!!!

উনারে খালি সালাম কর। খালি সালাম।

ডানে বামে স্বপ্নে জাগরনে হ্যায় খালি মূর্তি আর ভাস্কর্য দ্যাহে।

পাগলের প্রলাপ বকার মত কতক্ষন বকবক করে মূর্তির বন্দনা করাই হ্যায় সওয়াবের কাজ মনে করে।

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। +

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, স্বাগত জানাই আপনার ভালো লাগাকে।
কিন্তু দেখতেই তো পাচ্ছেন দিনের আলোতে চামচিকা, পেঁচা এরা কষ্টে আছে।

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা হজ্জের ৩০তম আয়াতের এই অনুবাদ আপনি কোথায় পেয়েছেন এবং একটা ভুল অনুবাদ :::::::
‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০
২২---৩০
Sahih International: That [has been commanded], and whoever honors the sacred ordinances of Allah - it is best for him in the sight of his Lord. And permitted to you are the grazing livestock, except what is recited to you. So avoid the uncleanliness of idols and avoid false statement,

Pickthall: That (is the command). And whoso magnifieth the sacred things of Allah, it will be well for him in the sight of his Lord. The cattle are lawful unto you save that which hath been told you. So shun the filth of idols, and shun lying speech,

Yusuf Ali: Such (is the Pilgrimage): whoever honours the sacred rites of Allah, for him it is good in the Sight of his Lord. Lawful to you (for food in Pilgrimage) are cattle, except those mentioned to you (as exception): but shun the abomination of idols, and shun the word that is false,-

Shakir: That (shall be so); and whoever respects the sacred ordinances of Allah, it is better for him with his Lord; and the cattle are made lawful for you, except that which is recited to you, therefore avoid the uncleanness of the idols and avoid false words,

Muhammad Sarwar: Such are the regulations of hajj. To respect the prohibitions of God is a virtuous deed in the sight of one's Lord. Consuming the flesh of certain animals is made lawful for you. Stay away from wickedness, idols, and false words.

Mohsin Khan: That (Manasik prescribed duties of Hajj is the obligation that mankind owes to Allah), and whoever honours the sacred things of Allah, then that is better for him with his Lord. The cattle are lawful to you, except those (that will be) mentioned to you (as exceptions). So shun the abomination (worshipping) of idol, and shun lying speech (false statements)

Arberry: All that; and whosoever venerates the sacred things of God, it shall be better for him with his Lord. And permitted to you are the flocks, except that which is recited to you. And eschew the abomination of idols, and eschew the speaking of falsehood,

বাংলা :::::: সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক;
============================
মুর্তির অপবিত্রতা কাহাকে বলে ????? মহসিন খানের অনুবাদে ব্রাকেটের মধ্য লিখেছেন ( ওরসিপিং বা আরাধনা বা পুজা ) যদি ও এটা কোরানের অংশ নহে ওনার মতামত কিন্তু সঠিক মতামত । কোরানে কোন উদাহরন নেই আল্লাহ তালা পুজাবিহীন মুর্তিকে হারাম বলোছেন যদি বলতেন তাহোলে সুরা সাবার ১৩ নং আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যেত । কোরানের মধ্য কেউ স্ববিরুধীতা প্রমাণ করতে পারবে না ।
“তারা সোলায়মানের (আ.) ইচ্ছানুযায়ী দূর্গ, মূর্তি, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত।” (সুরা সাবা, আয়াত ১৩)
আপনি যেই হাদিস গুলো দিয়েছেন সেগুলো মানতে গেলে বড়ই মসিব্বত হবে সেটা কি হবে আমি পরে দেখাচ্ছি । আল্লাহ শুধু মুর্তকে না যে কোন জিনিসকে পুজা করা হারাম বলেছেন কিন্তু পুজাবিহিন ঐ সমস্ত এনটিটিকে হারাম বলেন নি কারন তিনি জানেন পুজা বিহিন পুজার আইকলকে হারাম বল্লে অনেক কিছু হারাম হয়ে যাবে । তাই আপনি যদি ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস দিয়ে পুজাহিন মুর্তি হারাম করতে চান তাহোলে আবশ্যই নিচের কাজ গুলো করা আপনার ঈমাণী দায়িত্ব ,,,
১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ।
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!
সুতরাং ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস মানতে গেলে কি হয় দেখতে পাচ্ছেন । আল্লাহ সব জানেন তাই তিনি কোরানের আয়াতে বোলেছেন মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে পুজা করা হারাম । পুজা বিহিন ভাস্কর্য বা মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে হারাম বলেন নি ।

আমাদের রসুল [সা:] মক্কা বিজয়ের পর কাবা শরিফের ভিতরে অবস্তিত মুর্তি ছাড়া কোন মুর্তি ভাঙ্গার ইতিহাস নেই এবং আপনি যে হাদিস গুলোতে রসুল [সা:] কর্তৃক মুর্তি ভাঙ্গার আদেশের কথা বোলেছেন তার জীবদশায় এমন কোন ঘটনাতো কেউ ঘটায় নি ।
এবার আসা যাক মুর্ত ভাঙ্গার প্রসঙ্গে --- ইসলামের ইতিহাসে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে মুর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল এবং এর থেকে কি ধারনা আমরা পাই -----
=======যাই হোক, প্রতিমা ভাংচুর করা মোল্লারা নিজেদের কুকর্ম জায়েজ করতে দুইটা উদাহরণ ব্যবহার করে। প্রথমটা হচ্ছে নবীজির মক্কা বিজয়ের ঘটনা। দ্বিতীয়টি, কুরআনে বর্ণিত হজরত ইব্রাহিমের ঘটনা - যেখানে তিনি প্রতিমা ভেঙ্গে বলেছিলেন "যে নিজেকেই নিজে রক্ষা করতে পারেনা, তার উপাসনা করবো কেন?"
প্রথম কথা হচ্ছে, ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর কাছে বিশেষ একজন নবী। তাঁকে দিয়ে তিনি এমন সব পরীক্ষা নিয়েছেন যা অন্য কাউকে দিয়ে নেননি। অন্য কোন নবী বা রাসুলের কিন্তু প্রতিমা ভাঙ্গার রেকর্ড নেই।
মূর্তি ভাঙ্গা যদি তাঁর সুন্নত হয়ে থাকে, তবে আমাদের নবীজি সেটা বহু আগেই পালন করতেন। কারন ইব্রাহিম (আঃ) কৈশোরে এই কাজ করেছিলেন, এবং কৈশোর কিংবা যৌবন বা নব্যুয়াতি লাভের পরেও তেরোটি দীর্ঘ বছর কাবা ঘরের এক্সেস আমাদের নবীজির (সঃ) পরিবারের হাতেই ছিল। তিনি কেবল বলেছিলেন, "তোমরা মূর্তি পূজা করোনা।"
বলেননি, "ঘরে ঘরে ঢুকে অন্যের পূজার মূর্তি ভেঙ্গে ফেল।"
তাহলে তিনি কাবা ঘর জয় করার পর মূর্তি ভাঙ্গলেন কেন?
বিষয়টা খুবই গভীর, তবে বুঝা খুবই সহজ।
কাবা ঘর প্রথম থেকেই মুসলিমদের জন্য "মসজিদ" ছিল, সেই ইব্রাহিমের (আঃ) সময় থেকেই। মুশরিকরা এর দখল নিয়ে একে দেবদেবীর মূর্তিতে ভরে ফেলে। কাজেই এটি পুনরুদ্ধারের পর সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এর মানে হচ্ছে, তুমি কেবল তখনই দেব দেবীর মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে, যখন কেউ কোন মসজিদ দখল করে সেটাকে মন্দির বানাবে, এবং তুমি আবার সেটাকে পুনরুদ্ধার করে মসজিদ বানাবে।
যুক্তির স্বপক্ষে প্রমান লাগবে? খলিফা আবু বকর, উমার, উসমান, আলীর (রাঃ) সময়ে একের পর এক বিধর্মী সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল, কিন্তু একটিও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। উমারের (রাঃ) সময়েতো মুসলিম সাম্রাজ্য পাকিস্তান পর্যন্ত এসে ঠেকেছিল, পার্সি অঞ্চলে জোরাস্ট্রিয়ান মন্দির ছিল, হিন্দুদের মন্দিরও ছিল, গির্জা আর সিনেগগতো ছিলই। একটিও উপাসনালয় ভাঙ্গার রেকর্ড নেই। উমারতো (রাঃ) জেরুসালেমের ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বলেইছিলেন, "আমাদের উপাসনায় তোমরা বাঁধা দিওনা, তোমাদের উপাসনায় কেউ বাঁধা দিলে আমাকে এসে বলবে, আমি ন্যায় বিচার করবো।"
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জেরুসালেমের অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা বরং ইহুদিদের উপাসনায় বাঁধা দিত; এক শাখার খ্রিষ্টান আবার আরেক শাখার খ্রিষ্টানকেও উপাসনা করতে দিত না। উমারই (রাঃ) ওদের প্রথম অধিকার দেন প্রকাশ্যে নিজ নিজ ধর্মচর্চার।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: তাই আপনি যদি ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস দিয়ে পুজাহিন মুর্তি হারাম করতে চান তাহোলে আবশ্যই নিচের কাজ গুলো করা আপনার ঈমাণী দায়িত্ব ,,,
আপনার তো হাদিসের উপর বিশ্বাসই নেই। অনাবশ্যক বক বক করে লাভ কি। হাদিসের উপর যার আস্থা নেই তার ইসলামী বিধিবিধান মেনে চলা কিভাবে?

