নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে সৌদি আরব, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের বিরোধিতায় অভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। নানাভাবে নানা কৌশলে তারা ইরানকে দোষারোপ করার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়টিকে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা।
ইসরাইল ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের গতকালের বক্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, দু’টি সরকারই মনে করছে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অতীত ব্যর্থতাকে ঢাকা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে ইরান বিরোধী রব তুলতে হবে। কিন্তু তাদের বক্তব্য ছিল চর্বিত চর্বণ এবং মিথ্যার ফুলঝুরিতে পূর্ণ।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিউনিখ সম্মেলনে বলেছেন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও লিবিয়াসহ গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, জলদস্যু এবং অর্থনৈতিক সমস্যা। এ অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে আরবদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা উচিত। তিনি ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেছেন, ইরান অন্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের সংকটগুলোর প্রতি যে ইঙ্গিত করেছেন তা অনেকাংশে বাস্তবসম্মত। কিন্তু এর কারণ হিসেবে তিনি যেদিকে ইশারা করেছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আদেল আল-জুবায়ের প্রকৃতপক্ষে পুরো ঘটনাটিকে উল্টো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। সেই সঙ্গে তার বক্তব্যে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের অভিযোগের মিল দেখা গেছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান মিউনিখ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ইরানকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী করে দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থক সবচেয়ে বড় দেশ হলো ইরান। তিনি আরো দাবি করেন, পশ্চিম এশিয়ার প্রধান সমস্যা এখন আর ফিলিস্তিন নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যেও লিবারম্যানের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছেন, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত ছড়াচ্ছে।
রিয়াদ, তেল আবিব ও আঙ্কারার এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ বিশ্লেষণ করলে এর একটিমাত্র উদ্দেশ্যই বেরিয়ে আসে; আর তাহলো ইরান-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। তবে এসব অভিযোগের পেছনে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কিছু লক্ষ্যও রয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল চায় মুসলিম বিশ্বের প্রধান সমস্যা ফিলিস্তিন থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এদিক দিয়ে তেল আবিবকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিয়েছেন। আদেল আল-জুবায়ের নিজেও চান ইয়েমেনে তার দেশের গত দুই বছরের বর্বরোচিত গণহত্যার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে।
কিন্তু এক্ষেত্রে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইরান বিরোধী বক্তব্যের সুস্পষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তুরস্ক দৃশ্যত অনেকগুলো ভূমিকায় অভিনয় করছে। দেশটি একদিন আইএসআইএল বা দায়েশকে সবরকম পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তো আরেকদিন দায়েশকে একহাত দেখিয়ে দেয়ার জন্য সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালায় এবং এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে তুর্কি জনগণের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান চালায়।
তুরস্ক ও সৌদি আরব এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে যখন মধ্যপ্রাচ্যের চলমান বেশিরভাগ সংকটের জন্য এই দু’টি দেশই দায়ী। ইরাক ও সিরিয়ার অনুমতি ছাড়াই ওই দু’টি দেশে সেনা পাঠিয়ে দেশ দু’টির নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করে তুলেছে তুরস্ক।
এ ধরনের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা ইরান মেনে নেবে না জেনেই এসব দেশ ইরানের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। প্রকৃতপক্ষে ইসরাইল, সৌদি আরব ও তুরস্ক আয়নায় নিজেদের চেহারা ও আচরণ দেখে আঁতকে উঠে সেই আচরণের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাহরাম কাসেমি যথার্থই বলেছেন, অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে তারা দায়মুক্ত থাকতে পারবে না।
সুত্রঃ পার্সটুডে।।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ইরান কোন আগ্রাসী শক্তি নয় সুতরাং ইরান ভীতি অমূলক।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, ইরান আপনি চালাচ্ছেন; আহমেদী নেজাদের ছোট ভাই নাকি?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আহমেদ নেজাদের ছোট ভাই হলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করতাম। তবে এতটুকু বুঝি ইসরাইল ও সৌদি আরবের এক নম্বর শত্রু হল ইরান যারা নিপীড়িত মুসলিমের বন্ধু।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"তবে এতটুকু বুঝি ইসরাইল ও সৌদি আরবের এক নম্বর শত্রু হল ইরান যারা নিপীড়িত মুসলিমের বন্ধু। "
-ইরানের কারণে প্যালেস্টাইন স্বাধীন হতে পারেনি, সামনেও সমস্যা আছে; আরবেরা প্যালেস্টাই চাচ্ছে না, ইসরায়েল বলেছে যে, প্যালেস্টাই হবে ইরানের স্যাটেলাইট রাস্ট্র, এবং হিজবুল্লাহ ও হামাসের রাজধানী; মনে হচ্ছে, আরবেরা ইসরায়েলকেই বেশী বিশ্বাস করছে
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: যে আরবরা মহানবীর বংশধরদের হত্যা করতে পারে ক্ষমতার জন্য তাদের পক্ষে ইসরাইলী সমর্থনে মুসলিম হত্যা করে নিজেদের ক্ষমতা রক্ষা করা আজব কিছু নয় আর এই জন্যই স্বাধীন ফিলিস্থান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে এই মুহূর্তে আরব রাজারা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান অপেক্ষা ইহুদিবাদি ইসরাইলকে অধিক আপন ভাবে কারন তাদের সকল অপকর্মের সঙ্গি ইসরাইল আর একমাত্র প্রতিরোধকারী রাষ্ট্র হল ইরান যারা হামাস, হিজবুল্লাহ হুথি আর সিরিয়ার মাধ্যমে আরব রাষ্ট্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইরান ও উত্তর কোরিয়া হচ্ছে মগজহীন শক্তির উদাহরণ, যা বিশ্বের জন্য খুবই ভয়ংকর।