নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদির আরবের যুদ্ধের হুমকির জবাবে ইরানের বন্ধুত্বের আহব্বান!!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে সঠিক সময়ে এবং পন্থায় যথাযথ জবাব দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইয়েমেন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর রিয়াদের পক্ষ থেকে এ হুমকি দেয়া হয়েছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে সৌদি রাজধানী রিয়াদে ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।

সৌদি জোট বিবৃতিতে দাবি করেছে, হুথি যোদ্ধারা ইরানের সরাসরি কমান্ডের অধীনে কাজ করছে। তাই জোটের কমান্ড বিবেচনা করছে যে, "এটি ইরানের স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসনের শামিল এবং এটিকে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসাবে বিবেচনা করা হতে পারে।" এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ইরানের বিরুদ্ধে হুথিদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করেছে যা ফ্রান্সও সমর্থন করেছে।

অন্যদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি তার দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষী নীতি পরিহার করতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি সৌদি আরবসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর উন্নয়নে ইরানের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুর্নব্যক্ত করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, "সৌদি আরব যদি মনে করে ইরান নয় বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল তাদের প্রকৃত বন্ধু তাহলে সে ভুলের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, "এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কোনো ধরনের ভৌগোলিক পরিবর্তন মেনে নেব না, আমরা চাই এ অঞ্চলের জাতিগুলো নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক এবং তাদের ওপর সব ধরনের আগ্রাসন এবং বোমা বর্ষণ বন্ধ হোক।"

ইরান আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে রুহানি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরান যখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তখন তার দেশের বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া, আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের অতীত ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে ইরানী প্রেসিডেন্ট বলেন, "এসব বলদর্পী শক্তি এ অঞ্চল থেকে তেল এবং সম্পদ চুরি করছে এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বিক্রি করছে।"

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি গোলাম আলী খোশরো এই সংস্থার মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে লেখা চিঠিতে সৌদি আরবকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি অন্য দেশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের হুমকি দেয়া থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের ভিত্তিহীন হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন সৌদি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ধ্বংসাত্মক, উস্কানিমূলক এবং অন্য দেশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের হুমকি নিষিদ্ধ করে পাস হওয়া জাতিসংঘ ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

লেবাননের সাবেক প্রেসিডেন্ট এমিল লাহুদ বলেছেন, সৌদি আরব ইরানে হামলা করার মতো অবস্থায় নেই এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলও লেবাননের হিজবুল্লাহর ওপর হামলা করতে পারবে না। এমিল লাহুদ বলেন, হিজবুল্লাহ না থাকলে অনেক আগেই লেবাননকে দখল করে নিতো ইহুদিবাদী ইসরাইল। সৌদি আরবে গিয়ে লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সাদ হারিরির সরে যাওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি আরবে যা ঘটছে তা সাদ হারিরির পদত্যাগের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘটনাবলীতে হস্তক্ষেপের জন্য ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অথচ সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত ২ মে আল আরাবিয়া টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে ইরানেও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ইসরাইলের দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট তেলআবিব ও রিয়াদের একটি গোপন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে লিখেছে, "কিছুদিন আগে সৌদি আরব ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল করে দেয়া বিষয়ে পরীক্ষা চালায় যাতে ইসরাইল সহজে বিমান হামলা চালাতে পারে।"

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার সমর্থন নিয়ে সৌদি আরবের এ ধরণের উস্কানিমূলক তৎপরতা সমগ্র এ অঞ্চলের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগণ আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব ঠেকানোর জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াবে। একই সময়ে সৌদি আরবে রাজ পরিবারের মধ্যে ক্ষমতার দন্দ শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের বর্তমান রাজা সালমানের পুত্র মহাম্মাদ বিন সালমান নিজ ক্ষমতা সুসংহত করতে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ পরিবারের ১ ১ জন প্রিন্সকে আটক করেছে এমনকি আরও একজন প্রিন্সকে আটকের সময় গুলিকরে হত্যা করা হয়েছে। ওপর একজন প্রিন্স সঙ্গীদের নিয়ে ইয়েমেনে পালিয়ে যাবার সময় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায়। ধারনা করা হয় তাকেও হয়ত হত্যা করা হয়েছে।
সৌদি আরবের এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে সৌদি জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে নতুন করে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি যুবরাজ। তবে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব অনেকটা চোরাবালিতে আটকা পড়েছে, না পারছে যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারছে তাদের সমর্থিত
হাদি সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে। ইরানের সাথে এই মুহূর্তে সরাসরি যুদ্ধ করবার জন্য প্রয়োজনীয় মনবল নাই সুতরাং লেবাননকে নতুন সঙ্কতে ফেলে ইসরাইলের সহযোগিতায় এবং তাদের আকাশসীমা ব্যাবহার করে হিজবুল্লাহর ওপর হামলা করতে ইচ্ছুক সৌদি প্রশাসন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের সামনে এখন দু'টি পথ খোলা রয়েছে। হয় সৌদি আরবকে বর্তমান নীতিই মেনে চলতে হবে যার পরিণতি হচ্ছে নিশ্চিত ধ্বংস। অথবা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজ আচরণ সংশোধন করে মধ্যপ্রাচ্যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।

(তথ্য সুত্রঃ পার্সটুডে)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইরান তার তেলের পয়সা থেকে প্রতিটি শিয়াকে অস্ত্র দেবে; ১৯৮০ সাল আবার ফিরে আসবে, আবার ইরানী তরুণরা "শহীদ" হবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ইরান এখন অন্যতম অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ যাদের সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য সংখ্যা সাড়ে পাচ লক্ষ। রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ। আর হুথিরা যদি রিয়াদে হামলা চালাতে পারে তবে কল্পনা করুন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সাক্ষমতা সৌদিকে কতটা ভোগাবে। সেই সময়ের মধ্যপ্রাচ্যের সব থেকে শক্তিশালী দেশ ইরাক পর্যন্ত ইরানের সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ তরুণদের কাছে পরাজিত হয়েছে। ইরানের একটি প্রক্সি হিজবুল্লাহর কাছে বিশ্বের সব থেকে দক্ষ ও সর্বাধুনিক অস্ত্রেসজ্জিত ইসরাইলী সেনাবাহিনী লজ্জাজনক পরিনতি বরন করেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস ৪২ টি দেশের সাপোর্ট পেয়েও ইরানের শিয়া মিলিশিয়া আর রাশিয়ার অস্ত্রের কাছে হেরেছে।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই মনে ঠিকই বলেছেন।

মুসলিম বিশ্বের জন্য আমার এই কবিতাটি উৎসর্গ করলাম

কবিতা, "ঐক্যের আহব্বান"

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আপনার কবিতা ভালো লাগলো, ইরান বন্ধুত্বের আহব্বান জানিয়েছে কিন্তু সৌদি যদি ধ্বংসের পথ ধরে তবে করবার কিছুই থাকবে না।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি অতি দুষ্ট জাতি। এবং অবশ্যই নির্বোধ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সৌদিরা বর্তমানে ইসরাঈলের হাতের ইশারায় চালিত। এমনো শোনা গেছে সৌদি রাজবংশ খাটি ইহুদি। নামমাত্র মুসলমানের বেশ ধরে ইসরাইলি স্বার্থ রক্ষা করছে

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: অসম্ভব নয়। সৌদি রাজ বংশের প্রতিষ্ঠা করেছে ব্রিটেন ।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৩

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ইসরাঈল অস্তিত্বে হুমকি ইরান,সিরিয়া,লেবানন আর এদের সংগে সৌদির দন্ধ।
কিসের ইংগিত এটা?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সৌদি রাজ বংশের চামচামির

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.