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পরিপুর্ন ইসলাম চাইলে প্রচলিত সভ্যতার অধিকাংশই হারাম।

চারুকলা, (মুর্তি ভাষ্কর্য, চিত্রঅংকন, ছবি, ফটো)
ছবিযুক্ত ডিভাইস (মোবাইল, টিভি,গেমিং কনসল)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুলকলেজ
প্রচলিত অর্থনীতি, ব্যাংকিং
সংগিত
কবিতা
এই সবকিছুই হারাম।

সত্যিকার ইসলাম মানতে হলে কবিতা লেখার অপরাধে এই লেখকের শীরচ্ছেদ আগে দরকার।

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পরিপুর্ন ইসলাম চাইলে প্রচলিত সভ্যতার অধিকাংশই হারাম।

চারুকলা, (মুর্তি ভাষ্কর্য, চিত্রঅংকন, ছবি, ফটো)
ছবিযুক্ত ডিভাইস (মোবাইল, টিভি,গেমিং কনসল)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুলকলেজ
প্রচলিত অর্থনীতি, ব্যাংকিং
সংগিত
কবিতা
এই সবকিছুই হারাম।

সত্যিকার ইসলাম মানতে হলে কবিতা লেখার অপরাধে এই লেখকের শীরচ্ছেদ আগে দরকার।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
পোলাও একটা খানা, পায়খানাও এক প্রকার খানা। পোলাও মানুষ এবং কুকুর উভয়েই খায় কিন্তু পায়খানা( মল ) খায় কুকুরে। কুকুরে পোলাও খায় বিধায় মানুষ পোলাও খাওয়ার অপরাধে মৃত্যু দণ্ড হবে, আপনার মতো এমন ফিতনা বাজ মুফতি থাকলে দেশে দেশে পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজন হতো না।
শেখ সাদি রহঃ, রুমি রহঃ এদের যুগে আপনি থাকলে আমরা তাঁদেরকে জানার সুযোগই হতো না।
আর আপনার সত্যিকারের ইসলাম মানার প্রোফাইলটা পাঠিয়ে দিন।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



@কালবৈশাখী,
অনেক দিন কথা হয় না। আমাদের মতপার্থক্য থাকতেই পারে, শ্রদ্ধা তো হারিয়ে যাওয়ার নয়।
কেমন আছেন?

তা, সত্যিকার ইসলাম মানতে হলে কবিতা লেখার অপরাধে এই লেখকের শীরচ্ছেদ আগে দরকার। ফতোয়াখানা যে দিলেন, কবিতা লেখার অপরাধে শিরোচ্ছেদ করার এই ফতোয়া আপনি পেলেন কোথায়?

কবিতা নিয়ে স্বয়ং কুরআনে পাকে আলোচনা এসেছে, আলোচিত হয়েছেন কবিগনও।

রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক সাহাবী কবি ছিলেন। তারা কবিতা লিখতেন। সে কবিতা এখনও বর্তমান। কিন্তু তাদের কবিতা তথাকিথিত কবি নামের নষ্টদের মত যৌনতা সর্বস্ব নারী রূপ লাবন্য বর্ননা আর ফালতু জিনিষ নিয়ে ছিল না। বরং তাদের কবিতা ছিল মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য উদ্দেশ্য অনুধাবনে সহায়ক, স্রষ্টার প্রশংসা স্তুতি, তাঁর রাসূলের প্রচারিত সত্য দ্বীনের যশগাঁথা প্রকাশের অনুপম শৈল্পিক ছোঁয়ায় আকীর্ন।

সুতরাং ইসলাম কবিতাকে নিষিদ্ধ করে নি। দয়া করে যদি ট্রাই করেন, অবশ্যই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নতুন নকিব সাহসী ভূমিকায় পাশে থাকার জন্য।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

এ আর ১৫ বলেছেন:
আপনার তো হাদিসের উপর বিশ্বাসই নেই। অনাবশ্যক বক বক করে লাভ কি। হাদিসের উপর যার আস্থা নেই তার ইসলামী বিধিবিধান মেনে চলা কিভাবে?
শুনুন কোরান সম্মত হাদিস ছাড়া অন্য কোন বা কোরানের সাথে সংঘর্সিক কোন হাদিস আমি মানি না । যে হাদিস কোরানের সাথে মিলে না সেই হাদিস কি কারনে মানেন ???? আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু হাদিস মানি মার্কা পাবলিকে দুনিয়া ভরে গেল !!!!!
পুজা বিহীন মুর্তি যে হারাম নহে তার প্রমাণ সুরা সাবা আয়াত ১২ এবং ১৩ । কোরানের কোন আয়াতে পুজা বিহীন পুজার আইডলে কে হারাম বলে নি এবং না বলা টাই প্রমাণ করে কোরান আল্লাহর বাণী কারন আল্লাহ জানে পুজাবিহীন এনটিটিকে হারাম বল্লে চাদ সুর্য গ্রহ তারা গরু আগুন পুরুশাঙ্গ সব কিছুকে হারাম করতে হবে । ওকে আপনি কোরানে আয়াত মানে না ( যেমন সুরা সাবার ১২ ও ১৩ নাম্বার আয়াত ) মানে ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস তাহোলে এখন নিচের বিষয় গুলো পালন করা আপনার ঈমানী দায়িত্ব শুধু মুর্তি নহে , নিচের সব পয়েন্ট গুলো আপনার ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিসে দিক নির্দেশনা অনুযায়ি পালন করতে হবে ।
১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ।
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!

