নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে দরকার এক মহাপরিকল্পনা

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

শিক্ষা আমাদের অবশ্যই দরকার। কিন্তু, কি ধরণের শিক্ষা? শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য থাকা দরকার। কি কাজে লাগবে ঐ শিক্ষা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অথবা ভবিষ্যত গড়ার জন্যে? সেইটা কি 'কর্মমূখী শিক্ষা' নাকি 'জ্ঞানার্জনের জন্যে শিক্ষা' নাকি শুধুই 'পড়তে হয় বলেই শিক্ষা '(যেমন- শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য বলে একটি কর্মসূচি ছিল তেমন)?

প্রশ্নগুলো অফটপিক মনে হতে পারে। কিন্তু, বর্তমানে সমাজে চলমান সমস্যাগুলোর সাথে এর অতি গূঢ় যোগাযোগ আছে। বলছি।

প্রথমেই আসি, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে অনেক টাকা প্রয়োজন, শিক্ষকদের ভাতা তার একটি। সরকারকে যদি এই ব্যয় ভার বহন করতে হয়, তখন, সরকারেরও একটি চিন্তা থাকা উচিৎ যে, যাদের পেছনে জনগণের ট্যাক্সের টাকা ব্যায় করা হচ্ছে, সেই শিক্ষার্থীরা দেশের কি কাজে লাগবে? তারা দেশ থেকে যে সাহায্য পাচ্ছে, সেইটা কিভাবে, কেমন করে দেশকে ফেরত দিবে? ফেরতের কথা এই জন্যেই আসছে যে, ঐ ফেরত দেওয়া টাকাটাই কিন্তু সরকার পরবর্তীতে অন্য শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবে। অর্থাৎ, আয়-ব্যয়ের হিসাবও খুব জরূরী একটা ব্যাপার এখানে।

অথচ, দেখুন, আমরা যারা সরকারী প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা করেছি, দেশ যে লক্ষ লক্ষ টাকটা আমাদের পিছনে খরচ করেছে, আমরা এখন কোথায়? গত দুই দশকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবীদের অনেকেই দেশের বাইরে চলে গিয়েছে, এখনো যাচ্ছেন। অন্য দেশের উন্নয়নে সেই মেধা কাজে লাগছে।

আমি এইটা বলছি না যে আমাদের মেধারা অন্য দেশের কাজে লাগানো যাবে না। আমরা যেমন একজন জাতীর অংশ, তেমনি আমরা বিশ্ব নাগরিকও বটে। কিন্তু, যেহেতু, বর্তমান বিশ্ব বিভিন্ন জাতিসত্বার ভিত্তিতে বিভক্ত, আমাদেরকে তো নিজেদের স্বার্থের কথাটাও ভাবতে হবে, তাই না!

সেজন্যে, সরকারের উচিৎ, জনগণের পরিশ্রমের টাকা যাদের পিছনে খরচ করা হচ্ছে, তাদেরকে কিভাবে দেশের কাজে লাগানো যাবে, সেই অনুযায়ী শিক্ষার কারিকু্লামগুলো তৈরী করা। আর, সেই সাথে এই শিক্ষার্থীরা পাশ করার পর তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেশের উন্নয়নমূলক কাজে নিযুক্ত রাখা যতক্ষণ না তাদের পিছনে দেশের ব্যয় করা টাকা উঠে আসে।



কেমন করে তা সম্ভব?

ধরুন, সরকার ঠিক করলো যে, আগামী ৫০ বছর পর একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এখন, একটি উন্নত দেশের মানুষের কি কি জিনিস দরকার? তাদের মাথাপিছু আয় কত হওয়া উচিৎ? শুধু আয় হলে তো হবে না, তাদের উন্নত স্বাস্থ্য দরকার, খাবার দরকার, কাপড় দরকার, বাসস্থান দরকার, উন্নত চরিত্র দরকার।

