নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
কিছুদিন পূর্বে উত্তর কোরিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। উত্তর কোরিয়া থেকে গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে হলে সেই ক্ষেপণাস্ত্রকে জাপানের আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যেতে হত। উত্তর কোরিয়া এবার যে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা জাপানের আকাশ পাড়ি দিয়ে উড়ে গিয়ে সাগরে পড়েছে।
তবে জাপান এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পারেনাই বা তাদের এন্টিব্যলেস্টিক মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারেনাই। বরং ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল এবং অন্তত ২,৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে।
জাপানে সতর্কতামূলক ঘণ্টা বাজানো হয়েছে এবং অনেকে ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য আঘাত থেকে বাঁচতে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ভয়ে জাপানে সতর্কতামূলক বার্তা দেয়ার পর দেশটিতে হুলস্থুল কাণ্ড শুরু হয়। ‘অশুভ’ লিখিত মেসেজ পেয়ে লাখ লাখ মানুষ ঘুম থেকে জেগে ওঠে। বার্তায় জনগণকে নিরাপদ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
জাপানি টেলিভিশন দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় ‘হোক্কাইদো’ দ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে তিন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে সাগরে পড়েছে। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে মোবাইলে লিখিত মেসেজ দেয়া হয়- “ক্ষেপণাস্ত্র পার হচ্ছে”। আরেকটি মেসেজে বলা হয়- “কিছুক্ষণ আগে এ এলাকা দিয়ে দৃশ্যত একটি ক্ষেপণাস্ত্র পার হয়েছে। আপনি যদি কোনো সন্দেহজনক কিছু দেখেন তাহলে তার কাছে না গিয়ে বরং দ্রুত পুলিশ অথবা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিন। দয়া করে নিরাপদ ভবনে অথবা আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থান নিন।”
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে একটি ‘গর্হিত কাজ’ এবং ‘অভূতপূর্ব, মারাত্মক ও বিপর্যয়কর হুমকি' হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার মারাত্মক ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, জাপানের জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে তার সরকার সম্ভাব্য সবকিছু করবে।
এর আগে জাপানের আকাশ দিয়ে ১৯৯৮ ও ২০০৯ সালে দুইবার ক্ষেপণাস্ত্র উড়িয়েছিল উত্তর কোরিয়া। অবশ্য দু’বারই দেশটি দাবি করে, এগুলো সামরিক কাজে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র নয় বরং এগুলো ছিল আকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর লক্ষ্যে রকেট পরীক্ষা।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাপক উত্তেজনা চলছে তবে আজকের এ ঘটনার পর জাপানের জনগণ সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গুয়ামে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলা করবার সক্ষমতা নিয়ে এখন আর প্রশ্নের অবকাশ রইলো না।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ট্রাম্পের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
বিজন রয় বলেছেন: তাহলে উত্তর কোরিয়ার কোন দোষ নাই?
তারা এগুলো করছে কেন?
কই অন্য দেশে তো করছে না।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৫৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: উত্তর কোরিয়া বাধ্য হয়েছে না হলে অ্যামেরিকা এত দিনে উত্তর কোরিয়াকে দখল করে নিত
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কোরিয়া উপদ্বীপে হামলা হবে আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত.... মার্কিন শক্তির কোরিয়াকে রুখতে জাপান নয় চীনের দারস্থ হতে হবে। এমনটি হলে পাক ভারত বা ভারত চীন যুদ্ধ অনিবার্য। পাকিস্তান চীন রাশিয়া চায় কোরিয়াতে আমেরিকা হামলা করুক। এটা হলে মার্কিন অর্থনীতি খসে পড়বে। আবার শুরু হবে ২০০৮ এর মত বিশ্বমন্দা।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভয়ংকর কিছু ঘটবে
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৫৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আমার এক ভাই জাপান থাকে। সে বলল যে জাপানীরা অন্য দেশীদের তেমন মিশে না। কিন্তু আমেরিকান দেখলে দাদা দাদা করে লেজ নাড়তে থাকে। তো তারা বিশ্বে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অন্যতম সেরা উৎপাদক হওয়া স্বত্বেও দেশ বাচানোর জন্য পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৫৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: জাপানিরা জানে পরমানুবিক অস্ত্র কতটা ভয়ানক
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: যুদ্ধ তাহলে কি আসন্ন?