আল্লাহ বার বার কোন এনটিটিকে পুজা করতে মানা করেছেন কিন্তু পুজা না করলে ঐ সমস্ত এনটিটি গুলকে হারাম বলেন নি এবং পুজা বিহীন এনটিটি যে হারাম নহে তার দিক নির্দেশনা সুরা সাবার ১৩ নং আয়াতে দিয়ে গেছেন এখন আপনি কোরানে দিক নির্দেশনা বিরুধী ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস দিয়ে পুজাবিহীন মুর্তি হারামের ফতুয়া নিয়ে আসছেন । শুধু পুজাবিহিন মুর্তি কেন আপনার জন্য চন্দ্র সুর্য তারা আগুন পুরুশাঙ্গ সব কিছু হারাম এখন ।
আল্লাহর কোরানে কোন দুর্বলতা নেই এখন কি প্রমাণ পেয়েছেন ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিসের দুর্বলতা ।
জী আমি হাদিস মানি কোরান সম্মত হাদিস আপনার মত কোরান বিরুধী হাদিস মানি না ।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



@শাহজালাল হাওলাদার,
কাকে কি বলছেন! ব্যাঙরে পানিতে না নামতে নসিহত করছেন!!

দয়া করে মনযোগ দিয়ে ১২ নং কমেন্টটি দেখুন। এই কথা এমনি এমনি বলা হয় নি। অনেক দেখে, অনেক ঘেঁটে তারপরেই বলতে বাধ্য হয়েছি। এগুলো পুরোই হাওয়ার উপ্রে দিয়ে চলে। এই মহান ব্যক্তি সাহাবীদের কঠোর সমালোচক। হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সহ অনেক সাহাবীর নামে মিথ্যাচারের অনন্ত অভিযোগ তুলেছেন এই মান্যবর। আর এসবের পক্ষে বস্তা বস্তা দলিল ফলিলও বানিয়েছেন কোত্থেকে যেন। সব মিথ্যাচার। মিথ্যাচারের অন্তহীন প্রলাপে জড়িয়ে লাভ নেই। তারচে' বরং সময়কে কাজে লাগাই।

ভাল থাকবেন।

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মেনে নিলাম।

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব
আপনি কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন , আপনার ছেচড়ার মত আচরনকে এত দিন ইগনোর করেছি এবার আপনার কিছু ট্রিটমেন্ট করছি

১] প্রমাণ করেন কোন দিন কোন পোষ্টে আমি দাবি করেছি বা বোলেছে মুর্তি পুজা ইসলামে জায়েজ ????? আমার ব্লগ খোলা আছে এবং মুর্তি বিষয়ক বিতর্ক আপনার সাথে অন্য ব্লগে হয়েছে এবং আমি চেইলেও ডিলিট বা এডিট করতে পারবো না , সুতরাং প্রমাণ দেখান লিংক রেফারেন্স সহ কোথায় আমি বোলেছি মুর্তি পুজা জায়েজ ।
২) আমি নাকি কোরান ওনলি ====== আপনার মতে আমি শুধু কোরান ছাড়া কিছু মানি না তারপর বলেন মুর্তিবাদি , এবার বলেন একজন মুর্তি পুজারী কি করে কোরান অনলি হয় , তার মানি তো আপনি বোলতে চান মুর্তি পুজা করার কথা কোরানে লিখা আছে [নাউযুবিল্লাহ] এবং আমি যেহেতু কোরান শুধু মানি তাই কোরানের নির্দেশ অনুযায়ি মুর্তি পুজা করি [ নাউযুবিল্লাহ] সেই কারনে আমি মুর্তিবাদি কোরান ওনলি ।
আমি কেন শুধু কোরান সম্মত হাদিস মানি কোরান বিরুধী হাদিস মানি না সেটা আমার মহা অপরাধ হয়ে গেছে । আপনার তো কোরান বিরুধী হাদিস মানা ঈমানের অংগ মনে করেন তাই আপনার হইলেন আল্লাহ মানি কোরান মানি না কিন্তু মানি সম্প্রদায়ের লোক কার্দিয়ানিদের মত ।
যেই কার্দিয়ানি বাবাজীর সাথে আপনার কয়েক জন গালাগালি ছাড়া কিছুই করতে পারেন না্ই সেই কার্দিয়ানিকে ভদ্র ভাষায় দলিল দস্তাগেজ দিয়ে নাজেহাল করার পর তিনি সেই বিতর্কের সব কমেন্ট ডিলিট করে দিয়েছে --- যেটা আপনারা পারেন নাই ---
হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সহ অনেক সাহাবীর নামে মিথ্যাচারের অনন্ত অভিযোগ তুলেছেন এই মান্যবর
আবু হুরাইরা [রা:] নাম নিয়ে প্রকাশ করা হাদিস যদি কোরানের সাথে সাংঘর্সিক হয় আর তখন সে হাদিসটা নামানা হোলে বুঝি আবু হুরাইরা [রা:] নামে বদনাম করা হয় ?? আমি যদি বলি আবু হুরাইরা [রা:] ঐ কথা বলেন নি বরং ওনার নাম ব্যবহার করে কোরান বিরুধী হাদিস মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চালান হয়েছে তাতে কি কোন ভুল হবে ??? এইটা বুঝি কারো নামে মিথ্যাচার ,
ওনার কিছু হাদিসের গরমিল গুলো কি আমি আবিষ্কার করেছি নাকি লিংক রেফারেন্স দিয়েছি ???
সব মিথ্যাচার। মিথ্যাচারের অন্তহীন প্রলাপে জড়িয়ে লাভ নেই।
আপনার আর কার্দিয়ানির মধ্য পার্থক্য কি ?? কোনটা মিথ্যা চার সেটা প্রমাণ না দিয়ে ঢালাও ভাবে বলাটা যে মু্র্খতা সেটা বোধ হয় জানা নেই ????

