নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আগে, আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে ‘পুরোপুরি অপচয়’ হিসেবে উল্লেখ করলেও এখন নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার নতুন নীতিতে বলেছেন, আফগানিস্তানে আরো সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং আরো বেশি বোমা মারতে হবে। আগে তিনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে চাইলেও এখন দেশটিতে দীর্ঘ মেয়াদে সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্রিটেনের বিরোধী লেবার দলের নেতা করবিন বলেন, ট্রাম্পের এ নীতির কারণে আফগানিস্তানে অনেক বেশি রক্তপাত হবে এবং সন্ত্রাসবাদ অনেকগুণ বেড়ে যাবে।এ নীতির প্রতি অন্ধ সমর্থন না দিতে করবিন ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে পরিষ্কার বার্তা দেয়া উচিত যে, ১৬ বছরের যুদ্ধ ব্যর্থ হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদ কমে নি বরং বেড়েছে। নতুন করে বোমা হামলা ও সেনা মোতায়েন সেই ব্যর্থতাকে বাড়িয়ে তুলবে।
অন্যদিকে তালেবান বিরোধী যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সংবাদ সম্মেলনে টিলারসন বলেন, "আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এর মাধ্যমে উগ্র গোষ্ঠী তালেবানকে তিনি এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে তোমরাও বিজয়ী হতে পারবে না।" তিনি বলেন, আমরা হয়ত বিজয়ী হবো না, তবে তোমরাও বিজয়ী হতে পারবে না।
এছাড়া, আফগান তালেবানকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।অনেকটা হুমকি দিয়েই মার্কিন প্রশাসন বলেছে, পাকিস্তান সরকার তার মনোভাব পরিবর্তনে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার হারাতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। দেশটিকে ‘নন-ন্যাটো' মিত্রের মর্যাদা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মর্যাদার আওতায় পাকিস্তান বিশেষ সুবিধা পেয়ে আসছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে কোটি কোটি ডলার সহায়তা পাচ্ছে। কিছু সামরিক সুবিধাও ভোগ করছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, “সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ পাকিস্তানের সমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি।কাজেই সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ যে আত্মত্যাগ করেছে আমেরিকার পক্ষ থেকে তা উপেক্ষা করার মানসিকতা অত্যন্ত হতাশাব্যাঞ্জক।”পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার দেশ আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। পাকিস্তান অবশ্য মার্কিন ভূমিকার অসন্তুষ্ট হয়ে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে জোট বাঁধছে!
২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এই পাকিদের কারনেই আফগানস্থানে আমেরিকা ধুকতে পেরেছে না হলে আফগান রাশিয়ার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারত না আমেরিকা।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ট্রাম্প একটা উজবুক। বিশ্ব ইতোমধ্যেই এটা বুঝে গিয়েছে। আমেরিকার জনগনও এটা শীঘ্রই পুরাপুরি বুঝবে। কতদিন ব্যাটা প্রেসিডেন্ট থাকে এটাই এখন দেখার বিষয়।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দেখা যাক
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার অবাক লাগে আমেরিকা কেন এখনো পাকিস্তানের মত একটা দেশকে এত বিশাল অংকের সাহায্য করে। আফগানিস্তান তো শেষ করেছে এখন আর পাকিস্তানকে সাহায্য কেন?
২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হা হা গরু মেরে জুতা দান
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আফগানিস্তানে আমেরিকার ১৬ বছর থাকার একটা বড় কারণ হচ্ছে পাকিস্তান; পাকিস্তান তালেবানদের সাহায্য করে, যুদ্ধ চালু রেখেছে; কারণ, এই যুদ্ধের কারণে তারা আমেরিকা থেকে একটা বড় অংকের ডলার নিয়মিতভাবে পেয়ে আসছে, এটা হলো পাকী মগজ