নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ বলেছেন, ইয়েমেনে দুই বছর আগে তার শুরু করা যুদ্ধ থেকে এখন বের হয়ে আসতে চাচ্ছেন তিনি।
মার্কিন দুই কর্মকর্তার কাছে এ কথা এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজ বলেছেন বলে ফাঁস হয়ে যাওয়া ইমেইলের ভিত্তিতে খবর দিয়েছে ওয়েবসাইট ‘মিডল ইস্ট আই।’
কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন চার আরব দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার এক মাস আগে এ কথা বলেছেন তিনি। ওয়াশিংটন ডিসির সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-কাতিবার একটি ইমেইলে সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এমবিএসের বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়। মিডল ইস্ট আই বলেছে, গ্লোবাললিকস নামের একটি গোষ্ঠী ইমেইলটি ফাঁস করেছে।
জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দপ্তর ‘প্রোটেকশন ক্লাস্টার ইয়েমেন’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রদেশে ২০১৭ সালে প্রতি মাসে গড়ে যে বিমান হামলা হয়েছে তা ২০১৬ সালের তুলনায় তিনগুণ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অধীনে ‘প্রোটেকশন ক্লাস্টার ইয়েমেন’ পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে সৌদি বিমান হামলা ভয়াবহ রকম বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আগ্রাসনের পাশাপাশি বর্তমানে মহামারি আকারে কলেরা ছড়িয়ে পড়ায় ইয়েমেনে বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
আরব ও মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিপর্যয় শুরু হয়েছে। সৌদি নীতি হচ্ছে, ‘হস্তক্ষেপের একটি আবেগপ্রবণ নীতি’ এবং তা সৌদি শাসকদের মাথায় কেবলি ঘুরপাক খাচ্ছে। সৌদি আরবের আগ্রাসী নীতির ওপর তার ঐতিহ্যবাহী পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো ভরসা রাখতে পারছে না। অতিরিক্ত সামরিক উচ্চাশা কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি সৌদিদের। বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি আগ্রাসন মার খাচ্ছে ও মিত্রদেরকেও হতাশায় ফেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে ইয়েমেনে হামলা চালাতে গিয়ে দেশটি বাজেট ঘাটতিতে পড়েছে। এদিকে সৌদি হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে যে সামরিক উপায়ে ইয়েমেনের সংকটের সমাধান করা সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.