নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্রে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগে ৪৭ জন মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।কালো তালিকাভুক্ত শিক্ষকদের আগামী পাঁচ বছর বোর্ডের গোপনীয় কাজ থেকে বিরত রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এ নোটিশটি সম্প্রতি বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগে স্কুলের নামসহ শিক্ষকদের নাম কালো তালিকাভুক্ত করে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকার একটি মাধ্যমিক স্কুলের কালো তালিকাভুক্ত একজন শিক্ষক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বোর্ড থেকে উত্তরপত্র বিতরণের সময় শিক্ষকদের বলা হয়েছিল, উত্তরপত্রে যাই লেখা থাক না কেন, ভালো নম্বর দিতে হবে। কিন্তু উত্তরপত্রে বোর্ডের কথামতো নম্বর না দেয়ার কারণে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বোর্ডের একজন সাবেক প্রধান পরীক্ষক এবং বর্তমানে সাভার ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যাপক কালী প্রসন্ন দাস বলেন, শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার তাগাদার ফলে শিক্ষার মানেরই অবনতি হচ্ছে। এতে ছাত্ররাও ক্লাসে আসা বা পড়ালেখার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।তিনি বলেন, কোনো শিক্ষক যদি বোর্ডের আকাংখা অনুযায়ী বেশি নম্বর দিতে ব্যর্থ হন তবে তার ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিয়ে শিক্ষকদের মার্যাদাহানি করতে পারে না।
এ প্রসঙ্গে কিশোগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ উদ্দিন ঠাকুর বলেন, এটা একরম রাজনীতি যে, বোর্ডের পক্ষ থেকে পরীক্ষার খাতায় বই বেশি নম্বর দিতে বলা হয়। এর ফলে সরকার বেশি পাস করার কৃতিত্ব দাবি করতে পারে। কিন্তু, এতে মানসম্মত শিক্ষা আর্জন হয় না।
দেশের সচেতন সমাজ মনে করেন, ছাত্ররা পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাক তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তারা মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করুক। তা না হলে সরকার বেশি পাশের জন্য মেকি কৃতিত্ব দাবি করে জনগণের কাছে আরো বেশি অজনপ্রিয় হবে।
এখন বোঝা যাচ্ছে কেন A+ প্রাপ্ত ছাত্ররাও ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০% নম্বরও পাচ্ছে না।
প্রশ্নঃ কোনটি প্রয়োজন পাসের হার বৃদ্ধি নাকি ভাল মানের শিক্ষার্থী তৈরি করা?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: I also Think So
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক !
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ রে ভাই তেমনটাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
ডি মুন বলেছেন: দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান যে অবস্থা এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে একটি মেধাহীন অকর্মন্য জাতি তৈরিতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না। সম্ভবত সরকারের এখন সেটাই লক্ষ্য।
মাঝে মাঝে নিজেকে এদেশের নাগরিক মনে করতে লজ্জা হয়। রাজনীতির মারপ্যাঁচে শিক্ষাব্যবস্থা এখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত।
জানি না এই অচলাবস্থার অবসান কবে হবে !!!!!!