এবার এই ব্লগে আমি যে সমস্ত যুক্তি এবং কোরানের আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছি সেগুলো ভুল প্রমাণ করেন ? বরং এই ব্লগার সুরা হজ্জের ৩০ তম আয়াতের ভুল অনুবাদ দিয়ে বলতে চেয়েছেন পুজাবিহিন মুর্তি হারাম অতচ সেখানে বলা হয়েছে মুর্তির অপবিত্রতা থেকে দুরে থাকতে যার অর্থ হোল মুর্তির আরাধনা থেকে দুরে থাকতে । আমি সুরা সাবার ১৩ তম আয়াত দিয়ে দেখিয়েছি নবী সোলায়মান [আ:] এর ইচ্ছায় নগর জুরে মুর্তি ফোয়ারা ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছিল ------ আপনি বোলতে চান এটা মিথ্যাচার ।
এবার যে সমস্ত হাদিস দিয়ে প্রমাণ করতে চান যে পুজাবিহীন মুর্তি হারাম এবং সেই হাদিসের দিক নির্দেশনা ব্যবহার কোরলে সুর্য তারা চাদ আগুন গরু পুরুশাঙ্গ সহ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায় সেটা একটা ভুল এসেসমেন্ট ??? --- হ্যা সেটা প্রমাণ করেন !!!! এই হাদিস গুলো যে সুরা সাবার ১৩ নং আয়াতের সাথে সাংঘর্সিক যেটা আমি বোলেছি সেটা ভুল প্রমাণ করেন।
উনি হাদিস দিয়ে দেখিয়েছেন ( যেটা রসুলে [সা:] নামে মিথ্যাচার -- উনি নাকি বোলেছেন মদিনায় মক্কায় যেখানে মুর্তি দেখবে তা ধংস করে দাও ---- কিন্তু মক্কার কাবা ঘর দখলের পর কারা ভিতরের মুর্তি ছাড়া তো তার সময়ে মুর্তি ভাঙ্গার কোন নজির দেখি নাই । যদি এমন কথা যেটা হাদিসে আছে সেটা যদি সত্য হোত তাহোলে মক্কা মদিনা সহ যেখানে মুসলমানরা জয়ী হয়েছিল সেখান করা একটা মুর্তি ও তো থাকার কথা না .. এইটা যে ঠিক নহে, তার প্রমাণ আমার দ্বিতীয় কমেন্টেই দিয়েছি --------------------------------
এবার আসা যাক মুর্ত ভাঙ্গার প্রসঙ্গে --- ইসলামের ইতিহাসে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে মুর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল এবং এর থেকে কি ধারনা আমরা পাই -----
=======যাই হোক, প্রতিমা ভাংচুর করা মোল্লারা নিজেদের কুকর্ম জায়েজ করতে দুইটা উদাহরণ ব্যবহার করে। প্রথমটা হচ্ছে নবীজির মক্কা বিজয়ের ঘটনা। দ্বিতীয়টি, কুরআনে বর্ণিত হজরত ইব্রাহিমের ঘটনা - যেখানে তিনি প্রতিমা ভেঙ্গে বলেছিলেন "যে নিজেকেই নিজে রক্ষা করতে পারেনা, তার উপাসনা করবো কেন?"
প্রথম কথা হচ্ছে, ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর কাছে বিশেষ একজন নবী। তাঁকে দিয়ে তিনি এমন সব পরীক্ষা নিয়েছেন যা অন্য কাউকে দিয়ে নেননি। অন্য কোন নবী বা রাসুলের কিন্তু প্রতিমা ভাঙ্গার রেকর্ড নেই।
মূর্তি ভাঙ্গা যদি তাঁর সুন্নত হয়ে থাকে, তবে আমাদের নবীজি সেটা বহু আগেই পালন করতেন। কারন ইব্রাহিম (আঃ) কৈশোরে এই কাজ করেছিলেন, এবং কৈশোর কিংবা যৌবন বা নব্যুয়াতি লাভের পরেও তেরোটি দীর্ঘ বছর কাবা ঘরের এক্সেস আমাদের নবীজির (সঃ) পরিবারের হাতেই ছিল। তিনি কেবল বলেছিলেন, "তোমরা মূর্তি পূজা করোনা।"
বলেননি, "ঘরে ঘরে ঢুকে অন্যের পূজার মূর্তি ভেঙ্গে ফেল।"
তাহলে তিনি কাবা ঘর জয় করার পর মূর্তি ভাঙ্গলেন কেন?
বিষয়টা খুবই গভীর, তবে বুঝা খুবই সহজ।
কাবা ঘর প্রথম থেকেই মুসলিমদের জন্য "মসজিদ" ছিল, সেই ইব্রাহিমের (আঃ) সময় থেকেই। মুশরিকরা এর দখল নিয়ে একে দেবদেবীর মূর্তিতে ভরে ফেলে। কাজেই এটি পুনরুদ্ধারের পর সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এর মানে হচ্ছে, তুমি কেবল তখনই দেব দেবীর মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে, যখন কেউ কোন মসজিদ দখল করে সেটাকে মন্দির বানাবে, এবং তুমি আবার সেটাকে পুনরুদ্ধার করে মসজিদ বানাবে।
যুক্তির স্বপক্ষে প্রমান লাগবে? খলিফা আবু বকর, উমার, উসমান, আলীর (রাঃ) সময়ে একের পর এক বিধর্মী সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল, কিন্তু একটিও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। উমারের (রাঃ) সময়েতো মুসলিম সাম্রাজ্য পাকিস্তান পর্যন্ত এসে ঠেকেছিল, পার্সি অঞ্চলে জোরাস্ট্রিয়ান মন্দির ছিল, হিন্দুদের মন্দিরও ছিল, গির্জা আর সিনেগগতো ছিলই। একটিও উপাসনালয় ভাঙ্গার রেকর্ড নেই। উমারতো (রাঃ) জেরুসালেমের ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বলেইছিলেন, "আমাদের উপাসনায় তোমরা বাঁধা দিওনা, তোমাদের উপাসনায় কেউ বাঁধা দিলে আমাকে এসে বলবে, আমি ন্যায় বিচার করবো।"
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জেরুসালেমের অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা বরং ইহুদিদের উপাসনায় বাঁধা দিত; এক শাখার খ্রিষ্টান আবার আরেক শাখার খ্রিষ্টানকেও উপাসনা করতে দিত না। উমারই (রাঃ) ওদের প্রথম অধিকার দেন প্রকাশ্যে নিজ নিজ ধর্মচর্চার।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় এ আর ১৫,
মাফ করবেন ভাই। ভাস্কর্য ফাস্কর্য ইত্যাকার নামে আপনার মূর্তিপ্রিয়তা আমাদের বিস্মিত করে! আমাদের ভাবিয়ে তোলে!! আমরা আশ্চর্য হই!!!

মদের নাম পাল্টালে, বোতলের গায়ের মোড়ক চেঞ্জ করলেই কি তা হালাল হয়ে যায়????

আপনি লিখতে থাকুন। আপনার মতামত আপনি প্রকাশ করুন। ইচ্ছে করলে আরও আরও অপব্যাখ্যা বের করুন কুরআন হাদিসের। আর যদি নিতান্ত দরকার পরে, আগেই তো অনুরোধ করেছি- মূর্তি কয়েকটা গিট্টু দিয়া পিঠের উপরে ঝুলাইয়া লন। চ্যাচাইয়া লাভ নেই, আপনার মত প্রকাশের অধিকার এবং স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাসী, তবে, কুরআন হাদিসের পন্ডিত সেজে এসবের যাচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দিবেন, মূর্তির এডভার্টাইজমেন্ট চালাবেন, আবার দলিলের নামে বস্তা বস্তা অসাড় জিনিষরে খাড়া কইরা ধরবেন, অাবার বলবেন- দলিল আমি বানাইনি, আমি শুধু লিঙ্ক দিয়েছি-- এগুলো আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টকর।


তবে, আপনার সদয় বিবেচনার জন্য সংক্ষেপে বলছি-

আপনাকে ইতিপূর্বে হাদিস বলেছিলাম- ''বুয়িসতু লিকছরিল আছনাম"। আজকে আবারও মনে করিয়ে দিলাম।

১. দেখুন, আপনি ভাস্কর্য নামে মূর্তি থেকে তওবা করা যায় কি না। শিরক বিদআত মুক্ত খাঁটি তাওহীদের পরিচ্ছন্ন একটি চিত্র একটু কল্পনায় আনা যায় কি না দেখুন তো!
২. লিঙ্ক দেন আর ফিঙ্ক দেন, সাহাবীদের ভুল না খুঁজে নিজের দিকে তাকানো প্রয়োজন কি না দয়া করে ভাবুন। যে লিঙ্ক এর বক্তব্যের সাথে আপনি একমত নন, সে লিঙ্ক রেফারেন্স দিয়ে দলিল দিচ্ছেন কেন?
৩. আর- ''তিনশো বছর/ ছয়শো বছর পরে হাদিস সংকলন করা হয়েছে- সুতরাং এগুলোর সহীহ হওয়ার ব্যাপারে কিভাবে নিশ্চিত হই আর কেমনেই বা এর উপর আমল করি!'' -অজ্ঞ সংশয়বাদীদের মত এইসব ফালতু প্যাঁচাল বাদ দেয়া যায় কি না ভেবে দেখতেন যদি তাহলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পেতাম।