আর, এগুলোকে নিশ্চিতকরনের জন্যে দরকার দক্ষ জনবল যাদের কেউ হবে ডাক্তার, কেই হবে ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, আবার কেউবা ব্যবসায়ী, ছোট-বড় চাকুরীজীবি/শ্রমিক বা কৃষক। আমাদের কিন্তু, বাস/ট্রেন ড্রাইভার কিংবা রিক্সা-চালকও দরকার। আর সেই সাথে দরকার, মোবাইল/রিক্সা/গাড়ি ম্যাকানিক বা ছুতার মিস্ত্রী।

এখন, একটি উন্নত দেশ হতে হলে কোন ধরণের মানুষ কি পরিমাণে দরকার হবে, সেইটা যদি সরকার একবার ঠিক করে ফেলতে পারে, আর সেই ভাবে যদি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠে, তাহলে কিন্তু আর ঝামেলা থাকে না। সরকারের ব্যয়কৃত টাকা উঠে আসতেও সময় লাগবে না।

এখানে একটা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর, তা হচ্ছে- মাথা-পিছু বা পরিবার-পিছু আয় বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে যদি প্রতি পরিবারে গড়ে ৫-জন সদস্য থেকে থাকে, তাহলে, দেশে মোট পরিবারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩.৫ কোটি। শুধুমাত্র মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করলে একটি পরিবারের প্রতি মাসের ব্যয় কত হতে পারে?

ধরি, সঠিক ডায়েট অবলম্বন করে করে প্রতিদিন যদি খাদ্যের জন্যে মাথাপিছু ৩০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে মাসে একটি পরিবারের লাগবে ৪৫,০০০ টাকা যা বছরে ৫,৪০,০০০ গিয়ে দাঁড়াবে। এভাবে, বাংলাদেশের ৩.৫ কোটি জনগণের জন্যে ১৫৭৫ বিলিয়ন টাকা প্রয়োজন হবে শুধু খাদ্য যোগানের জন্যে।

সবার যদি বছরে ছেলেদের দু'টি করে শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, সোয়েটার, চাদর, পাঞ্জাবী গেঞ্জি, আন্ডারপ্যান্ট, জুতো, স্যান্ডেল আর ১টি করে স্যুট, সেই সঙ্গে মেয়েদের দরকারী কাপড়্গুলো সম-ভাবে লাগে, তাহলে বছরে মাথাপিছু প্রায় ২০,০০০ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে বছরে বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে গড়ে ৩৫০০ বিলিয়ন টাকার প্রয়োজন।



এবারে আসি, বাসস্থানের ক্ষেত্রে। প্রতি ৫ জনের একটি তিন বেড রুমের বাসার বর্তমান ভাড়া গড়ে ২৫,০০০ টাকা। সেই সাথে গ্যাস, ইলেক্ট্রিসিটি, পানি, সার্ভিস আর সিকিউরিটি-সহ আরো ১৫,০০০ টাকা হলে, মোট খরচ হবে ৪০,০০০ টাকা। সেই হিসেবে, বাসস্থান বাবদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রয়োজন প্রায় ১৪০০ বিলিয়ন টাকার।

শিক্ষা ও চিকিৎসা যদি ফ্রি করে দেওয়া হয় বাংলাদেশে, তাহলেও শিক্ষক, চিকিৎসক, সরঞ্জাম আর অবকাঠামোর জন্যে একটা খরচ লাগবেই। এক্ষেত্রে, সুইজারল্যান্ডকে আমরা যদি অনুসরণ করি, তাহলে, প্রতি ১০০০ জনের জন্যে লাগবে ৩.৬০ জন ডাক্তার। সেই হিসেবে ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ১১ হাজার ডাক্তার প্রয়োজন আমাদের। প্রতি ২৫ জনের জন্যে একজন শিক্ষক দরকার হলে দেশে ৩৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রয়োজন। আর, সরকার যদি এই সকল শিক্ষক ও ডাক্তারের ব্যয় বহন করে এবং প্রত্যেকের বেতন বছরে গড়ে ১২ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে বাংলাদেশে ৬৩০০ বিলিয়ন টাকার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, রেজিস্ট্রার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী যা এই হিসেবে ৭-৮ গুণ। এভাবে আরো ৫০,৪০০ বিলিয়ন টাকার দরকার হবে। আর, প্রতি ১০০০ জনের জন্যে ৩টি হসপিটাল ব্যাডের প্রয়োজন হলে, প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার হসপিটাল ব্যাড আর ১,০৫০টি হসপিটাল প্রয়োজন হবে যার একেকটিতে থাকবে ৫০০ ব্যাড। এই অত্যাধুনিক হসপিটালগুলো একেকটি বানাতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হলে ১০৫০ বিলিয়ন টাকার প্রয়োজন। এভাবে, বছরে যদি একেক জনের গড়ে ৫০০০ টাকার ওষুধ লাগে, তাহলে, ৮৭৫০ বিলিয়ন টাকার ঔষধ লাগবে। আর, বিনা-মূল্যে বই-পত্রের জন্যেও খরচ দরকার।

