নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
পাটুরিয়ায় ফুলেফেঁপে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা-যমুনা নদী। উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানির ঢল এখন চলে এসেছে দেশের মধ্যাঞ্চলে। আর পাটুরিয়ার কিছু দূরে আরিচায় দুটি নদীর মিলন ঘটায় স্রোতের তীব্রতা অনেক।
পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে থাকে। এসব যানবাহনের একমাত্র ভরসা এই ঘাট দুটিতে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ছোট-বড় ১৯টি ফেরি।
নদীর তীব্র স্রোত ঠেলে ফেরি পারাপারে চলছে এক যুদ্ধ, তার ওপর ভিআইপিদের জন্য অপেক্ষা করা বাড়তি বিড়ম্বনা যোগ করেছে। ফেরি পারাপারে যাত্রী ও যানবাহনের চালকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। নদীর স্বাভাবিক অবস্থায় আগে একবার পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যেতে একটি ফেরির সময় যেত ৪৫ মিনিট। ফিরে আসতে মাত্র আধা ঘণ্টা। বর্তমানে সেখানে চলে যাচ্ছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। আর ফিরতে ৪৫ মিনিট।
বিআইডব্লিউটিসির তথ্য অনুযায়ী, পারাপারে দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায় এখানে ফেরি চলাচল প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গেছে। তাই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আসন্ন কোরবানির ঈদের সময় ঘুরমুখী মানুষের বিড়ম্বনা বা দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যাবে বহু গুণ।
জানা যায়, পাটুরিয়ায় পদ্মা-যমুনার প্রবল স্রোত বিড়ম্বনার একমাত্র কারণ নয়। বিআইডব্লিউটিসির ঘাট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা জানান, অব্যবস্থাপনা, ফেরিগুলো পুরোনো হয়ে যাওয়া, বিশেষ শ্রেণির যাত্রীদের (ভিআইপি) প্রাধান্য দেওয়ার কারণে নদী পারাপারে দেরি হয়। এর ধকল পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাকচালক বলেন, অনেক সময় ইচ্ছে করে ফেরি ধীরগতিতে চালানো হয়। এতে করে ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তখন একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা ঘাট-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিলে বাড়তি টাকা নিয়ে যানবাহনগুলো থেকে ফেরিতে উঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
ভিআইপিদের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসির কয়েকজন কর্মকর্তা ও ফেরিচালক বলেন, প্রতিদিন মন্ত্রী-সচিব থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বড় বড় কর্মকর্তা ফেরিতে ওঠেন তাঁদের গাড়ি নিয়ে। আসার কথা আগে থেকে খবর দেন। তাঁরা না আসা পর্যন্ত ঘাটে ফেরি নিয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আর সবই হয় ওপরের নির্দেশে।
ঈদের পূর্বে প্রতিবার বলা হয় এবার যাত্রীরা নিরাপদে ও ভালো ভাবে ঈদে বাড়ি যেতে পারবে। অথচ দেখা যায় প্রতিবারই ঈদে বাড়ি যেতে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। কিন্তু আমলারা প্রচার করেন সবাই জামমুক্ত ভাবে বাড়ি পৌঁছেছেন!! প্রকৃতপক্ষে আমলাদের তো আর ভোগান্তি পহাতে হয় না যে তারা এসব সাধারন যাত্রীদের কষ্ট বুঝবেন। প্রয়োজন হল এসব ভিআইপিদের সাধারন যাত্রীদের মত ভ্রমণ করতে দেওয়া অতিরিক্ত সুযোগ না দেওয়া তাহলে তারা সাধারন যাত্রীদের কথা চিন্তা করে ভালো কিছু করতে চেষ্টা করত, একা যোগাযোগ মন্ত্রী আর কত করবেন??
২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নালিশ করলে বালিশ ছাড়া ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: বহুদিন ধরে এই নিয়ম।
কার কাছে নালিশ করবেন?