নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের পরিবর্তনে মানুষ মৌলিক রেখা থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়েছে। কেউ কেউ গমন করতে করতে এতো দূরে চলে গেছে যে্ন ওখানেই তার পরিশুদ্ধ জনম। আমার কামনা সকলে মৌলিক রেখায় প্রত্যাবর্তন করুক।

শাহজালাল হাওলাদার

শাহজালাল হাওলাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসঙ্গত নারী নেতৃত্ব

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

নেতৃত্ত্বের কথা আসলে স্বাভাবিক ভাবেই বুঝতে পারি যোগ্যতার মাপকাঠিতে অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব। কোন কর্মশালায় অধিকতর যোগ্য ব্যক্তিকে কর্তৃত্বের দায়িত্ব দিলেই ঐ কর্মশালা যথাযথ সফলতার আলো দেখতে পায়। অদক্ষ চালককে চালকের আসনে বসিয়ে দিলে চলন্ত গাড়ির যাত্রীদের মধ্যে স্বভাবতই একটা উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হলেও যাত্রীর আসনে বসে থাকা কোন দক্ষ চালকও দুর্ঘটনার হাত হতে রেহাই পায় না। বরং তাকেও আহত কিংবা নিহতের অন্তর্ভুক্ত হতে হয়। সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মূল্যবান গাড়িটাও। একটা দেশের বিভিন্ন নেতৃত্বের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও এক একজন চালক। এদের উপর নির্ভর করে দেশের সফলতা, বিফলতা, অগ্রগতি, সুশাসন, শান্তি, ধর্ম – কর্ম ইত্যাদি। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই দেশ ও সমাজের নেতৃত্ব পুরুষের উপরই বর্তিত ছিল। এটা শুধু মুসলিম সমাজে নয়, অমুসলিম সমাজেরও একই চিত্র। তবে অগোচরে যদি দু একটি থেকেও থাকে তাও লক্ষ্য কোটি স্বাভাবিক বিষয়ের মধ্যে দু একটি অস্বাভাবিক বিষয় উদাহরণ হতে পারে না

প্রথম অমুসলিম নারী শাসক হিসেবে যার নাম পাওয়া যায় তিনি হলেন সা’বা রাজ্যের রানী বিলকিস। হযরত সুলাইমান (আঃ) হুদ হুদ পাখির মাধ্যমে বিলকিসের সংবাদ প্রাপ্ত হলেন। তার বর্ণিত প্রতিবেদনটি ছিল কুরআনের ভাষায় নিম্নরূপ :
إِنِّي وَجَدتُّ امْرَأَةً تَمْلِكُهُمْ وَأُوتِيَتْ مِن كُلِّ شَيْءٍ وَلَهَا عَرْشٌ عَظِيمٌ- وَجَدْتُهَا وَقَوْمَهَا يَسْجُدُونَ لِلشَّمْسِ مِن دُونِ اللهِ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ فَهُمْ لاَ يَهْتَدُونَ- (نمل ২৩-২৪)-
‘আমি এক মহিলাকে সাবা বাসীদের উপরে রাজত্ব করতে দেখেছি। তাকে সবকিছুই দেওয়া হয়েছে এবং তার একটা বিরাট সিংহাসন আছে’ (২৩)। ‘আমি তাকে ও তার সম্প্রদায়কে দেখলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদা করছে। শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যাবলীকে সুশোভিত করেছে। অতঃপর তাদেরকে সত্যপথ থেকে নিবৃত্ত করেছে। ফলে তারা সঠিক পথ প্রাপ্ত হয় না’ (নমল ২৭/২৩-২৪)। অতঃপর হযরত সুলাইমান আঃ রানী বিলকিসের কাছে হুদ হুদ পাখির মাধ্যমে পত্র পাঠালেন। অনেক মজাদার ইতিহাস ঘটে যাওয়ার পর এক সময় রানী বিলকিস সুলাইমান আঃ এর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।
মুসলমানদের মধ্যে প্রথম নারী শাসক হিসেবে যার নাম পাওয়া যায় তিনি হলেন ভারতের প্রথম মুসলিম নারী শাসক রাজিয়া সুলতানা। ( ১২৩৬ – ১২৪০ )। রাজিয়া সুলতানা
ভারতবর্ষে আদি তুর্কি শাসনের চতুর্থ শাসকএবং সুলতান ইলতুৎমিস -এর কন্যা।
ইলতুৎমিসের সুযোগ্য পুত্র নাসিরুদ্দিন ১২২৯ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অন্যান্য পুত্ররা ছিল অপরিণত বয়স্ক। ইলতুৎমিস মৃত্যুর আগে তাঁর কন্যা রাজিয়াকে রাজ্যের উত্তরাধিকার করে যান। মুসলিম আমির – ওমরাহগণ নারী শাসন ইসলামে অবৈধ বলে রায় দিলেও সুলতান
ইলতুৎমিস তা পরোয়া করেননি। ১২৪০ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়ার ভাই মুইজউদ্দিন বাহরাম চিহালগনিদের সহায়তায় সিংহাসন দখল করেন এবং রাজিয়া ও তার স্বামীর সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেন। পরাজিত হয়ে তারা কাইথাল পালিয়ে যান। তাদের সাথে থাকা অবশিষ্ট সৈনিকরা এরপর তাদের ত্যাগ করে। তারা দুজনেই জাটদের হাতে ধৃত হন। ১২৪০ সালের ১৪ অক্টোবর তাদের হত্যা করা হয়।
এরপর কয়েকশত বছর পরে ১৯৬০ সালে বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী(অমুসলিম) হন শ্রীমাভো বন্দরানায়েকে। ১৯৫৯ সালে শ্রীমাভো বন্দরানায়েকের স্বামী সলোমান ডায়াস বন্দোরানায়েকের মৃত্যুর পর ১৯৬০ সালে তিনি শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে মুসলিম অমুসলিম কয়েকজন রাষ্ট্র প্রধান হয়েছেন।

একটি বিষয়ে খতিয়ে দেখলে দেখা যায় এ পর্যন্ত যত জন নারী রাষ্ট্র প্রধান হয়েছেন এদের প্রারম্ভিক আবির্ভাব রাজতন্ত্রের হাত ধরে। অঘোষিত রাজতন্ত্রের ধারায় বাবা অথবা স্বামী কেউ না কেউ মসনদে অধিষ্ঠিত থাকার সুবাদে এরা ক্ষমতার চেয়ারে বসেছেন। নিজ যোগ্যতায় সিঁড়ি বেঁয়ে কেউ ক্ষমতার আসনে সমাসীন হননি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা ছিলেন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বামী ছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর স্বামী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী, ভারতের প্রায়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, পাকিস্তানের প্রায়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এর বাবা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট মেঘবতীর বাবা ছিলেন সুকর্ন, আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইসাবেলা পেরনের স্বামী ছিলেন প্রেসিডেন্ট জন পেরন, শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরানায়েকের স্বামী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী সলোমান ডায়াস বন্দোরানায়েকে।

