নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
ওয়াশিংটন পোস্ট দু জন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত দেশটির কথিত মধ্যপন্থি বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এসব গোষ্ঠীকে গোপনে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল।
২০১৩ সাল থেকে ওবামা প্রশাসন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে কথিত মধ্যপন্থি বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেয়। এই ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় যুক্ত করা হয় কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কে। যদিও কথিত মধ্যপন্থীদের দেয়া অস্ত্রের বেশিরভাগই চলে গেছে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস ও আল-নুসরার হাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সিআইএ’র সমর্থন বন্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাদের একজন বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বার্তা দিতে চায় যে, ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী।
বিভিন্ন সময়ে বেলাল আব্দুল করিম নামের এক মার্কিন সাংবাদিক নুসরা ফ্রন্টের হয়ে সাংবাদিকতা করেছে। যদিও সে নিজেকে সিএনএনের সংবাদদাতা বলে দাবি করেছে এবং নিউজ অন দা গ্রাউন্ডের প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেয়। তবে তাকে নুসরা ফ্রন্টের সন্ত্রাসী কমান্ডারদের সাথে দেখা গেছে অধিকাংশ সময়ে। সিরিয়ার বাহিনীর আলেপ্পো উদ্ধারের সময় তার সব থেকে বেশি তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি সিএনএন সিরিয়ার নিউজ কভার করে একটি পুরষ্কার পাবার পর তার নাম উল্লেখ না করায় ক্ষিপ্ত হয় এই বেলাল করিম।
ধারনা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের আল-তাহনাফ এলাকা থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুইটি ঘাটি ও সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। এবং এসব সেনাদের কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মোতায়েন করা হবে। এই তাহনাফ এলাকাটি দিয়ে ইরাক,সিরিয়া ও ইরানের রাজধানী সড়ক পথে যুক্ত হয়েছে, সুতরাং সিরিয়ান সেনাদের কাছে এই সীমান্তটির নিয়ন্ত্রন নেওয়া খুবই জরুরি। এদিকে গত পরশু মার্কিন নেতৃত্বাধীন রাকা অভিযান থেকে FSA সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আফরিন এলাকায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন কুর্দি বাহিনীর সাথে তুরস্ক সমার্থিত গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সুতরাং সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: মজা পেলাম আপনার কমেন্ট পরে। সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মজা করতে আপনার জুড়ি নাই।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, আমার কিছুটা সফলতা আছে দেখছি; আপনার পোস্ট ভালো লাগে; আবার আসিব ফিরে
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পোষ্টে আপনার কমেন্ট সব সময় মিস করি।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরাই ইউ টার্ন!
দেখা যাক অত:পর.....
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এখন যদি দ্রুত সিরিয়া সমস্যার সমাধান হয় তবে অনেক মানুষ প্রানে বাঁচবে।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এ তে জটিলতা বাড়বে। রাশিয়া সিরিয়ায় জয়ী হবে এবং এই জয়ী দেখাতে ট্রাম্প পুতিনের নির্দেশে এটি ঘটাচ্ছে। দুই চোর এক হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ চুরি করে বিশ্বের বড় চোর হবে। এতে লাভ নাই!
অচিরেই মধ্যপ্রচ্যে চীনের হস্তক্ষেপ শুরু হবে বিশ্বরাজনীতির গতিপথ যা বলছে ....।
২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপ জরুরী। ভারত-চীনের দন্দের মধ্য দিয়ে হয়ত তা শুরু হবে।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৩
মেমননীয় বলেছেন: যুদ্ধ বন্ধ হলে, কম দামে কে আমেরিকাকে তেল দিবে?
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতেই হবে।
মুসলমান মুসলমানকে মারবে আর আমেরিকা-ইউরোপ মজা লুটবে। ইসরাইল আরো নিরাপদ হবে!
সবচে লাভজনক ব্যবসা হলো যুদ্ধ!
২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক অস্ত্র ব্যবসা
৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: মেমননীয়# সাহেবের সাথে সহমত
২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার দেয়া পোস্টে তেমন সঠিক কিছু থাকে না; তবে, ট্রাম্প কখনো পরাজিতদের পক্ষে থাকবে না; আমেরিকা সিরিয়ার সুন্নীদের সাহায্য করেছিল বাশারকে উৎখাত করতে; তবে, সুন্নীরা পারেনি, ওরা যোদ্ধা নয়; ফলাফল, ৪ লাখ মানুষের মৃত্য, ৬ লাখ আহত, সিরিয়া বলতে তেমন কিছু নেই।