নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
বেশ কিছুদিন আগে থেকে শোনা যাচ্ছিলো গ্রেট-বৃটেনবাসী ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে
থাকতে আগ্রহী নয়! অতঃপর বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দিকে গড়ায়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এইব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য
বৃটেনবাসীর জন্য গণভোটের আয়োজন করেন।
২৮টি দেশের ইইউ জোটে যোগ দিতে ১৯৭৫ সালে গণভোটে অংশ নেয় ব্রিটেনের
মানুষ। একই ইস্যুতে ৪১ বছর পর বৃহস্পতিবারের এ গণভোট দ্বিতীয় দফা।
এই গণভোটকে ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল এক
সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। গণভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ইইউতে থেকে
যাওয়ার পক্ষে রায় দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ভোট শেষ
হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, ভোটের রায় ব্রিটেনের ইউরোপে থেকে যাওয়া পক্ষের
দিকেই যাবে। কিন্তু ফল আসতে শুরু করলে দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে।
চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিপক্ষে ভোট
পড়েছে ৫২ শতাংশ এবং পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ।
গণভোটের এই রায়ের ফলে ব্রিটেন, ইউরোপ তথা গোটা বিশ্বের পুঁজিবাজারকে
অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিল ব্রিটিশ ভোটারদের রায়৷ এশিয়ার পুঁজিবাজারে
দরপতনের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সকালেই ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হার রেকর্ড
মাত্রায় কমে গেছে৷ মাত্র ৬ ঘণ্টায় এই মুদ্রার ১০ শতাংশ দরপতন ঘটেছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষের ক্যাম্পের যুক্তি ছিল ব্রিটেন যদি ইউরোপীয়
ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসে তবে তাদের বড় অঙ্কের সদস্য ফি দিতে হবে না।
যেই ফী দিয়ে ব্রিটেনের উন্নয়নে ব্যায় করা হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাবসায়িক
বিধিনিষেধের বেড়াজাল ভেঙ্গে তারা স্বাধীন ভাবে বাবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে
পারবে।
ওপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষের শিবিরের যুক্তি ছিল যদি ইউরোপীয়
ইউনিয়ান থেকে ব্রিটেন বেড়িয়ে যায় তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের থেকে সব ধরনের
সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবে। ইউরোপের অন্যান্য দেশের সাথে তাদের
ব্যাবসায়িক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়লে অর্থনৈতিক মন্দার
সম্মুখীন হতে হবে তাদের।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ব্রিটেনবাসী ইউরোপীয়
ইউনিয়নকে বিদায় জানালো।
যদিও আগের গনভোটে স্কটল্যান্ডবাসীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের থাকার অর্থনৈতিক
সুবিধা দেখিয়ে নিজেদের কাছে রাখতে পারলেও এবার আর সে সুযোগ থাকছে না।
সুতরাং মি: ক্যামেরন আর ঝুকি নিয়ে চাইলেন না বরং অক্টোবরে তিনি পদত্যাগ
করবেন বলে জানিয়েদিলেন।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ই ইউ ছাড়ার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই রয়েছে। ব্রিটিশ জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠয়ের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।