প্রশ্ন হল প্রথম মানব হযরত আদম আঃ থেকে আজ পর্যন্ত “পৃথিবীতে মানুষ প্রেরনের প্রায় সাড়ে সাত হাজার বছরের” ইতিহাসে (নবীগণের জন্ম তারিখ ও তাদের আয়ূর তালিকা হযরত আদম আঃ থেকে হযরত মুহাম্মাদ সঃ পর্যন্ত নবীগণের জন্ম তারিখ, মুসলিম ঐতিহাসিক তাবারী ইবনে খলদুন হইতে গৃহীত ও তওরাত দ্বারা সমর্থিত।
হবুতি সনঃ হযরত আদম (আঃ) পৃথিবীতে অবতরণের বৎসরকে হবুতি সন বলা হয়।
১| হযরত আদম (আঃ) পৃথিবীতে অবতরণ হবুতি---১লা সন,আয়ূ-৯৩০ বৎসর।
২| হযরত শীস (আঃ)এর জন্ম হবুতি--১৩০ সন,আয়ূ--৯১২বৎসর।
৩|„হযরত ইদরীস (আঃ)এর জন্ম হবুতি ৫৮০সন,আয়ূ-৬৫ বৎসর।
৪| হযরত নূহ(আঃ)এর জন্ম হবুতি--১০৫৬ সন,আয়ূ--১৪০০ বৎসর।
৫| হযরত সাম(আঃ)এর জন্ম হবুতি--১৫৫৬ সন,আয়ূ--২২০বৎসর।
তাহার নাম হইতে শাম(সিরিয়া) নামকরণ হইয়াছে।
৬| হযরত হুদ (আঃ)এর জন্ম হবুতি--১৬৪০ সন,আয়ূ--৪৬৪বৎসর।
৭|হযরত ইব্রাহীম(আঃ)এর জন্ম হবুতি--১৯৮৭সন,আয়ূ--১৩৫বৎসর।
৮|হযরত ইসহাক আঃ এর জন্ম হবুতি--২০৮৯ সন,আয়ূ--১৪৫বৎসর।
৯|হযরত ইয়াকুব (আঃ)এর জন্ম হবুতি--২১৪৭ সন,আয়ূ--১৪৭বৎসর।
১০|হযরত ইউসুফ (আঃ)এর জন্ম হবুতি--২২০২সন,আয়ূ--১০৫ বৎসর
১১|হযরত আইয়ূব (আঃ)এর জন্ম হবুতি-২২৮৮সন,আয়ূ-১৪০বৎসর
১২|হযরত মুসা (আঃ)এর জন্ম হবুতি--২৪১২ সন,আয়ূ--১২০বৎসর।
১৩| হযরত ইউশা( আঃ) জন্ম হবুতি-২৪৮০সন,আয়ূ-১১০ বৎসর।
১৪|হযরত দাউদ (আঃ)এর জন্ম হবুতি--৩১০৯ সন,আয়ূ--৭০বৎসর।
১৫|হযরত সোলায়মান (আঃ)এর জন্ম হবুতি--৩১৪৯ সন,আয়ূ--১৩৫
১৬|হযরত ঈসা (আঃ)এর জন্ম হবুতি--৪০০৪ সন,আয়ূ--৩৩বৎসর।
১৭| মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম,জন্ম হবুতি--৪৫৭৪(৫৭০খৃঃ) সন,আয়ূ--৬৩ বৎসর।)
হিব্র বাইবেল অনুসারে হযরত মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত ৫৯৯২ বৎসর গণনা করা হয় ও পারসিকদের মতে ৪১৮০ বৎসর গণনা করা হয়। (সূত্রঃ আত্মার সাওদা,নেয়ামুল কুরআন)।) ১২৩৬ সাল পর্যন্ত কোন মুসলিম নারী শাসক পৃথিবীতে আসেননি। ব্যাপারটাকি এমন যে আগে কোন যোগ্য নারী ছিলনা কিংবা যোগ্য নারী ছিল পুরুষদের হিংসাত্মক মনোভাব কোন নারীকে নেতৃত্বের আসনে বসতে দেয়নি।

এর জবাবে আসতে হলে প্রথমে জানতে হবে আপনি কি আস্তিক না নাস্তিক, মুসলিম না অমুসলিম। কারন, একজন নাস্তিক আল্লাহতে বিশ্বাস না করা পর্যন্ত ঈমানের দাওয়াত দেয়া, একজন অমুসলিমকে মুসলমান না হওয়া পর্যন্ত আমলের দাওয়াত দেয়া অরণ্যে রোদন। বাক্তির যদি কুরআন হাদিসে বিশ্বাস থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের প্রতি নারী নেতৃত্বের আলোচনা প্রাসঙ্গিক। সরল জবাব, যোগ্য নারী থাকলেও পুরুষের তুলনায় যোগ্য ছিলনা আর পুরুষের হিংসাত্মক মনোভাবের কারন ছিল কিনা তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ নবুয়তের ধারা। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব ও নবী হযরত আদম আঃ থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) পর্যন্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বর আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত হয়েছিলেন। মানুষের পরামর্শ ক্রমে কিংবা ভোটের মাধ্যমে নবী নির্ধারিত হয়নি। নবীদের বিশেষ বৈশিষ্টের মধ্যে কতোগুলো বৈশিষ্ট্য হল – যে নবী যে গোত্র বা এলাকা বা দেশ বা সমগ্র দুনিয়ার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন তিনি ছিলেন তাঁর নির্ধারিত পরিসরে সমসাময়িক কালের সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী, সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী, সবচেয়ে সুদর্শন এবং দৈহিক ও আত্মিক শক্তিতে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী এবং মোজেজার অধিকারী।
আল্লাহ তায়ালা সকল ভুলের উর্ধে একথা অবশ্যই স্বীকার্য। সুতারং হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে একলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী- রসূলদের মধ্যে তিনি একজনও নারী মনোনীত করেননি। শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর পরবর্তী যুগে দুনিয়াতে রিসালাতের ধারা সমাপ্ত হলে মুসলিম বিশ্বের জন্য হযরত আবুবকর (রাঃ) সর্ব প্রথম খলিফা নিযুক্ত হন। এরপর হযরত উমর (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ) ও হযরত আলী (রাঃ) পর্যন্ত ছিল খেলাফতের সোনালি যুগ। পরবর্তী শাসন ব্যাবস্থা যাই হোক সেটা ছিল পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যাবস্থা। নারী নেতৃত্ব সঙ্গত কি অসঙ্গত তা আল্লাহর নির্ধারিত রিসালাতের ধারা দিয়েই বুঝা যায়। অতএব নারীর নেতৃত্ব হীনতা পুরুষের জবরদস্তি নয় বরং আল্লাহর বিধান।

যেসব নামধারী বুদ্ধিজীবীরা বলেন হুজুররা না জেনেই ফতোয়া দেয় নারী নেতৃত্ব হারাম সে সব বুদ্ধিজীবীরা অন্ধ দর্শকের তাজমহল দর্শনের ন্যায়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘নারীদের উপর পুরুষগণ শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্বের অধিকারী।’ [বাকারা : ২২৭]।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: ‘পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী। কারণ আল্লাহ তাআলা-ই তাদের মাঝে তারতম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের বিধান রেখেছেন। দ্বিতীয়ত পুরুষরাই ব্যয়-ভার গ্রহণ করে।’ [নিসা : ৩৪]
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বামীর আনুগত্যকে এবাদতের স্বীকৃতি প্রদান করে বলেন—
যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজান মাসের রোজা রাখে এবং নিজের লজ্জাস্থান হেফাজত করে ও স্বীয় স্বামীর আনুগত্য করে, সে,নিজের ইচ্ছানুযায়ী জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে। [আহমাদ : ১৫৭৩] বিভিন্ন হাদীসে বলা হয়েছে নারী নেতৃত্ব হারাম।যেমন বুখারী শরীফের কিতাবুল ফিকানে বলা হয়েছে যে,
“যে জাতির নেতৃত্ব কোন নারী দিবে সে জাতি কখনও কল্যাণ বয়ে আনবে না।”
অন্যত্র বলা হয়েছে, “যখন নারীরা নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করবে তখন মাটির উপরের চেয়ে নীচের অংশ ভাল হবে।” [তিরমযীঃকিতাবুল ফিকান]
তিরমিযী শরীফে আরেকটি হাদীস রয়েছে, “পুরুষেরা তখন ধংস্ব হয়ে যাবে যখন তারা নারী নেতৃত্ব মেনে নিবে।” [তিরমিযি]
কুরআন-হাদীস ছাড়াও ইজমাতে ইবনে হাযম মারাফিতুল ইজমা(পৃঃ১২৬) গ্রন্থে বলেছেন, “তারা একথায় একমত হয়েছে নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম তাইমিয়া বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” [নাকালু মারাফিয়া ইজমা] অতঃপর আল্লামা মাওয়ার্দী যাকে ইসলামী রাজনীতির প্রবক্তা বলা হয় তিনি বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত হয়েছেন।” [আহকামুস সুলতানিয়া] আল্লামা আবুল ইয়ালা হাম্বলী তার এ আহকামুস সুলতানিয়া গ্রন্থে বলছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমামুল হারামায় আল্লামা জুরাইন বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইবনুল আরাবী বলছেন, “নারী খলীফা কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারে না।” ইমাম কুরতুবী এই ইজমা উল্লেখ করেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” ইমাম গাযযালী(রঃ) খলীফা হওয়ার জন্য পুরুষ শর্ত উল্লেখ করেছেন।আল্লামা শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী(রঃ) তার হুজ্জাতুল বালিগা তে বলেছেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।নেতৃত্ব হওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই পুরুষ হতে হবে।” আল্লামা ইবনুল কাসীর বলেন, “নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া ফরয।” ইমাম কুরতুবী আহকামুল কুরআনে নারী নেতৃত্বকে নাজায়েয বলেছেন। ইমাম যামাখখাশারী তার কাশশাফ এ লিখেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব হারাম।” ইমাম বায়যভী তার তাফসীরে বায়যাভীতে বলেছেন যে, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।”ইমাম শাওকানী একই কথা বলেছেন।ইমাম বদরুদ্দিন আইনী লিখেছেন যে, তা বৈধ নয়।মোল্লা আলী কারী(রঃ) ফাতহুল বারীতে লিখেছেন যে, নারী নেতৃত্ব জায়েয নয়।আল্লামা মওদূদী ইসলামী শাসনতন্ত্রের ৮১ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “রাজনীতি এবং দেশশাসনে নারীদের কর্মসীমার বহির্ভূত।” আশরাফ আলী থানবী (রঃ) বলেন, “নারী নেতৃত্ব বৈধ নয়।” সৌদি আরবের মুফতি আযম,আব্দুল্লাহ বিন বার,আযমীর নারী নেতৃত্ব নাজায়েয বলেছেন।বিখ্যাত ফিকাহ গ্রন্থ ফাতওয়া শামীতে বলে হয়েছে, “নারী নেতৃত্ব কোনভাবেই জায়েয নয়।কারণ আল্লাহ পাকের নির্দেশ হল নারীরা ঘরে পর্দার সাথে জীবন যাপন করবে।তাদের জন্য পর্দা করা ফরয।তাই কোনভাবেই তাদের জন্য নেতৃত্ব জায়েয নয়।”
অর্থাৎ, এখানে গোটা উম্মাতের ভিতর এই ইজমা সঙ্ঘটিত হয়েছে যে,নারী নেতৃত্ব ইসলামে মোটেও জায়েয নয়।