আপনি ভ্যাজাল ছেড়ে দিলে আমরাও আপনার সাথে থাকব। ক্যাঁচালের পথে যেতে চাইলে, লম্বা লম্বা দলিলের নামে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা আবোল তাবোল গেলানোর ইচ্ছে থাকলে, আবারও মাফ চাই- আমাদের সময় হিসেব করা। দয়া করে কাজ করতে দিন। আমরা অনর্থক তর্ক করতে চাই না। ভাল থাকুন।

আবারও বিনয়ের সাথে জানিয়ে যাচ্ছি- আপনি রাগ করেন অথবা খুশি হন, গালি দেন আর যাই বলেন, আপনার লম্বা কথার উত্তর হয়তো সেভাবে দিতে পারবো না।

অাল্লাহুম্মাহদিনা অহদি বিনা অহদিন্নাসি আজমাঈন।

২৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



এ আর ১৫,
ভুল কত ধরবো? প্রথম থেকে দেখে আসছি আপনার বানান ভুল, শব্দ ভুল, বাক্য ভুল। ভুল ধরতে গেলে আপনার লেখা পড়ার যোগ্যতা হারায়। আগেও বলেছি। আপনি ভ্রুক্ষেপ করেন নি।

শব্দটা 'কাদিয়ানী'। আপনাকে দেখছি বারবার আপনি 'কার্দিয়ানী' বলছেন। বানান টানানের দিকে আরেকটু নজর দিলে ভাল হত।

আর কাদিয়ানীদের আপনি মুরিদ করে ফেলেছেন না কি যেন করেছেন বললেন! ওরে বাপরে বাপ!! কয় কি কাদিয়ানীরাও নাকি হ্যারে হুজুর কয়!!! মিথ্যাচারের আর জায়গা পান না, না!!! আপনি কাদিয়ানী ভন্ডদের চিনেন? যার জন্য যা প্রযোজ্য তাকে তাই দেয়া উচিৎ।

এজন্যই গু খোর গাধাদের টেবিল চেয়ারে বসিয়ে শিষ্টাচারের তা'লিম দেয়া বৃথা। ময়লা গুয়ের থেকে এদের মুখ সরাতে পশ্চাদ্দেশে কষে লাত্থি এগুলোর জন্য যথেষ্ট কাজে দেয়।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ভাই নতুন নকিব,
কিছু মানুষ আছে জ্ঞান পাপী, শিক্ষিত শয়তান, আমার মনে হয় এ আর ১৫ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে জ্ঞান পাপী, শিক্ষিত শয়তান, আমার মনে হয় এ আর ১৫ সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

আকাশের দিকে থু্তু মারলে নিজের মুখে এসে পড়ে । নিজে যে আল্লাহ মানি কোরান মানিনা কিন্তু হাদিস মানি মার্কা সম্প্রদায়ের লোক যারা কোরান হাদিসের ভুল ব্যাখা দিয়ে চলে সারা জীবন । আমি যে উদাহরন গুলো দিয়েছি কোথায় সেটা ভুল সেটা দেখিয়ে না দিয়ে কারে কি কন !!!!
শিক্ষিত শয়তান তো আপনারা ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ি , আপনারে সুরা সাবার ১৩ তম আয়াতের উদাহরন দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখা কি ?? আপনি সুরা হজ্জের ভুল অনুবাদ দিয়েছেন সেই কারনে আপনি ফেরেশতা ঠিক অনুবাদ এনে দেওয়ার জন্য আমি শয়তান , রসুল [সা:] সময় মুর্ত ভাঙ্গা হয় কাবা শরিফ দখল করার পর কিন্তু আপনি মিথ্যা হাদিস নবী রসুলের [সা:] নামে দিয়েছেন --- রসুল [সা:] নাকি বোলেছেন মদিনা মক্কায় যেখানে মুর্তি দেখবে সে গুলো ধংস কর কিন্তু কাবা শরিফের ভিতরের গুলো ছাড়া আমরা মুর্তি ধংস করার কোন নজির পাই না । আপনিই হয়েছেন প্রতারক মিথ্যাবাদি শয়তান আপনি হাদিসের আমল যখন কোরবেন তখন আজ থেকে আপনার নিকট মুর্তি হারাম, সুর্য হারাম, চাদ হারাম ,আগুন হারাম, যৌনাঙ্গ হারাম কারন ঐ সমস্ত কিছুকে পুজা করা হয় ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: জনাব, আপনার সাথে আমার মোটেই শত্রুতা নেই, যা কিছুই বলছি ইসলামের স্বার্থে।
আপনি বলেছেন- আপনিই হয়েছেন প্রতারক মিথ্যাবাদি শয়তান আপনি হাদিসের আমল যখন কোরবেন তখন আজ থেকে আপনার নিকট মুর্তি হারাম, সুর্য হারাম, চাদ হারাম ,আগুন হারাম, যৌনাঙ্গ হারাম কারন ঐ সমস্ত কিছুকে পুজা করা হয়।
আপনার সাথে চাইলে এগুলোর বিপরীতে অনেক যুক্তি তর্ক করা সম্ভব।
আসলে এত কমেন্টস চালাচালির মতো সময় নেই, একটা কথাই বলতে চাই আমাদেরকে অবশ্যই শেষ নিঃশ্বাস ত্যগ করতে হবে। সুতারং বেশি পণ্ডিত বনে না গিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমাদেরকে আমল করা উচিত। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



রাইট। বিপথগামী চিক্কিত। আমারও তাই মনে হয়। আরেকটি সন্দেহকেও একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যায় না- হতে পারে নাট বোল্ট লুজ হয়ে যাওয়া এক কালের কোন ভাল ইঞ্জিন এটা। মানে, চলতি কথায় যাকে বলা হয়, 'তারছেঁড়া'।

আমার 'ফিলিস্তিন' নিয়ে দেয়া পোস্টটিতে আপনার উপস্থিতি দেখেছি। ভাল লেগেছে। ফেতনাবাজ কাদিয়ানীটারে কিছু উপদেশ দিয়েছেন, দেখলাম। কিন্তু এইগুলো কি উপদেশ নসিহত ভাল কথা গ্রহনের পর্যায়ে আর আছে? এই ভন্ড কাদিয়ানী অহির দাবিদারের মিথ্যাচারী উম্মতদের সাথে আমাদের কথা বলার রুচি হয় না।

যাক, আপনার ধৈর্য আছে। দ্যাখেন। সময় থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। অন্তত: একটা বিপথগামীকেও যদি ইসলামে ফিরিয়ে আনা যায়!