সকল খরচ হিসাব করলে আর সুইডেনকে অনুসরণ করলে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্যে প্রয়োজন ১১,৪০০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৯,৫৭,৬০০ টাকা। এই হিসেবে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ লাগবে ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮০০ বিলিয়ন টাকার সম পরিমাণ অর্থ। আর, চিকিৎসা ক্ষাতেও, সুইডেনকে অনুসরণ করলে, মাথাপিছু ১,০৮,৯২৩ মার্কিন ডলার লাগবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের ১৭.৫০ কোটি জনগণের জন্যে প্রয়োজন ১৯,০৬,১৫২ বিলিয়ন টাকা।

এই বিশাল ব্যয়বার বহন করা কোন ব্যাপারই হবে না যদি বাংলাদেশ সরকার উন্নত বিশ্বের সমান করে মাথাপিছু আয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। সেই ভাবে গড়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মাথাপিছু বছরে গড়ে ১২ লক্ষ টাকা আয় করে, তাহলে, তার উপর ২৫% ট্যাক্স বসালে সরকারের মাথাপিছু আয় হবে ৩ লক্ষ টাকা। আর, বছরে সরকারের এ খাত থেকে আসবে ৫,২৫,০০০ বিলিয়ন টাকা! এরপর, রয়েছে করপোরেট ট্যাক্স।

এভাবে, জনগণের জন্যে সরকার যে টাকা খরচ করবে, সেই টাকা আবার সরকারের ব্যাংকে ফিরে আসতে ৫-৬ বছরও লাগবে না। বাংলাদেশ কোন সরকার পারবে কি এমন কোন মহাপরিকল্পনা নিতে?

সময়ই তা বলে দিবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার শেষভাগে লিখেছেন, "বছরে সরকারের এ খাত থেকে আসবে, ৫,২৫০০০ বিলিয়ন টাকা"

এটাকে ডলারে পরিণত করলে হবে: ৬.২১৩ ট্রিলিয়ন ডলার; আপনি কি এই সংখ্যা লিখতে চেয়েছিলেন?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ওটা শুধু ট্যাক্স খাত থেকে। অন্যান্য খাতগুলো এখানে উল্লেখ করিনি।

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই অসৎ এবং তারা দেশ প্রেমিক নয়। তাদেরকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা করে কিছুই হবে না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনি যে ধরণে চিন্তা করছেন সেটা ভুল।

অসততার মূল কারণ দারিদ্রতা। সেটা দূর হলেই দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

আপনি মনে হয় অন্যান্য দেশের মানুষের সাথে খুব একটা মিশেননি। তাই এমন মনে হচ্ছে।

আমার পরামর্শ, মাল্টি-কালচার আছে এমন কোন দেশে কয়েক বছর থেকে আসুন। দেশ সম্পর্কে অনেক ধারণা বদলে যাবে।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার ৩০ কোটী লোকের ট্যাক্স থেকেও ৬ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হয় না; আপনি বাংলাদেশের ১৮ কোটীর থেকে ৬ ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের প্ল্যান দিচ্ছেন?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বাংলাদেশ উন্নত বিশ্ব হওয়ার দিকে ধাবমান হলে আর মাথাপিছু আয় বছরে গড়ে ১২ লক্ষ টাকা করে দিলে, প্রথম ৭ বছর এরকমই রাখা দরকার।

যখনই সব খাতের ব্যয়গুলো এই ৭ বছরে উঠে আসবে, তখন, পরের বছর থেকে শুধু বাড়তি উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্যেই অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। ফলে, ট্যাক্সের পরিমাণ ১০%-এর নিচে নামিয়ে আনা যাবে।

ধন্যবাদ।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: রাগ করেছেন??
আমার মন্তব্যের উত্তর দিলেন না?
ভুল মন্তব্য করেছি?
কোনো সামঞ্জস্য নেই?