এবার বলব দৃষ্টি দিন আল্লাহর সৃষ্টি কৌশলের দিকে। দৈহিক শক্তি, দেহের আকৃতি, সাহস, মেধা – মনন, শ্রমের দক্ষতা, দারাজ কণ্ঠ অর্থাৎ নেতৃত্বের জন্য যে বৈশিষ্ট্য গুলো দরকার সব দিক থেকে পুরুষ এগিয়ে। শুধু মানুষ নয় অন্য জীব জন্তুর দিকে তাকালেও দেখতে পাই আল্লাহ তায়ালা পুরুষ দিগকেই প্রধান্য দিয়েছেন। প্রাণী কুলের মধ্যে পুরুষ দিগকে শুধু আকার শক্তি সামর্থের দিক দিয়েই বড় করেননি সৌন্দর্যের দিক দিয়েও রেখেছেন উর্ধে। যেমন বাস্তব দেখুন ময়ূর - ময়ূরী, মোরগ - মুরগি, বলদ - গাভি, হরিণ - হরিণী, সিংহ – সিংহী ইত্যাদি। শুধু যোগ্যতাই নয় যখন প্রাণীগুলো দল বেঁধে চলে তখন দেখা যায় পুরুষ গুলোই সামনে সামনে চলে। তাহলে আল্লাহ পুরুষদের ব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব করেছেন এমন কথা বলার দুঃসাহস দেখাবেন? তাহলে তো ঈমান নামক মহা মূল্যবান দৌলত হারাবেন। বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি কর্তার ভুল ধরতে পারলে একটা খুদ্রাতি খুদ্র বস্তু হলেও সৃষ্টি করে দেখান তো। অসম্ভব, কস্মিনকালেও পারবেন না।
ধরুন, আপনার এক খণ্ড জমি আছে এর কিছু অংশে মসজিদ বানালেন কিছু অংশে টয়লেট বানালেন কেন? টয়লেট একটু এদিক সেদিক সরিয়ে নিলেন না কেন?( সরিয়ে নিলে যৌক্তিকতায় কোন বাঁধা নেই )। আপনি একজন প্রকাশক, একই মানের কিছু কাগজে কুরআন শরীফ ছেপেছেন, কিছু কাগজে উপন্যাস ছেপেছেন। যে কাগজ গুলো কুরআন শরীফ ছাপানোর কাজে ব্যায় করেছেন সে কাগজ গুলো উপন্যাস ছাপানোর কাজে ব্যায় করেননি কেন অথবা যে কাগজ গুলো উপন্যাস ছাপানোর কাজে ব্যায় করেছেন সে কাগজ গুলো কুরআন শরীফ ছাপানোর কাজে ব্যায় করেননি কেন? আপনাকে যদি এসব প্রশ্ন করা হয় আপনি বলে ফেলবেন এটা একান্তই আমার ইচ্ছা, আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। এবার আপনার জবাব দিয়েই আপনি বুঝে নিন আল্লাহর সৃষ্টি ভুল ধরে আপনি কোন অজ্ঞতার সুড়ঙ্গে বাস করছেন। সমগ্র দুনিয়ার সমগ্র সৃষ্টির জ্ঞান যেখানে শেষ মহা বিশ্বের সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর জ্ঞান সেখানে শুরু।
কি এক অপরূপ ভারসাম্যতায় গোটা সৃষ্টিকে সাজিয়ে রেখেছেন মহান দয়াময়। নারী পুরুষের সংখ্যাগত ভাবে প্রায় সমান সমান যেটা উভয় জাতির সুখময় জীবনের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। এটাকে যদি x – y এর ক্রোমোজোম গত ফল হিসেবে বলতে চান তবে বলুন x – y এর সৃষ্টিকর্তা কে?

যে নারী একাকী নির্জনে চলতে ভয় পায়, পুরুষ ছাড়া যে নারী অসহায় সে নেতৃত্বের ভার নেয় কিভাবে? বাস্তব সত্য হল এজন্য পুরুষরাই পুরোপুরি দায়ী। পুরুষেরা নারী নেতৃত্বের মদদ না দিলে কোন কালেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। নিজেদের হীন স্বার্থ আদায়ের লক্ষে নিচুমনা পুরুষদের মদদের ফলই নারীর খমতায়ন। নারী রাষ্ট্র প্রধান হওয়ার আরেকটা বাস্তব কারন হল দেশে দেশে অঘোষিত দলীয় রাজতন্ত্র রক্ষার তাগিদে পুরুষ উত্তরসূরির অভাবে নারীকে দলীয় প্রধান হিসেবে বসানো অতঃপর মসনদ দখলের লড়াই। নিজ নিজ স্বার্থের বিভোরে স্বার্থান্বেষীরা ভুলে যায় হারাম( নিষিদ্ধ ) নারী নেতৃত্ব।
জাতির কাছে আমার একটা প্রশ্ন রাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে যোগ্যতার মাপকাঠিকে এড়িয়ে গিয়ে সাংগঠনিক যোগ্যতাকে অবমূল্যায়ন করে উত্তরসূরিকে দলীয় প্রধান করা এটা কোন গণতন্ত্র। কৌশলগত ভাবেই আল্লাহ তায়ালা পুরুষদের অধিক যোগ্য করে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তাদের উপর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছেন। যেমনঃ মা – বাবা, সন্তান – সন্ততি, স্ত্রীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব পুরুষের উপর বর্তিত। মানব সৃষ্টির শুরু থেকে সৃষ্ট যত দুর্জয়, আবিস্কার, বীরত্ব সব কিছুতেই পুরুষের কর্তৃত্ব সু স্পষ্ট। অবকাঠামোগত ভাবেও পুরুষদের গঠনই নেতৃত্বের ইঙ্গিত বহন করে।
সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালা নারীদের উপর পর্দা ফরজ করে দিইয়েছেন যা খেলাপের পরকালীন সাস্তি ভয়াবহ।قل للمؤمنت يغضنن من ابصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن الا ما ظهر منها
তরজমা : (হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে। (সূরা নূর : ৩১)
তোমরা তাঁদের (নবী পত্নীদের) নিকট কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাও। এই বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। তোমাদের কারো জন্য আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেওয়া সংগত নয় এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পত্নীদেরকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য কখনো বৈধ নয়। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা ঘোরতর অপরাধ। (সূরা আহযাব (৩৩) : ৫৩)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
নারী হল সতর তথা আবৃত থাকার বস্ত্ত। নিশ্চয়ই সে যখন ঘর থেকে বের হয় তখন শয়তান তাকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে থাকে। আর সে যখন গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করে তখন সে আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটে থাকে।-আলমুজামুল আওসাত, তবারানী
উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রা.ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম উপস্থিত হলেন। এটি ছিল পর্দা বিধানের পরের ঘটনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তার সামনে থেকে সরে যাও। আমরা বললাম, তিনি তো অন্ধ, আমাদেরকে দেখছেন না?! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরাও কি অন্ধ? তোমরা কি তাকে দেখছ না?-সুনানে আবু দাউদ ৪/৩৬১, হাদীস : ৪১১২; জামে তিরমিযী ৫/১০২, হাদীস : ২৭৭৯; মুসনাদে আহমাদ ৬/২৯৬; শরহুল মুসলিম, নববী ১০/৯৭; ফাতহুল বারী ৯/২৪৮।