ভাল থাকবেন।

২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব ======
ভুল কত ধরবো? প্রথম থেকে দেখে আসছি আপনার বানান ভুল, শব্দ ভুল, বাক্য ভুল। ভুল ধরতে গেলে আপনার লেখা পড়ার যোগ্যতা হারায়। আগেও বলেছি। আপনি ভ্রুক্ষেপ করেন নি।
আপনি বানানের ভুল না ধরে তত্তের ভুল কি সেটা না পেশ কোরবেন ??? আমি তো এখানে পরিক্ষা দিতে আসেনি বা রিসার্চ পেপার সাবমিট করতে আসেনি , তো আমি কি আপনাকে আমার লিখা পড়ার জন্য অনুরোধ করেছি ???
যে ইনফরমেশন গুলো আমি দিয়েছি যে যুক্তি গুলো আমি দিয়েছি সে গুলোর ভুল বাহির করার কোন চেষ্টা দেখিনা খালি আইজাড়া তেনা পেচানো ছাড়া ।
জী যে কার্দিয়ানী বেটারে লজিকের সামনে আপনাগো কয়েক জনের নাজেহাল হওয়ার অবস্থা হয়েছিল , যেখানে আপনারা গালাগালিরে মোকাবেলার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেও তার কিছু করতে পারি নাই , আমি তার ব্লগে গিয়ে তার সাথে তর্ক করেছি এবং ঐ ব্লগে যখন ১০টা [তার এবং আমার মিলে] কমেন্ট পড়ে এবং তার যখন নাজেহাল অবস্থা তখন সে আমার করা ১০ নং কমেন্টা রেখে বাকি সব ডিলিট করে দেয় । এর পরে আমি আরো তটা কমেন্ট করেছি সেটা ও ডিলিট করে দিয়েছে । শেষেরটার স্কিন সট আমি নিয়ে রেখেছি কিন্তু তিনি সেটাকেও ডিলিট করেছে । দেখতে চেলে দেখাতে পারি .
অ-আহমদীদের কাছে আমার প্রশ্ন

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



পাহাড় নিজের থেকে সরে যেতে পারে,
ঘটে যেতে পারে কেয়ামত।
সত্যের দিকে ফিরে আসা বাতুলতা!
বৃথা দেখি সব মেহনত!!

সুদর্শন মূরতি মায়া মনে তার গাথা,
ভুলে যেতে নাহি পারে হায়!
সকল যুক্তির শেষে, মূর্তি জড়িয়ে ধরে,
বলে, এরে ছাড়া বাঁচা দায়!!

এ 'অবুঝে' কে বোঝায়, সাধ্যি কার,
ভিন্ন নামে হোক 'মূর্তি সবি',
ইসলাম নিষিদ্ধ করে ভাস্কর্য প্রানীর
লাত উযযা মানাতের ছবি!

দয়া করে ফিরে আসো, সত্যের পথ
ডেকে যায় অবিরাম শুধু,
মিথ্যের ছলনায় আর কত তড়পাবে!
হাতরে বেড়াবে মরু ধূ ধূ!!

পুনশ্চ: ছড়াটি মান্যবর এ আর ১৫ কে উৎসর্গ করা হল।

মাসিক আল কাউসার এর সংশ্লিষ্ট বিষয় রিলেটেড একটি সম্পাদকীয় এ আর ১৫ এর বিবেচনার জন্য এখানে তুলে দেয়া হল। আশা করি তিনি এটি মনযোগ দিয়ে দেখবেন এবং তার মূল্যবান মত জানাবেন।

প্রাঙ্গণে দেবীমূর্তি : অতিসত্বর তা অপসারণ করা হোক

হঠাৎ করে হাইকোর্টের সামনের চত্বরে একটি মূর্তি এনে বসিয়ে দেয়া হল। শুধু বিতর্ক ও অস্থিরতা তৈরি হওয়া ছাড়া এই মূর্তি প্রতিষ্ঠায় দেশ ও জাতির কী উপকার হবে? সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন হতে পারে যে, বাংলাদেশের বিচার-ব্যবস্থায় এ যাবৎ কী কী দোষত্রুটি ছিল, যা এই মূর্তিপ্রতিষ্ঠা দ্বারা দূর হয়ে গেল? এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দায়িত্বশীলদের আরো পরিপক্কতার প্রয়োজন আছে।

যুগ যুগ ধরে ভুল ও খণ্ডিত শিক্ষা, অসত্য ও একপেশে প্রচারণা এবং ভোগবাদী চিন্তাচেতনার পরিবেশের বিস্তারের কারণে নানা ক্ষেত্রে নানা ভ্রান্ত চিন্তারও বিস্তার ঘটেছে। আমাদের দায়িত্বশীলেরাও যেহেতু এই সমাজেরই অংশ তাই তাদের অবস্থাও আলাদা নয়। কিন্তু তাদের তো ভুলে গেলে চলবে না যে, একজন সাধারণ নাগরিকের চিন্তার ভুল আর জাতির দায়িত্বশীল কারো চিন্তার ভুল এক কথা নয়। ঐ পর্যায়ের কারো চিন্তা ও সিদ্ধান্তের ভুল গোটা জাতিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কাজেই সচেতনতা, সতর্কতা ও পরিপক্কতা খুব প্রয়োজন। এরপরও ভুল হতে পারে। ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার পর তা সংশোধন করে ফেলা অতি জরুরি। এটা সৎ সাহসের পরিচায়ক। এর দ্বারা ভাবমূর্তির ক্ষতি হয় না; বরং উন্নতি হয়।

এখন তো এতসব অসত্য প্রচারণা ও ভ্রান্ত বিশ্লেষণ রয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বচ্ছ ও দৃঢ় জ্ঞান ছাড়া ঐসব প্রচার-প্রচারণার ভ্রান্তি ধরতে পারা কঠিন। ফলে বিভ্রান্তির শিকার হওয়ায় সম্ভাবনা যে কারো থাকছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, মূর্তির পক্ষেও কিছু লোক তর্ক-বিতর্কে নেমে পড়েছে। এদের মধ্যে দুটি ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে :

এক. একটি ধারা ঐসব লোকের, যারা এ ধরনের ক্ষেত্রগুলোতে সব সময় গৎবাঁধা কিছু শব্দ-বাক্য ব্যবহার করে থাকেন এবং পরোক্ষ হুমকি ধমকির দ্বারাই ময়দান দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এদের গৎবাঁধা বুলির মধ্যে রয়েছে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ এবং একাত্তরের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রভৃতি শব্দগুলো। এইসব শব্দের নির্বিচার প্রয়োগ এদের বৈশিষ্ট্য।

এদের পদ্ধতি খুব সরল- যে ব্যক্তি বা বিষয় তাদের চিন্তা বা স্বার্থের বিরোধী তারা তাকে জঙ্গি, মৌলবাদী কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী আখ্যা দেন আর যে ব্যক্তি বা বিষয় তাদের চিন্তা ও স্বার্থের অনুকূলে তাকেই তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা চেতনার পক্ষের বলে মত প্রকাশ করেন! এই শ্রেণিটিকে কী বলা যায়? চেতনা-ব্যবসায়ী? এদের অশালীন উচ্চারণ, অসার ও ভ্রান্ত যুক্তি এবং উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে তো কিছু বলার নেই। শুধু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় যে, মুক্তিযুদ্ধের পর দশকের পর দশক ধরে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ দেবীমূর্তি থেকে মুক্ত ও পবিত্র থাকাটা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ছিল? জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী ব্যাপার ছিল? স্বাধীনতার পর যারা ক্ষমতায় এসেও মূর্তিস্থাপন করেননি তারা সবাই কি জঙ্গি-মৌলবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী ছিলেন? আর এতবছর পর যারা ‘ন্যায়বিচারের প্রতীক’নামে গ্রিকদেবীর মূর্তি স্থাপন করলেন তারা কি তাদের ঐ সকল পূর্বসূরীর চেয়েও বড় চেতনাওয়ালা হয়ে গেলেন? তাহলে তো বিচার করতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনা আসলে কোনটা? আগের ওয়ালাদেরটা, না পরের ওয়ালাদেরটা?!

