| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আল-শাহ্রিয়ার
	গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভর্তি হওয়া রাহি আক্তার খুশির ছাত্রত্ব সাময়িক স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। 
নিয়ম অনুসারে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো ভার্সিটিতে পড়তে পারবে না। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ইলিয়াস আর মায়ের নাম মিনুআরা।১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির পরিবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো। রহিমার জন্ম থেকে শুরু করে বেড়ে উঠা সবকিছুই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। 
DWকে দেওয়া খুশির সেই সাক্ষাৎকার যা প্রচার হবার পড়ে রাহির রোহিঙ্গা পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে।
 
গত দুইবছরে কক্সবাজারের কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের তরুনী রহিমা আকতার পরিচয় বদলে হয়ে গেছেন রাহি আক্তার খুশি। 
প্রথম আলো বন্ধুসভার কয়েকটি ইউনিটের সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে এখন জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক সে। এছাড়াও ওমেনলার্নিংথসেন্টার, মার্কিফাউন্ডেশন কক্সবাজার সরকারি কলেজের স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত।। জেলা কয়েকজন সুশীল ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় কক্সবাজারের হাইসোসাইটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার ছিল অবাধ বিচরণ।
 
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো স্কুলে পড়তে পারে না। তাই রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে কক্সবাজার শহরের বৈল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন খুশি। বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে, বর্তমানে সে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি অনার্স পড়ছিলেন।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বিষয়টি কিছুটা মানবিক তবে এমন মানবতা দেখাতে গিয়ে আজ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে সে যদি মিথ্যা তথ্য না দিয়ে বরং সরকারের কাছে আবেদন করে পড়াশোনা করত সেটা ভালো হত।
২| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:২৭
শায়মা বলেছেন: বেচারা।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আসলেই!
৩| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শরণার্থীদের এভাবে মেইনস্ট্রিমে প্রবেশ করাটা একটা দেশের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার পক্ষে স্বস্তিদায়ক নয়। কিন্তু কোন একজনের এভাবে পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়াটা পীড়া দায়ক।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৪| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:০২
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পড়ালেখায় বাধা দেওয়াটা অমানবিক মনে হচ্ছে। পড়ালেখায় ব্রিলিয়ান্ট হলে, নাগরিকত্ব দিয়ে বৈধভাবে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বাংলাদেশে মেধাবী নাগরিকের অভাব নাই তারা সুযোগ সুবিধের অভাবে প্রতিনিয়ত বিশ্বের উন্নত দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বরং এই মেয়ে এখন আন্তর্জাতিক সংস্থার নজরে আসবে বিদেশে ফ্রি পড়তে যাবার সুযোগও পেতে পারে।
৫| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ইস মেয়েটার জন্য সত্যি মায়া লাগছে, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের একটা দেশ আছে।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: কিছুটা একমত।
৬| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: একটা অসহায় মেয়ে লেখাপড়া করতে চায় করুক। তাকে লেখা পড়া করতে দেওয়া হোক।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:১০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: অবশ্যই সে অসহায় এই খবর পেলেই এনজিও বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের সুবিধায় সে বাহিরে পড়বার সুযোগ পাবে।
৭| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালই তো।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হ্যাঁ এই ভালোর জন্যই রোহিঙ্গারা এদেশকে নিজেদের দেশ ভাবতে শুরু করেছে।
৮| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২২
আনমোনা বলেছেন: আমাদের রিসোর্স সীমিত। কিন্তু কেউ যদি লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়, যেমন এই মেয়েটি, তাকে লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। যতটুকু বুঝলাম, সে নিজের খরচেই পড়েছিলো।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এখানে খরচের বিষয়টি মুখ্য নয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়ম ভেঙ্গেছে সে যা অনুচিত।
৯| 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:৫৪
অভি চৌধুরী বলেছেন: যদি আর কোন ভয়াবহতা এই বাংলায় দেখতে না চান তাহলে এমন আগ্রাসন আবেগ সামলে রাখুন। রোহিংগা এখন এক আতংকের নাম।
 