নারী যদি নেতৃত্বের আসনে আসে তাহলে তার পর্দা রক্ষা হয় কিভাবে? পর্দার হুকুম অমান্য করা এক প্রকারের নির্লজ্জতাও বটে। হে নারীরা আপনারা মায়ের জাত এটাই তো আপনার বিশেষ মর্যাদা। মায়ের মর্যাদা আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন। তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো এবং পিতা-মাতারও। (সূরা লোকমান : ১৪) এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামে আল্লাহ পাকের ইবাদতের পর পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। রসুল (সা.) বলেছেন, 'মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেশত। ' (ইবনে মাজা, নাসায়ী)। বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে বর্ণিত, এক লোক রসুল (স.)-এর দরবারে এসে বলল : হে আল্লাহর রসুল! কোন ব্যক্তি আমার সদাচরণ ও আনুগত্য পাওয়ার সবচেয়ে বেশি অধিকারী? তিনি এরশাদ করলেন, তোমার 'মা'। সে আরজ করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার 'মা'। আবার সে আরজ করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার 'মা'। পুনরায় সে নিবেদন করল, তারপর কে? তিনি জবাব দিলেন, তোমার পিতা।এভাবে তিনবার মায়ের কথা বলার পর চতুর্থ বার বাবার কথা বললেন।
সুতারং রাষ্ট্র পরিচালনার মতো নেতৃত্বের লোভ থেকে ফিরে আসুন। দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সময়ের ক্ষমতার লোভে অনন্ত জিন্দেগীর ধ্বংস ডেকে আনবেন না। পুরুষদেরকে বলছি আপনারাও নারীদেরকে ক্ষমতার আসনে বসানোর নীচ মানসিকতা পরিহার করুন। আল্লাহকে ভয় করুন।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহর দুইচোখ নয় যে দুইজনকে দুই চোখে
দেখেন। হাদীস্ মানুষের জন্য, হাদীসের জন্য
মানুষ নয়। আমাদের বাংলাদেশে যোগ্য নেতা
দেখিয়ে দেন। একটি পরিবারে যখন একটা
পিতার মৃত্যু হয়, তখন মাতাই সন্তানদের
নেত্রী।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: কানিজ রিনা,
১) আপনি কি লেখাটা পুরোপুরি পড়ে মন্তব্য করেছেন?
২) আপনি কি হাদিসে বিশ্বাস রাখেন?
৩) আমাদের বাংলাদেশে যোগ্য নেতা দেখিয়ে দেন। এমন দাবী করা আপনার একটা সীমাবদ্ধতা, কারন আমি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লেখিনি।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: নবীজীর তায়েফ আক্রমণের সময় (৮ হিজরিতে) কিছুতেই তায়েফের দুর্গ ভাঙ্গা যাচ্ছিল না। তখন তিনি ঘোষণা করে দিলেন, দুর্গের ভেতর থেকে যে সব ক্রীতদাস পালিয়ে আসবে তারা সবাই মুক্ত হবে। শুনে অনেক ক্রীতদাস তায়েফ দুর্গ থেকে পালিয়ে আসে, ফলে দুর্গের পতন হয়। বালক আবু বাকরা (হজরত আবু বকর রাঃ নন) ছিলেন সেই ক্রীতদাসের একজন। তারপর দীর্ঘ চব্বিশ বছর চলে গেছে, নবীজী দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, সেই ক্রীতদাস বালক এখন বসরা নগরের গণ্যমান্য নাগরিক। তখন ঘটে গেল মুসলমানের ইতিহাসে প্রম রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ, হজরত ওসমান খুন হবার পরে হজরত আলীর বিরুদ্ধে হজরত আয়েশা-তালহাযুবায়ের দলের। উট শব্দটার আরবি হল “জামাল।” বিবি আয়েশা উটে চড়ে হজরত আলীর বিরুদ্ধে সৈন্য-পরিচালনা করেছিলেন বলে এ-যুদ্ধের নাম হয়েছে “জামাল-যুদ্ধ।” এধারে-ওধারে বারো হাজার সাহাবি খুন হয়েছেন এ-যুদ্ধে।

হজরত আলী ‘জামাল-যুদ্ধে’ জয়লাভ করে বিবি আয়েশাকে সসম্মানে মদীনায় পাঠিয়ে দেবার পর বসরায় প্রবেশ করে শহরের গণ্যমান্য লোকদের ডেকে পাঠান। আবু বাকরা তখন হজরত আলীকে এই হাদিস শোনান। নবীজীর সময় ৬২৯ থেকে ৬৩২ সাল পর্যন্ত রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের আμμমণে ইরাণে খুব বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তখন সেখানে দু’জন নেত্রীর আবির্ভাব হয়েছিল। সে-কথা শুনে নবীজী নাকি আবু বাকরাকে এ-হাদিস বলেছিলেন। হাদিসটা হল − “আবু বাকরা বলিয়াছেন, জামাল-যুদ্ধের সময় আমি সাহাবীদের সহিত যোগ দিয়া (বিবি আয়েশার পক্ষে) যুদ্ধে প্রায় নামিয়া পড়িয়াছিলাম, কিন্তু নবী (দঃ)-এর একটি কথায় আলাহ আমাকে বড়ই উপকৃত করিয়াছেন। যখন নবীজী (দঃ)-কে বলা হইল যে (পারস্য সম্রাট) খসরুর মৃত্যুর পরে পারস্যের লোকেরা তাহার কন্যার উপর নেত্রীত্ব অর্পণ করিয়াছে, তখন তিনি বলিলেন − ‘কখনও উনড়বতি করিবে না সেই জাতি যে জাতি তাহাদের নেতৃত্ব অর্পণ করে নারীর উপরে” (সহি বোখারীর ইংরেজী অনুবাদ, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নম্বর ৭০৯)।

এটা বোখারীর যে কোন বাংলা অনুবাদে পেয়ে যাবেন, হাফেজ মোঃ আবদুল জলিলের ৯০ পৃষ্ঠার ২২২ নম্বরে তো পাবেনই, আজিজুল হক সাহেবের বোখারীর চর্তু খণ্ডের ২২৬ পৃষ্ঠাতেও পাবার কথা। অর্থাৎ আমরা পেলাম ঃ

এ হাদিস জানার পরেও তিনি বিবি আয়েশা (রাঃ)-র পক্ষে যুদ্ধে “প্রায় নেমে পড়ছিলেন,” পরে হঠাৎ মত পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ হাদিসটা প্র মে তাঁর মনে পড়েনি।
এ হাদিস আবু বাকরা প্রকাশ করেছেন হজরত আয়েশা (রাঃ) পরাজিত হবার
পরে, আগে নয়।
এ হাদিস অনুসারে তাঁর উচিত ছিল বিবি আয়েশা (রাঃ)-র বিপক্ষে হজরত আলী (রাঃ)-র পক্ষে যুদ্ধ করার। তা তিনি করেননি।
বলেছেন নবীজীর মৃত্যুর সুদীর্ঘ ২৪ বছর পর, তার আগে একবারও বলেননি।
এ হাদিসে তিনি বড়ই উপকৃত হয়েছেন বলে জানান।
তিনি হজরত আলী (রাঃ)-কে বলেছেন, অন্য কাউকে না জানালেও তিনি নাকি শুধু হজরত আয়েশা (রাঃ)-কে জামাল-যুদ্ধের আগে চিঠি লিখে এ-হাদিসের কথা জানিয়েছিলেন। (অর্থাৎ তাঁকে নেত্রীত্ব ছাড়তে বলেছিলেন)।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজী বর্ণনা করেছেন অনেক সাহাবীকে, কিন্তু যে-হাদিসের সাথে বিশ্বের সমস্ত মুসলিম নারীদের সম্মান ও অধিকার কেয়ামত পর্যন্ত বাঁধা, সেই অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নবীজী বলেছেন শুধু তাঁকেই, আর কোন সাহাবীকেই নয়, বিদায় হজ্জ্বের খোৎবাতেও নয়।
এবার কিছু সহজ হিসেব করা যাক।

আবু বাকরা বলেছেন “আমি বড়ই উপকৃত হইয়াছি।” কিভাবে ? তিনি কোন নেতা বা রাজা বাদশা ছিলেন না, কিভাবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বড়ই উপকৃত হলেন। প্রশড়বই ওঠে না। তিনি তো বিবি আয়েশার বিরুদ্ধে হজরত আলীর পক্ষে যুদ্ধও করেননি।
জামাল-যুদ্ধে যদি আয়েশা (রাঃ) জিতে যেতেন, তবে কি তিনি এ-হাদিস প্রকাশ করতেন ? কে জানে!!
জামাল-যুদ্ধ যদি না হত তবে তিনি এ-হাদিস বলতেন কি ? বোধহয় না, কারণ তিনি সুদীর্ঘ ২৪ বছরে এ-হাদিস বলেননি।
এবারে প্রমাণ।

