নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সরকার গত দুই দিনে বন্যার্তদের জন্য চাল ও বরাদ্দ প্রায় তিন গুণ এবং নগদ টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়েছে।
গতকালের আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জানানো হয়, গতকাল পর্যন্ত ২৭ জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৭ লাখ। মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। দুই দিন আগে ২৫ জেলায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ। বন্যার্তদের জন্য গতকাল পর্যন্ত ২০ হাজার ৪০০ টন চাল ও ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ৯ আগস্ট শুরু হওয়া এই বন্যায় ১৬ আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম সাত দিনে বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার টন চাল ও সোয়া ২ কোটি টাকা। গত দুই দিনে ২৭টি জেলাতেই চাল ও টাকার বরাদ্দ প্রায় তিন গুণ বাড়ানো হয়।
অথচ চলমান বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বিশেষ ফেলো এম আসাদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত বন্যার্তদের যে ত্রাণ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই অপ্রতুল। বন্যার পূর্বাভাস অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু সে তুলনায় যথেষ্ট ভালো প্রস্তুতি দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে একেকজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ২ হাজার ৩০০ কিলোক্যালরি খাদ্য পাওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ও ত্রাণসচিব বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না!! স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উত্তর দেবেন!!!’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা মানুষের পেটে খাবার জোগানোর চেষ্টা করছি!! ক্যালরি মেপে ত্রাণ দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে প্রচলিত না।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় এ পর্যন্ত ৯৩ জন মারা গেছে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে দিনাজপুরে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে তারা নগদ ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছে।কিন্তু দিনাজপুরের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বন্যায় মারা যাওয়া এখানকার পরিবারগুলোর কেউ এখন পর্যন্ত ওই টাকা হাতে পাননি। অথচ দুর্যোগসচিব শাহ কামাল বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে অবশ্যই ওই টাকা তাদের পাওয়ার কথা!!’ অর্থাৎ সরকার থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ত্রাণ দেওয়ার যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ঠিকভাবে পাচ্ছে না। তাহলে টাকা গেল কোথায়??
এদিকে দুদক জানিয়েছে তারা বন্যার্তদের জন্য সরকারের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম রোধে নজরদারি করবে। বিশেষ বার্তায় ত্রাণ কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এ নিয়ে কোনো প্রকার দুর্নীত বা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের মহাপরিচালককে (তদন্ত) জানাতে বলা হয়েছে, যাতে কমিশন দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে!!
আজকের একটি নিউজে পেলাম ত্রান মন্ত্রীর কাছে থেকে ত্রাণ নিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে গিয়ে ৪ জন মহিলা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে!! আচ্ছা সরকার কি বানভাসিদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ভিক্ষা দেওয়ার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে?? মন্ত্রী আসবেন ছবি তুলবেন সাংবাদিকরা নিউজ করবে এই জন্যই কি ত্রাণ?? সারা বছর জুড়েই জনগনের অর্থ লুটপাট চলে কিন্তু তাই বলে পানিবন্দি এই অসহায় মানুষগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ না লুটে নিলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে!! মনে রাখবেন জনগনের টাকায় সরকার চলে সরকারের টাকায় জনগন চলে না।
২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বেশ কিছু ছবিতে তাদের দেখা গিয়েছে যদিও অফিসিয়ালি তাদের সাহায্য নেওয়া হয় নাই তবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে। দেখা যাক কি হয়
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ত্রাণ বিতরণে ও পুর্ণবাসনে মিলিটারীর সাহায্য নেয়া সঠিক হবে।
সহমত।
২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ত্রাণ বিতরণে ও পুর্ণবাসনে মিলিটারীর সাহায্য নেয়া সঠিক হবে।