নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তাঁর পক্ষের লোকজন এতটাই বিব্রত যে তার পক্ষ নিয়ে টিভি শোতে আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রাম্পের জাতিসংঘ ভাষণের পরপরই বিশ্বনেতাদের মধ্য থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ভাষণে ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতাকে ভয়ানক সমঝোতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, ইরানী সরকারকে খুনি সরকার বলেছে এবং উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দেবার হুমকি দিয়েছে।
তবে ট্রাম্পের অবস্থানকে মেনে নেয় নি আন্তর্জাতিক সমাজ। এক ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশই ট্রাম্পের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন সরাসরিই বলেছেন, ‘জাতিসংঘ আলোচনার একটি সাধারণ ক্ষেত্র। এখানে কোনো দেশ অন্য দেশকে হুমকি দিতে পারে না।’ উত্তর কোরিয়াকে এভাবে হুমকি দিতে নিষেধ করেছে চীন।
ইরান বিষয়ে শক্তিশালী অবস্থান ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্র নীতি-বিষয়ক কমিটির প্রধান ফেদেরিকা মঘারিনি জানিয়েছেন আমেরিকা পরমানু চুক্তি বাতিল করলেও ইইউ নিজের পথেই হাঁটবে। এ বিষয়ে একই অভিমত ব্যক্ত করেছে জাপান ও জার্মানি।
অর্থাৎ উত্তর কোরিয়া, ইরান ও জলবায়ু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের সঙ্গে সহমত নয় আমেরিকার দীর্ঘ দিনের বন্ধু দেশগুলো। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও তার আমেরিকা ফার্স্ট নীতি বহু বন্ধু দেশের মধ্যেও শঙ্কার সঞ্চার করেছে।
এদিকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের অবকাশে ৭৭ জাতি গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সর্বসম্মতি ক্রমে একটি বিবৃতি পাস করেছেন। ওই বিবৃতিতে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গঠনমূলক দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের সই হওয়া পরমাণু সমঝোতার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে ৭৭ জাতি গ্রুপের সদস্য বিশ্বের ১৩৪টি দেশ। এসব দেশ ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছে।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানিকে অগ্রাহ্য করে নতুন একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। যা নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড বহনে এবং ২ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এবারের জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির অভিযোগ আনেন। শুক্রবার একাধিক নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইরানি জাতি সব সময় শান্তির পক্ষে কাজ করেছে। ইরানি জাতি প্রতিরক্ষার জন্য কারও অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করে না এবং বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে তার প্রতিরোধমূলক তৎপরতা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
গত বছর থেকে কার্যকর হওয়া নিউক্লিয়ার চুক্তি অনুযায়ী, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর তেমন কোনো বিধিনিষেধ আরোপ হয়নি। তবে চুক্তিটি কার্যকরের সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী আট বছর নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি না চালানোর জন্য ইরানকে বলা হয়।
সব দিক থেকে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের উদ্ধত বক্তব্যের জন্য অ্যামেরিকা তার পুরাতন মিত্রদের হারাতে বসেছে, যেই মুহূর্তে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠিন অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিচ্ছেন ঠিক তখন ইউরোপের বড় কোন ব্যাংক বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইরানের সাথে নতুন কোন বিনিয়োগের চুক্তি করছ। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র চীন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স প্রকাশ্য পরমানুবিক চুক্তির পক্ষে সাফাই গাইছেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইরান বোমা বানাবার অধিকার রাখে না, তারা সৌদী ও ইজরায়েলকে ধ্বংস করার সম্ভাবনা আছে, এটি আরেকটি কোরিয়া
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ইরান অবশ্যই তার নিজের দেশকে নিরাপদে রাখবার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের অস্ত্র প্রতিষ্ঠার অধিকার সংরক্ষন করে।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
স্বল্প বাঁধন বলেছেন: কোরিয়া কাকে ধ্বংস করেছে যদি বলতেন?
আমেরিকার,রাশিয়ার যদি বোমা বানানোর অধিকার থাকে ইরান,কোরিয়ার কেন থাকবেনা? শতাব্দীর ইতিহাসে কোন দেশ পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা সুস্থ মনে ভিসা পাওয়ার লোভ ব্যতীত চিন্তা করুন।
ভিসা কেবল আমেরিকা আর জার্মানি দেয় না চাঁদগাজী সাহেব কোরিয়াও দেয়।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। অ্যামেরিকা কোরিয়ার ২০% লোককে হত্যা করেছিল অথচ কোরিয়া অ্যামেরিকার কত জনকে হত্যা করেছে অ্যামেরিকা কি বলতে পারবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
স্বল্প বাঁধন বলেছেন: নিজেরা পারমানবিক অস্ত্র বানালে সমস্যা নাই ইরান বানালে নাকে চুলকায়,কানে চুলকায়,চোখে চুলকায়,সবখানেই চুলকায়!!