চিঠিতে এ-হাদিস কথা জানাবার পরেও বিবি আয়েশা (রাঃ) নেত্রীত্ব ছেড়ে দেননি, যুদ্ধের নেত্রীত্ব দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এ-হাদিস বিশ্বাস করেননি।
মওলানারা এ-হাদিস জানতেন না, এটা হতে পারে না। যুগে যুগে বেশির ভাগ মুসলিম সুলতানাদের সময় মওলানারা বিরোধীতা করেননি। অর্থাৎ তাঁরা এহাদি স বিশ্বাস করেননি।
মুসলিম জাহানের খলীফাদের দরবারে কোরাণ-হাদিসের প্রচণ্ড চর্চা হত। এ-হাদিস নিশ্চয়ই তাঁরা জানতেন। মুসলিম জাহানের খলীফারাও এ-হাদিস বিশ্বাস করেননি। তাঁদের সমর্থন ছাড়া সুলতানাদের মুদ্রা ও খোৎবা সম্ভব হত না।
অর্থাৎ ইসলামের ইতিহাসে বেশির ভাগ লোক এ-হাদিস বিশ্বাস করেনি। আইয়ুবের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফাতিমা জিনড়বার সমর্থক মওলানা মওদুদিও বিশ্বাস করেনি। কেন ? কারণটা তাঁরা হয়ত জানতেন, এ-হাদিস জাল-হাদিস। মাত্র তিনটি সূত্র দিচ্ছি, আরও বহু জায়গায় পেয়ে যাবেন :

সূত্র ১. আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে আবু বাকরাকে শাস্তি দেওয়াহইয়াছিল (“দ্য ফরগট্ন কুইন্স্ অব্ ইসলাম” − বিখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ ফাতিমা মার্নিসি)।

সূত্র ২. এই হাদিসের অসত্যতা সুপ্রমাণিত শুধু ইতিহাসেই নয়, বরং ইহাও সত্য যে আবু বাকরা সম্বন্ধে মুসলমানের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে যে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে তাহাকে জনসমক্ষে শাস্তি দেয়া হইয়াছিল। − উইমেন’স রাইট ইন ইসলাম − শরীফ চৌধুরী।

সূত্র ৩. ইহার বর্ণনাকারী আবু বাকরাকে নারী-ব্যাভিচারের মিথ্যা সাক্ষ্য দিবার অপরাধে হজরত ওমর শাস্তি দিয়াছিলেন। − উইমেন অ্যাণ্ড পলিটিক্স ইন্ ইসলাম
www.submission.org/women/politics.html

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আপনি যে হাদিছের কথা বলেছেন জাল, আমার লেখার মাঝে কোথাও ঐ হাদিছের উদৃতি নেই।
আর জঙ্গে জামাল ছিল খণ্ড কালীন মতভেদের ফল। ঐ ঘটনা দিয়েই নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে যায় নি।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: আর জঙ্গে জামাল ছিল খণ্ড কালীন মতভেদের ফল। ঐ ঘটনা দিয়েই নারী নেতৃত্ব জায়েজ হয়ে যায় নি।

ও তাই নাকি শুনে খুব ভালো লাগলো , আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
নারী নেতৃত্ব যখন হারাম তখন রসুল [সা:] পাচ বৎসর কেন বিবি খাদিজা [রা:] মালিকানাধিন এবং নেতৃত্বাধিন ব্যবসায় নারী নেতৃত্বে কাজ করেছিলেন এবং তার ২৫ বৎসর বয়সে যখন বিবাহ করেন তখন তিনি তার স্ত্রীর মালিকাধিন এবং নেতৃত্বাধিন ব্যবসার দেখভাল করেছিলেন ।
তিনি যখন টানা কয়েক বৎসর হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান কোরতেন তখন ঔ ব্যবসায় সময় দিতেন না তখন তার স্ত্রীর সাপোর্টেই ব্যবসা চোলতো এবং স্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় ধ্যান চালিয়ে যেতেন ।
যদি নারী নেতৃত্ব হারাম হয় তাহোলে কেন তিনি নারীর নেতৃত্বে কাজ করতেন এবং নবুয়াত প্রাপ্তির পর ও কেন তাকে নারী নেতৃত্বের ব্যবসা হতে পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন ????
খোদ কোরাণের নির্দেশটাই দেখি না কেন আমরা। পড়ে দেখুন সুরা নামল আয়াত ২৩ − “আমি এক নারীকে সাবা-বাসীদের উপর রাজত্ব করতে দেখেছি।” সেই রাজত্ব করা রাণী যখন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হল তখন ? তখন কোরাণ কি বলেছে তাকে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল ? মোটেই নয়, মোটেই নয়, পড়ে দেখুন আয়াত ৪৪।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: নারী নেতৃত্ব যখন হারাম তখন রসুল [সা:] পাচ বৎসর কেন বিবি খাদিজা [রা:] মালিকানাধিন এবং নেতৃত্বাধিন ব্যবসায় নারী নেতৃত্বে কাজ করেছিলেন এবং তার ২৫ বৎসর বয়সে যখন বিবাহ করেন তখন তিনি তার স্ত্রীর মালিকাধিন এবং নেতৃত্বাধিন ব্যবসার দেখভাল করেছিলেন ।
তিনি যখন টানা কয়েক বৎসর হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যান কোরতেন তখন ঔ ব্যবসায় সময় দিতেন না তখন তার স্ত্রীর সাপোর্টেই ব্যবসা চোলতো এবং স্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় ধ্যান চালিয়ে যেতেন ।
যদি নারী নেতৃত্ব হারাম হয় তাহোলে কেন তিনি নারীর নেতৃত্বে কাজ করতেন এবং নবুয়াত প্রাপ্তির পর ও কেন তাকে নারী নেতৃত্বের ব্যবসা হতে পৃষ্ঠপোষকতা পেতেন ????
আপনি যে উদৃতি দিয়েছেন সেটা আর নারী নেতৃত্ব তথা শাসন ব্যবস্থা এক হল আমি তো বুঝাতে চেয়েছি নারী শাসন ব্যাবস্থাকে। সে ভাবেই বিভিন্ন শাসকের কথা উল্লেখ করেছি। নারীর মালিকানাধীন ব্যবসা তো অনেক আছে, সেখানে তো মানুষ অভাব মিটানোর তাগিদে চাকরি করে। উলটো পথে হাঁটা আপনার স্বভাব, আপনাকে ভুতে ধরেছে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি যে হাদিছের কথা বলেছেন জাল, আমার লেখার মাঝে কোথাও ঐ হাদিছের উদৃতি নেই।

আপনি যা লিখাছেন সেগুলো হোল আমুকে বোলেছে হারাম, তমুকে বলেছে হারাম , ওনারা একমত হয়েছেন নারী নেতৃত্ব হারাম ইত্যাদি --- এই ধরনের একটা লম্বা ফিরিস্তী । এই সব মতামত বা বক্তব্য বা ফিরিস্তী গুলোর মুল সোর্স হোল আমি যে হাদিসটা এখানে পেশ কোরছি সেই হাদিস । এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের মানুপুলেট করে তারা লিখেছে বা গ্রুপ মতামত দিয়েছে কিন্তু এখন তো দেখাতেই পাচ্ছেন মুল হাদিসটার অবস্থা ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: বলেছেন: আপনি যা লিখাছেন সেগুলো হোল আমুকে বোলেছে হারাম, তমুকে বলেছে হারাম , ওনারা একমত হয়েছেন নারী নেতৃত্ব হারাম ইত্যাদি --- এই ধরনের একটা লম্বা ফিরিস্তী । এই সব মতামত বা বক্তব্য বা ফিরিস্তী গুলোর মুল সোর্স হোল আমি যে হাদিসটা এখানে পেশ কোরছি সেই হাদিস । এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের মানুপুলেট করে তারা লিখেছে বা গ্রুপ মতামত দিয়েছে কিন্তু এখন তো দেখাতেই পাচ্ছেন মুল হাদিসটার অবস্থা ।
উপরের মন্তব্যে বলেছি আপনাকে ভুতে ধরেছে। আবারো বলছি আপনাকে ভুতে ধরেছে।
কারন, নবীদের কথা, কুরআনের আয়াত, হাদিস, নারী শাসকের ইতিহাস সব ভুলে আপনি লম্বা ফিরিস্তি নিয়ে ঝুলছেন,
বলেন এটা কি আপনার স্বভাব?