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষরা অসৎ না। যাদের প্রচুর টাকা পয়সা আছে তারাই অসৎ। গরিবরা দুর্নীতি করার কথা চিন্তাও করে না । যেটা বড়লোকদের নিত্যদিনের কাজ।

আপনি স্বপ্নের জগতে বসবাস করছেন। স্বপ্ন দেখা খুবই ভালো‌ । বাংলাদেশে বসে এ ধরনের স্বপ্ন দেখা চলে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন ও রূঢ়। কঠিন বাস্তবতা সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নাই । ক্যালকুলেটর দিয়ে হিসাব করলে সব কিছু হয় না। বাস্তবতা বুঝতে শিখুন।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: নিজের আগে করা বক্তব্য নিজেই গিলে খাচ্ছেন!


আগের কমেন্টে লিখেছিলেন- ''বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ অসৎ।''

এখন লিখেছেন- ''বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষরা অসৎ না।''


বাংলাদেশের বেশির ভাগ নাগরিকই তো গরীব!

আপনি তাদেরকে একবার সৎ বলছেন, আরেকবার অসৎ! কোনটা সঠিক?

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের এখন জিডিপি ২৪০ বিলিয়ন ডলার, বাজেট ৫০ বিলিয়ন ডলার; মোটামুটি ৫:১ অনুপাত।
৬ ট্রিলিয়ন ডলার ট্যাক্স আদায় হতে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি হতে হবে; আপনি অংক টংক বুঝেন নাকি?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জিডিপি'র অংকে আমারটা অনেক বড় মনে হবে। কিন্তু, বাংলাদেশ যদি ০% ইন্টারেস্টে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার ইকুইটি ব্যসিসে ইনভেস্টমেন্ট পায় আর বাংলাদেশ সরকার সেই সুযোগ নিয়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে গড় মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে?

৩.৫ কোটি পরিবারে গড়ে ১.৫টি চাকরী দেওয়া হলে, বাংলাদেশ সরকারকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে কর্মসংস্থান করতে হবে সবার প্রথমে। তারপরে ধাপে ধাপে ১৭.৫ কোটি মানুষকেই, ৭ বছরের মধ্যেই তা সম্ভব, যদি সঠিক পরিকল্পনা করা যায়।

ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নতুন বলেছেন: পোস্টের আসল বিষয় নিয়ে না ভেবে চাঁদগাজীভাই অংকের ভুল নিয়ে ভাবছেন কেন? :)

আসলেই আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য বড় করে ভাবতে হবে।

এমন ভাবনা থেকেই তো ভালো একটা পরিকল্পনা বের হয়ে আসবে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আরেকটু রিফ্রেশ করা দরকার এই ভাবনাগুলো।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অন্যদের সম্ভবত তার নতুন অর্থমন্ত্রী কে পেয়ে গেছে।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@নতুন,
আপনি বলেছেন, " পোস্টের আসল বিষয় নিয়ে না ভেবে চাঁদগাজীভাই অংকের ভুল নিয়ে ভাবছেন কেন? "

অংক, ফাইন্যান্স নিয়ে সম্যক উপলব্ধি না থাকলে, কমপ্লেক্স প্ল্যানের কথা ভাবা সম্ভব নয়।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি সেটেরিস পেরিবাস ধরে এই অংক করিনি।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের উন্নত হওয়ার পিছনে একমাত্র বাধা ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত জনসংখ্যা ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ব্লগার জাহিদ হাসান,

