নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আদালত অবমাননার অপরাধে একজন সম্পাদক ও প্রতিবেদক দণ্ডবিধিতে বর্ণিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ও কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এছাড়াও আদালত অবমাননার অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল অনেকেই আদালতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনা করে থাকেন। কিছুদিন পূর্বে আদালত অবমাননার দায়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছিল আপীল বিভাগ।
তবে সেই অবমাননা এখনও থেমে নেই। কিছু উদাহরণ নিম্নরুপ-
১. স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন-
‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি কটাক্ষ করার ‘ধৃষ্টতা’ দেখিয়েছেন।’ এ রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ব্যাপকভাবে অসাংবিধানিক ও অনৈতিক কথাবার্তার অবতারণা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এমনকি রায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেননি, আমরা ধিক্কার জানাই।’
২. আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে-
‘এ রায় আবেগ ও বিদ্বেষতাড়িত।’
৩. খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম-
‘প্রধান বিচারপতির অপসারণ দাবি। নইলে আগামী মাস থেকে তার অপসারণ দাবিতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা।’ ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশি দিন এই মসনদে থাকতে পারবেন না।’
৪. অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত-
‘আদালত যতবার ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করবে, আমরা ততবার সংসদে বিল পাস করব। তা আমরা অনবরত করতে থাকব। দেখি জুডিশিয়ারি কত দূর যায়।’
‘জুডিসিয়াল কন্ডিশন আনটলারেবল। সংসদের উপর তারা পোদ্দারি করবে। এদেরকে আমরা চাকরি দেই।’
৫. বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ-
‘যারা বর্তমানে বিচারকের আসনে বসেছেন, তারা ইম-ম্যাচিউরড।’
৬. স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম-
‘আদালতের হাত এত বড় লম্বা হয়নি যে সংসদ ছুঁতে পারে।’ ‘সংসদ নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানোর অধিকার কারও নেই।’
৭. গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন-
প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে যা বলছেন, তা ঠিক নয়। বাংলার মানুষ জানে, আপনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন।’
৮. প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্যে করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই আপনি চিফ জাস্টিস হয়েছেন। নাহলে আপনার মতো ছিঁচকে উকিল প্রধান বিচারপতি হতে পারতো না।
৯. আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক-
‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে দেওয়া ওই রায় ছিল পূর্বধারণাপ্রসূত ও আগে থেকে চিন্তাভাবনার ফসল।’ ‘সুপ্রিম কোর্টের এ ধরনের মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না।’
সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত আইন হিসেবে গণ্য এবং তা সকলের ক্ষেত্রেই মানা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তারা প্রকাশ্যে বিচার বিভাগের পবিত্রতাকে হেয় প্রতিপন্ন করেই চলেছেন। সাংবিধানিক শপথকারী এইসকল ব্যক্তিবর্গ সংবিধান সংরক্ষণ ও সুরক্ষার শপথ ভঙ্গ করেছেন। এর ফলে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শপথ ভঙ্গ করার পর সাংবিধানিক পদে থাকার কোন নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার নাই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আদালতের ক্ষমতায়ন চাইলে অবশ্যই এসব মন্ত্রিদের পদ শূন্য ঘোষণা দেওয়া হত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আওয়ামী নেতারা যা করছেন - এগুলো হচ্ছে শো অফ! বিচারপতি সিনহাকে 'নিরপেক্ষ' বানানোর মতলব। সম্ভবত এই সরকারকে আরেক টার্ম উৎরে দেবার জন্য ভারত একজন 'সংখ্যালঘু' কে রাষ্ট্রপতি বানাবার আবদার করেছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশই হচ্ছে বিচারপতির বিরুদ্ধে এই বিষেদগার! এগুলো যেহেতু শেষমেশ সরকারের পক্ষেই যাচ্ছে - তাই কোন আদালত অবমাননা এসব নেতার জন্য প্রযোজ্য নয়।