নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চলেছে পাকিস্তান৷ ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন আফগান নীতিতে কোনঠাসা হতে পারে পাকিস্তান৷ বিশেষজ্ঞদের মত, আফগান নীতিকে মোকাবিলা করতেই চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছে পাকিস্তান৷
সম্প্রতি, পাকিস্তান খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷মাত্রই সেদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অপসারিত হয়েছে। তার উপরে আফগান কৌশলে বেশ চাপের মুখে পড়তে চলেছে পাকিস্তান৷ ট্রাম্প আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সেই বিষয়টিই এই নতুন পলিসিতে জানাবেন আজ রাতেই ট্রাম্প প্রশাসন এই নতুন কৌশল ঘোষণা করতে চলেছেন৷ ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের কী ভূমিকা হবে সেটি খতিয়ে দেখবে৷অর্থাৎ এতদিনের মিত্র পাকিস্তানকে রেখে তারা ভারতকে আফগানস্থানের বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে যা পাকিস্তানের জন্য কৌশলগত বড় পরাজয়।
আফগানস্থানের বিষয়ে পাকিস্তান সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের হাত থেকে আফগানকে মুক্ত করতে অ্যামেরিকার পক্ষ হয়ে পাকিস্তান তালেবানদের সাহায্য করে। তখন তালেবানদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পাকিস্তানকে গণ্য করা হত। কিন্তু মার্কিনের আফগান অভিযানের সময় পাকিস্তান তালেবানদের সকল প্রকার সাহায্য বন্ধ করে দেয়, এমনকি পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া অনেক আফগান নাগরিককে তারা ফেরত পাঠায় । সুতরাং আফগানিদের কাছেও পাকিস্তান তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।
কিন্তু নিজ সীমান্তের ওপর পাশের দেশটির স্থিতিশীলতার ওপর পাকিস্তানের অনেক কিছুই নির্ভর করে। আফগান যদি ভারতের পক্ষে হেলে পড়ে সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের কপালের দুশ্চিন্তার রেখাটা আরও বাড়বে। সুতরাং আফগানেিজ প্রভাব বজায় রাখার জন্য এবার রাশিয়া ও চীনের সাথে জোট বাঁধছে পাকিস্তান। অন্যদিকে চীন আফগানস্থানে বিভিন্ন প্রোজেক্টে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ লগ্নি করছে সুতরাং তাদের এই বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আবার রাশিয়া কয়েক দশক পরে এই মুহূর্তে বিশ্ববাপি মার্কিন শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, এবং আফগান হারের স্মৃতি তারা এখনও ভুলতে পারে না। সুতরাং আফগান বিষয়ে প্রভাব খাটানোর কোন সুযোগ নিশ্চয় সে হাতছাড়া করতে চাইবে না।
২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: চিন পাশে না থাকলে ২০১২ সালেই আমেরিকা পাকিস্তানে হামলা চালাত। আর রাশিয়া না থাকলে সিরিয়া অনেক আগেই আমেরিকা পন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে দখল হয়ে যেত, আসাদেরও গাদ্দাফির ভাগ্য বরণ করতে হত।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আন্তজাতিক বিষয় গুলো আমার মাথায় একেবারেই ঢুকে না।
২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বিশ্ব অনেক জটিল কালকের বন্ধু আজকের শত্রু পরশুর শত্রু আজকের বন্ধু।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
বারিধারা বলেছেন: চীন-রাশিয়া নিজেদের ভালো ১৬ আনা বুঝলেও কোন মুসলিম দেশের উপকারে আসে - এমন কিছু করবেনা। পাকিস্তানে আজ মার্কিন আক্রমণ হলে সাহায্য তো দূরে থাক, একটা হুমকিও দেবানা।