দুই. দ্বিতীয় ধারাটা ঐসব লোকের, যারা সম্ভবত উপলব্ধি করেন যে, সরাসরি ইসলামবিরোধী অবস্থান নিয়ে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলামপ্রিয় মানুষকে দমানো যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুধু সাধারণ জনতাই তো নয় দেশের উচ্চ পর্যায় থেকে নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বস্তরেই কিছু নীতিবান ইসলামপ্রিয় মানুষ যে নেই তা নয়। কাজেই এরা সরাসরি বিরোধিতা না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কিছু অসত্য তথ্য এবং কিছু ভ্রান্ত ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়ে একেবারে সুস্পষ্ট ধর্মবিরোধী ব্যাপারকেও ধর্মীয়ভাবে সিদ্ধ বলে প্রচার করে থাকেন। যাতে ইসলামপ্রিয় শিক্ষিতমহল ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিগণ এর বিরোধিতাকে নিতান্তই স্বল্প শিক্ষিত মানুষের আবেগের ব্যাপার মনে করেন। বলাবাহুল্য যে, এই ধারাটি পূর্বোক্ত ধারার চেয়েও ক্ষতিকর। এর দ্বারা একদিকে যেমন মুসলিম সমাজের জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত ইসলামপ্রিয় মানুষগুলোকে বিভ্রান্ত করা হয় অন্যদিকে ইসলামপ্রিয় গোষ্ঠীকে দুই ভাগে বিভক্ত করে এদের মাঝে দূরত্ব ও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়। কিছু মুসলিম নামধারী মুনাফিক প্রকৃতির লোক যুগ যুগ ধরেই এ কাজটি করে আসছে। মুসলিম সমাজের অন্তর্দ্বন্দ্বে এদের ‘অবদান’ই সবচেয়ে বেশি।

আলোচ্য বিষয়টিতে দেখা যাচ্ছে এবং এর আগেও বিভিন্ন সময় কিছু লোককে এই প্রচারণা করতে দেখা গেছে যে, ‘এটি ভাস্কর্য, এটি মূর্তি নয়। ইসলামে মূর্তি নিষিদ্ধ, ভাস্কর্য নিষিদ্ধ নয়।’

আমাদের বুঝতে হবে যে, এটা উপরোক্ত ধারারই একটা কূট-কৌশল মাত্র। এ জাতীয় প্রচারণার গোড়ায় তো ইসলাম বিদ্বেষীরাই থাকে, তবে প্রচারণাটি বিস্তার পেয়ে গেলে অনেক অজ্ঞ মুসলিমও এর শিকার হয়ে যায়। তাই ইসলামের বিধানটি স্বচ্ছভাবে জানা থাকা খুবই প্রয়োজন। তাহলে অসত্য প্রচারণার স্বরূপ উপলব্ধি করা সহজ হয়।

খুব সহজ কথা যে, ইসলামে শুধু পূজার মূর্তিই নিষিদ্ধ নয়, প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণও নিষিদ্ধ। তাহলে এখানে দুটো বিষয় :

এক. পূজার মূর্তি বা উপকরণ। পূজা তো শুধু মূর্তির হয়নি। মূর্তি ছাড়া আরো নানা বস্তুর পূজা হয়েছে এবং হয়। তো যেসব বস্তুর পূজা হয়েছে বা হয় সেগুলোর ভাস্কর্য নির্মাণ নিষিদ্ধ পূজার অনুষঙ্গ হওয়ার কারণে। এরপর সেগুলো যদি হয় প্রাণীর প্রতিকৃতি তাহলে তা নিষিদ্ধ হয় পূজার কারণে এবং প্রাণীর প্রতিকৃতি হওয়ার কারণে।

দুই. প্রতিকৃতি নির্মাণ। ইসলামে কোনো প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণও স্পষ্টভাবে নিষেধ, এটা পূজার উদ্দেশ্যে না হলেও। পূজা ছাড়াও নানা উদ্দেশ্যে- যেমন সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে, জীবিকার উদ্দেশ্যে, কিংবা স্মরণীয় কারো স্মৃতি ও সম্মানের উদ্দেশ্যে প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়। যে উদ্দেশ্যেই হোক প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণ ইসলামে পরিষ্কার নিষেধ। আর স্মরণীয় কারো স্মৃতি বা সম্মানের উদ্দেশ্যে প্রতিকৃতি নির্মাণ এবং সেই প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও এক প্রকারের র্শিক। কাজেই শ্রদ্ধা-সম্মানের ব্যাপার জড়িত থাকে এমন কারো প্রতিকৃতি নির্মাণ আরো ভয়াবহ।

স্মৃতি ও সম্মানের জন্য প্রতিকৃতি নির্মাণ তো অজ্ঞানতা ও অপরিপক্কতার যুগের রীতি। ইসলামে স্মৃতি ও সম্মান রক্ষিত হয় কর্মের মাধ্যমে। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর খোলাফায়ে রাশেদীনের কোথাও কোনো ভাস্কর্য নেই। তাদের চেয়ে স্মরণীয় ও বরণীয় মুসলিম জাহানে আর কে আছে? বিভিন্ন শিক্ষালয়, পাঠাগার ইত্যাদির নামকরণের মাধ্যমেও স্মৃতিরক্ষা হতে পারে। মূর্তি ও ভাস্কর্য তো শিরকের অনুষঙ্গ, যা জগতের সবচেয়ে বড় কুসংস্কার।

কাজেই একথা সম্পূর্ণ প্রতারণা যে, ইসলামে শুধু পূজার মূর্তি নিষিদ্ধ, ভাস্কর্য হিসেবে বা সৌন্দর্যের জন্য যে মূর্তি নির্মাণ করা হয় তা নিষিদ্ধ নয়। একজন সাধারণ মুসলিমেরও জানা আছে যে, ইসলামে যে কোনো প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণ নিষিদ্ধ। এই জানা সঠিক এবং কুরআন-সুন্নাহর দলীলসম্মত।

দ্বিতীয়ত, ভাস্কর্য কি পূজার মূর্তির হয় না? অসংখ্য ভাস্কর্য আছে, যা মূলত দেব-দেবীর মূর্তি। কাজেই ভাস্কর্য হলেই তা আর পৌত্তলিকতার নিদর্শন থাকে না- এই ধারণা দেয়ার অপচেষ্টা কি সত্যকে গোপন করা হয়ে যায় না? কে না জানে যে, এই উপমহাদেশেরও অনেক ভাস্কর্যই বাস্তবে পৌত্তলিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। এর জন্য উদ্ধৃতির প্রয়োজন নেই। এরপরও একটি দুটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি : বাংলা পিডিয়ায় বলা হচ্ছে, ‘গুপ্ত শাসকগণ ছিলেন একনিষ্ঠ বৈষ্ণব। প্রাথমিক গুপ্ত মূর্তিগুলোর বেশিরভাগই বিষ্ণু অথবা বিষ্ণু সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোনো মূর্তি। এ যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্যটি বিহারের ভাগলপূরের শাহকু- থেকে আবিষ্কৃত নরসিংহ মূর্তি। (বাংলা পিডিয়া খ. ৭, পৃ. ৩৩৪, প্রকাশনায় : বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, প্রথম প্রকাশ : চৈত্র ১৪০৯/মার্চ ২০০৩)

