নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। জাতিসংঘের ৩৬তম সম্মেলনের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেইন নয়াদিল্লির সমালোচনা করে বলেছিলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্বর অত্যাচার ও গণহত্যার মধ্যে তাদের আশ্রয় না দিয়ে ভারত থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের প্রতিনিধি রাজীব কুমার চান্দের বলেছে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে ভারতের নিন্দা করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে।
জেইদ রা’দ আল হুসেইন জাতিসংঘের সম্মেলনের প্রথম দিন বলেছিলেন, ‘মিয়ানমারে যখন তাদের দেশে তারা জুলুমের শিকার হচ্ছেন, এ সময় রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপের কঠোর নিন্দা করছি।’
আল হুসেইন ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এবং গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রাজীব কে চান্দের বলেন, ‘ভারত তার স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, মুক্ত গণমাধ্যম, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য গর্বিত। এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং রোহিঙ্গারা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন। রাজনাথ অবশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেয়া সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সহানুভূতির কথাও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে জম্মুতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষ থেকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এক আবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কেবলমাত্র মুসলিম হওয়ার জন্যই তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।জম্মুতে বসবাসরত প্রায় ৭ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর পক্ষ থেকে দায়ের করা ওই আবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এমনকি জম্মুতে বাস করার সময় তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের কোনো অভিযোগও নেই। তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধেও সন্ত্রাসী কাজকর্মে জড়িত থাকার প্রমাণ নেই।
ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে আবেদনকারীরা তাকে 'সমান অধিকার বিরোধী' বলে মন্তব্য করেছেন। তারা গরীব এবং মুসলিম বলেই তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ ব্যাপারে আগামী সোমবার শুনানি হবে।
গতকাল রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং উগ্র বৌদ্ধদের বর্বর গণহত্যা ও নিয়মতান্ত্রিক নিষ্ঠুরতার বিষয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলকে তদন্ত চালানোর অনুমতি দিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ওআইসি'র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে এক জরুরী বৈঠকে ৫৭ সদস্যের ওআইসি মিয়ানমারের প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর প্রতিদিন হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা নাফ নদী পার হয়ে বা দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করছে। এ পর্যন্ত আনুমানিক ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আসলেই বোদ্ধরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সাথে লুকোচুরি খেলছে আর রোহিঙ্গারা না বুঝে নালিশ করে পালাচ্ছে
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
শান্তি কোথায়ও নেই। জম্মু থেকে পাকিস্তান চলে যাওয়া ১, ২, ৩
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: শান্তির মা শান্তিকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সব মুসলিমই টেরোরিস্ট! এরাই হচ্ছে বড় জঙ্গী!! পৃথিবীর যত অশান্তির কারণ হচ্ছে মুসলমান!!!