নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
নিজের অশুভ লক্ষ্য চরিতার্থ করার জন্য মার্কিন সরকার দেশে দেশে আইএসআইএল-এর মতো অসংখ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করেছে। এ মন্তব্য করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং ওয়ার্ল্ড ভিউ ফাউন্ডেশনের পরিচালক রডনি মার্টিন।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমেরিকা আইএসআইএল নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে গ্রেফতার করেছিল। অথচ পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সঙ্গত কারণেই এটি ভাবা অমূলক নয় যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এক গোপন আঁতাতের ভিত্তিতে বাগদাদিকে ছেড়ে দিয়েছিল। সেই আঁতাতের ফলশ্রুতিতেই আজ তার নেতৃত্বে উগ্র সন্ত্রাসীরা ইরাকের বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে।”
মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার রডনি মার্টিন আরো বলেন, এ পাশবিকতা শুরু হয় সিরিয়ায়; সিরিয়ার পর বাগদাদির বর্বরতা শুরু হয়েছে ইরাকে। মার্কিন সরকারের চূড়ান্ত লক্ষ্য ইরাকের নুরি আল-মালিকি সরকারকে অস্থিতিশীল করে আবার দেশটির ওপর দখলদারিত্ব চাপিয়ে দেয়া।”
মার্টিন বলেন, “নিজের পররাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়নের অশুভ লক্ষ্যে যুগে যুগে এ ধরনের বহু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করেছে আমেরিকা। এর আগে তারা আফগানিস্তানে তালেবান ও আল-কায়েদা তৈরি করেছিল।”
বর্তমানে ইরাকে ভয়াবহ তাণ্ডব পরিচালনাকারী উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা আবু বকর আল-বাগদাদিকে মার্কিন সেনারা ২০০৫ সালে আটক করেছিল। তাকে দক্ষিণ ইরাকের উম্মুল কাসর শহরের ক্যাম্প বুকা কারাগারে আটক রাখা হয়। পরে মার্কিনীরা ২০১০ সালে বাগদাদিকে ছেড়ে দেয়। সেই বছরই বর্বর চরিত্রের অধিকারী বাগদাদি আইএসআইএল গঠন করে। গত ১০ জুন তার সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর দখল করে নেয়।
আবু বকর বাগদাদি ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারা শহরে জন্মগ্রহণ করে। তার আগের নাম ছিল আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল-বাদরি আল-সামারাই। নিজেকে খলিফা ঘোষণার লক্ষ্যে পরবর্তীতে নিজেই আবু বকর নাম ধারণ করে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালে জর্দানে আইএসআইএলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে ওই প্রশিক্ষণ দেয় মার্কিনীরা।
©somewhere in net ltd.