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১১:০০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১০| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  ভোর ৬:২৬
যবক্ষারজান বলেছেন: ঠিক বুঝতে পারছি না কী বলা উচিত। পড়াশোনা করাটা কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু ভুল তথ্য দিয়ে সুবিধা নেয়াটা বিশাল অন্যায়। রোহিঙ্গারা এখন আমাদের মানবিকতার সুযোগ নেয়া শুরু করেছে। আমাদেরই না কোনদিন শরণার্থী হতে হয়!
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১১| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:১৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শিক্ষার আলো সবার জনয। তবে মিথ্যা তথ্য প্রদান গ্রহণযোগ্য নয়।
১২| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  সকাল ৯:৪৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী হিসাবে তাকে পড়ালেখায় বাধা দেয়ার দরকার ছিল না...
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: না আমাদের দেশের আইনে জন্মসূত্রে কোন রোহিঙ্গাকে আমাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় নাই। আগে এদেশের আইন জানুন।
১৩| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: জন্মগত ভাবে এই মেয়ে বাংলাদেশি। একে এভাবে পড়তে না দেয়াটা ঠিক হয় নি। সংবিধানের ধারা অনুসারে জন্ম এই দেশে হবার কারনে এই মেয়ে কি বাংলাদেশি নয়?
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: রোহিঙ্গাদের কেউ এদেশে জন্ম নিলেও তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। রোহিঙ্গাদের এদেশে আসা ঠেকাতেই তাদের ক্ষেত্রে কঠোর আইন করা হয়েছে এমনকি বাংলাদেশের কোন নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিয়েও করতে পারবে না।
১৪| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১:৪৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এতটা পথ পাড়ি দিয়ে সে যখন এখান পর্যন্ত এসেই পড়েছে তাকে পড়তে দেওয়া উচিৎ।
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: তাকে পড়তে দেওয়া যেতেই পারে তবে সেক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য, ঘুষের মত অন্যায় মাফ করা উচিৎ হবে কি?
১৫| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১:৫৯
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।   
তবে
আজ আর মানুষের জন্য মানুষ  নেই।
মানুষ হয়ে গেছে গোত্রের,   ধর্মের ও দেশের।
১৬| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  দুপুর ২:৩৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: 
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভর্তি হওয়া একটি অপরাধ। ঘুষ দেয়া আরো বড় অপরাধ।
আমেরিকাতেও মিথ্যা তথ্য দেয়া একটি বড় অপরাধ, চেহারা যত সুন্দর হোক এই ঘটনা আমেরিকাতে হলে সে বহিষ্কৃত হত।
রহিংগা ক্যাম্পে জন্মগ্রহন করলে জন্মসুত্রে নাগরিক হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তাহলে প্রতিমাসে ৫০০০ শিশু নাগরিকত্ত পেয়ে লাফালাফি শুরু করে দিত।
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১৭| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবশ্যই সে অসহায় এই খবর পেলেই এনজিও বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের সুবিধায় সে বাহিরে পড়বার সুযোগ পাবে। 
রোহিংগাদের পক্ষে বড় কোন দেশ বা ইউরোপ কথা না বললে ওদের গতি হবে না। মায়ানমার একটু বেশীই অসভ্য।
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
১৮| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
বাংলাদেশের অনেক নবীন বাবামা কেবল মাত্র আমেরকিনা পাসপোর্ট পাবার আশায় বাংলাদেশ থেকে ওখানে গিয়ে ডেলিভারি করান। এটা যদি অপরাধ না হয় তাহলে এই মেয়েটির বাবা মা কোন অপরাধ করেছেন বলে আমার মনে হয় না।
 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবার সুযোগ নাই।
১৯| 
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্লগারদের মন্তব্য গুলো পড়তে আবার এলাম। মানবিকতার প্রশ্নে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব ব্রিটিশ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলিতে আছে। সেই যুক্তিতে রাহির নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। সে অবশ্য চাকরি-বাকরি নয়, চেয়েছে একটু পড়তে। পড়ালেখা করে চাকরি করে মেনস্ট্রিমে ঢুকবে কিনা সে বিষয়টি রাষ্ট্রের বিবেচনাধীন।  
বিষয়টি যদি ভারতের ক্ষেত্রে দেখি, তাহলে কিন্তু ভারত রাষ্ট্রের প্রশাসন যন্ত্রের রক্তচক্ষু এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে তোলপাড়। এন আর সির নামে অসমে সদ্য ঘোষিত 19 লক্ষ নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার নীতিটি কিন্তু গ্রহণ করা হয়নি। বাবা মা বা পূর্বসূরী যদি রাষ্ট্রের ঘোষিত বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারেন তাহলে গোটা পরিবারবর্গকে অনুপ্রবেশকারী ঘোষণা করা হয়েছে। 
কাজেই আমজনতার আশার আলো জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জন সারাবিশ্বে কোথায় কোথায় প্রযোজ্য হবে জানিনা। কিন্তু ভারতে বাঙালি জাতির পক্ষে বিষয়টি হিটলারের অনুসৃত পথে হাঁটতে চলেছে সে কথা বলা বাহুল্য। 
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯  রাত ৯:০২
নতুন বলেছেন: শিক্ষায় বাধা দেওয়া ঠিক না। ভালো কাজের সাহাজ্য করতে নিয়ম শিথিল করা উচিত।