নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
দেশ থেকে মাদক নির্মূলের প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক অনুষ্ঠানে বলেন, জঙ্গি দমনের মত মাদক ব্যবসায়ী দমনে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই দায়িত্ব মূলত দেওয়া হয়েছে র্যাবকে।
গত ১৪ মে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর তারা মাঠে নেমেছেন। মাদকের বিরদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। র্যাবের সংবাদ সম্মেলনের আগে ৩০ এপ্রিল কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মাদকের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও গোয়েন্দা পুলিশ, রেল পুলিশ, থানা পুলিশ এবং বিজিবিকেও মাদকবিরোধী অভিযানে দেখা যাচ্ছে।
যাই হোক এক কথায় মাদকের বিরুদ্ধে সরকার এক প্রকার যুদ্ধ শুরু করেছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয় দেশে অন্তত এক কোটিরও বেশী মাদক সেবী রয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ মেয়েরাও এই মাদকের ছোবলের স্বীকার। আবার এক কোটি মাদকসেবীর মধ্যে ৮৫ শতাংশ হল যুবক যাদের বয়স ২০-৪৫ এর মধ্যে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে মাদক সেবীদের দেখা পাওয়া যায়, হলে হলে এক প্রকার মাদক সেবনের প্রতিযোগিতা চলে। গতবার বুয়েটের কনসার্টে দেখেছিলাম কিভাবে ছেলে ও মেয়েরা গাঁজার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। শহরের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি দিতে ধানমণ্ডি লেকের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ লেকের আবহাওয়াও মাদকের বিষাক্ত ছোঁয়া থেকে মুক্ত হতে পারে নাই। রবীন্দ্র সরেবর থেকে ব্যাচেলার পয়েন্ট সর্বত্রই মাদক সেবীদের দখলে, ইয়াবা, গাঁজা এবং ফেনসিডিলের সহজ লভ্যতা রয়েছে এই লেকে। এভাবে দেশের সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে মাদকের ভয়ংকর জাল।
ফিলিপাইনে এক সময় মাদকসেবীদের জন্য দেশের জনশক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে সেদেশের প্রেসিডেন্ট দুর্দেত দায়িত্ব নিয়েই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। পশ্চিমারা মাদক বিরোধী অভিযানের জন্য দুর্দেতকে অনেক নিন্দা, অপবাদ দিলেও দেশের জনগনের কাছে তিনি আজ মহানায়ক যিনি ফিলিপাইনের জনগণকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করেছেন।
আশার কথা আমাদের দেশেও অবশেষে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। নিঃসন্দেহে তার এই সিদ্ধান্ত দেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। দেশ থেকে মাদক দূর হলে অধিকাংশ অপরাধও দূর হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেছেন- ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, স্থাপনকৃত মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারক তীর অপবিত্র ও শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা ইহা হতে দূরে থাক। যেন তোমরা সফলকাম হতে পার’ -(সুরা আল মায়িদা: ৯০)।
তবে আশাকরি আমাদের দেশ থেকে মাদক নির্মূল করে সুস্থ জাতি গঠনে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রচেষ্টা সফল হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে বন্দুক যুদ্ধে এক রাত্রে নিহত ৮
২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সতর্কতার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।
২| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমি যারপরানই খুশি হলাম...
২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন:
মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জোরালো অভিযানে বদি ভাইয়ের পক্ষ থেকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।
২১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আশাকরি বদি ভাইয়ের লাল গোলাপের রঙ পরিবর্তন হয়ে নীল হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন:
মাদকতা মুক্ত শান্তিময় সমাজ সকলেই চায়। তবে এটা একটা সঙ্কটও বটে। আমাদের স্মরণ আছে নিশ্চয়, গত বছর আমাদের র্যাব এক যুবককে অন্যায়ভাবে পঙ্গু করে দেয়। এর আগে সাতজন র্যাবকে শাস্তি দেয়া হয় এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে।
আমরা চাই, আমাদের দেশের ছাত্রদের এ অন্যায় থেকে ফিরিয়ে আনতে, তবে এভাবে না। একরাত্রে যদি ৯জন মারা যায় তাহলে ১ মাসে ক'জন হয়?
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন এই অপরাধীদের ধরতে গিয়ে আমাদের নিরপরাধ ছেলেমেয়েরা অন্যায়ভাবে লোকান্তরিত (নিহত) না হয়