এটা একটা ভুল ধারণা। সঠিক ভাবে ভূমি বন্টন আর দালান-কোঠা বানানো গেলে এই জনসংখ্যাকে স্থান দেওয়া কোন ব্যাপার নয়।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি এটা মানতে পারছি না। যতদিন না দেশের জনসংখ্যা কমানো যাবে ততদিন প্রকৃতপক্ষে দেশ উন্নত হবে না।
উন্নত হলেও ভোগান্তি আর ভোগান্তি থাকবে শুধু।

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শিক্ষা মানুষকে চারদিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তুলে, আর সেই সাথে অর্থ হাতে আসলে মানুষ হয়ে উঠে দায়িত্ববান। এই দু'টি দিয়ে দেশের মানুষকে পরীক্ষা করে দেখুন, তখন আর ভোগান্তি মনে হবে না।

তবে, শিক্ষা ছাড়া অর্থ আর আর অর্থ ছাড়া শিক্ষা ... দুটো ক্ষেত্রেই ভোগান্তি নিয়ে আসবে জবগণের মধ্যে।

ধন্যবাদ।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাহলে, প্রতি ১০০০ জনের জন্যে লাগবে ৩.৬০ জন ডাক্তার। সেই হিসেবে ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ১১ হাজার ডাক্তার প্রয়োজন আমাদের। হিসাবটা সঠিক মনে হচ্ছেনা। ১৮ কোটির জন্য ৬ লাখ ৪৮ হাজার ডাক্তার লাগার কথা।

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ওহ! ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মহাপরিকল্পনা প্রথম স্টেপ হতে হবে ''দুর্নীতি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া এবং বাস্তবায়ন।"
নইলে কোনো পরিকল্পনাই কোনো কাজে আসবেনা।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


@গিয়াস উদ্দিন লিটন,

উনি পড়ালেখা করার সময় অংক সাবজেক্টটা কি তুলে দেয়া হয়েছিলো?

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিক করেছেন আপনি আমার মন্তব্যের উত্তর দিবেন না??!!!

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন: বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে এতো জটিল অংক করার দরকার নাই।

১) বেশি বেশি করে গুণগত শিল্প কারখানা স্থাপন করলে ও শিল্প কারখানা গুলোর গুণগত মান ধরে রাখলেই দেশ অল্প সময়ই উন্নত দেশে পরিণত হবে।
২) মানুষ সৎ ও একটু বোকা সোকা হলে মালেয়শিয়ার মতন অন্যথায় চায়নার মতন সিস্টেম করে দেশের মানুষ গুলোকে দৌড়ের উপর রাখতে হবে।
৩) মানুষ গুলোকে দুম্বাল্যান্ডে না পাঠিয়ে দেশ উন্নতির কাজে লাগাতে হবে।

আর এইসবের জন্য দরকার একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সুশাসক।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

জাহিদ হাসান বলেছেন: আপনি মনে হয় কখনো ট্রেন ভ্রমণ করেননি। কমলাপুর থেকে গাজীপুর জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণ করে দেখুন পা রাখার কোন জায়গা পাবেন না। তখন বুঝতে পারবেন এই দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যা কত বড় অভিশাপ।
অতিদ্রুত আমাদের-

১। তরুনদের অভিবাসনে উৎসাহিত করতে হবে। রাশিয়াতে ব্যাপক জায়গা আছে। তারা সহজেই সেখানে গিয়ে সেটেল হতে পারবে। আমার বন্ধু সরোজও রাশিয়া চলে গেছে। রাশিয়ান গার্লফ্রেন্ডও জুটিয়ে ফেলেছে।
২। দম্পতিদের জম্মনিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করতে হবে। দুটি সন্তানের বেশি যাতে কোন দম্পতি না নেয়। ধনী-গরীব সবার জন্য এই আইন করতে হবে। দুটি সন্তানের বেশি হলেই সেই সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছ থেকে রাষ্ট্র নিয়ে যাবে। এরুপ আইন করতে হবে। কোন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

অন্তরা রহমান বলেছেন: ওরে বা, যা লিখেছেন পড়েই ভয় পেয়ে গেলাম। অবশ্য আমি আদার ব্যাপারী, জাহাজের খবর রাখার প্রয়োজনও নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.