নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করে ফেরার পথে পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সাত সদস্যকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আজ (বুধবার) ভোরে টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করা হয়। অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন।
টেকনাফের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মেজর নাজিম আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, আবদুল গফুরকে মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান।
মেজর নাজিম আহমেদ জানান, এসময় সাতজনকে আটক করা হয়। আটক করা সাতজনের মধ্যে একজন হলেন পুলিশ পরিদর্শক ইয়াসির আরাফাত। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
মেজর নাজিম আরও বলেন, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমাদের জানান তিনি। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।
ভিকটিম টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর জানান, মঙ্গলবার আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য তিনি কক্সবাজারে যান। কক্সবাজারের হোটেল আল গনিতে দুপুরের খাবার খেয়ে বের হওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে কলাতলী এলাকার একটি নির্জন বাউন্ডারিঘেরা জায়গায় আটকে রেখে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় ক্রসফায়ার অথবা ইয়াবা দিয়ে চালান দেবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ১৭ লাখ টাকায় দফারফা হয়। ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মহেষখালিয়াপাড়া এলাকায় আটক আব্দুল গফুরের বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা বুঝে নেয় ডিবি সদস্যরা। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেই টাকা নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ডিবি সদস্যরা সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়।
সুত্রঃ পার্সটুডে
কি খুব অবাক হচ্ছেন কি? আসলে অবাক হবার কিছুই নাই। এরপূর্বে যতগুলো অপহরণের ঘটনা ঘটেছে সব জায়গায় শোনা যায় পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই ঘটনার সাথে যুক্ত, যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব ঘটনার তদন্তও করা হয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমকেই দোষী বানানো হয় বিভিন্ন ছল চাতুরীর মাধ্যমে।
কিছুদিন পূর্বে এক মেয়রকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপূর্বে "বেলা"র রেজওয়ানা চৌধুরীর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছিল। বিরোধীদলের নেতাকর্মীর নাম মুখে নাই বা আনলাম। অপহরণ করা হয় ঢাকা থেকে উদ্ধার হয় ভারতে! কি শক্তিশালী লিংক এই অপহরণকারিদের। প্রতিবাদ করলে হয়ত পরবর্তী টার্গেট আপনি।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: অসম্ভব নয়।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার কিচ্ছু বলার নেই
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সত্যি বলে তেমন কোন লাভ নাই
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অবাক হওয়ার কিছু নেই...
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কিছু করতে হলে অন্যরা করতে পারবে না, নিজেরাই করতে হবে।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৭
মরুচারী বেদুঈন বলেছেন: প্রতিদিন কত খবর আসে যে
কাগজের পাতা ভরে,
জীবন পাতার অনেক খবর
রয়ে যায় অগোচরে।
~~আব্দুল জব্বার
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সবই হবে অগোচরে জানবেনা কেহ।
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর কত অন্যায় হলে শীর্ষ পদাধিকারীরা লজ্জ্বিত হবে?
আর কত অপরাধ হলে তাদের বিবেক জাগ্রত হবে?
জনগণ আর কত লাঞ্চিত, বঞ্চিত হলে তাদের শপথের বাক্য স্মরণে আসবে?????
লজ্জ্বা!
আইজিপি মহোদয় কি এ লজ্জ্বা থেকেও পদত্যাগের কথা ভাবতে পারবেন????
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সন্মান থাকলে ত লজ্জা পাবে।
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এসব ডাকাতেরা কি করছে, তাদের মন্ত্রী ও প্রধান জানে না? অবশ্যই জানে
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হয়ত
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২
বানেসা পরী বলেছেন: এটাতো নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। অবাক হওয়ার কি আছে? প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আইন শৃঙখলা বাহিনী আর রাজনৈতিক প্রশ্রয় না থাকলে এত বিশাল বিশাল অপরাধ একটা দেশে এভাবে হরহামেশা সম্ভব না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন ঘটনায়ও তো র্যাব আর প্রশাসন সরাসরি জড়িত ছিল।
এগুলো যেদিন বন্ধ হবে তখন খেয়াল করব যে অবাক হতে পারি কি না।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
আবু তালেব শেখ বলেছেন: উর্দি পরা খুনোডাকাত দের কথা সবাই ভালো করেই জানে।
পিছনে বড় হাত আছে নইলে এভাবে ওপেন হরিলুট (দুঃখিত লুট,এটাতো এখন বৈধ) করতে পারতো না
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বেশী কিছু তো করতে হয় না। বিদ্যমান আইনেই এদের বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে আর কেউ অনৈতিক কাজ কেউ করবে না। আমার অবাক লাগে, এদের কত বড় প্রভাব। ১/১১'র সময় এক পুলিশ(টিভিতে নাটক করতো মাঝে মাঝে) ঘুষ খাওয়ার সময় ধরা পড়ে। কিছুদিন পর সেই একই পুলিশ কোন এক সংবাদের সময় সাক্ষাৎকার দিয়েছিল। মানে সে আবার চাকুরি ফেরত পেয়েছিল...
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এটাই বাস্তব। যখন ২০ লক্ষ টাকা বিনিময়ে পুলিশ এসআই পদে নিয়োগ হয় তখন এসব চলতেই থাকবে। যদি না পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে দুর্নীতি না দূর করা সম্ভব হয়।
১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১২
হাফিজ রাহমান বলেছেন: জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও বোধ হয় এ দায় থেকে মুক্ত নয়। নতুবা তারা কেন তাদের ছাড়াতে ছুটে এলেন ? ভাবতেও কষ্ট হয়, এ কোন দেশে আমরা বাস করি। রক্ষক যদি ভক্ষকের আসন গ্রহণ করে তবে সে দেশে আর কি আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী কি সত্যিই সুশাসন চান ? তাহলে এগুলোকে ধরে কোটি জনতার সামনে ক্রসফায়ার করে দিন। দেখবেন, সুশাসন ফিরিয়ে আনতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। ধন্যবাদ পোষ্টদাতাকে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে পুলিশের চেইন অফ কমান্ডকে পরিছন্ন হতে হবে যদি পুলিশ বাহিনীকে সুশৃঙ্খল করতে হয়। ভুত শস্যের ভেতরেই রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: এদেরকে এখন রাখা হবে ভিয়াইপি কারাগারে।যেমনটা আছে সাত খুনের আসামি মন্ত্রীর জামাতার দল।