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন:
খোদ কোরাণের নির্দেশটাই দেখি না কেন আমরা। পড়ে দেখুন সুরা নামল আয়াত ২৩ − “আমি এক নারীকে সাবা-বাসীদের উপর রাজত্ব করতে দেখেছি।” সেই রাজত্ব করা রাণী যখন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হল তখন ? তখন কোরাণ কি বলেছে তাকে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল ? মোটেই নয়, মোটেই নয়, পড়ে দেখুন আয়াত ৪৪।
You give other verses of Quran which say Man will dominate over women doesn't express women leadership is haram. Women leadership mean all kind of leadership business or politics anything.

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

এ আর ১৫ বলেছেন: জাতির বর্তমান দাঁড়িয়ে থাকে তার ইতিহাসের ওপর। মুসলমানেরও তাই। সে ইতিহাসে আছে উনড়বত মুসলিম-সভ্যতা, শত শত যুদ্ধ-বিগ্রহ, বিদ্রোহ-বিপব, রাজারাণী, মোলা- মওলানা। আছে মিশর, ইয়েমেন, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌম রাণীরা। আছেন রতড়ব-মাণিক-খচিত রাজ-পোশাকে অষ্টাদশী সুন্দরী সুলতানা রাজিয়া। মানুষের ইতিহাসের একমাত্র অবিবাহিতা সম্রাজ্ঞী তিনি। পুত্রদের হাতে না দিয়ে আঠারো বছরের কন্যার হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন রাজিয়ার পিতা বিশাল ভারতবর্ষের সম্রাট ইলতুৎমিস ১২৩৬ সালে।

তখনকার খলীফার সমর্থনও পেয়েছিলেন সুলতানা রাজিয়া, তাঁর সার্বভৌম রাজত্বকালে চালু মুদ্রায় খোদাই করা আছে ঃ “সুলতান ইলতুৎমিসের কন্যা মালিকা ইলতুৎমিস, যিনি আমিরুল মু’মেনিনের সম্মান বাড়ান।” এ-মুদ্রা এখনও রাখা আছে কোলকাতার মিউজিয়ামে। একই সময়ে ১২৫০ সালে মিশরের রাণী সাজারাত আল্দু ’র-এর নামেও মুদ্রা ছিল, মামলুক খেলাফতের সমর্থনও পেয়েছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, মসজিদে তাঁর নামে খোৎবা পড়াতেন মওলানারা। রাজিয়ার সময়ের মওলানারাও নারী-নেত্রীত্বের প্রতিবাদ করেননি। (“দ্য ফরগট্ন কুইন্স্ অব্ ইসলাম” − বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ ফাতিমা মার্নিসি, পৃষ্ঠা ৯০-৯১)।

এরই নাম ইতিহাস, বিন্দু-বিন্দু সত্যের রাজকন্যা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কণাগুলো একসাথে মিলিয়ে নিলে এত শতাব্দী পরেও অশ্র“সিক্ত চোখে ফিসফিস করে কথা বলে ওঠে সে। ইতিহাসে সার্বভৌম মুসলিম রাণীদের অপরূপ কাহিনী শোনায়। আজকের বন্ধবোধের অন্ধকূপে বন্দি মুসলমানদের কিছু বলতে চায় বুঝি ! তাঁরা রাজদণ্ডধারী প্রবল রাজাদের অলঙ্কার-মার্কা মোমের পুতুল রাণী ছিলেন না। তাঁরা ছিলেন রাজদণ্ডধারিণী শাসনক্ষমতার অধিকারিণী মুসলিম রাণী, নিজের নামে মুদ্রা ছিল তাঁদের কারো কারো, তাঁদের নামে মওলানারা দোয়া করতেন মসজিদে মসজিদে। উদাহরণ দিচ্ছি একই সূত্র থেকে :-

১. ১২৩৬ সাল, দিলী। সুলতানা রাজিয়া।

২. ইরাণের তুরকান অঞ্চলের রাণী তুরকান খাতুন, ১২৫৭ থেকে ১২৮২ পর্যন্ত একটানা ২৬ বছর। মসজিদে তাঁর নামে খোৎবা।

৩. তুরকান খাতুনের কন্যা পাদিশা খাতুন। নামাঙ্কিত মুদ্রা।

৪. ইরাণের সিরাজ অঞ্চলে আব্শ খাতুন। ১২৫৩ থেকে ১২৮৭, একটানা ২৫ বছর। খোৎবা এবং নামাঙ্কিত মুদ্রা, দু’টোই।

৫. ইরাণের লুরিস্থান অঞ্চলের ১৩৩৯ সালের মুসলিম রাণী (নাম জানা নেই)।

৬. রাণী তিন্দু, ১৪২২ থেকে ১৪১৯ পর্যন্ত, ৯ বছর। (জায়গা সম্বন্ধে মতভেদ আছে)।

৭, ৮, ৯. মালদ্বীপের সুলতানারা ঃ খাদীজা, মরিয়ম, ও ফাতিমা। ১৩৪৭ থেকে ১৩৮৮, একটানা ৪১ বছর। এক সময়ে ইবনে বতুতা সেখানকার সরকারি কাজী ছিলেন।

১০, ১১. ইয়েমেনের সুলায়হি (শিয়া-খেলাফত?) বংশের দুই রাণী আসমা ও আরোয়া, প্রায় ৫০ বছর রাজত্ব করেছেন। আসমার নামে খোৎবা হত।

১২. ১২৫০ সালে মিশরের রাণী সাজারাত আল্ দু’র। তাঁর নামে মুদ্রাও ছিল, মামলুক খেলাফতের সমর্থনও পেয়েছিলেন তিনি এবং মসজিদে তাঁর নামে খোৎবাও পড়াতেন মওলানারা।

১৩. সুলতানা ফাতিমা, মধ্য এশিয়ায় কাসেমী খেলাফতের শেষ সার্বভৌম সুলতানা, শাসন করেছেন ১৬৭৯ থেকে ১৬৮১ দু’বছর।

১৪ − ১৭. ইন্দোনেশিয়ায় ১৬৪১ থেকে ১৬৯৯ পর্যন্ত ৫৮ বছর ধরে একটানা শাসন করেছেন সুলতানা শাফিয়া, সুলতানা নূর নাকিয়া, সুলতানা জাকিয়া, ও সুলতানা কামালাত শাহ। ওখানকার মোলারা এর বিরোধীতা করেছেন। তাঁরা নারী-নেত্রীত্বের বিরুদ্ধে মক্কা থেকে ফতোয়া এনে সুলতানাদের উৎখাত করার চেষ্টা করেও পারেননি − নিশ্চয়ই রাণীদের জনপ্রিয়তার জন্যই। বিখ্যাত পর্যটক মার্কো পলো’র লেখা থেকেও আমরা এর কিছুটা বিবরণ পাই।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘নারীদের উপর পুরুষগণ শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্বের অধিকারী।’ [বাকারা : ২২৭]।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: ‘পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী। কারণ আল্লাহ তাআলা-ই তাদের মাঝে তারতম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের বিধান রেখেছেন। দ্বিতীয়ত পুরুষরাই ব্যয়-ভার গ্রহণ করে।’ [নিসা : ৩৪]
. .
It doesn't mean women are unfit for leadership. Leadership skill totally different kind of Skills। Women prove themselves capable for any kind of leadership.

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১০

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘নারীদের উপর পুরুষগণ শ্রেষ্ঠত্ব ও কর্তৃত্বের অধিকারী।’ [বাকারা : ২২৭]।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: ‘পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বকারী। কারণ আল্লাহ তাআলা-ই তাদের মাঝে তারতম্য ও শ্রেষ্ঠত্বের বিধান রেখেছেন। দ্বিতীয়ত পুরুষরাই ব্যয়-ভার গ্রহণ করে।’ [নিসা : ৩৪]
. .
It doesn't mean women are unfit for leadership. Leadership skill totally different kind of Skills। Women prove themselves capable for any kind of leadership.
If your expressions are above according to the sentences of Quran [ Bakara : 227, Nisa : 34 ] I want to detail expression about sentences of purdah. When an woman take a leadership, how to she protect her curtain.

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০০

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আবোল তাবোল যা খুশি তাই লিখলেই কী লেখক হওয়া যায় ? লজ্জাজনক !

