নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তুতে আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব মিত্ররা।এ খবর জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণলয় পেন্টাগন।সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আইএসআইএল ও আন-নুসরা ফ্রন্টের অবস্থানেও আঘাত হানে বিদেশি বিমানগুলো।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কিরবি জানান, “আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা সিরিয়ায় তৎপর আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে এবং যৌথবাহিনী জঙ্গিবিমান, বোমারু বিমান ও টোমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে।”
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনে বলা হয়, গ্রিনিচমান সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে হামলা শুরু হয়।নাম প্রকাশ না করে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, এই অভিযানে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, কাতার ও বাহরাইনের সংশ্লিষ্টতা আছে। সামরিক অভিযানে তাদের সঠিক ভূমিকা অস্পষ্ট। তবে বিমান হামলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে কাতার।
হামলায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জর্দান। দেশটির তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ আল মোমানি বলেন, বিমান হামলা চলবে। অভিযানে জর্দানসহ চারটি দেশ অংশ নিয়েছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়েছে, হামলার বিষয়টি আগেই দামেস্ককে অবহিত করেছে ওয়াশিংটন। জাতিসংঘে সিরিয়ার প্রতিনিধিকে গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রাকায় আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে।
কিন্তু এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সহযোগিতা নেবে না। এমনকি হামলার ব্যাপারে দামেস্কের সঙ্গে সমন্বয়ও করবে না।
এরপরও প্রশ্ন থেকে যায় সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের অজুহাতে মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপের একটা ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় কি আমেরিকা?
সিরিয়ার সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ২০১২ সালে আইএসআইএল সন্ত্রাসীদের জর্দানে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। এ গোষ্ঠী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিরাট অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। গত জুন মাসে এ গোষ্ঠী ইরাকের অভ্যন্তরে বহুসংখ্যক সন্ত্রাসী পাঠায় এবং তারা দ্রুত বেশ কিছু শহর ও এলাকা দখল করে নেয়। পরে তারা ইরাকের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর ও মার্কিন স্বার্থেও আঘাত হেনেছে বলে খবর বের হয়েছে। এরপরই আমেরিকা আইএসআইএল’র বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে এবং ইরাকে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এ অভিযান এবং এ বিষয়ে তাদের আন্তরিকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
©somewhere in net ltd.