অনেক ভাস্কর্য রয়েছে যেগুলোতে দেব-দেবীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলা পিডিয়া বলছে, “বাংলার গুপ্ত ভাস্কর্যগুলোর বেশিরভাগই প্রতীকী এবং এগুলির আকৃতি নির্ধারিত হয়েছে মধ্যদেশ বা মধ্যভারতের পুরোহিত কর্তৃক বর্ণিত দেবতাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে।” (প্রাগুক্ত পৃ. ৩৩৫)

বরং বাংলা পিডিয়ার বর্ণনা অনুসারে, ভাস্কর্য শিল্পের বিকাশই ঘটেছে মূর্তিকে কেন্দ্র করে। “এই শিল্পের কেন্দ্র ছিল মথুরা। এখানে সে সময় ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ ও জৈন মূলত এই প্রধান তিনটি কেন্দ্রের অনুসারীরা পূজার নিমিত্তে মূর্তি বানাতে গিয়ে এর সূচনা করেছিল।” (পৃষ্ঠা : ৩৩৩)

হাইকোর্টের সামনে স্থাপিত লেডি জাস্টিসিয়া বা থেমিসের ভাস্কর্যটিও এ ধরনেরই একটি মূর্তি। The Encyclopedia Britannica Micro paedia-এ বলা হয়েছে-
"Themis, in Greek religion, personification of justice, goddess of wisdom, and good counsel, and the interpreter of the gods' will. According to some sources, she was the daughter of Uranus (Heaven) and Gaea (Earth), although at times she was apparently identified with Gaea. She was Zeus's second consort ... . On Olympus, Themis maintained order and supervised the ceremonial. She was a giver of oracles, and one legend relates that she once owned the oracle at Delphi but later gave it to Apollo
The cult of Themis was widespread in Greece. She was often represented as a woman of Sober appearance carrying a pair of scales."
( The Encyclopaedia Britannica Micropaedia. vol,IX page.930, ©1979 by Encyclopaedia Britannica. lnc)
Dictionary of Greek and Roman Biography and Mythology -এ বলা হয়েছে যে, বিভিন্ন অঞ্চলে তার পূজাও হত।
"The worship of Themis was established at Thebes, Olympia, Athens, at Tanagra and at Troezene..."
(Dictionary of Greek and Roman Biography and Mythology, edited by William Smith, LL.D. Vol. 3, page 1023. BOSTON: LITTLE, BROWN AND COMPANY. 1870)

মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিস্তারের পেছনে ভোগবাদী স্বভাবও একটি বড় কারণ। আর এ কারণেই প্রগতিবাদী পুরুষেরা বেশি আকর্ষণ বোধ করে থাকেন দেবী মূর্তি বা নারী মূর্তির প্রতিই।

তো ভাস্কর্য বা সৌন্দর্যবর্ধনের নামে মূর্তি প্রতিষ্ঠা থেকে অবশ্যই নিবৃত্ত হতে হবে। স্বদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষের ন্যায়সঙ্গত আবেগ-অনুভূতিকে মূল্য দেয়া ছাড়াও এটা যে দায়িত্বশীলদের নিজেদেরও দ্বীন ও ঈমানের দাবি তা তারা উপলব্ধি করেন বলেই আমরা বিশ্বাস করতে চাই। কাজেই যে কারণেই হোক যে ভুল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা অতি দ্রুত সংশোধন করা এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ করাই এখন সময়ের দাবি।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। শিরক বিদআতমুক্ত জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন। আমীন।

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব

এ রকমের একটা পাইনশা লেখা কি করে দিলেন বুঝলাম না !!!! কোন কোরান বা হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া । শাহজালাল হাওলাদার সাহেব আমার ৯ নাম্বার কমেন্টের বিপরীতে যে কমেন্ট করেছেন তা তত্ত গুনে রেফারেন্সে অনেক অনেক গুন সমৃদ্ধ । তিনি কোরানে আয়াতের উদাহরন হাদিসের উদাহরন দিয়ে তার প্রত্যেকটা যুক্তিকে প্রমাণ করার চেষ্ঠা করেছেন কিন্তু আপনার এই কপি পেষ্টে তো ঢালাও এই হারাম ঐটা হারাম ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে গেছে কোরান হাদিসের দালিলিক কোন উদাহরন ছাড়া ।

হাওলাদার সাহেব সুরা হজ্জের ৩০ তম আয়াতের যে অনুবাদ দিয়েছেন তার সঠিক অনুবাদটা আমি এখানে পেশ করেছি এবং বোলেছি কোরানের কোন আয়াতে বলা হয় নি পুজা বিহীন মুর্তি হারাম । কোরান শুধু বোলেছে মুর্তি পুজা বা যে কোন এনটিটি পুজা করা হারাম তার পর যদি কোরান চুপ থাকতো তাহোলে হাদিস গুলো থেকে দিক নির্দেশনার ব্যপারে গুরুত্ব আসতো কিন্তু কোরান তো চুপ নেই , কোরন তো দিক নির্দেশন দিয়েছে সুরা সাবার আয়াত ১২ এবং ১৩ তে ।
পুজা বিহীন মুর্তি হারামের পক্ষে হাদিসের সব চেয়ে বড় দুর্বলাতা হোল ঐ দিক নির্দেশনা অনুযায়ি পুজা বিহীন সুর্য তারা গ্রহ নক্ষত্র চাদ আগুন সহ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায় এবং ঐ সকল হাদিস সুরা সাবার ১৩ নং আয়াতের সাথে সাংঘর্সিক ।

তাহোলে বোলতে পারেন কেন মুসলিম লিটারেচারে কেন হাজার বৎসর ধরে পুজাবিহীন মুর্তিকে হারাম বলা হয়েছে । তার কারন যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের আমার ৯ নং কমেন্টের উত্তরে হাওলাদার সাহেবের কমেন্টে যে আয়াত ও হাদিস গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলির চর্চা হয়েছে তাই । এর বিপরীত মতামতের লোকেরা কাফের মুরতাদ ইত্যাদি উপাধী পেয়ে খুন হয়েছে বা তারা পালিয়ে গেছে সেই কারনে এর বিপরীত কিন্তু সঠিক মতবাদ পালিয়ে বেড়িয়েছে । এখন সময় এসেছে ঐ গুলো ঊম্মোচন করার ।

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এ আর ১৫ বলেছেন:পুজা বিহীন মুর্তি হারামের পক্ষে হাদিসের সব চেয়ে বড় দুর্বলাতা হোল ঐ দিক নির্দেশনা অনুযায়ি পুজা বিহীন সুর্য তারা গ্রহ নক্ষত্র চাদ আগুন সহ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায় এবং ঐ সকল হাদিস সুরা সাবার ১৩ নং আয়াতের সাথে সাংঘর্সিক ।

-এই জন্যই আপনি কুরআন অনলি। বলি, আপনি সংঘর্ষ করেন। করতে থাকুন। আপনার মনে মূর্তির যে ছায়া কঠিন মায়ার আসনে স্থান করে নিয়েছে, এত এত দলিল দেখার পরেও তা যেহেতু বদ্ধমূল হয়েই আছে, আপনাকে মূর্তির ভালবাসায় অন্ধ হওয়ার হাত থেকে ফেরানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।

আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি নিজে ভাস্কর্য নাম দিয়ে মূর্তি বানান অথবা যা খুশি করুন। কিন্তু অন্যদের দয়া করে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত হোন।

ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.