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: লেখাটা কোন নাস্তিকের জন্য নয়। লেখাটা মুসলমানের জন্য।এমনটি লেখার মধ্যেই বর্ণিত রয়েছে।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২১

নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: এসব অপাঠ্য লেখা কারো জন্যই না। অহেতুক সময়ের অপচয়। নিজের সময় নষ্ট করে আরো লিখুন এসব লেখা, আফসোস যে এসব লেখাকে কেউ পাত্তা দেবে না। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবেন, পৃথিবীতেও নারী নেতৃত্ব দিন দিন আরো সুবিস্তৃত হবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আই বুঝতে হাচ্ছি হেতে কুন্তা।
তো লেখা যদি অপাঠ্যই হয় আপনার মতো পাঠককে পাঠ না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: I want to detail expression about sentences of purdah. When an woman take a leadership, how to she protect her curtain.
------ ও তাহোলে কার্টেন গত কারনে আপনাদের হুজুররা ফতুয়া বানিয়েছে নারী নেতৃত্ব হারাম কারন তাদের কে বেগানা পুরুষের সাথে চলাফেরা সহ কার্টেন বিহীন হতে হয় !!!!!!! :) :) :) :) :)
ইসলামিক পন্ডিতেরা বলেন কোরানে কিছু আয়াত আছে রুপক অর্থে, কিছু আয়াত আছে তাৎখনিক ঘটনা বা পরিপার্শিকতার সমাধান হিসাবে এবং কতক গুলো আয়াত আছে সর্ব কালের জন্য । নারীরা কোন সঙ্গি ( নিকট আত্মিয়া ) ছাড়া একা একা ঘর থেকে বেড় হতে পরবে না , সারা দিন ঘরে বসে থাকবে --- এই বিষয়ের আয়াত গুলো নিয়ে চরম মত বিরোধ আছে ইসলামিক পন্ডিতদের ভিতর এই ব্যপারে সবাই একমত নহে । এক পক্ষ মনে করে এটা সর্বকালের জন্য নহে , তৎকালিন পরিবেশ ও পরিস্থিতির সমাধান মাত্র এবং অপর পক্ষে মনে করে এটা কিয়ামত পর্যন্ত । বর্তমানের প্রেক্ষাপটে মেয়েদের কোন আত্মিয়র সঙ্গ ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়ে কোন উপায় নেই এবং লাস্ট শত বৎসর ধরে এটা হয়ে আসছে ।
এপার আসি কার্টেনের ব্যপারে ---- যখন কোন মহিলা রাজনীতিতে যুক্ত হয় তখন (শুধু একজন ছাড়া)) সব মহিলাদের ( মুসলিম অমুসলিম) যে কোন ধর্মের মহিলাদের পোষাক পরিচ্ছেদে আমুল পরিবর্তন আসে , তারা যদি অতিতে হাই ফ্যাসানেবেল ড্রেস আপ করে থাকে রাজনীতিতে আশার পরে ড্রেস আপের আমুল পরিবর্তন ঘটে । যারা যে দেশে যে কালচারে বড় হয়েছে তারা সে কালচারের ডিসেন্ট পোষাক হিসাবে স্বীকৃত পোষাক পড়ে জন সন্মুখে আসে ।
যেমন ধরুন হিলারি ক্লিনটান , মারগারেট থ্যাচার সহ ওয়েষ্ট্রান কান্ট্রির মহিলা নেত্রীরা যারা তাদের কালচারের ডিসেন্ট ড্রেসিং করে ।
এবার যদি ভারতের নেত্রীদের কথা ধরি যেমন ইন্দিরা গান্ধী ,মমতা ব্যানর্জী --- এদের ড্রেস আপ সম্পুর্ণ ট্রেডিশনাল ডিসেন্ট ড্রেস । জনগন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মার্জিত পোষাক ছাড়া গ্রহন করে না । তার মানি হোলে মহিলাদের রাজনৈতিক লিডারশিপ তাদের মার্জিত পোষাক পোড়তে বাদ্ধ করে ।
জয় ললিতা তামিল নাড়ুর গণ প্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী , তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগে ছিলেন সিনেমার নায়িকা এবং সিনামায় তাকে বিভিন্ন পোষাকে দেখা গেছে কিন্তু যখন তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ কোরলে তখন তার সমস্থ ড্রেসিং চেন্জ ।
ঠিক একই ভাবে হেমা মালিনী, জয়া প্রদা সহ ভারতের যে সমস্থ বিখ্যাত অভিনেত্রী রাজনীতিতে ঢুকেছেন সবার ড্রেস আপ পরিবর্তন হয়ে গেছে । এমনি পশ্চিম বাংলার মুনমুন সেন , রুপা গাঙ্গুলী রাও ব্যতিক্রম নহে ।
সুতরাং রাজনীতির লিডারশীপ নেতা নেত্রীদের মার্জিত পোষাক পোড়তে বাধ্য করে কারন জনগন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের সিনেমার হিরো হিরোইনদের মত পোষাকে পছন্দ করে না ।
এবার আশা যাক বাংলাদেশের নেত্রীদের ব্যপারে ---
আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনা ( মার্জিত পোষাক )
মতিয়া চৌধুরী ( মার্জিত পোষাক)
সাজেদা চৌধুরী ( মার্জিত পোষাক )

বিএনপি
পাপিয়া ( মার্জিত পোষাক)
শাম্মী ( মার্জিত পোষাক)
সকল ইসলামি দলের নেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া ( ট্রেন্সপারেন্ট শাড়ী , উগ্র মেকাপ )

সুতরাং একমাত্র খালেদা জিয়া ছাড়া সবাই সব্সটিকেটেড মার্জিত পোষাক পড়েন ।
পাকি নেত্রী বেনজির ভুট্টো একদা ডিসকো জিন্স পোড়তেন উগ্র মেকাপ কোরতেন রাজনীতিতে প্রবেশের সাথে সাথে তার পোষাক পরিবর্তন হয়ে যায় ।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে উগ্র পোষাক ধারি কোন মহিলা রাজনীতিতে প্রবেশ কোরলে তার পোষাক আশাক আরো মার্জিত হয়ে উঠে তা না হোলে জনগণ গ্রহন কোরবে না ।
সুতরাং যে কার্টেনর থিউরীতে আপনার মাওলানারা নারী নেতৃত্বকে হারাম বোলেছে সেটা ধপে ঠিকে না ..
এবার দেখুন সকল ইসলামি দলের নেত্রীকে কি ভাবে ইসলামী নেতারা ভক্তি করে তার চিত্র .

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: উপরের কমেন্টস গুলোতে তো কুরআন নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়াইলেন এখন দেখছি ওটা আপনার ফাও প্যাচাল। আলেম ওলামারা কুরআন হাদিসের আলোকে কথা বললে সেটা হয় লম্বা ফিরিস্তি। তাহলে আওয়ামীলীগ, বি এন পি এগুলোর বরাত কোন ফিরিস্ত। আসলে ইসলামের কথা বললে আপনাদের মতো মানুষদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



#সুতরাং যে কার্টেনর থিউরীতে আপনার মাওলানারা নারী নেতৃত্বকে হারাম বোলেছে সেটা ধপে ঠিকে না ..
এবার দেখুন সকল ইসলামি দলের নেত্রীকে কি ভাবে ইসলামী নেতারা ভক্তি করে তার চিত্র .#

-ফতোয়ায়ে মাথা আউলা আলাইহিসসালাম।

পাগলে কি না কয়,
ছাগলে কি না খায়।

ইসলামের মহান ব্যাখ্যাকারের আগমনে দিন দিন ব্যাপক বিনোদন।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষকে ব্লক লিস্ট এ রেখে দিন। এই ব্লগার খুবই বাজেঁ। :(
একটু মনঃপুত না হলেই এই ব্লগার নান্দনিক সাহেব নিজ ব্লগে কমেন্ট মুছে ও ব্লক করে রেখে দেন‍! নিজের পোষ্টে আলোচনার সুযোগ দেয় না ঠিকই কিন্তু অন্য ব্লগে নিজের খারাপ/ভাল লাগা বা মতামত ঠিকই ছাপিয়ে যাচ্ছে!

