নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
না এটি ১৯৭১ সালের ঘটনা নয়। এখন আমরা অন্যকোন জাতি দ্বারা শাসিত নয়। আমাদের দেশের মানুষই দেশ পরিচালনা করছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এখন ও দেশের মানুষ নির্যাতিত, নিপীড়িত।
প্রায়ই মন্ত্রী, আমলাদের বলতে শুনি ঘরে ঘরে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমরা দেশের কোথাও নিরাপদ নয়। সবার মুখে মুখে উন্নয়নের ফুলছড়ি। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক-হানাদারদের যে সব নির্যাতনের কথা শুনেছি এখন দেশের প্রতিটি কোনে নির্যাতনের মাত্রা সে হার ছাড়িয়েছে।
আগে নির্যাতন করত ইংরেজরা, এর পর কিছুদিন নির্যাতন করলও পাকিরা , আর এখন কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিবেন?? সেই বাঙ্গালীরাই তো নিজেদের জাতিকে নিজেরা নির্যাতন করছে।
হয়ত প্রথম আলোর আজকের প্রতিবেদনটি অনেকেই পড়েছেন। তারপরও যারা পড়েনাই পড়বার অনুরোধ থাকবে।
ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে ছাত্রী ধর্ষণ
ভেবে দেখবেন কতটা বর্বরতা মিশে গিয়েছে আমাদের রক্তে। আমার দেশের সব মানুষ খারাপ নয় এটি আমিও বিশ্বাস করি কিন্তু তাদের একটি অংশ এতটা নিচে নেমেগিয়েছে ভাবলে জাতি হিসেবে ধিক্কার না দিয়ে পারি না। ইউরোপের অনেক দেশেই অপরাধ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। বিশ্বে এমন দেশও আছে যেখানে শেষ কারাগারটি পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে তাদের সরকার অপরাধীর অভাবে।
আর আমাদের দেশে কারাগারগুলোতে ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি বন্দি রাখা হয়েছে। ঢাকার কেন্দ্রিয় কারাগার পরিবর্তন করা হয়েছে ২৫-৩০ একরের কারাগারের পরিবর্তে ১২১ একরের কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এর পরও অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ অপরাধীকে গ্রেফতার না করার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় দুর্নীতির অভিযোগে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেন। হয়ত তারা দেশের জন্য বোঝা হতে চায় না। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাবেক রাষ্ট্র প্রধান আত্মহত্যা করেছিলেন দুর্নীতির অভিযোগে নিজের নাম আসায়। কিছুদিন পূর্বেও সেদেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইকে দুর্নীতির দায়ে অপসারণ করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
গত কাল দুইটি সংবাদ পড়েছিলাম "ইয়াবা ব্যাবসায়ী স্বামীকে গ্রেফতার করায় স্ত্রীর নেতৃত্বে থানা ঘেরাও"।
"রাজধানীতে দৈনিক ইয়াবার চাহিদা ২৫ লক্ষ পিছ!!
মাদক ও খুনের মতন মামলাতেও সংসদদের নাম চলে আসে।সরকারপন্থী দলের ছোট ছোট অঙ্গসংগঠনের পাতি নেতা/কর্মীরাও হরহামেসাই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হয়।কারো মধ্যে এতটুকু অনুসূচনা বোধ নেই। ক্ষমতাসীনরা অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেন।
নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় নিজ দেশের এক শ্রেণির মানুষের(পড়বেন অমানুষ) কাছে। ১৯৭৩ সালে নির্মিত একটি চলচিত্রের নাম ছিল "আবার তোরা মানুষ হ"। ছবির নামটিই তাদের কাছে দাবী "আবার আপনারা মানুষ হন"।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ডিজিটাল যুগে এনালগ চিন্তা ভাবনা থেকে সরে আসাই কি শ্রেয় নয়?
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব খবর শুনলেই বমি আসে
আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আল্লাহ্ আমাদের শেষ ভরসা। তার কাছে প্রার্থনা ছাড়া আর কি বা করবার আছে।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: দিন দিন অমানুষের সংখা কি বেড়েই চলেছে?
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
প্রোলার্ড বলেছেন: সরকারী দলের ক্যাডাররা করেছে নাকি ?
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ??????????????????????????????
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
মুন্না৩৮ বলেছেন: ডিজিটাল যুগ!!!!!!!!!!!!!! একটু অধঃপতন হতেই পারে বৈকি।