নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা নতুন করে সংকটে পড়েছেন তাদের মেয়েদের নিয়ে। উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ঠাঁই নেওয়া এ সব মেয়েদের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর। যাদের অধিকাংশই অবিবাহিত।
কম বয়সী ও অবিবাহিত রোহিঙ্গা মেয়েদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে তাদের দূর্বলতার সুযোগ নিতে চাচ্ছেন দালালরা। এমনকি দালালরা কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ারও আশ্বাস দিচ্ছেন এসব সুন্দরী মেয়েদের। এ নিয়ে তরুণীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তেমনি আস্থাহীনতায় পড়েছেন তাদের পরিবারও।
একটি সিন্ডিকেট টেকনাফের উখিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সুন্দরী মেয়ে দেখলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তারা। সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে নানাভাবে কু-প্ররোচনা দিচ্ছে। রোহিঙ্গা তরুণীদের বলা হচ্ছে, নিজ ভিটেতে থাকার জন্য বসত বাড়ি দেওয়া হবে। তাতে কোন প্রকার টাকাও দিতে হবেনা। এটা শুধুই মানবতার খাতিরে বলে আশ্বাস দিচ্ছে ওই সিন্ডিকেট। গার্মেন্টের চাকুরীসহ প্রতিষ্ঠিত করে দেওয়ার আশ্বাসও দিচ্ছেন তারা।
উখিয়ার বালুখালীতে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার মংডু থেকে আসা হামিদুল আজম। তার দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে জান্নাতুলের বয়স ১৮ এবং ছোট মেয়ে পারুলের বয়স ১৪। জান্নাতুল দেখতে খুবই রুপসী। হামিদুল বলেন, প্রাণের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি। বড় মেয়ে জান্নাতের বিয়েও ঠিক হয়েছিল, পার্শ্ববর্তী একটি ছেলের সাথে। আমরা লাম্বার বিল সিমান্ত দিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করি। কিন্তু আসার পথে দুইজন লোক তাদের বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে। বলেন, শহরে নিয়ে যাবে। চাকুরীর করার সুযোগ করে দেবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে কাজ করে যাচ্ছি বলে একজন আমার বড় মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তাতে রাজি হয়নি।
একই অভিযোগ করেছেন, টেকনাফে’র ধামনখালীতে আশ্রয় নেওয়া মধ্যবয়সী নুরতাজ। দুটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক ছেলের বউ এনেছেন। কিন্তু ছোট মেয়ে মনোয়ারাকে (১৬) নিয়ে পালিয়ে আসতে হলো তাকে। এখানেই এসেই যতো বিপদ। তার সুন্দরী মেয়েকে নিয়ে সে পড়েছে সমস্যায়। বাবা হারা মেয়েটি কেমন জানি ভীতস্থ। চেষ্টা করেও কথা বলানো সম্ভব হয়নি। মনোয়ারার মা নুরতাজ বলেন, কিছু লোক এসে আমি এবং আমার মেয়েকে নিরাপদে রাখবে বলে অনুরোধ করে। তাকে লোভও দেখাচ্ছে। আমি কিন্তু ভয় পেয়েছি। তিনি বলেন, বাবা আপনারাতো এখানের। আমরাতো এখানে কিছু চিনিনা। অন্তুত নিরাপত্তায় থাকতে পারি মতো কোথাও ব্যবস্থা করা যায়? নুরতাজ বেগম ঝড়ে ভিজে অনেকটা অসুস্থ। অনেক রোহিঙ্গা শরনার্থীরা জানান, লম্পটদের পাশাপাশি কিছু দালালও রয়েছে সুন্দরী মেয়েদের ভাগিয়ে নিতে। অসহায়ত্বের সুয়োগ নিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিয়ের প্রস্তাবও। যা রিতিমতো লোকদেখানো।
এমন আরেকজন লিয়াকত আলী। তার দুটি মাত্র মেয়ে। একটি ছোট অন্যটির বয়স ১৭ বছর। মেয়েটির নাম আয়েশা। লিয়াকত বলেন, মেয়েকে নিয়ে এখানে এসেও বিপদ পিছু ধরে রয়েছে। আমার খুব ভয়, না জানি মেয়েটা হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই রাতদিন মেয়েকে নিজ হাতে ধরে রেখেছি। দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসেও শান্তি পাচ্ছি না।
