নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, আমেরিকার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে চীন ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে শূল্ক আরোপ ও কোটা ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলেন ট্রাম্প
নির্মাণ ও যানবাহন তৈরির ক্ষেত্রে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম খুবই জরুরি পণ্য হিসেবে বিবেচিত, আর এই দুইটি খাতে চীন ভর্তুকি দিচ্ছে বলে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার নেয়া পদক্ষেপে ক্ষিপ্ত ট্রাম্প। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন ২০১২ সালের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি ছিল আমেরিকার জন্য একটি ‘বিপর্যয়’।এ চুক্তির কারণে আমেরিকা বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতিকে আঘাত করবে বলে সতর্ক করেছে চীন। ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে চীনের তৈরি পণ্যের ওপর শুল্কমাত্রা আরোপ করে দিয়েছে। এর মধ্যে চীন পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যেকোনো ধরনের একতরফা অথবা সংরক্ষণ নীতি বিশ্ববাণিজ্য ইস্যুকে নাজুক করে তুলবে। এটি বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথকে আঘাত করবে। এই মুহূর্তে চীন বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইস্পাতের অর্ধেক নিজেরাই উৎপাদন করছে।
মজার বিষয় হল নিজ অর্থনীতি সবল রাখার জন্য চীন অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য ব্যাপকমাত্রায় স্টিল উৎপাদন করছে বলে অভিযোগ করছে আমেরিকা। নিজের অভ্যন্তরীণ বাজার বা অর্থনীতি সবল রাখতে কোন দেশ কি কৌশল গ্রহন করবে এটি সংশ্লিষ্ট দেশটির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু এই অজুহাতে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদানের মত হটকারী সিদ্ধান্ত হয়ত অ্যামেরিকার স্বার্থেই আঘাত আনবে।
আমেরিকার ইতিহাসে সরকার পরিচালয়ায় চরম অদক্ষ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন দেশের সাথে সম্পর্ক বিবেচনা করে আমেরিকার সাথে ওই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি বা উদ্বৃত্তের ভিত্তিতে। ফলে দিন দিন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অ্যামেরিকার অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এক সময়ের নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ অ্যামেরিকা এখন বন্ধুহীনতায় ভুগছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভালো বলেছেন
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
চীন এখন হুমকী ধামকী বাহিরে চলে গেছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমেরিকার এহেন সিদ্ধান্তের জন্য দেশটা কে সুপার পাওয়ার থেকে বহিস্কার করলাম। এবং পরবর্তী সুপার পাওয়ার হিসেবে বাংলাদেশকে মননীত করলাম। অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের হর্তাকর্তাদের বিশ্ব শাষনের অনুরোধ করা হল।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সত্যি যদি তাই হত!
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সপ্ন দেখে যান
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: স্বপ্ন দেখতে কি আবার ডলার লাগে নাকি?
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮
তপোবণ বলেছেন: সুপার শাসক তো অলরেডি আমাদের আছেই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন পাশের দেশের ইশারায়!
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ছাড় দেয়ার মানসিকতা কারো নেই।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। তবে ট্রাম্প সম্ভাবত ভীন গ্রহের প্রাণী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ট্রাম্প মামার সরফরাজি চাল, বুঝতে হবে ভায়া!