নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
শিরোনাম দেখে হয়ত কিছুটা ধাক্কা খাবারই কথা! যেই ইরানকে অনাবরত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে অ্যামেরিকা, তারা কিভাবে ইরানের উপকার অথবা ইরানের জন্য ভালো কিছু করতে পারে!!
আজ হতে ৩৭ বছর আগে ১৯৮০ সালের এ দিনে মার্কিন সরকার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের ১৪ মাস পর এই পদক্ষেপ নেয় তৎকালীন মার্কিন সরকার যা আজও বজায় রয়েছে। ইসলামী বিপ্লব ব্রিটেনের নিয়োগ-করা ও মার্কিন মদদপুষ্ট পাহলাভি সরকারকে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে বিলীন হতে বাধ্য করায় মার্কিন সরকার কখনও এই বিপ্লবের সঙ্গে শত্রুতার অবসান ঘটায়নি।
গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ইরানের বিপ্লবী ছাত্ররা ৫২ জন ছদ্মবেশী কূটনীতিককে ৪৪৪ দিন আটকে রেখেছিল। বিমান অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে অলৌকিক ধুলি-ঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় মার্কিন বিমান ও হেলিকপ্টার। ফলে নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হয়েছিল ডেমোক্রেট-দলীয় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। এসব ঘটনায় বিশ্বব্যাপী মার্কিন সরকারের সম্মান ও দাপট ক্ষুন্ন হয় মারাত্মকভাবে।
আসলে সেইসব চপেটাঘাত কখনও ভুলতে পারেনি বলদর্পী মার্কিন সরকার। ফলে মার্কিন সরকার তার কথিত কূটনীতিকদের অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার জবাবে ইরানের সঙ্গে আজকের এই দিনে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। শুধু তাই নয়, ইসলামী বিপ্লবের সূচনা থেকেই ইরানের ইসলামী সরকার-ব্যবস্থাকে সব সময়ই অপদস্থ ও পর্যুদস্ত করতে চেয়েছে মার্কিন সরকারগুলো। আর এ কারণেই ইরাকের সাদ্দামকে দিয়ে মার্কিন সরকার ইসলামী ইরানের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল ৮ বছরের যুদ্ধ। কিন্তু বিশ্বের পরাশক্তিগুলোসহ ২৬টি সরকারের প্রত্যক্ষ এবং সর্বাত্মক সহায়তা নিয়েও সাদ্দাম ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দীর্ঘ-মেয়াদী কোনো সাফল্যই অর্জন করতে পারেনি।
সাদ্দামকে দিয়ে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার মার্কিন সরকার ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো দিনকে দিন জোরদার করতেই থাকে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের কিংবদন্তীতুল্য রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী তার দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মার্কিন উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বলেছিলেন, এই পদক্ষেপ হচ্ছে ইরানি জাতির প্রতি মার্কিন সরকারের ‘একমাত্র ভালো কাজ’, কারণ মার্কিন সরকারগুলো কূটনৈতিক সম্পর্কের অপব্যবহার করে দশকের পর দশক ইরানি জাতির ওপর জুলুম করেছে এবং লুট করেছে তাদের সম্পদ।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বলা হয়, মার্কিন সরকার যার বন্ধু তার শত্রুর অভাব হয় না। এটা স্পষ্ট মার্কিন সরকারের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলে গত ৩৭ বছরে ইসলামী ইরানের জন্য অনেকে বেশি সংকট ও সমস্যা সৃষ্টি করতো মার্কিন সরকার। তাই ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকাটা ইরানি জাতির জন্য শাপে বর হয়েছে বলেই বেশিরভাগ বিশ্লেষকরা মনে করেন। ইরানের নেতৃবৃন্দ ও জনগণ মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারের কপট চরিত্রের কারণে এ দুই সরকারকে যথাক্রমে ‘বড়’ ও ‘বুড়ো শয়তান’ উপাধি দিয়েছে।
মার্কিন সরকার এখনও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রসহ নানা ক্ষেত্রে ইসলামী ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে সব মার্কিন ষড়যন্ত্রই একের পর এক ব্যর্থ হয়েছে। ঈমানের শক্তিতে বলীয়ান ইরানের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী জাতি নানা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করাতেই মার্কিন ষড়যন্ত্রগুলো ব্যর্থ হয়েছে একের পর এক।
সুত্রঃ পার্সটুডে
(সংগৃহীত)
না আমার ব্যাক্তিগত মতামত আজ আর তুলে ধরলাম না কেননা আমার মন্তব্য আর সংগৃহীত লেখাটির মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো যে রেডিও তেহরানের নাম আপনি শুনেছেন!
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮
জগতারন বলেছেন:
লেখকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে ‘বড়’ ও ‘বুড়ো শয়তান’ ১৯৮৭ সালে ২৬০ (বা ততধিক) যাত্রী সহ ইরানের একটি যাত্রীবাহি উঁরোজাহাজ ভুপাতিত করেছিল।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ইরানের যাত্রিবাহী বিমান ভুপাতিত করাকে আপনি ভালো বলছেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: রেডিও তেহরানের কয় নম্বর চ্যানেল এইটা ?