উখিয়া টেকনাফের তমব্রু বালুখালী, আঞ্জুমানপাড়া, রহমতের বিল, ধামনখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় কোন কারণ ছাড়া কিছু যুবককে মোবাইল ফোন নিয়ে ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে দেখা গেছে। এদের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক হলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সুন্দরী মেয়েদের বাবা-মা। পাশাপাশি আতঙ্কে রয়েছে ওইসব রোহিঙ্গা তরুনীরা।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সংখ্যা খুব অপ্রতুল হওয়ায় নিরাপত্তার প্রকট সঙ্কট বিরাজ করছে।
আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছি এটা যেমন সত্য তেমনি আমাদের মধ্যেই একটি চক্র আবার রোহিঙ্গাদের জিনিসপত্র লুট করছে, তাদের আশ্রয়ের কথা বলে সম্পদ হাতিয়ে নিচ্ছে এবার এই পশুদের চোখ পড়েছে রোহিঙ্গা তরুণীদের ওপর। ধিক এসব লম্পট বাটপারদের ওপর। একটা দেশের মান-সন্মান নষ্ট করতে এসব দুই একটা তুফানই যথেষ্ট। আমরা যখন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তখন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বাড়ানোর পাশাপাশি নজরদারি বাড়ালে লম্পট দালারদের খপ্পর থেকে বাচঁবে, প্রাণে বেঁচে আসা এসব তরুণীরা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সত্যি নাহলেই ভালো, কিন্তু সব সময় কিছু খারাপ মানুষ থাকবেই।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সহমত । দিনকাল খুবই খারাপ । মানবতা উধাও !
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আল-শাহ্রিয়ার ,
রীতিমতো আতঙ্কজনক ।
কোন কারণ ছাড়া যে সমন্ত যুবক মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলছে এবং ভিডিও করছে তাদেরকে স্থানীয় লোকজনের উচিত গণধোলাই দিয়ে র্যাবের হাতে তুলে দেয়া । আর যে সমস্ত দালাল মেয়েদের দিকে নজর তুলছে তাদের মাটির নীচে পুঁতে ফেলা হোক ।
সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
করুণাধারা বলেছেন: ভাল কথা মনে করেছেন। এটাতো একবারো ভাবিনি!! রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে মহা বিপদ। এমন যেন না হয় সেই প্রার্থনা করি।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সেই প্রার্থনাই থাকবে।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: এতসব কাহিনী শুনে আমাদের লাভ কি? আমরা কি করতে পারি? প্রশাসন তো চোখে ঠুলি পড়ে থাকে। নারী বাণিজ্যের বখরার ভাগ তো তারাও পায়।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এই সব অপরাধীদের প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করা আমাদের দায়িত্ব।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আমরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ওদের রোষানলে পড়ি আর ওদের গডফাদারেরা থানায় গিয়ে চা নাস্তা খাইয়ে ওদের ছাড়িয়ে আমাদের পেছনে লেলিয়ে দিক! আমাদের কাছ ঠেকে এতটা আশা করেন কি করে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: পরিবর্তন চাইলে একটু ঝামেলা পোহাতে হবে নাহয় তনুরা সব সময়ের জন্য লাঞ্চিত হতেই থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: কিছু জিনিস ভুল করেও সত্যি হোক তা চাইনা | ভুলে থাকতে চাই | সেই তিক্ত সত্যিগুলোই আবার আবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন ! উসাইন বোল্টের গতি নিয়ে নিচে খাদে ফাঁদে গড়িযে পড়ার কথা আর কত যে শুনতে হবে এই জামানায়! দয়া করুন একটু প্লিজ !