নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
২৬ মার্চ ২০১৪
মহান স্বাধীনতা দিবসের দিন আমরা জাতীয় সঙ্গিত গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলাম।
সেদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও অনেক মেয়েরা যৌন নিপীড়নের স্বীকার হয়।
বখাটে ছেলেরা দল বেঁধে এসব করেছিল। ওই দিন অন্তত পক্ষে বুঝতে শিখেছিলাম গার্মেন্টস কর্মীদের
আচারন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রদের থেকে অনেক ভাল। পরবর্তীতে ঢাকা ভার্সিটিতে মেয়েরা প্রতিবাদ
করে ওই ঘটনার জন্য বিচার চায়। তাদের ভিসির আশ্বাস আর বাস্তবে পরিণত হয় নাই।
১৪ এপ্রিল ২০১৫
বাংলা বর্ষবরন অনুষ্ঠান যেখানে ৩-স্তর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল বলে সরকার দাবি করে থাকে।
সর্বত্র ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার উপস্থিতি ছিল। সেখানে আবার সবার সামনে মেয়েরা যৌন নিপীড়নের
স্বীকার হয়। হাজার হাজার পুলিশ, র্যাব, শোয়াত, গোয়েন্দা সংস্থার সামনে দিয়ে মাত্র ৩০-৩৫ জনের
একটি দল পুলিশ আইজিপির ভাষায় দুষ্টুমি করে মেয়েদের সাথে। পুলিশ এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়
এমন কিছুই নাকি সেখানে হয়নাই। তবে লক্ষ লক্ষ চোখ ভুল দেখবার কথা নয়। অতপর এই ঘটনার
প্রতিবাদ ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আয়োজিত মিসিলে আবার পুলিশ কর্তৃক ঢাকা
ইউনিভার্সিটির ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়। বুটের লাথিতে ফুটপথের অপর গড়িয়ে পড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সম্ভ্রম।
এখন প্রিপারেটরি, ভিকারুন্নেসা, বদরুননেসা, ইডেন থেকে শুরু করে কুষ্টিয়ার অখ্যাত স্কুল, কলেজে পর্যন্ত
এই নিপীড়ন চলছে, চলতেই থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। কোথাও পরেছিলাম আইন প্রয়োগের উদাসীনতা বা
ব্যার্থতা অপরাধের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়, ঠিক রসায়নের অনুঘটক বা প্রভাবকের মতন।
এখন আমাদের সামনে দুইটি রাস্তা খোলা আছেঃ
১.যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
২.যৌন নিপীড়নকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিন।
সিদ্ধান্ত আপনার। তবে অবশ্যই অত্তান্ত ভেবে চিন্তে নিবেন। কারন ভুল হলে আর
শোধরাবার সুযোগ পাবেন না।
আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না - বাংলা সিনেমার একটি কমন ডায়লগ।
কিন্তু পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করছে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে। রক্ষক যখন ভক্ষকের
ভূমিকায় চলে যায় তখন সমাজে আইন-কানুন বলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: যেহেতু দলীয় চশমা লাগাতে পারিনি সুতরাং অন্ধ হয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০২
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: কোথায় কী হয়েছে, এসব সব বানানো কথা।
দেখলেন না, পুলিশ বলল 'কিছু ছেলের দুষ্টামি', সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বললেন, 'একটি ,মেয়ের ওড়না পড়ে গিয়েছিল, কিছু ছেলে মিলে তুলে দিয়েছে'।
দু:খ আমাদের চোখগুলোতেই কিছুতেই কোন দলীয় চশমা লাগাতে পারলাম না।