নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতি মালালা ইউসুফ কে শান্তিতে নোবেল পুরুষকারে ভূষিত করা হয়েছে।
যদিও মালালাকে গত বছরই এই পুরুস্কার দেওয়ার কথা ছিল, হয়তোবা কোন কারনে সে সময় সে পায়নি। একই সাথে ভারতীয় কৈলাস এই পুরুস্কার পায়।
তাদের অবদান হল তারা নিজ নিজ দেশের জনগণদের শিক্ষিত করতে চেষ্টা চালিয়েছেন।
কিন্তু মালালার নোবেল পুরুস্কার নিয়ে সম্পূর্ণ নিউজ ফিডে বিতর্ক দেখছি।
মালালা কি করেছেন জানেন?
তালেবান নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেখানে পাকিস্তানের মেয়েদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখতে চায়। এরা নারী শিক্ষাকে ব্যাহত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে।তালেবানরা এসেই সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে ও নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করে নিয়ে যেতে চায় মধ্যযুগে !
সেখানে মাত্র ১৭ বছর বয়সী মালালা কয়েক বছর ধরেই মানুষের ঘরে ঘরে যেয়ে পাকিস্তানি মেয়েদের যেন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হতে হয় সেজন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।
আপনি হয়ত বলতে পারেন বিশ্ব শান্তির জন্য তার অবদান নাই!
কিন্তু ১৭ বছরের একটি মেয়ে নিজের জীবনের পরোয়া না করে বরং দেশের জন্য তাদের মেয়েদের জন্য যা করেছে সেটিকে কিভাবে অবমূল্যায়ন করবেন?
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত বাংলাদেশের নারী শিক্ষার একজন অগ্রদূত ছিলেন। অনেকেই তাকে নিয়ে অনেক আজেবাজে মন্তব্য করেছে, তাকে নাস্তিক/ইসলাম বিদ্বেষী বলা হয়েছে, কিন্তু তাতে তার অবদান কি একটুও কমেছে?
মালালার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তার এই নোবেল প্রাপ্তি। দয়া করে সব সময় অন্যের সমালোচনা না করে আপনার অবদান তুলে ধরুন। আর একটি ব্যাপার ইসলামে কিন্তু নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষা/জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক।
কেউ কেউ তাকে ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ করছে! পারলে প্রমান দিন সে ইসলামের বিরুদ্ধে কি বলেছে/করেছে? উপযুক্ত প্রমান দিতে পারলে পোস্টটি প্রত্যাহার করা হবে।
অহেতুক আজেবাজে মন্তব্য করে লজ্জা দিবেন না।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: মানি হয়ত এত কম বয়সে তার নোবেল প্রাপ্তি সঠিক হয়নাই। কিন্তু মনে রাখবেন সে কিন্তু উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছে, পাকিস্তানী নারিদের শিক্ষিত করে তুলতে চেয়েছে । মাদার তেরেসার সাথে মালালাকে তুলনা করা বোকামি। এমন কি আপনি যদি গান্ধিজির সাথেও তুলনা করেন যিনি নোবেল জয়ী নয়, তাও অন্তত আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আর মালালাই তো ১৭ বছর বয়সে নোবেল প্রাপ্ত একমাত্র ব্যাক্তি। হয়ত আজ সে বেঁচে না থাকলে কেউ তাকে মনেও রাখত না, কিন্তু যার পক্ষে ভাগ্য সহায় হবে তাকে পেছনে ফেলা সম্ভব কি না? বাকীটা আপনার বিবেচনা।
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: "বিশ্ববাসী আগেও জানতো মুসলিম বিশ্বের যে সব গাদ্দার গাদ্দারিতে এবং পাশ্চাত্যের পা'চাটার পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারে নোবেল প্রাইজ নামক একটা দাসত্বের সার্টিফিকেট কেবল তাদের পক্ষেই অর্জন করা সম্ভব। সোয়াতের ধর্মীয় পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (তাদের ধারণামতে) মালালা ইউসুফ জাঈর নোবেল প্রাপ্তিতে তাই অবাক হবার মতো কিছুই নেই। কোনো প্রকৃত অর্থের মুসলমান কখনো নোবেল প্রাইজ পেতে পারে না। আমরা দেখেছি মুসলিম নামধারী আব্দুস সালামকে নোবেল দিতে। কিন্তু আব্দুস সালাম মুসলমান হলো কবে? সে তো ছিল তাদের দেয়া নবুওতে নবী হওয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানির একজন বিশ্বস্ত উম্মত। বাংলাদেশের ডঃ ইউনুসের কথা? সে তো হলো ইহুদিবাদীদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদের প্রচার ও প্রসারের এম্বেসেডর। মিশরের নাজিব মাহফুজের কথা? সে ও তো ছিল তাদের চিন্তাধারা প্রসারের শ্রমিকমাত্র। নাজিবের সমস্ত লেখায় কেবল তাদের দর্শনটাই ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। আর ইয়াসির আরাফাত ও আনোয়ার সাদাতের কথা? ক্যাম্পডেভিট চুক্তির মাধ্যমে শক্তিমান অারবদের কোমর ভাঙা আর ইন্তেফাদার গলায় ছুরি চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যার পথ প্রশস্ত করার জন্যই মূলত দেয়া হয়েছিল অভিশপ্ত এ প্রাইজ। ডঃ আফিয়া সিদ্দিকার ন্যায় একজন বিদুষী নারীকে হিংস্র পশুদের খাচায় আটকে রেখে মালালার ন্যায় এক দক্ষ অভিনেত্রীকে পুরস্কৃত করা আসলে বিশ্বের নারী অধিকারের উপর শক্ত একটা চপেটাঘাত। মানবতাবাদ নিয়ে চরম উপহাস।" (সংগ্রহ)
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভাই কয়েকটি প্রশ্ন করছিঃ
১.তালেবানরা প্রকিত মুসলিম কি না?
