নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
টিভিতে এ্যাড দেখছেন?????
>> মেয়েটির চোখে মুখে অস্থির কনফিডেন্স.... এ্যাডটি হতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন অথবা কোন ফেয়ারনেস ক্রিমের আর নতুবা কোনো শ্যাম্পুর।
>> ভারতীয় টিভি চ্যানেলে বডি স্প্রে XOLO,FOGG এর এ্যাডে দেখা যায়। বডি স্প্রে করা পুরুষের উপর কতগুলো নারীকে কামুক দৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
>>দামী ব্রান্ডের গাড়ি প্রদর্শনে বিকিনি পরা মেয়ের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে কিন্তু গাড়ির সৌন্দর্য বাড়েনা। বরং এটিই বুঝা যায় যে গাড়ি নয় নারীকেই সেখানে আকৃষ্ট পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
>> টিভি খুললেই টিভির পর্দায় ভেসে উঠে U&ME কনডমের এ্যাড। যেখানেও পুরুষের ব্যবহৃত বস্তুর এ্যাডে নারীকেই কামুক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরিবারের সাথে বসে টিভি দেখতে গেলে অবস্থাটা কি হয় একবার ভাবুন তো???
>>শুধু টিভিতে নয়,
>> এসব নগ্নতা ছড়িয়ে পড়ছে বিলবোর্ডেও। কোন রাস্তায় চলাফেরা করবেন???? অভিজাত এলাকা হিসেবে সবার পরিচিত গুলশানের বিপণিবিতান আর জুয়েলারি গুলোর বিজ্ঞাপনে কোনো সুস্থ সমাজের চেহারা ফোটে উঠেনি। ফুটেছে নারী দ্বারা বিকৃত কামাচারের চেহারা।
>> VASAVI নামে একটি ফ্যাশন মল আছে গুলশান ১ এর লেকপাড়ে। এরা এদের বিজ্ঞাপনে শুরু থেকেই নারী দেহের উন্মুক্ত প্রদর্শনী করিয়ে আসছে। নারীর শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো মেলে ধরে বিজ্ঞাপনে প্রচার করে তারা। যা চোখ কান খোলা রাখলেই রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে দেখতে পাবেন। ভাসাভির ডায়মন্ড জুয়েলারির বিজ্ঞাপন চিত্রে অংশ নেয়া মডেলের বুকের মধ্যখান থেকে গলা পর্যন্ত খোলা।
একই রকম অবস্থা দেখা গেছে আপন জুয়েলার্সের বিজ্ঞাপনেও। ক্যাটস আই, এক্সটেসির পোশাক আশাক আর প্রাইড শাড়ির বুঝলি হালার ভাই হাতুড়ে সিং ? একই হাল। সব জায়গায় নারীকে উলঙ্গ পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
মহাখালী ফাইওভারের নিচে, ধানমন্ডি, বনানী, উত্তরা ও গুলশানে এসব বিজ্ঞাপনের মেলা। দেশীয় নারী ছাড়াও এসব বিলবোর্ডে ভারতীয় তারকা মডেলদেরও নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়।
>>> বছর কয়েক আগে টেলিভিশনে রাঁধুনি গুড়া মশলার একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছিল। সেখানে জনৈকা প্রবীণ
অভিনেত্রী রাঁধুনি বলে তার সম্ভাব্য পুত্রবধুর প্রতি ইঙ্গিত করায় নারী মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। চুলটানা কামাল, খাসী কবির, রোকেয়া পেত্নীদের মত নারীবাদীদের চেতনাতে চরম আঘাত লেগেছিলো ওই এ্যাডের কারণে। তখন অভিযোগ করা হয়েছিল, রাঁধুনি বলে বিজ্ঞাপনে নারীর প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছে!! উপরে যে বিজ্ঞাপন গুলোর
কথা উল্লেখ করা হয়েছে-- --তাতে কি নারীকে খুব মহিমান্বিত করা হয়েছে?
নাকি তাদেরকে দেখানো হয়েছে নিছক সেক্স অবজেক্ট হিসেবে, যারা আকর্ষণীয় পুরুষ দেখলেই সব ভুলে ছুটে যায়?
--এগুলোতে কি নারীকে অশ্লীল পণ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হয়নি?
--নারীকে কি ভোগ্য পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়নি?
--যদি তা করাই হয়ে থাকে, তবে কেন এই রহস্যময় নীরবতা?
--নারীত্বের এই চরম অবমাননা কেন তারা সহ্য করছে?
--কেন তাদের মুখে ফোটে না প্রতিবাদের ভাষা? সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র আমাদের এই দেশ ! এই দেশের সংস্কৃতি ! হায়রে নারী---পাশ্চাত্য তোমাকে ডিজিটালের নামে আজ নগ্ন পন্য বানিয়েছে...
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শুধু দেশ না , সারা দুনিয়াটাইতো এভাবে চলছে ! :-<
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এটাইতো সমস্যা
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
নতুন বলেছেন: Corporate businesses sponsors most of the program now a days. If you talk against them they will not call you any more. News paper and tv ad will not come from the corporation so no one wants to lose there income.
It's all Good Business.
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: কিন্তু আমরা তো সামাজিক বিজ্ঞাপনের উদাহরণ ও দেখেছি যেগুলো দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সুতরাং অশ্লীলতা বাদ দিয়েও ভাল ব্যবসা করা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: +++++++++++++++++