সুতরাং একে ব্লক করাই শ্রেয়। সে বলে প্রোফাইলে ডাক্তার! .... থাক আর বাড়িয়ে বললাম না। :(
----------------------

অসঙ্গত নারী নেতৃত্ব পোষ্ট নিয়ে এখন মন্তব্য করলাম না, ধৈর্য্য ধরে পড়তে হবে এরপর মূল মতামত দিতে হবে।
যদিও প্রারম্ভিক মতামত হিসেবে আমি বলব যোগ্য প্রার্থীকেই বিবেচনায় আনতে হবে- তা ধর্ম,বর্ণ,লিঙ্গ,পরিচয় নির্বিশেষ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ভাই রিফাত হোসেন, নান্দনিক বুদ্ধি প্রকর্ষ সম্বন্ধে আপনার পরামর্শ গ্রহণযোগ্য।
নারী নেতৃত্ব সম্বন্ধে অন্ধ বিশ্বাসে কিছু বলিনি, কুরআন হাদিসের পাশাপাশি বাস্তব ও যৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে পাঁঠারা বিচি হারাইয়া ছাগুতে পরিণত হয় ! এই বিচি হারানোর প্রক্রিয়ায় অর্জিত বুদ্ধুপ্রকর্ষণ এই প্রক্রিয়ায় তাহাদের উৎপন্ন শব্দদূষণের সমানুপাতিক হইবে ! আর প্রক্রিয়াকরণের পূর্বেই যদি তাহাদের বিচি বিস্ফোরিত হয় তাহা হইলে বুদ্ধুপ্রকর্ষণ শব্দদূষণের ব্যাস্তানুপাতিক হইবে ! খিকজ ! :D :P =p~

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে পাঁঠারা বিচি হারাইয়া ছাগুতে পরিণত হয় ! এই বিচি হারানোর প্রক্রিয়ায় অর্জিত বুদ্ধুপ্রকর্ষণ এই প্রক্রিয়ায় তাহাদের উৎপন্ন শব্দদূষণের সমানুপাতিক হইবে ! আর প্রক্রিয়াকরণের পূর্বেই যদি তাহাদের বিচি বিস্ফোরিত হয় তাহা হইলে বুদ্ধুপ্রকর্ষণ শব্দদূষণের ব্যাস্তানুপাতিক হইবে ! খিকজ ! :D :P =p
বুদ্ধি প্রকর্ষকে যথা যোগ্য উপহার প্রদানের জন্য Tarzan00007 কে ধন্যবাদ। "এ আর ১৫" কেও কিছু উপহার দিয়ে দিন।

১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: উপরের কমেন্টস গুলোতে তো কুরআন নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়াইলেন এখন দেখছি ওটা আপনার ফাও প্যাচাল

জী জী ওগুলো তো আপনার ফাও পেচাল । একটা হাদিসকে ভিত্তি করে আপনাদের মাওলানাদের বিভিন্ন মতামত এবং কোরানের আয়াতের বিশ্লেষন । যখন দেখিয়ে দিলাম হাদিসটার ব্যাক গ্রাউন্ড তখন সুর পাল্টিয়ে ফেললেন । কোরানের যে আয়াত গুলো দিয়েছেন পুরুষ নারীর উপর কর্তৃতশীল সেই আয়াত দিয়ে যখন প্রমাণ করা যায় না নারী নেতৃত্ব হারাম এবং যখন আমি সুরা নমল থেকে উদ্ধৃতি দিলাম (খোদ কোরাণের নির্দেশটাই দেখি না কেন আমরা। পড়ে দেখুন সুরা নামল আয়াত ২৩ − “আমি এক নারীকে সাবা-বাসীদের উপর রাজত্ব করতে দেখেছি।” সেই রাজত্ব করা রাণী যখন ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হল তখন ? তখন কোরাণ কি বলেছে তাকে সিংহাসন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল ? মোটেই নয়, মোটেই নয়, পড়ে দেখুন আয়াত ৪৪।) । তখন আনলেন কার্টেন থিউরী এবং সেই থিউরীর উত্তর দেওয়া হয়েছে আমার ১২ নং কমেন্টে এবং প্রমাণ করা হয়েছে কোন নারী যখন রাজনীতিতে নামে তখন তিনি আরো বেশি মার্জিত পোষাক পড়েন .

আলেম ওলামারা কুরআন হাদিসের আলোকে কথা বললে সেটা হয় লম্বা ফিরিস্তি।

ওনারা তো ঐ হাদিসের উপর ভিত্তি করে মতামত এবং কোরানের আয়াত বিশ্লেষন করেছেন ।

তাহলে আওয়ামীলীগ, বি এন পি এগুলোর বরাত কোন ফিরিস্ত। আসলে ইসলামের কথা বললে আপনাদের মতো মানুষদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়।
আমি শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নহে ভারত , পাকি ,পশ্চিমা বিশ্বের নারী রাজনৈতিক নেত্রীরা কি ধরনের মার্জিত পোষাক পড়েন তার ফিরিস্তি দিয়েছি । আসলে মিথ্যা এবং অপ- ইসলামের কথা বললে আমাদের মতো মানুষদের গায়ে জ্বালা ধরে যায় আর আপনার মত মানুষেরা বেহেস্তের ৭২ হুর পাওয়ার খোয়াব দেখেন ।

১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



#রিফাত হোসেন বলেছেন: বান্দরি কুবুদ্ধি প্রকর্ষকে ব্লক লিস্ট এ রেখে দিন। এই ব্লগার খুবই বাজেঁ। :(
একটু মনঃপুত না হলেই এই ব্লগার নান্দনিক সাহেব নিজ ব্লগে কমেন্ট মুছে ও ব্লক করে রেখে দেন‍! নিজের পোষ্টে আলোচনার সুযোগ দেয় না ঠিকই কিন্তু অন্য ব্লগে নিজের খারাপ/ভাল লাগা বা মতামত ঠিকই ছাপিয়ে যাচ্ছে!

সুতরাং একে ব্লক করাই শ্রেয়। সে বলে প্রোফাইলে ডাক্তার! .... থাক আর বাড়িয়ে বললাম না। :( #


-ভাই রিফাত হোসেন,
যথার্থ বলেছেন। এই ব্যাটা পুরোটাই উদ্ভট। আমার কমেন্টগুলোও মুছে দিয়েছে। আবার কমেন্ট ব্লক করে রেখেছে। আমার বুঝে আসে না, এই ধরনের পরমত অসহিষ্ণু বন্ধ হৃদয়ের অধিকারী ক্ষুদ্র আত্মাদের মুক্ত মঞ্চ ব্লগে আসার দরকার কি? এরা তো দরজা জানালা কপাট আটকে গুমোট অন্ধকার প্রকোষ্টে পরে থাকলেই পারে। অথবা মরুর বালুতে উটপাখির মত মাথা ঠুকে রাখার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে পারে।

সামুতে প্রায় সেম স্বভাবের আরও তিন চারটে প্রানীর ভেতরে সবচে' বিদঘূটে এবং ন্যাক্কারজনক আরেকটি 'আহাম্মক বাসার' কিংবা এই টাইপের একটি নিকধারী। এই ভদ্দরনোক আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্র নিয়ে সাংঘাতিক বাজে এবং জঘন্য মন্তব্য করেছেন। কিছু দিন পূর্বের তার সেই কথাটি নিয়ে আমার সাথে বিরোধের সূত্রপাত। ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে-

view this link

পরবর্তীতে এর মাথা আউলা পোস্টের বহর দেখে ধরে নিয়েছি, ব্যাটার মাথায় কোন সমস্যা রয়েছে। এ নোকও অন্যের কমেন্ট পছন্দ না হলে মুছে দেন। আবার কমেন্ট প্রদানকারী ব্যক্তিকে আক্রমন করে বাজে ফালতু বলতেও ছাড়েন না। অপছন্দের কমেন্টটি মুছে দিয়ে সেখানে সেই কমেন্ট প্রদানকারী ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় পোস্টদাতার নিজের মন্তব্য প্রকাশ কোন স্তরের ভদ্রতা হতে পারে?

কথা হচ্ছে, কূপমন্ডুকতার কাছে পরাজিত হয়ে, বিপরীত মত যখন সহ্যই করতে পারছেন না, মুছেই যখন দিতে চান, আমরাও বলি, মুছুন। কিন্তু, অন্যের কমেন্টটি মুছে দিয়ে সেখানে একখান সাইনবোর্ড টানিয়ে দিতে হবে কেন? নিজে অাবার একটা বাজে কথা না বললে মহাপাপ হয়ে যায়?

এইগুলোকে সমাজের ঝরে যাওয়া, বখে যাওয়া অংশ মনে করে এদের ইগনোর করা আর অধিক পরিমানে এদের হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোআ কান্নাকাটি করা, এইতো আমাদের কাজ।

ভাল থাকবেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: নকিব ভাই,
আপনার view this link দেখেছি। কিছু কিছু নাম আছে মুছলমান নামের ফ্লেভার। ঐ ভণ্ডদের সাথে অযথা তর্ক করার মতো পর্যাপ্ত সময় আমাদের নেই। খুব সম্ভব আপনারই কোন এক কবিতায় আছে পাহাড় এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় সরে যাওয়া সম্ভব কিন্তু কিছু মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।
উপরের কমেন্টস এর শেষোক্ত অংশ টুকু যথার্থ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.