নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরাকের ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্রের মিথ্যা অভিযোগে হামলার পর সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের অযুহাতে হামলা চালাতে তৎপর মার্কিন জোট

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৬

কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই রাসায়নিক হামলার অভিযোগে সিরিয়ায় অপর হামলা চালাতে তৎপর হয়েছে যুদ্ধ প্রিয় দেশ আমেরিকার ও তার সঙ্গীরা। সিরিয়ার সরকার রাসায়নিক হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে। কিন্তু ট্রাম্প ও তার মিত্ররা কোন তদন্ত করতে আগ্রহী নয় কেননা তদন্ত হলেই তাদের মিথ্যা ধরা পরে যাবে।

২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের অভিযোগ তুলে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা স্বীকার করে যে, ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের দাবি ছিল ভিত্তিহীন। হামলা চালানোর অজুহাত তৈরি করতেই ওই অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছিল। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার জন্য মাফ চেয়েছিল।

আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন ইরাকের তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, সাদ্দাম ইরাকে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত গড়ে তুলেছেন এবং সাদ্দাম বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাকে হামলার উদ্যোগ নেয় বুশ সরকার। ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও একই দোহাই দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নেন। এবার সেই রাসায়নিক অস্ত্রের অভিযোগ তুলে সিরিয়ায় হামলার পায়তারা চলছে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বলেছেন, আমরা যখনি কোনো বিজয় অর্জন করি তখনি পাশ্চাত্যের দেশগুলো চিল্লাচিল্লি শুরু করে। সিরিয়ায় পাশ্চাত্যের সম্ভাব্য হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে বাশার আসাদ আরও বলেছেন, পাশ্চাত্য এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিলে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে এবং বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়বে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাসায়নিক অস্ত্র হামলার অভিযোগ তুলে সিরিয়ার হোমস প্রদেশের আশ্‌-শেইরাত বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি খ্যাতনামা মার্কিন লেখক সিমুর হারশ্‌ এ কথা ফাঁশ করে দিয়েছেন যে, ট্রাম্পের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশের একই সময়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ট্রাম্পকে জানিয়েছিল ওই রাসায়নিক হামলার সঙ্গে সিরিয়া সরকারের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এদিকে সিরিয়া সফরে থাকা ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি বলেছেন, প্রায় সাত বছর ধরে সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। আর এ যুদ্ধে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছে আমেরিকা। এর ফলে সাত বছর আগের তুলনায় সিরিয়া দুর্বল হয় নি এবং সাত বছর আগের তুলনায় আমেরিকাও শক্তিশালী হয় নি।

গত সোমবার লেবাননের আকাশসীমা ব্যবহার করে কয়েকটি ইসরাইলি এফ-১৫ জঙ্গিবিমান সিরিয়ার হোমস প্রদেশের টি-৪ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর প্রেক্ষিতে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলি যুদ্ধবিমান তার দেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হেনেছে।মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে আউন বলেন, “ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের লেবাননের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা বলে বিবেচনা করছি এবং তিনি এ ঘটনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

হোয়াইট হাউজের তথ্য মতে- প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেন নি। অথচ ব্রিটিশ মিডিয়া দাবী করেছে বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় হামলা শুরু হতে পারে। এর আগে ট্রাম্প টুইটার বার্তায় বলেছেন, সিরিয়ায় স্মার্ট এবং নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা হবে এবং রাশিয়াকে সে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

সিরিয়ায় স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মার্কিন হুমকির প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ার বৈধ সরকার ও তার বাহিনীর ওপর হামলা না চালিয়ে সন্ত্রাসীদের ওপর আঘাত করুন। রাশিয়াও বলেছে, সিরিয়ায় হামলা হলে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়েও আমেরিকা কোনো লক্ষ্যই এখন পর্যন্ত অর্জন করতে না পেরে যেভাবেই হোক সিরিয়া সংকট জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা এবং সিরিয়া সংকট জিইয়ে রেখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই দেশটিতে সরাসরি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

পুতিন যতদিন আছে, সিরিয়াতে ট্রাম্পের লাভের/আশার কিছু নেই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: কিন্তু অ্যামেরিকা এখন ট্রাম্প নয় বরং সিএইএ চালায়।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে যেমন শান্তি নাই। সিরিয়াতেও নাই।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: আমরা অন্তত সিরিয়া থেকে অনেক ভালো আছি। আমাদের রাস্তায় বের হলেই মৃত্যুর ভয় নেই বেকার সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.