২.ইসলামে নারী শিক্ষা হারাম কি না?
৩.মালালা কি ইসলাম প্রচারের জন্য নোবেল পেয়েছে?
দয়া করে উত্তরগুলি যোগাড় করুন, আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
আর একটি কথা না বলে পারলাম না ডঃ আফিয়া সিদ্দিকা অবশ্যই একজন জ্ঞানী নারী কিন্তু সমস্যা তো তার সন্তানদের সে ভালো পথে রাখতে বিফল হয়েছে। তবে ছেলের পাপের সাজা মাকে ভোগ করতে হবে কেন এটা আমারও প্রশ্ন।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লন্ডনে বসে বসে সংগ্রাম একটা পুসি ক্যাটও করতে পারে। উগ্রবাদীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে না থেকে সে যদি পাকিস্তানে থাকে তার সংগ্রাম চালিয়ে যেত, তবে বুঝতাম - মালালা ইজ এ মাল!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ছিলেন না, তাই বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে কি তার কোন অবদান নাই!!!!!!!!!
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: যদি সত্যি কথা বলতে হয়, তবে বলব, স্বাধীনতার পেছনে বঙ্গবন্ধুর অবদান খুব সামান্যই। সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল জুলফিকার আলী ভুট্টোর। দ্বিতীয় সারিতে রাখা যেতে পারে ইয়াহিয়া খান ও ভারত সরকারকে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভাই আমি আর মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছি না!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বুঝলাম সবই ভ্রাতা । বাঙালী না হয় বিড়াল ( মালালাই বলেছিল ) তা সে কেন এখন পরবাসে আছে ? এতই যখন জীবনের পরোয়া নাই , তাহলে দেশে ফিরে কেন দেশের নারী সমাজের শিক্ষা ও উন্নয়নের আন্দোলন ত্বরান্বিত করছে না ? আর ভাল্লাগেনা আপনাদের মতো গ্যানিদের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে । মালালা যে নুবেল পাইবে তাহা আমরা অনেকেই অনেক আগে থেকেই বলিয়া আসিতেছিলাম
এবছরের ২৭৮ টি প্রতিস্থান ও ব্যাক্তির প্রোফাইল ঘেঁটে দেখেন তো আসলেই তাদের ছাপিয়ে মালালার এগিয়ে থাকার যুক্তি আদৌ আছে কি না !!!!
এই একই বিভাগে মাদার তেরেসা ও নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৭৯ সালে ৬৯ বছর বয়সে । তার কাজ ও ত্যাগ সম্পর্কে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন দেখি না । ২০০১ সালের পর থেকে যে নোবেলের শান্তি কমিটি একেবারেই অকার্যকর তা এখানে Click This Link দেখলেই পাবেন । মালালার সাথে যৌথভাবে Kailash Satyarthi 'র জীবন বৃত্তান্ত পড়ে দেখুন তো ! একটু তুলনা করে দেখুন ।
মালালার নোবেল পাওয়া নিয়ে নোবেল কমিটি যে কারণ বলেছে "for their struggle against the suppression of children and young people and for the right of all children to education" তা কতোটা যুক্তিযুক্ত ?
মালালা স্ট্রাগেল করেছে , স্বীকার করি । কিন্তু সেটা কি নোবেল পেয়ে যাওয়ার মতো ?